উত্তর : খুৎবা চলাকালীন ইমামের সঙ্গে মুক্তাদী এবং মুক্তাদীর সঙ্গে ইমাম প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারেন (ছহীহ বুখারী, হা/৯৩০ ও ৯৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৭৫; মিশকাত, হা/১৪১১ ‘জুম‘আর খুৎবা’ অনুচ্ছেদ)। আনাস (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলেন, ‘এক ব্যক্তি জুমু‘আর দিন দারুল ক্বাযা তথা বিচার করার স্থানের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। এ সময় আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! ধন-সম্পদ নষ্ট হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেল। আপনি আল্লাহর নিকট দু‘আ করুন, যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। তখন আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’হাত তুলে দু‘আ করেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/১০১৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯৭)। উল্লেখ্য, মুক্তাদীগণ নিজেরা পরস্পরে কথা বলতে পারবে না। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহ আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَقَدْ لَغَوْتَ ‘যখন তুমি জুমু‘আর দিন ইমামের খুৎবার সময় তোমার সঙ্গীকে বল, ‘তুমি চুপ কর’, তাহলে তুমি অনর্থক কথা বললে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৯৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫১; মিশকাত, হা/১৩৮৫)।
প্রশ্নকারী : আহসান, বেরা, পাবনা।