উত্তর : সাধারণভাবে পিতা-মাতা যে কোন সময় যে কোন ভাষায় বাচ্চাদের জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য দু‘আ করতে পারেন, বরং বেশি বেশি করা উচিত। আবূ হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
ثَلَاثُ دَعَوَاتٍ يُسْتَجَابُ لَهُنَّ لَا شَكَّ فِيْهِنَّ دَعْوَةُ الْمَظْلُوْمِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ لِوَلَدِهِ.
‘তিন ব্যক্তির দু‘আ নিঃসন্দেহে ক্ববুল হয়। মাযলূমের দু’আ, মুসাফিরের দু’আ ও সন্তানের জন্য পিতার দু’আ’ (তিরমিযী, হা/১৯০৫, ৩৪৪৮; আবূ দাঊদ, হা/১৫৩৬)। যেমন রাসূল (ﷺ) ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর জন্য নিম্নের দু‘আ পড়েছিলেন- اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِى الدِّينِ উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ফাক্কিহ্হু ফিদ্দীন। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বীনের ফিক্বহ দান করুন (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৩)।
অথবা বলবে, اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْكِتَابَ উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ‘আল্লিমহুল কিতাব। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাকে কুরআনের জ্ঞান দান করুন (ছহীহ বুখারী, হা/৭৫)। এছাড়া আরো বলা যাবে, اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْحِكْمَةَ উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ‘আল্লিমহুল হিকমাহ। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাকে প্রজ্ঞা শিক্ষা দান করুন।
প্রশ্নকারী : আরাফ, মহাদেবপুর, নওগাঁ।