সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

বিদ‘আত পরিচিতি

-ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান*


 (৩১তম কিস্তি) 

গ. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) (মৃ. ৫৭ হি.)

আয়েশা ছিদ্দীকাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ছিলেন আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর সহধর্মিনী এবং প্রথম খলীফা আবূ বকর আছ-ছিদ্দীক (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর কন্যা। তিনি ছিলেন নারী ছাহাবীরে মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞান ছাহাবী। তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট থেকে অসংখ্য হাদীছ বর্ণনা করেছেন। পিতা আবূ বকর, উমার, ফাতিমা এবং সা‘দ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম)-এর নিকট থেকে তিনি হাদীছ বর্ণনা করেছেন। আর তাঁর নিকট থেকে অনেক ছাহাবী ও তাবেঈ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। যেমন উমার, আব্দুল্লাহ ইবনু উমার, আবূ হুরায়রা, আবূ মূসা, ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুম), সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রাহিমাহুল্লাহ) ও মাসরূক্ব (রাহিমাহুল্লাহ)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর মর্যাদা বর্ণনায় অসংখ্য হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন,

১- আবূ মূসা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

كَمُلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيْرٌ وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيْدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ

‘পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পূর্ণ ঈমানদার হয়েছেন; কিন্তু নারীদের মধ্যে ইমরানের কন্যা মারিয়াম এবং ফেরাঊনের স্ত্রী আছিয়া ব্যতীত আর কেউ পূর্ণ ঈমানদার হতে পারেনি। তিনি আরো বলেছেন, সব নারীর উপর আয়েশার মর্যাদা এমন, যেমন সব রকমের খাদ্য সামগ্রির উপর ছারীদের মর্যাদা।[১]

২- আয়েশা‌ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন,

«يَا عَائِشَةُ هَذَا جِبْرِيْلُ وَهُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ». قَالَتْ قُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ تَرَى مَا لَا نَرَى.

‘হে আয়েশা‌! এই যে জিবরীল (আলাইহিস সালাম), তোমাকে সালাম বলেছেন। আমি বললাম, তার প্রতিও সালাম, আল্লাহ তা‘আলার রহমত ও কল্যাণ বর্ষিত হোক। যা আপনি দেখেন আমরা তা দেখতে পাই না’।[২]

৩- আবূ মূসা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

مَا أَشْكَلَ عَلَيْنَا أَصْحَابَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ حَدِيْثٌ قَطُّ فَسَأَلْنَا عَائِشَةَ إِلَّا وَجَدْنَا عِنْدَهَا مِنْهُ عِلْمًا

‘আমাদের রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ছাহাবীদের নিকট কোন হাদীছের অর্থ বুঝা কষ্টসাধ্য হলে আয়েশা‌ (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে প্রশ্ন করে তার নিকট এর সঠিক জ্ঞাত লাভ করেছি’।[৩] মূসা ইবনু ত্বালহা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَفْصَحَ مِنْ عَائِشَةَ ‘আয়েশা‌ (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর তুলনায় বেশি বিশুদ্ধভাষী আমি আর কাউকে দেখিনি’।[৪]

৪- আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত,

أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ. قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَىُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ «عَائِشَةُ». قُلْتُ مِنَ الرِّجَالِ قَالَ « أَبُوهَا».


‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে যাতুস সালাসিল যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করেন। আম্‌র (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার নিকট কোন্ লোক সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘আয়েশা’‌। আমি বললাম, পুরুষদের মাঝে কে? তিনি বললেন, ‘তার বাবা’।[৫] এক্ষণে বিদ‘আত প্রতিরোধে তাঁর শক্ত অবস্থানের বিষয়ে আলোকপত করব ইনশাআল্লাহ।

ক- রাফেযী (শী‘আদের) বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান

১- আব্দুল্লাহ ইবনু শাক্বীক্ব আল-উক্বইলী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে জিজ্ঞেস করলাম,

أَىُّ أَصْحَابِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ كَانَ أَحَبَّ إِلَيْهِ قَالَتْ أَبُوْ بَكْرٍ. قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَتْ ثُمَّ عُمَرُ. قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَتْ أَبُوْ عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ. قَالَ يَزِيْدُ قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ فَسَكَتَتْ

‘আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর ছাহাবীগণের মধ্যে কে তাঁর নিকট সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন, আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)। আমি বললাম, তারপর কে? তিনি বললেন, উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু)। আমি বললাম, তারপর কে? তিনি বললেন, আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ। ইয়াযীদ (রাহিমাহুল্লাহ) বললেন, আমি বললাম, তারপর কে? তিনি বললেন, (তখন) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) চুপ ছিলেন’।[৬]

২- হিশাম ইবনু উরওয়া (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণনা করে বলেন,  আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) আল্লাহ তা‘আলার বাণী لِیَغِیۡظَ بِہِمُ  الۡکُفَّارَ ‘এভাবে (আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা) কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন’ (সূরা আল-ফাতহ: ২৯) সম্পর্কে বলেন, أُمِرُوْا بِالْاِسْتِغْفَارِ لِأَصَحَابِ مُحَمَّدٍ ﷺ فَسَبُّوْهُمْ ‘তাদেরকে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর ছাহাবীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তাদের অভিশাপ দিয়েছিল’।[৭]

৩- আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

أَنَّهَا ذُكِرَتْ عِنْدَ رَجُلٍ فَسَبَّهَا فَقِيْلَ: أَتَسُبُّ أُمُّكَ؟ قَالَ: مَا هِيَ أُمِّيْ! فَبَلَغَهَا فَقَالَتْ: صَدَّقَ أَنَا أُمَّ الْمُؤْمِنِيْنَ وَأَمَّا الْكَافِرُوْنَ فَلَسْتُ لَهُمْ بِأُمٍّ

‘তাকে এমন এক ব্যক্তির সাথে উল্লেখ করা হয়েছিল যে তাকে গালি-গালাজ করেছিল। তাই বলা হয়েছিল: তুমি কি তোমার মাকে অভিশাপ দিয়েছ? তিনি বললেন, আমার মা কী? তখন তিনি তাকে অবহিত করলেন এবং বললেন, তিনি ঠিক বলেছেন। আমি মুমিনদের মা, কিন্তু কাফেরদের জন্য আমার মা নেই’।[৮]

খ- ছূফীদের বিরুদ্ধে অবস্থান

হিশাম ইবনু হাসান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে বলা হল,

إن قوما إذا سمعوا القرآن يغشى عليهم، فقالت: إن القرآن أكرم من أن تنزف عنه عقول الرجال ولكنه كما قال الله تعالى: { تَقۡشَعِرُّ مِنۡہُ جُلُوۡدُ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ  رَبَّہُمۡ ۚ ثُمَّ  تَلِیۡنُ جُلُوۡدُہُمۡ وَ قُلُوۡبُہُمۡ  اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰہِ {ِ


‘কিছু মানুষ আছে যারা কুরআন শ্রবণ করলে অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয় কুরআন কোন ব্যক্তির জ্ঞান নিঃশেষ হয়ে যাওয়া থেকে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয়। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

تَقۡشَعِرُّ مِنۡہُ جُلُوۡدُ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ  رَبَّہُمۡ ۚ ثُمَّ  تَلِیۡنُ جُلُوۡدُہُمۡ وَ قُلُوۡبُہُمۡ  اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰہِ

‘এতে যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের গাত্র (শিহরীত) হয়, অতঃপর তাদের দেহ-মন প্রশান্ত হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে’ (সূরা আয-যুমার: ২৩)। [৯]

গ- জাহমিয়্যাদের প্রতিরোধে তাঁর অবস্থান

১- আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

وَاللهِ مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنَّ اللهَ مُنْزِلٌ فِىْ شَأْنِى وَحْيًا يُتْلَ ، وَلَشَأْنِى فِىْ نَفْسِىْ كَانَ أَحْقَرَ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ اللهُ فِىَّ بِأَمْرٍ يُتْلَى

‘আল্লাহর কসম! আমি তখন এ ধারণা করতে পারিনি যে, আল্লাহ তা‘আলা আমার সম্পর্কে এমন অহী অবতীর্ণ করবেন যা তিলাওয়াত করা হবে। আমার দৃষ্টিতে আমার মর্যাদা এর চাইতে অনেক নিচে ছিল’।[১০]

২- আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম,

الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ وَسِعَ سَمْعُهُ الْأَصْوَاتَ لَقَدْ جَاءَتْ خَوْلَةُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ تَشْكُوْ زَوْجَهَا فَكَانَ يَخْفَى عَلَىَّ كَلَامُهَا فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ (قَدۡ سَمِعَ  اللّٰہُ  قَوۡلَ  الَّتِیۡ تُجَادِلُکَ فِیۡ زَوۡجِہَا وَ تَشۡتَکِیۡۤ  اِلَی اللّٰہِ ٭ۖ وَ اللّٰہُ یَسۡمَعُ  تَحَاوُرَکُمَا) الآيَةَ

‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যার শ্রবণ শক্তি সকল আওয়াজকে পরিব্যাপ্ত। খাওলা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তার স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করল। সে তার কথা আমার নিকট গোপন রাখল। তখন আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা ঐ মহিলার কথা শ্রবণ করেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে আপনার সাথে ‘বিতর্ক’ করছে এবং আল্লাহর নিকট অভিযোগ করছে। আর আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দু’জনের বাদানুবাদ শুনছিলেন’ (সূরা আল-মুজাদালাহ: ১)।[১১]

ঘ- খারিজীদের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান

তাবেঈ মহিলা মু‘আযাহ (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِى الصَّوْمَ وَلَا تَقْضِى الصَّلَاةَ فَقَالَتْ أَحَرُوْرِيَّةٌ أَنْتِ قُلْتُ لَسْتُ بِحَرُوْرِيَّةٍ وَلَكِنِّىْ أَسْأَلُ. قَالَتْ كَانَ يُصِيْبُنَا ذَلِكَ فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلَا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ

‘আমি ‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে প্রশ্ন করলাম, আমাদের কেউ কি তার হায়িযের দিনগুলোর ছালাত ক্বাযা করবে? ‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন, তুমি কি হারূরিয়্যাহ[১২]? রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে আমাদের কারো হায়িয হলে পড়ে তাকে (ছালাত) ক্বাযা করার নির্দেশ দেয়া হত না’।[১৩]

ঙ- ক্বাদারিয়্যাদের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

«مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللهِ أَحَبَّ اللهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللهِ كَرِهَ اللهُ لِقَاءَهُ». قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ كُلُّنَا نَكْرَهُ الْمَوْتَ. قَالَ «لَيْسَ ذَلِكَ وَلَكِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا بُشِّرَ بِرَحْمَةِ اللهِ وَرِضْوَانِهِ وَجَنَّتِهِ أَحَبَّ لِقَاءَ اللهِ وَأَحَبَّ اللهُ لِقَاءَهُ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا بُشِّرَ بِعَذَابِ اللهِ وَسَخَطِهِ كَرِهَ لِقَاءَ اللهِ وَكَرِهَ اللهُ لِقَاءَهُ».

‘আল্লাহ তা‘আলার সাথে সাক্ষাৎ করতে যে লোক পসন্দ করে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে আল্লাহ তা‘আলাও পসন্দ করেন। আল্লাহ তা‘আলার সাথে সাক্ষাৎ করতে যে লোক পসন্দ করে না, তার সাথে সাক্ষাৎ করাকে আল্লাহ তা‘আলাও পসন্দ করেন না। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! মৃত্যুকে তো আমরা সবাই অপসন্দ করি। তিনি বললেন, এর অর্থ তা নয়, বরং যখন আল্লাহ তা‘আলার রহমত, তাঁর সন্তোষ ও তাঁর জান্নাতের সুসংবাদ কোন মুমিন লোককে দেয়া হয় তখন সে লোক আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছা করে এবং তার সাথে সাক্ষাৎ করাকে আল্লাহ্ তা‘আলাও পসন্দ করেন। অপরপক্ষে যখন কাফির লোককে আল্লাহর নির্ধারিত আযাব ও তাঁর গযবের দুঃসংবাদ দেয়া হয় তখন আল্লাহ তা‘আলার সাথে সাক্ষাৎ করাকে সে লোক পসন্দ করে না এবং তার সাথে সাক্ষাৎ করাকে আল্লাহ তা‘আলাও পসন্দ করেন না’।[১৪]

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

* শিক্ষক, আল-জামি‘আহ আল-ইসলামিয়্যাহ, খড়খড়ি, রাজশাহী।

তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৩১; মিশকাত, হা/৫৭২৪।
[২]. তিরমিযী, হা/৩৮৮১; আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/১০৩৬, সনদ ছহীহ।
[৩]. তিরমিযী, হা/৩৮৮৩, সনদ ছহীহ।
[৪]. তিরমিযী, হা/৩৮৮৪, সনদ ছহীহ।
[৫]. তিরমিযী, হা/৩৮৮৫, সনদ ছহীহ।
[৬]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৮৭১; ইবনু মাজাহ, হা/১০২, সনদ ছহীহ।
[৭]. মুসতাদরাকু আলাছ ছহীহাইন, হা/৩৭১৯, সনদ ছহীহ।
[৮]. আল-আজুর্রী, আশ-শারী‘আহ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১২১, আছার নং-১৮৫০।
[৯]. আবূ ইসহাক আশ-শাত্বেবী, আল-ই‘তিছাম (মিশর: আল-মাকতাবাতুত তিজারাতি আল-কুবরা, তাবি), ১ম খণ্ড, পৃ. ২৭৬।
[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৭৫০ ‘তাফসীর’ অধ্যায়।
[১১]. নাসাঈ, হা/৩৪৬০; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৮; ছহীহ বুখারী, হা/৭৩৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৪১।
[১২]. ‘হারূরা’ কুফা নগরের নিকটবর্তী একটি গ্রামের নাম। প্রথমে খারিজীরা এ গ্রামে এসে একত্রিত ছিল এ জন্য তাদেরকে হারূরী বলা হয়েছে। দ্র.: জালালুদ্দীন আস-সুয়ূত্বী, আদ-দীবাযু আলা মুসলিম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯০।
[১৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৩৫; আবূ দাঊদ, হা/২৬৩; মিশকাত, হা/২০৩২।
[১৪]. তিরমিযী, হা/১০৬৭; নাসাঈ, হা/১৮৩৮; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৩০১০, সনদ ছহীহ।





বিদ‘আত পরিচিতি (১২তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
সালাম প্রদানের গুরুত্ব ও মর্যাদা - মুহাম্মাদ আরিফ হুসাইন
ইসলামে রোগ ও আরোগ্য - মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী
তাক্বওয়াই মুক্তির সোপান (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - আব্দুর রশীদ
সুন্নাতের আলো বিদ‘আতের অন্ধকার (১০ম কিস্তি) - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
ইসলামে পর্দার বিধান - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
ইসলামী পুনর্জাগরণের প্রতিবন্ধকতা ও তার সমাধান - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ইসলামী তাবলীগ বনাম ইলিয়াসী তাবলীগ (২য় কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
তওবার গুরুত্ব ও ফযীলত - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
গাযওয়াতুল হিন্দ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ - হাসিবুর রহমান বুখারী
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ভ্রান্ত ফের্কাসমূহের ঈমান বনাম আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ঈমান : একটি পর্যালোচনা (শেষ কিস্তি) - ড. আব্দুল্লাহিল কাফী বিন লুৎফর রহমান মাদানী

ফেসবুক পেজ