ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজ
-ড. মেসবাহুল ইসলাম বিন মাহতাবুদ্দীন*
(৬ষ্ঠ কিস্তি)
৪. ইসলামে যুব সমাজের পরিচয় ও মর্যাদা
‘যুব’ শব্দটি বিশেষ্য, বিশেষণ যৌবনপ্রাপ্ত বা তরুণ অর্থে সমাসে পূর্বপদরূপে ‘যুবা’ শব্দের রূপ (যুবসমাজ)। এর সংস্কৃত রূপ যুবন্। সমার্থক শব্দ যৌবন, তরুণ।[১] আরবী প্রতিশব্দ شباب। এ শব্দের মূল অক্ষর شب। এ শব্দটি ইসম হলে অর্থ হবে ফিটকিরি, তরুণ ও যুবক।[২] شب শব্দটি বাবে ضرب থেকে شباب বা شبب মাছদার থেকে নির্গত হলে অর্থ হবে বড় হওয়া, বয়োঃপ্রাপ্ত হওয়া, তরুণ হওয়া, যুবক হওয়া।[৩] شب শব্দটি فعول এর ওযনে شبب বা فعال এর ওযনে شباب হলে অর্থ হবে আগুন (আগুন) জ্বলা, জ্বলে ওঠা, যুদ্ধ লেগে যাওয়া, ছড়িয়ে পড়া, উপরে ওঠা।[৪]شب শব্দটি فعال এর ওযনে شَبَابٌ বা فَعِيْلٌ এর ওযনে شَبِيْبٌ বা فِعَالٌ এর ওযনে شِبَابٌ হলে অর্থ (ঘোড়া) সামনের দুই পা উত্তোলন করা।[৫] شباب শব্দটি شبب থেকে হলে অর্থ হবে যৌবন, তারুণ্য, যুবকবৃন্দ, যুবসমাজ, তরুণ সমাজ।[৬]
‘আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব’ গ্রন্থকার বলেন, ‘ شباب শব্দের অর্থ الفتي বা যুবক, الحدثهবা আধুনিকতা, شبب الشيئ বা কোন বস্তুর প্রথম ভাগ। যমেন لقيته في شباب النهار ‘আমি দিনের প্রথম ভাগে তাকে দেখেছি’।[৭] ‘আল-মাগরিস’ পত্রিকায় উল্লেখ আছে,
كلمة شباب تعنى في أصلها اللغوي النماء والقوة، والشباب جمع شاب ويجمع أيضا على شبان وشبيبة، وشباب الشيء أوله يقال لقيت فلانا في شباب النهار أي في أوله.
‘شباب শব্দটির আভিধানিক অর্থ উন্নয়ন বা শক্তি।الشباب শব্দটি شابএর বহুবচন। এ ছাড়াও এ শব্দের বহুবচন شبان وشبيبة। অর্থ যুবকেরা বা অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েরা এবং বস্তুর যৌবনকাল হচ্ছে তার প্রথম ভাগ’। যেমন বলা হয়,لقيت فلانا في شباب النهار أي في أول ‘আমি দিনের যৌবনকালে অমুককে দেখেছি অর্থাৎ দিনের শুরুতে।[৮] ‘মুখতারুছ ছিহহা’ গ্রন্থকার বলেন,
في مختار الصحاح ش ب ب : الشَّبابُ جمع شابٍّ وكذا الشُّبَّانُ و الشَّبَابُ أيضا الحداثة وكذا الشَّبيبةُ وهو خلاف الشيب.
‘شباب শব্দটির আভিধানিক অর্থ الشباب। শব্দটি شاب এর বহুবচন। এছাড়াও এ শব্দের বহুবচন الشَّبَابُ و شبان وشبيبة। অর্থ যুবকদের, অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে, আধুনিকতা এবং বার্ধক্যের বিপরীত।[৯] ‘লিসানুল ‘আরব’ গ্রন্থকার বলেন,
معنى شبب في لسان العرب الشَّباب الفَتاء والحداثةُ شبَّ يشِبُّ شباباً وشبيبةً وفي حديث شريح تجوزُ شهادةُ الصِّبيان على الكبار يُسْتشَبُّون أَي يُسْتشْهَدُ من شبَّ منهم وكَبر إِذا بَلَغ كأَنه يقول إِذا تحمَّلوها في الصِّبا وأَدَّوْها في الكِبر جاز والاسم الشَّبيبةُ وهو خِلافُ الشَّيبِ و الشباب جمع شابٍّ وكذلك الشُّبان [১০].
‘আল-লুগাতুল আরাবিয়্যাতুল মু‘আছিরাহ’ গ্রন্থকার বলেন, ‘شباب শব্দটির আভিধানিক অর্থ شبَّ শব্দটি ফেল এবং এর সরফে ছাগীর এর রূপ দেখিয়ে ইসমে ফায়িলের রূপ দেখানো হয়েছে। তা হচ্ছে شابّ। যেমন বলা হয়, شبّ الغُلامُ أدرك طوْرَ الشّباب , صار فتيًّا ‘যৌবনের স্তর পেয়ে বালকটি সাবালক হয়েছে, যুবক হয়েছে’। আরো বলা হয়,
شبَّ عن الطَّوْق : كبُرَ واعتمد على نفسه ، بلغ مبلغ الرجال ، - مَنْ شبّ على شيء شاب عليه.
‘কিশোরের বেষ্টনী থেকে বড় হয়ে আত্মনির্ভশীলতা আর্জন করে, পুরুষের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে। যে এ বস্তু লাভ করবে সে তরুণ হবে। মানুষের ঐ আচরণের দিকে ইঙ্গিত বহন করে যা ছোট কাল থেকে সীমাবদ্ধ। এর বহুবচন, এছাড়াও এ শব্দের বহুবচন والشَّبَابُ و شبان وشبيبة অর্থ যুবকেরা, অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের, আধুনিকতা এবং বার্ধক্যের বিপরীত।[১১] জুবরান মাস‘ঊদ বলেন,
شب: شب - يشب ، شبابا وشبيبة - شب الغلام : صار شابا
‘شب শব্দটি ফেল এবং এর সরফে ছাগীর এর রূপ দেখানো হয়েছে। বালকটি যৌবনে পদার্পণ করে, যুবক হয়েছে’।[১২] ‘ফিকহুল লুগাহ’ প্রণেতা বলেন,
الشباب لغة: فقد ذكر الثعالبي في كتابه فقه اللغة أن الشباب جمع شاب وهو ما بين الثلاثين والأربعين، وما بكت العرب على شيء كما بكت على الشباب حتى قال قائلهم: ألا ليت الشباب يعود يوما.
‘شباب শব্দটির আভিধানিক অর্থشباب শব্দটিشابّ এর বহুবচন, আর তা হচ্ছে ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের (ব্যক্তি)। তারুণ্যকে ফিরে পাওয়ার আশায় আরবেরা ক্রন্দন করে বলত,ألا ليت الشباب يعود يوما ‘হায়! যদি যৌবনকে ফিরে পেতাম’।[১৩]
অসবৎরপধহ ঐবৎরঃধমব উরপঃরড়হধৎু-তে যুবকের ইংরেজী প্রতিশব্দ ুড়ঁঃয এর অর্থ বর্ণনায় বলা হয়েছে যে,
১.
ধ. ঞযব পড়হফরঃরড়হ ড়ৎ য়ঁধষরঃু ড়ভ নবরহম ুড়ঁহম: ঞৎধাবষ যিরষব ুড়ঁ ংঃরষষ যধাব ুড়ঁৎ ুড়ঁঃয.
ন. ঞযব ঃরসব ড়ভ ষরভব নবঃবিবহ পযরষফযড়ড়ফ ধহফ সধঃঁৎরঃু: ঐব ধিং ৎবনবষষরড়ঁং রহ যরং ুড়ঁঃয.
প. অহ বধৎষু ঢ়বৎরড়ফ ড়ভ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ৎ বীরংঃবহপব: ধ হধঃরড়হ রহ রঃং ুড়ঁঃয.
২.
ধ. অ ুড়ঁহম ঢ়বৎংড়হ, বংঢ়বপরধষষু ধ ুড়ঁহম সধষব রহ ষধঃব ধফড়ষবংপবহপব.
ন. (ঁংবফ রিঃয ধ ংরহম. ড়ৎ ঢ়ষ. াবৎন) ণড়ঁহম ঢ়বড়ঢ়ষব পড়হংরফবৎবফ ধং ধ মৎড়ঁঢ়.
৩. এবড়ষড়মু ঞযব ভরৎংঃ ংঃধমব রহ ঃযব বৎড়ংরড়হ পুপষব. [১৪]
‘যুব’ শব্দের পারিভাষিক অর্থ
الشباب هو قوة بين ضعفين، قوة بين ضعف الطفولة وضعف الشيخوخة.
‘যুবক হচ্ছে দুই দুর্বলের মাঝের শক্তি, শক্তি হচ্ছে শৈশব ও বার্ধ্যকের দুর্বলতার মাঝে’।[১৫]
‘আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব’ প্রণেতা বলেন, من أدرك سن البلوغ و لم يصل إلى سن الرجولة ‘যে বালেগের বয়সে পৌঁছে কিন্তু বার্ধক্যে স্তরে পৌঁছে না সেই হচ্ছে যুবক’।[১৬]
যুবকের বয়সসীমা
মানব জাতির মধ্যে কোন মানুষদেরকে যুবক হিসাবে গণ্য করা হয় বা কাদেরকে যুবক বলা হয় তা নিয়ে অনেক আলোচন-পর্যালোচনা সমাজে চালু রয়েছে। এমনকি যুবকের বয়সসীমা শুরু ও শেষ সীমা নিয়ে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। আমরা বিভিন্ন তথ্যাদির মাধ্যমে তার আলোচন উপাস্থাপন করব।
জাতিসংঘ, ইউনেস্ক, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এর দৃষ্টিতে যুবকের বয়সসীমা ১৫-২৪ বছর।[১৭] টঘ ওহংঃৎঁসবহঃং, ঝঃধঃরংঃরপং, টঘ ঐধনরঃধঃ (ণড়ঁঃয ঋঁহফ) এর নিকট যুবক এর বয়সসীমা ১৫-৩২।[১৮] ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, টঘঋচঅ এর মতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হচ্ছে: ১০-১৯, কিশোর: ১০-২৪, যুবক : ১৫-২৪।[১৯] ‘ইউনিসেফ’-এর শিশু অধিকার সম্মেলনে বলা হয় ১৮ এর নিচে শিশু এবং ১৮ এর উপর থেকে ৩৫ পর্যন্ত যুবক।[২০] আফ্রীকান ইয়ুথ চার্টারে বলা হয় যুবক হচ্ছে ১৫-৩৫ বছর পর্যন্ত।[২১]
মানব জীবনের স্তর বিন্যাস
যুবকের উৎপত্তি মানব জাতির সৃষ্টির সূচনাকাল থেকেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতি সৃষ্টি করে তাদের জীবন-মরণ নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
الَّذِیۡ خَلَقَ الۡمَوۡتَ وَ الۡحَیٰوۃَ لِیَبۡلُوَکُمۡ اَیُّکُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ؕ وَ ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡغَفُوۡرُ .
‘আল্লাহ তা‘আলা জীবন মরণ সৃষ্টি করেছেন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য তোমাদের মাঝে উত্তম আমল করতে পারে, তিনি পরাক্রমশালী ও দয়ালু’ (সূরা আল-মূলক: ২)। জীবণ-মরণের মাঝে মানব জীবনের স্তর বিন্যাস সৃষ্টির আদিকাল থেকে শুরু। মানব জীবনের প্রথম যে স্তর শুরু হয় সেটি হচ্ছে তিফলুন বা শিশুকাল দিয়ে। আল্লাহ বলেন,
وَ اِذَا بَلَغَ الۡاَطۡفَالُ مِنۡکُمُ الۡحُلُمَ فَلۡیَسۡتَاۡذِنُوۡا کَمَا اسۡتَاۡذَنَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ.
‘তোমাদের মধ্যে শিশুরা যখন বালেগ হয়,তখন তারা যেন অনুমতি গ্রহণ করে, যেমন তাদের পূর্ববর্তীরা অনুমতি নিত’ (সূরা আন-নূর: ৫৯)। এ আয়াতে বুঝা যায় যে, মানব জীবন শুরু হয় শিশুকাল দিয়ে। এর পর তারা বালেগ বা যৌবনকালে পৌঁছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ اَشُدَّہٗ وَ بَلَغَ اَرۡبَعِیۡنَ سَنَۃً ‘আর যখন সে যৌবনে পৌঁছে এবং চল্লিশ বছরে পৌঁছে’ (সূরা আল-আহক্বাফ: ১৫)। রাসূল (ﷺ) বলেন, رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ الصَّبِىِّ حَتَّى يَبْلُغَ ‘শিশুরা বালেগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে’।[২২]
যুবকের স্তর শুরু হয় বালেগ দিয়ে এবং তার শেষ সীমা চল্লিশ বছর পর্যন্ত। তরুণের স্তর এর পর শুরু হয় বার্ধক্যে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ وَہَنَ الۡعَظۡمُ مِنِّیۡ وَ اشۡتَعَلَ الرَّاۡسُ شَیۡبًا وَّ لَمۡ اَکُنۡۢ بِدُعَآئِکَ رَبِّ شَقِیًّا ‘যাকারিয়া বলেন ‘হে আমার প্রভু! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে, বার্ধক্যে আমার মাথার চুল সাদা হয়ে গেছে। হে আমার প্রভু! আমি তোমাকে ডেকে কখওনো ব্যর্থ হইনি’ (সূরা মারইয়াম: ৪)। তিনি আরো বলেন, وَ مَنۡ نُّعَمِّرۡہُ نُنَکِّسۡہُ فِی الۡخَلۡقِ ؕ اَفَلَا یَعۡقِلُوۡنَ ‘আমি যাকে দীর্ঘ জীবনদান করি তাকে তো জরাগ্রস্ত করে দিই, তবুও কি তারা বুঝো না’ (সূরা ইয়াসীন: ৬৮)।
মানব জীবন শুরু হয় শিশু থেকে এরপর যুবক এরপর বার্ধক্য। সুতরাং মানব জীবনের স্তরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
اَللّٰہُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ ضُؔعۡفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنۡۢ بَعۡدِ ضُؔعۡفٍ قُوَّۃً ثُمَّ جَعَلَ مِنۡۢ بَعۡدِ قُوَّۃٍ ضُؔعۡفًا وَّ شَیۡبَۃً ؕ یَخۡلُقُ مَا یَشَآءُ ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیۡمُ الۡقَدِیۡرُ.
‘আল্লাহ তিনি তোমাদের দুর্বলরূপে সৃষ্টি করেন, দুর্বলতার পর শক্তি দেন, শক্তির পর আবার দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য, তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনিই জানেন ও সর্ব শক্তিমান’ (সূরা আর-রূম : ৫৪)।
মানুষের বয়স অধিকাংশ সময় ৬০ থেকে ৭০ বছরের মাঝামাঝি হয়ে থাকে। এ বিষয়ে নবী (ﷺ) বলেছেন, عُمُرُ أُمَّتِى مِنْ سِتِّينَ سَنَةً إِلَى سَبْعِينَ سَنَةً ‘আমার উম্মতের বয়স ৬০-৭০ বছরের মাঝামাঝি (তবে অন্য রকমও হতে পারে)’।[২৩] এ দু’সংখ্যা তথা ৬০-৭০ এর মাঝামাঝি সংখ্যাটি হচ্ছে ৬৫ বছর। শিশুকাল শুরু হয় জন্ম থেকে এবং শেষ হয় ১৪ বছরে, যৌবনকাল শুরু হয় ১৫ থেকে এবং শেষ হয় ৪০ বছরে, পৌঢ় বয়স শুরু হয় ৪১ থেকে এবং শেষ হয় ৫০ বছরে এবং বার্ধক্যকাল শুরু হয় ৫১ থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত। মানবজাতির এ স্তর বিন্যাস থেকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে স্তরটি পাই তা হচ্ছে যৌবনকাল। কেননা এ সময়টি হচ্ছে জীবন, কর্ম ও উৎপাদনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আমরা মানবজাতির বিভিন্ন স্তরের বয়সের চিত্র নিম্নে ছকের মাধ্যমে তুলে ধরলাম।
বছর
স্তর বিন্যাস
পর্যন্ত
হতে
১৪
জন্ম
শিশু
৪০
১৫
যুবক
৫০
৪০
প্রৌঢ়/মধ্য বয়সী
মৃত্যু
৫১
বার্ধক্য
সুতরাং মানুষের বয়সের স্তরবিন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে স্তর সেটি হচ্ছে যৌবনকাল। মানব জীবনের এ সময়টি চলমান যা কারো জন্য থেমে থাকে না। এ চলমান সময়টি শুরু হয় বালেগের বয়সে উপনীত হওয়ার পর থেকে তথা ১৫ বছর থেকে আর তা শেষ হয় প্রায় ৪০ বছর বয়সে। আর কেউ বলেন তা শেষ হয় ৪০ বছরের পূর্বে। আর অন্যরা অবশ্য তা বাড়িয়ে ৫০ বছরে যোগ করেছেন। কিন্তু গ্রহণযোগ্য মতে এর শেষ সীমা ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত। কেননা মানব জাতির এ সময়টি পৌঁছে উন্নতির সময়ে, আর যুবকের আরবী প্রতিশব্দ হচ্ছেالشباب । আর এ শব্দটির মৌলিক অর্থ দু’টি বিষয়কে বুঝায়। ১. উন্নতি ২. শক্তি।[২৪] কুরআনুল কারীমে আমরা যে ৪০ বছর পাই, সেটিও এ দু’টির অর্থই ইঙ্গিত বহন করে। আল্লাহ বলেন, ‘যখন সে পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হল এবং ৪০ বছরে পৌছল’।[২৫] এ আয়াতের অর্থ হচ্ছে মানুষ যুবক বয়সে পৌঁছে, তখন তার জ্ঞান পরিপক্ক হয় এবং বুঝ পরিপূর্ণ হয়।[২৬]
হাদীছের দৃষ্টিতে যুবকের মর্যদা
মানবজাতির সবচেয়ে বড় চাওয়া হল জান্নাত। সেই জান্নাতের অধিবাসীরা হবেন যুবক। দুনিয়াতে যেমন তারা দুনিয়াবাসীর নিকট শ্রেষ্ঠ তেমনি তারা জান্নাতেও থাকবে মর্যাদাশীল। রাসূল (ﷺ)-এর নিকট এক বৃদ্ধা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার জন্য দু‘আ করুন। আল্লাহ যেন আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। তিনি তাকে বললেন, কোন বৃদ্ধ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তখন সেই বৃদ্ধা কাঁদতে লাগল। রাসূল (ﷺ) তাকে বললেন, শুনেননি আল্লাহ তা‘আলার বাণী তিনি বলেন, তাদেরকে আমি নতুনরূপে সৃষ্টি করেছি, তাদেরকে করেছি কুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়স্কা’।[২৭]
জান্নাতে যৌবনকাল শেষ হবে না এবং ক্ষয়ও হবে না। জান্নাতীরা চিরস্থায়ীভাবে যুবক থাকবে। রাসূল (ﷺ) বলেন, أَهْلُ الْجَنَّةِ شَبَابٌ جُرْدٌ مُرْدٌ كُحْلٌ، لَا تَبْلَى ثِيَابُهُمْ، وَلَا يَفْنَى شَبَابُهُمْ ‘জান্নাতে যারা প্রবেশ করবে তারা হবে যুবক, কালো চোখবিশিষ্ট, শ্মশ্রুবিহীন, তাদের পোশাক জীর্ণ-শীর্ণ হবে না, তারা সবসময় যুবকই থাকবে’।[২৮]
ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, জান্নাতী যুবকেরা হবে শ্মশ্রুবিহীন, ৩৩ বছরের বয়স্ক, তারা পেশাব করবে না ও পায়খানা করবে না বরং কেবল ঢেঁকুর তুলবে, তাদের ঘাম হবে সুগন্ধিযুক্ত’।[২৯]
আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, তিনি যখন যুবকদের দেখতেন, তখন বলতেন, রাসূল (ﷺ)-এর অসিয়ত অনুযায়ী আমি তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি, কারণ রাসূল (ﷺ) আমাদের অসিয়ত করেছেন যে, আমরা যেন তোমাদের জন্য তোমাদের বসার জায়গা প্রশস্ত করি এবং তোমাদের হাদীছ বুঝায়। কেননা তোমরাই আমাদের পরবর্তী বংশধর এবং পরবর্তী আহলেহাদীছ। তিনি যুবকদের নিকট আগমন করে বলতেন, হে আমার ভাইয়ের ছেলে! যখন তুমি কোন বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করবে, তখন নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাকে প্রশ্ন করবে। কেননা সন্দেহ থেকে নিশ্চিতের দিকে প্রর্ত্যাবর্তন করা আমার নিকট অধিক উত্তম।[৩০]
মানুষের জন্য যৌবনকাল হচ্ছে জীবনকে সাজিয়ে নেয়ার সবচেয়ে কার্যকর সময়। কারণ মানুষ ছোটবেলায় যেমন দুর্বল থাকে তেমনি বৃদ্ধ বয়সেও সে দুর্বল হয়ে যায়। সব কাজের জন্য যৌবনকালই শ্রেষ্ঠ সময়। সে জন্যই রাসূল (ﷺ) যৌবনকালকে প্রাধান্য দিয়ে বলেছেন, ‘পাঁচটি বিষয়কে অন্য পাঁচটি বিষয়ের আগে মূল্যবান ভেবে কাজ সেরে নাও। তাহলো- ‘বার্ধক্য আসার আগে যৌবনকালকে, অসুস্থতার আগে সুস্থতার সময়কে, দারিদ্র্যে পড়ার আগে প্রাচুর্যকে, ব্যস্ততার আগে অবসরকে আর মৃত্যু আসার আগে তোমার জীবনকে মর্যাদা দাও’।[৩১] যৌবনের ইবাদতকারীর জন্য রাসূল (ﷺ) কঠিন হাশরের ময়দানে ‘আরশের ছায়ায় স্থান দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ক্বিয়ামতের কঠিন ময়দানে আরশের ছায়ায় ৭ শ্রেণির ব্যক্তিরা স্থান পাবে। তন্মধ্যে একশ্রেণির ব্যক্তি হলো ঐ যুবক, যে আল্লাহ ইবাদতে অতিবাহিত করে’।[৩২]
মনীষীর দৃষ্টিতে যুব সমাজের মর্যাদা
অনেক গবেষক মনে করেন বয়সের সঙ্গে প্রতিভার এক ধরনের দৃশ্যমান সম্পর্ক আছে। বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিভাধর মানুষদের বিশ্লেষণ করে তারা বলছেন, ‘তারুণ্য একজন মানুষের মধ্যে প্রতিভার যে বিকাশ ঘটে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত কমে যায়’। এ কথাটি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও বিশ্বাস করতেন। তিনি মানুষের প্রতিভা আর বয়সের মধ্যে সম্পর্কের তুলনা করতে গিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ৩০ বছর বয়সের আগে বিজ্ঞানে কোন অবদান রাখতে পারেনি সে আর কখনই পারবে না’। যদি আইনস্টাইনের ক্ষেত্রে বিষয়টি চিন্তা করা যায়, তবে দেখা যাবে যে, ১৯০৫ সালটিকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বিস্ময়কর বছর হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর।[৩৩]
এ বিস্ময়কর বছরটিতে তিনি ব্রাউনীয় গতির ওপর গবেষণা করে অণুর অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন। আলোর কণিকা বা কোয়ান্টাম তত্ত্ব গবেষণাও এ সময় সফল হয়েছে। ঠিক একই সময়ে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বটি দিয়েছেন যা পৃথিবীর আগেকার সব ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। তাঁর বিখ্যাত সমীকরণ ঊ=সপ২ যুক্তি, প্রমাণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে মাত্র তিন পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। এজন্য পরে তিনি নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি অর্জন করেন। এ অভাবনীয় ও বিস্ময়কর আবিষ্কারগুলোর পর তিনি আরও ৫০ বছর বেঁচে থাকলেও আর কোন বড় ধরণের আবিষ্কার করতে পারেননি।[৩৪]
বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাকর্ষ, আলোর বিচ্ছুরণসহ তাঁর সফল এবং বিখ্যাত আবিষ্কারগুলো যুবক বয়সেই করে ফেলেছিলেন। আরও পরিষ্কার করে বললে তাঁর আবিষ্কারগুলো ২৪ বছর বয়সের মধ্যেই। ১৯৫৩ সালে এইচসি লেহম্যান তাঁর গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, পৃথিবীর বেশির ভাগ সফল বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো মূলত যুবক বিজ্ঞানীরাই করেছিলেন, বয়স্করা না। ২০০৩ সালে সাতোশি কানাজাওয়া ২৮০ জন বিজ্ঞানীর ওপর তাঁর গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেখেন যে বয়ঃসন্ধির সময় থেকে প্রতিভা ধীরে ধীরে বিকশিত হয়ে যৌবনে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায় এবং ৩০ বছরের পর প্রতিভার বিকাশ ধীরে ধীরে কমতে থাকে।[৩৫]
এ তত্ত্বগুলোর আলোকে বুঝা যায় যে, বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন ও নানা আবিষ্কারে যুবকরা বিশাল ভূমিকা রেখেছে। বলা যায় যে এক তৃতীয়াংশ আবিষ্কার যুব সমাজেরই। অনুরূপ ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠায়ও তাদের ভূমিকা অতুলনীয়। এ যুব সমাজের মেধা ও প্রতিভাকে বের করে এনে ইসলাম ও দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন কাজে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
কবি-সাহিত্যিকদের দৃষ্টিতে যুবকের মর্যদা
যুবকেরা পৃথিবীর অধিবাসীদের জন্য কল্যাণকর। তারা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জের মুসলিম যুব সমাজের অভিনন্দনের উত্তরে কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাদের উদ্দেশ্যে এক প্রাণোচ্ছল ভাষণ দেন, সেখানে তিনি যুবকদের তরবারীর তীক্ষ্ম সুচালো ধারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।[৩৬] যত বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন যুবকেরা তা যৌবনের উচ্ছ্বাসে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। এ কারণে পৃথিবীতে যত বিজয় অর্জিত হয়েছে, দেখা যায় তার মূলে যুবকদেরই ভূমিকা সর্বাগ্রে। বদর, ওহুদ, খন্দক থেকে নিয়ে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তাদের অসামান্য অবদান ছিল। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীতে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার!
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারি, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।[৩৭]
আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, شيئان لا يعرف فضلهما إلا من فقدهما : الشباب والعافية ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা যেমন দেয় না, তেমনি দু’টি জিনিসকে না হারিয়ে মানুষ তার মর্যদা দেয় না তা হচ্ছে যৌবন ও সুস্থতা’।[৩৮] প্রখ্যাত কবি দা‘বাল আল-খুযাঈ বলেন,
إن المشيب رداء الحلم والأدب
كما الشباب رداء اللهو واللعب
‘বার্ধক্য শিষ্টাচার ও ধৈর্যের যেমন চাদর
তেমনি যৌবন আনন্দ খেল তামাশার চাদর’।[৩৯]
ইংরেজী কবি-সাহিত্যিকদের দৃষ্টিতে যুবক বা যৌবন
উইলিয়াম সেক্সপিয়ার তাঁর ‘টুইলফথ নাইট’ কবিতায় বলেন, "ণড়ঁঃয'ং ধ ংঃঁভভ রিষষ হড়ঃ বহফঁৎব". ‘তারুণ্যের উপাদানগুলো অসহিষ্ণু (হয়ে উঠবে)’/‘যৌবন জিনিস সহ্য হবে না’।[৪০]
ড. জনসন বলেন, "ণড়ঁহম সবহ যধাব সড়ৎব ারৎঃঁব ঃযধহ ড়ষফ সবহ; ঃযবু যধাব সড়ৎব মবহবৎড়ঁং ংবহঃরসবহঃং রহ বাবৎু ৎবংঢ়বপঃ" ‘প্রবীণদের চেয়ে যুবকদের অধিক সদগুণ আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের বেশি উদার/মহৎ অনুভূতি রয়েছে’।[৪১]
এবড়ৎমব ইবৎহধৎফ ঝযধি তাঁর গধীরসং ভড়ৎ জবাড়ষঁঃরড়হরংঃং এ বলেন, "ণড়ঁঃয, যিরপয রং ভড়ৎমরাবহ বাবৎুঃযরহম, ভড়ৎমরাবং রঃংবষভ হড়ঃযরহম: ধমব, যিরপয ভড়ৎমরাবং রঃংবষভ ধহুঃযরহম, রং ভড়ৎমরাবহ হড়ঃযরহম" ‘যৌবন যা সবকিছু ক্ষমা করে দেয়, নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করে না; বয়স যা নিজেকে কিছুকে ক্ষমা করে, তার কিছুই ক্ষমা হয় না’।[৪২] গবহধহফবৎ গড়ঁড়ংঃরপযড়র বলেন, "ডযড়স ঃযব মড়ফং ষড়াব ফরবং ুড়ঁহম" ‘দেবতারা যাকে ভালোবাসে, যৌবনেই তার মৃত্যু হয়।’ ডরষষরধস ডড়ৎফংড়িৎঃয বলেন,
"ইষরংং ধিং রঃ রহ ঃযধঃ ফধহি ঃড় নব ধষরাব,"
"ইঁঃ ঃড় নব ুড়ঁহম ধিং াবৎু যবধাবহ"
‘সেই ভোরে বেঁচে থাকাটা ছিল আনন্দের,
কিন্তু যুবক হওয়াটা ছিল স্বর্গের’।[৪৩]
জ.ঐ. ইবহংড়হ বলেন, "ণড়ঁঃয রং ধ ফরংবধংব ঃযধঃ সঁংঃ নব নড়ৎহব রিঃয ঢ়ধঃরবহঃষু! ঞরসব, রহফববফ, রিষষ পঁৎব রঃ" ‘তারুণ্য/যৌবন একটি রোগ, যা ধৈর্যের সাথে বহন করতে হবে/বয়ে বেড়াতে হবে’। ‘সত্যিই সময় এটি নিরাময় করবে’।[৪৪] গধৎমধৎবঃ অঃড়িড়ফ ঐধরৎ ঔববিষৎু বলেন, "ও'াব হবাবৎ ঁহফবৎংঃড়ড়ফ যিু ঢ়বড়ঢ়ষব পড়হংরফবৎ ুড়ঁঃয ধ ঃরসব ড়ভ ভৎববফড়স ধহফ লড়ু. ওঃ'ং ঢ়ৎড়নধনষু নবপধঁংব ঃযবু যধাব ভড়ৎমড়ঃঃবহ ঃযবরৎ ড়হি" ‘আমি কখনোই বুঝিনি লোকেরা কী জন্য তারুণ্যকে স্বাধীনতা ও আনন্দের সময় বলে বিবেচনা করে। এটা সম্ভবত এই কারণে যে, তারা তাদের নিজেদেরকে ভুলে গেছে’।[৪৫] চবঃব ঞড়হিংযবহফ গু এবহবৎধঃরড়হ "ঐড়ঢ়ব ও ফরব নবভড়ৎব ও মবঃ ড়ষফ" ‘আশা করি, আমি বৃদ্ধ হওয়ার আগেই মারা যাবে’া।[৪৬] চৎড়াবৎনং "ণড়ঁঃয সঁংঃ নব ংবৎাবফ" ‘যুবকদের অবশ্যই সেবা করতে হবে’।[৪৭]
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
* প্রভাষক, দেওগাঁ রহমানিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসা, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
[১]. সম্পাদক জামিল চৌধুরী, বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান (ঢাক : বাংলা একাডেমি, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ/২০১৬ খ্রি.), পৃ. ১১৫১।
[২]. আল-মু‘জামুল ওয়াফী (আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান), পৃ.৪৮৬।
[৩]. প্রাগুক্ত।
[৪]. প্রাগুক্ত।
[৫]. প্রাগুক্ত।
[৬]. প্রাগুক্ত।
[৭]. আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব, পৃ. ৪৮০।
[৮]. আল মাগরসি ,বজ্ঞিান বষিয়ক পত্রকিা, ১৫ ই অক্টোবর ২০০৮।
[৯]. الشباب (ويسمى الشاب فتى والشابة فتاة. যঃঃঢ়ং://ধৎ.রিশরঢ়বফরধ.ড়ৎম/রিশর/شباب
[১০]. তদেব।
[১১]. ড. আহমাদ মুখতার ‘আব্দুল হামীদ ওমার, আল-মু‘জামুল লুগাতিল ‘আরাবিয়াতিল মু‘আছির (মিশর : ‘আলামুল কুতুব, ১৪২৯ হি./২০০৮ খ্রি.), পৃ. ৩৩।
[১২]. জুবরান মাস‘ঊদ, আর-রায়িদ (দারুল ইলমি লিল মালাঈন, ১৯৯২ খ্রি.), পৃ. ৪৬৩।
[১৩]. আল-ইমামু আবী মানছূর আব্দিল মালিক ইবন মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল আছ-ছাআলাবী, ফকিহুল লুগাহ ওয়া আসরারুল ‘আরাবিয়্যাহ (বৈরূত: আল-মাকতাবাতুল আছীরীয়্যাহ, তাবি), পৃ. ২২২।
[১৪]. [গরফফষব ঊহমষরংয ুড়ঁঃযব, ভৎড়স ঙষফ ঊহমষরংয মবড়মঁঃয; ংবব ুবঁ- রহ ওহফড়-ঊঁৎড়ঢ়বধহ ৎড়ড়ঃং
অসবৎরপধহ ঐবৎরঃধমব® উরপঃরড়হধৎু ড়ভ ঃযব ঊহমষরংয খধহমঁধমব, ঋরভঃয ঊফরঃরড়হ. ঈড়ঢ়ুৎরমযঃর্ ২০১১ নু ঐড়ঁমযঃড়হ গরভভষরহ ঐধৎপড়ঁৎঃ চঁনষরংযরহম ঈড়সঢ়ধহু. চঁনষরংযবফ নু ঐড়ঁমযঃড়হ গরভভষরহ ঐধৎপড়ঁৎঃ চঁনষরংযরহম ঈড়সঢ়ধহু. অষষ ৎরমযঃং ৎবংবৎাবফ.
[১৫]. ফকিহুল লুগাহ ওয়া আসরারুল ‘আরাবিয়্যাহ, পৃ. ২২২।
[১৬]. আল-মু‘জামুল ওয়াসীত, পৃ. ৪৮০।
[১৭].যঃঃঢ়://িি.িঁহযধনরঃধঃ.ড়ৎম/ঢ়সংং/ষরংঃওঃবসউবঃধরষং.ধংঢ়ী?ঢ়ঁনষরপধঃরড়হওউ=৩৩৯৩ .
[১৮]. ওনরফ.
[১৯]. যঃঃঢ়://িি.িঁহভঢ়ধ.ড়ৎম/বসবৎমবহপরবং/সধহঁধষ/৮.যঃস.
[২০]. যঃঃঢ়://িি.িঁহরপবভ.ড়ৎম/ধফড়ষবংপবহপব/রহফবীথ৬৬৮৩৪.যঃসষ
[২১].যঃঃঢ়://িি.িধভৎরপধঁহরড়হ.ড়ৎম/ৎড়ড়ঃ/ঁধ/পড়হভবৎবহপবং/সধর/যৎংঃ/পযধৎঃবৎ%২০বহমষরংয.
[২২]. আবূ দাঊদ, হা/৪৪০২, সনদ ছহীহ।
[২৩]. তিরমিযী, হা/২৩৩১, সনদ হাসান ছহীহ।
[২৪]. ড. সুলায়শান ইবন কাসিম ইবন মুহাম্মাদ আল-ঈদ, মাকানাতুশ শাবাব ফিল ইসলাম (প্রকাশনা স্থান ও সংস্থা বিহীন : ১৪২৮ হি./২০০৭ খ্রি.)।যঃঃঢ়://িি.িধষঁশধয.হবঃ/বিন/বষবরফ/০/১৯২০২/#রীুু৪৭ফরওঊঝড়ফ.
[২৫]. সূরা আল-আহক্বাফ : ১৫।
[২৬]. তাফসীর ইবন কাসীর, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৫৮।
[২৭]. সূরা আল-ওয়াক্বিআহ: ৩৫-৩৬ ; মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী, গায়াতুল মারাম ফি তাখরীজি আহাদিছিল হালাল ওয়াল হারাম, ১ম খণ্ড (বৈরূত : আল মাকতাবুল ইসলামী, ৩য় সংস্করণ, ১৪০৫ হি.), পৃ. ১৯।
[২৮]. সুনানুদ দারেমী, হা/২৮২৬।
[২৯]. ইসবাহানী, আবু নঈম, ছিফাতুল জান্নাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩২৩।
[৩০]. বায়হাক্বী, শুয়াবুল ঈমান, হা/১৭৪১।
[৩১]. মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাইন, হা/৭৮৪৬ ; মিশকাত, হা/৫১৭৪, সনদ ছহীহ।
[৩২]. ছহীহ বুখারী, হা/১৪২৩; মিশকাত, হা/৭০১ ।
[৩৩]. “তরুণদের বড় হতে হবে স্বপ্ন ও চিন্তায়”, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, দৈনিক বাংলদেশ প্রতিদিন, রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১, পৃ. ৪।
[৩৪]. তদেব।
[৩৫]. তদেব।
[৩৬]. কাজী নজরুল ইসলাম, নজরুল রচনা সম্ভার, ১ম খণ্ড ( কলকাতা : এম. এ হরফ প্রকাশনী, ৩য় সংস্করণ,১৯৯৭ খ্রি.), পৃ. ৯৭।
[৩৭]. কাজী নজরুল ইসলাম, সঞ্চিতা (কলকাতা : ডি. এম. লাইব্রেরী, দ্বাদশ সংস্করণ, ১৩৬৮ বঙ্গাব্দ), পৃ. ৬৫।
[৩৮]. যঃঃঢ়ং://িি.িশধষরসধয়ঁড়ঃবং.পড়স.
[৩৯]. যঃঃঢ়ং://িি.িধষফরধিহ.হবঃ/ঢ়ড়বস২৭৪১৪.যঃসষ.
[৪০]. যঃঃঢ়ং://িি.িংযধশবংঢ়বধৎবঃযবধঃৎব.ড়ৎম/ধিঃপয-ষরংঃবহ/ুড়ঁঃযং- ংঃঁভভ-রিষষ-হড়ঃ-বহফঁৎব
[৪১]. যঃঃঢ়ং://য়ঁড়ঃবং.ুড়ঁৎফরপঃরড়হধৎু.পড়স/ধঁঃযড়ৎ/য়ঁড়ঃব/৯৯৭০
[৪২]. যঃঃঢ়ং://িি.িয়ঁড়ঃবং.হবঃ/য়ঁড়ঃব/৪৭৫
[৪৩]. যঃঃঢ়ং://িি.িমড়ড়ফৎবধফং.পড়স/য়ঁড়ঃবং/১৬৮৮২৪
[৪৪]. যঃঃঢ়ং://িি.িপড়ষষরহংফরপঃরড়হধৎু.পড়স/ফরপঃরড়হধৎু/বহমষরংয-ঃযবংধঁৎঁং/ুড়ঁঃয
[৪৫].যঃঃঢ়ং://িি.িনৎধরহুয়ঁড়ঃব.পড়স/য়ঁড়ঃবং/সধৎমধৎবঃথধঃড়িড়ফথ১৫৮১৬৩
[৪৬]. যঃঃঢ়ং://িি.িবঁৎবশধষবৎঃ.ড়ৎম/হবংি-ৎবষবধংবং/৮৯৮৭৭৩
[৪৭]. ঈড়ষষরহং ঞযবংধঁৎঁং ড়ভ ঃযব ঊহমষরংয খধহমঁধমব – ঈড়সঢ়ষবঃব ধহফ টহধনৎরফমবফ ২হফ ঊফরঃরড়হ. ২০০২র্ ঐধৎঢ়বৎঈড়ষষরহং চঁনষরংযবৎং ১৯৯৫, ২০০২
প্রসঙ্গসমূহ »:
যুবসমাজ