উত্তর : ইহরাম বাঁধার পূর্বে কোন মহিলার হায়েয হলে গোসল করবেন এবং লজ্জাস্থানে কাপড় বেঁধে মীক্বাত থেকে ইহরাম বাঁধবেন। তিনি কা‘বা ঘর ত্বাওয়াফ করা ছাড়া ওমরার অন্যান্য কাজ সম্পাদন করবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/১২১১ ও ১২১৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩০৭৪)। হায়েয বন্ধ হওয়ার পর পবিত্র হয়ে তিনি বায়তুল্লাহ ত্বাওয়াফ করবেন (আবূ দাঊদ, হা/১৭৮৫, সনদ ছহীহ)। আর ত্বাওয়াফ শেষ করার পর যদি কারো মাসিক শুরু হয়ে যায়, তাহলে ঐ অবস্থাতেই ওমরার বাকী কাজগুলো করতে থাকবেন। ছাফা-মারওয়া সাঈ করবেন, মাথার চুলের আগা থেকে কিছু ছেঁটে ফেলবেন এবং ওমরা শেষ করবেন। কারণ ছাফা-মারওয়া সাঈ করার জন্য পবিত্রতা শর্ত নয় (সিত্তূনা সুয়ালান ফিল হায়যি, সুআল নং০৫৪)। সন্তান প্রসবকারীণি নারীর ক্ষেত্রেও একই হুকুম (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১১/১৭২-১৭৩ পৃ.)।
উল্লেখ্য যে, হায়েয অবস্থায় থাকার কারণে ওমরার ত্বাওয়াফ করতে না পারলে এবং এর আগেই যদি ফ্লাইটের তারিখ চলে আসলে বা সফর শেষ করতে বাধ্য হন, তার জন্য করণীয় হল, তিনি গোসল করবেন এবং লজ্জাস্থানে শক্ত করে কাপড় বাঁধবেন অতঃপর ত্বাওয়াফ করবেন (ফাতাওয়া উছায়মীন, ১৮/১৮ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : নাবিলা তাসনীম, রাজশাহী।