উত্তর : এটাচড বাথরুমে ওযূ করা যাবে। তবে বিসমিল্লাহ মনে মনে পড়তে হবে এবং বাথরুম থেকে বের হয়ে ওযূর পরের দু‘আ পড়তে হবে। ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আধুনিক বাথরুমে, যেখানে পানির ব্যবস্থা থাকে, সেখানে ওযূ করার অনুমতি আছে। তবে সেখানে মুখে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা মাকরুহ। বরং অন্তরে বলা হবে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১০/২৭ পৃ.)। তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ওযূ করা আল্লাহ্র ইবাদতের অংশ, তাই বাথরুমে করা যাবে। তবে ওযূ শেষ করে বাথরুমের বাইরে এসে দু‘আ পড়বে’। ইমাম ইবনু উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি বাথরুমে টয়লেট ও হাত-মুখ ধোয়ার স্থান একসাথে থাকে, তাহলে সেখানে ওযূ করতে পারবে। তবে ‘বিসমিল্লাহ’ মনে মনে বলবে, উচ্চারণ করবে না’ (লিকাউল বাবিল মাফতূহ, ৪/৩৫ পৃ.)।
নবী (ﷺ)-এর যুগের টয়লেট বলতে এমন জায়গা বোঝাত, যা খোলামেলা বা নির্দিষ্টভাবে পেশাব-পায়খানার জন্য ব্যবহার হত। নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ প্রয়োজনের স্থানে যাবে, তখন সে যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করে’ (আবূ দাঊদ, হা/৬, সনদ ছহীহ)। সরাসরি টয়লেটের ভেতরে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা নিষেধ। উল্লেখ্য, পাটিশন দেয়া টয়লেটের ভিতরে দু‘আ পাঠে বাধা নেই। কেবল পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় দু‘আ সহ সকল প্রকার যিকির থেকে বিরত থাকবে (ছহীহ বুখারী, ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩৫)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল হান্নান, সঊদী আরব প্রবাসী।