উত্তর : এই ধরনের কথা বলা চরম কুফরির শামিল, যদি তা জেনে-বুঝে ও ঈমানের বিপরীতে বলা হয়। কারণ এতে আল্লাহর প্রতি অপবাদ, অসন্তুষ্টি এবং তাক্বদীর অস্বীকার প্রকাশ পায়। তবে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত হুকুম নির্ভর করে বলার পরিস্থিতি, অভিপ্রায় ও জ্ঞানের মাত্রার উপর। যদি সে জেনে-বুঝে, রাগের মাথায় হলেও, আল্লাহ সম্পর্কে এমন কটু কথা বলে এবং এতে সে নিজের ভুল বুঝে না বা অনুতপ্ত না হয়, তাহলে সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে অজ্ঞতাবশত বলে থাকে, ইসলামের মৌলিক বিষয় বুঝে না এবং পরে অনুতপ্ত হয় বা বুঝিয়ে দিলে তওবা করে তাহলে সে মুসলিমই থাকে, তবে তার কাবীরা গুনাহ হবে। তাকে কি পুনরায় কালিমা পড়ে মুসলিম হতে হবে? হ্যাঁ, যদি তার উক্তি বা কার্যকলাপ স্পষ্টভাবে কুফ্রি হয় এবং সে বুঝে যে কুফ্রি করেছে, তবে তওবার পাশাপাশি পুনরায় কালিমা পড়ে ঈমানে ফিরে আসতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে নিকাহ নবায়ন করাও উচিত, কারণ ঈমান ভঙ্গ হলে বিবাহ বন্ধনও ভেঙে যায়। তওবা না করে স্বামী-স্ত্রীর মিলন করলে পাপ হবে কি? যদি স্ত্রীর ঈমান চলে যায় (উপরিউক্ত উক্তির কারণে) এবং সে তওবা না করে থাকে, তাহলে তার সাথে স্বামীর সহবাস হারাম হবে। কেননা মুসলিম পুরুষের জন্য কেবল মুসলিম স্ত্রী হালাল। এক্ষেত্রে সহবাস করা ব্যভিচার/হারাম সম্পর্ক হিসাবে গণ্য হবে, যদিও তারা আগে বৈধভাবে বিবাহিত ছিল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করো না’ (সূরা আত-তাওবা: ৭৪)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘এক ব্যক্তি এমন একটি কথা বলে ফেলে যার দ্বারা আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন, অথচ সে তা গুরুত্ব দেয় না ফলে সেই কথার কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়’ (ছহীহ বুখারী)। সঊধী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড বলেন, ‘আল্লাহকে গালি বা কটূ কথা বলা কুফ্রি, এমনকি রাগের মাথায় হলেও। এক্ষেত্রে তওবা করতে হবে এবং ঈমান ও বিবাহ নবায়ন করতে হবে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ২/১২ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মীজানুর রহমান ভূঁইয়া, এজিই আর্মি মোমেনশাহী।