বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন

মসজিদ: ইসলামী সমাজের প্রাণকেন্দ্র

-ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান*


[ফেব্রুয়ারী’২৪ এর পর] 
(৪র্থ কিস্তি)

মসজিদের বিধানাবলী

মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় জীবনে মসজিদের প্রভাব অপরিসীম। মুসলিম সমাজের জ্ঞানচর্চা, ধর্মীয় অনুশীলন থেকে শুরু করে সামাজিক ঐক্য ও সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের অনেকটাই মসজিদের ওপর নির্ভরশীল। মসজিদ ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের উৎসভূমি। এটি মুসলিমদের আশ্রয়স্থল। মূলত মসজিদ হল হেদায়াতের মারকায বা কেন্দ্র। কোন মসজিদ সুন্নাত অনুযায়ী পরিচালিত হলে সে মহল্লায় অবশ্যই সুন্নাত ও দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে মসজিদের সম্মান ও মর্যাদা বজায় রক্ষার্থে এবং শরী‘আত অনুসরণের জন্য মসজিদ কেন্দ্রিক বিধানসমূহ সম্পর্কে সকলকে জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য। অন্যথা সামাজিক সম্প্রীতি স্থাপন, সুন্নাহ ও দ্বীন প্রতিষ্ঠা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এক্ষণে মসজিদের আহকাম ও বিধি-বিধানসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো:

১- মসজিদে ছালাতের জামা‘আত কায়েম করা ওয়াজিব

পুরুষের জন্য মসজিদ ছাড়া ছালাত আদায় করা জায়েয নেই। এ বিষয়টির উপর প্রমাণ ঐ সব দলীল যেগুলো জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব হওয়াকে প্রমাণ করে। মনে রাখতে হবে, জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ফরযে আইন।[১] তবে যদি মসজিদ পাওয়া না যায় অথবা মসজিদ অনেক দূরে; আযান শোনা যায় না অথবা সফরে অবস্থান করছে, তখন জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ফরয নয়। জামা‘আত শুধু সক্ষম ব্যক্তির উপর ওয়াজিব, অক্ষমের উপর নয়। যারা অক্ষম তারা যে কোন পবিত্র স্থানে ছালাত আদায় করে নেবে। কারণ, জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন,

أُعْطِيْتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِى نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيْرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِىَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُوْرًا، فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِىْ أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِىَ الْمَغَانِمُ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِىْ، وَأُعْطِيْتُ الشَّفَاعَةَ، وَكَانَ النَّبِىُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً

‘আমাকে পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা আমার পূর্বে আর কাউকে দেয়া হয়নি। আমাকে একমাসের দূরত্ব পর্যন্ত ভীতি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছ। আমার জন্য যমীনকে মসজিদ ও পবিত্র করা হয়েছে। সুতরাং আমার উম্মত হতে যে কোন লোককে ছালাতের ওয়াক্ত পেয়ে বসে সে যেন ছালাত আদায় করে নেয়। আমার জন্য গণিমতের সম্পদকে হালাল করা হয়েছে যা আমার পূর্বে আর কারো জন্য হালাল করা হয়নি। আমাকে সুপারিশ দেয়া হয়েছে। আর প্রত্যেক নবী তার সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে আর আমাকে সমগ্র মানুষের নবী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে।[২]

ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) (৬৯১-৭৫১ হি./১২৯২-১৩৫০ খি.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হাদীছসমূহে ভালোভাবে চিন্তা করে, তার নিকট এ কথা স্পষ্ট হবে, মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা ফরযে আইন। তবে কোন কোন অপরাগতা এমন আছে যেগুলোর কারণে জামা‘আত ও জুমু‘আর ছালাত ছেড়ে দেয়া বৈধ। কোন প্রকার অপারগতা ছাড়া মসজিদে উপস্থিত হওয়া ছেড়ে দেয়া, বিনা ওজরে জামা‘আত ছেড়ে দেয়ার নামান্তর। সুতরাং আমরা যে সিদ্ধান্ত দ্বারা আল্লাহর দ্বীনকে মানব, একমাত্র ওজর ছাড়া মসজিদে ছালাত আদায় করা হতে বিরত থাকে জায়েয নেই। আল্লাহই ভালো জানেন কোন্টি বিশুদ্ধ’।[৩]

২- মসজিদসমূহ পরিষ্কার করা, সুগন্ধিময় রাখা এবং সংরক্ষণ করা সুন্নাহ

মসজিদ সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিময় রাখতে হবে। এই দায়িত্ব সবার। নবীজিও এই দায়িত্ব পালন করেছেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَمَرَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِبِنَاءِ الْمَسَاجِدِ فِى الدُّوْرِ وَأَنْ تُنَظَّفَ وَتُطَيَّبَ

‘রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে বিভিন্ন বাড়ীতে বাড়ীতে (তথা এলাকায়) মসজিদ বানানো এবং মসজিদকে পরিষ্কার করা ও সুগন্ধিময় করার নির্দেশ দেন’।[৪]  একদা সামুরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার ছেলের নিকট এ বলে চিঠি লেখেন যে,

أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ يَأْمُرُنَا بِالْمَسَاجِدِ أَنْ نَصْنَعَهَا فِىْ دِيَارِنَا وَنُصْلِحَ صَنْعَتَهَا وَنُطَهِّرَهَا

‘অতঃপর রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে আমাদের এলাকায় মসজিদ বানানো এবং মসজিদের সংস্কার করা ও পবিত্র করার নির্দেশ দিতেন’।[৫] আবূ হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَنَّ امْرَأَةً سَوْدَاءَ كَانَتْ تَقُمُّ الْمَسْجِدَ - أَوْ شَابًّا - فَفَقَدَهَا رَسُوْلُ اللهِ فَسَأَلَ عَنْهَا أَوْ عَنْهُ فَقَالُوْا مَاتَ. قَالَ «أَفَلَا كُنْتُمْ آذَنْتُمُوْنِىْ». قَالَ فَكَأَنَّهُمْ صَغَّرُوْا أَمْرَهَا- أَوْ أَمْرَهُ- فَقَالَ «دُلُّوْنِىْ عَلَى قَبْرِهِ». فَدَلُّوْهُ فَصَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ «إِنَّ هَذِهِ الْقُبُوْرَ مَمْلُوْءَةٌ ظُلْمَةً عَلَى أَهْلِهَا وَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُنَوِّرُهَا لَهُمْ بِصَلَاتِىْ عَلَيْهِمْ».


‘একজন কালো ব্যক্তি বা মহিলা মসজিদ পরিষ্কার করত। লোকটি মারা গেল কিন্তু তার মৃত্যু সম্পর্কে রাসূল (ﷺ)-কে জানানো হয়নি। একদিন রাসূল (ﷺ) তার আলোচনা করে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে বললেন, ঐ লোকটি কী করলেন? তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! লোকটি মারা গেছে। তিনি বললেন, তোমরা আমাকে জানাওনি কেন? তারা বলল, সে ছিল এমন এবং তার ঘটনা এই। মোটকথা তারা তার বিষয়টিকে খাট করে দেখলেন। রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা আমাকে তার কবর দেখাও অথবা বললেন, তার [মহিলার] কবর দেখাও। তারপর রাসূল (ﷺ) তার কবরের উপর এসে তার জন্য দু‘আ করলেন। তারপর তিনি বললেন, কবরসমূহ কবরবাসীর জন্য অন্ধকারে পরিপূর্ণ। আর আল্লাহ তা‘আলা কবরসমূহের উপর আমার দু‘আ করা দ্বারা আলোকিত করবেন’।[৬]  আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

بَيْنَمَا نَحْنُ فِى الْمَسْجِدِ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ إِذْ جَاءَ أَعْرَابِىٌّ فَقَامَ يَبُوْلُ فِى الْمَسْجِدِ فَقَالَ أَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ مَهْ مَهْ. قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ «لَا تُزْرِمُوْهُ دَعُوْهُ». فَتَرَكُوْهُ حَتَّى بَالَ. ثُمَّ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ «إِنَّ هَذِهِ الْمَسَاجِدَ لَا تَصْلُحُ لِشَىْءٍ مِنْ هَذَا الْبَوْلِ وَلَا الْقَذَرِ إِنَّمَا هِىَ لِذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَالصَّلَاةِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ». أَوْ كَمَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ . قَالَ فَأَمَرَ رَجُلًا مِنَ الْقَوْمِ فَجَاءَ بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ فَشَنَّهُ عَلَيْهِ.


‘একদিন আমরা রাসূল (ﷺ)-এর সাথে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন একজন গ্রাম্য লোক এসে মসজিদে দাঁড়িয়ে পেশাব করা আরম্ভ করলে, রাসূল (ﷺ)-এর ছাহাবীগণ তাকে বলল, থাম থাম!  রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা তাকে বাধা দিও না। তাকে তোমরা আপন অবস্থায় ছেড়ে দাও। তারপর তাকে তারা বাধা দিলেন না। সে নিরাপদে পেশাব করার পর রাসূল (ﷺ) তাকে ডেকে বললেন, নিশ্চয় মসজিদসমূহ আল্লাহ যিকর, কুরআন তিলাওয়াত ও ছালাত আদায়ের জন্য। এখানে পেশাব-পায়খানা করা চলবে না। অথবা রাসূল (ﷺ) যেভাবে বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর এক লোককে এক বালতি পানি এনে তার উপর ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দেন এবং পানি ঢেলে দেন”।[৭] 

আনাস বিন মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, اَلْبُزَاقُ فِى الْمَسْجِدِ خَطِيْئَةٌ، وَكَفَّارَتُهَا دَفْنُهَا ‘মসজিদে থু থু ফেলা অন্যায় আর তার কাফ্ফারা হল, তা দাফন করে দেয়া (অর্থাৎ পা মাড়িয়ে ঢেকে ফেলা)’।[৮] আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন,

عُرِضَتْ عَلَىَّ أَعْمَالُ أُمَّتِىْ حَسَنُهَا وَسَيِّئُهَا فَوَجَدْتُ فِىْ مَحَاسِنِ أَعْمَالِهَا الأَذَى يُمَاطُ عَنِ الطَّرِيْقِ وَوَجَدْتُ فِىْ مَسَاوِى أَعْمَالِهَا النُّخَاعَةَ تَكُوْنُ فِى الْمَسْجِدِ لَا تُدْفَنُ

‘আমার উম্মতের নেক আমল এবং বদ-আমলসমূহ আমার নিকট পেশ করা হল। আমি তাদের নেক আমলসমূহের মধ্যে দেখতে পেলাম রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো। আর তাদের খারাব আমলসমূহে দেখতে পেলাম মসজিদে থু থু ফেলা হয়েছে অথচ তা দাফন করা হয়নি’।[৯]  ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) (৬৩১-৬৭৬ হি.) বলেন, এ এখানে যে খারাবী ও দুর্নামের কথা বলা হয়েছে, তা শুধু যে ব্যক্তি থু থু ফেলে তার সাথে নির্দিষ্ট নয়; বরং যে ব্যক্তি দেখা সত্ত্বেও তা ঢেকে দিয়ে দাফন করেনি অথবা খোঁচা ইত্যাদি দিয়ে পরিষ্কার করেনি সবই তার অন্তর্ভুক্ত।[১০]

৩- কবরকে মসজিদ বানানো হারাম

মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ ইন্তেকাল করলে তার কবরের উপর কিংবা কবরকে কেন্দ্র করে মসজিদ স্থাপন করতে দেখা যায়। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহামদেশে এর প্রচলন সর্বাধিক পরিমাণ পরিলক্ষিত হয়। অথচ ইসলামী শরী‘আত এটা কখনোই সমর্থন করে না। এমর্মে অসংখ্য নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে। যেমন, আবূ হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন,

لَعَنَ اللهُ الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ

‘আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের অভিশাপ করেন। তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে’।[১১] ‘আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ও ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তারা উভয়ে বর্ণনা করেছেন যে,

لَمَّا نَزَلَ بِرَسُوْلِ اللهِ ﷺ طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيْصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ بِهَا كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ وَهْوَ كَذَلِكَ ্রلَعْنَةُ اللهِ عَلَى الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَগ্ধ. يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوْا 

‘রাসূল (ﷺ)-এর নিকট যখন মালাকুল মাওত উপস্থিত হল, তখন তার চেহারার উপর একটি উড়না রাখা হল।  যখন তা দিয়ে তার চেহারা ডেকে দেয়া হত, তখন তিনি তা খুলে ফেলতেন। তখন তিনি এ অবস্থায় বলেন, ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানের উপর আল্লাহ তা‘আলার অভিশাপ তারা তাদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদ বানিয়েছেন। এ বলে রাসূল (ﷺ) তারা যা করত, তা থেকে উম্মতকে সতর্ক করেন’।[১২] 

জুনদুব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ)-এর মৃত্যুর পাঁচ দিন পূর্বে আমি তাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন,

«إِنِّىْ أَبْرَأُ إِلَى اللهِ أَنْ يَكُوْنَ لِىْ مِنْكُمْ خَلِيْلٌ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَدِ اتَّخَذَنِىْ خَلِيْلًا كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيْمَ خَلِيْلًا وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أُمَّتِىْ خَلِيْلًا لَاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيْلَا أَلَا وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوْا يَتَّخِذُوْنَ قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيهِمْ مَسَاجِدَ أَلَا فَلَا تَتَّخِذُوا الْقُبُوْرَ مَسَاجِدَ إِنِّىْ أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ».


‘আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্য হতে কেউ আমার বন্ধু হওয়া থেকে মুক্তি চাচ্ছি। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করেন যেমনটি তিনি ইবরাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেন। আমি যদি আমার উম্মত থেকে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম তাহলে আমি আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। মনে রেখ! তোমাদের পূর্বেকার লোকেরা তাদের নবী ও নেক লোকদের কবরসমূহকে মসজিদ বানাত। মনে রেখ, তোমরা কবরসমূহকে মসজিদ বানিও না। কারণ, আমি তোমাদের এ থেকে নিষেধ করছি’।[১৩] অন্যত্র ‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, উম্মে হাবীবাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ও উম্মে সালমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) তারা উভয়ে মুলকে হাবসাতে দেখা একটি উপাসনালয়ের কথা রাসূল (ﷺ)-এর নিকট আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে মূর্তি। রাসূল (ﷺ) বললেন,

«إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيْهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوْا فِيْهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، فَأُولَئِكَ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».


‘তাদের মধ্যে যখন কোন ভালো লোক মারা যেত, তারা তাদের কবরের উপর মসজিদ বানাত এবং এ সব মূর্তি গুলো তাদের আকৃতিতে তৈরি করত। এরা আল্লাহর কিয়ামতের দিব সর্বাধিক নিকৃষ্ট সৃষ্টি’।[১৪]

৪- দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে মসজিদে যাওয়া সুন্নাহ

মসজিদ পবিত্র স্থান এবং মুসলিমদের ইবাদতের শ্রেষ্ঠ জায়গা। যেখানে সর্বদা অসংখ্য মানুষের অবস্থান থাকে। কেউ কারো কাউকে কষ্ট দিবে না এবং কারো দ্বারা কেউ যেন কষ্ট না পায় সে ব্যাপারে রয়েছে খেয়াল রাখা শারঈ নির্দেশনা। তাই তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুর্গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে কিংবা পান করে মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। যাতে করে পার্শ্ববর্তী মুছল্লীরা কষ্ট না পান। এছাড়া কুরআন তেলাওয়াতের সময় যাতে করে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের না হয়, সেজন্য তেলাওয়াতের সময় ভালোভাবে মিসওয়াক করা কর্তব্য। এটা আল-কুরআনের সাথে শিষ্টাচার বজায় রাখার একটি অন্যতম উপায়। হাদীছে এসেছে, মুত্বাররিফ ইবনু সামুরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, طَيِّبُوْا أَفْوَاهَكُمْ بِالسِّوَاكِ فَإِنَّهَا طُرُقُ الْقُرْآنِ ‘তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডলকে মিসওয়াক দ্বারা পবিত্র কর। কেননা তা কুরআন (তেলাওয়াতের) রাস্তা’।[১৫] ইমাম বায়হাক্বী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

تَنْظِيْفُ الْفَمِ لِأَجْلِ الْقِرآن بِالسِّوَاكِ وَالْمَضْمَضَةِ وَمِنْهَا تَحْسِيْنُ اللِّبَاسِ عِنْدَ الْقِرَاءَةِ، وَالتَّطَيُّبُ

‘কুরআন তেলাওয়াতের সময় মেসওয়াক ও কুলি করার মাধ্যমে মুখ পরিষ্কার করা এবং তেলাওয়াতের সময় সুন্দর ও পবিত্র পোশাক পরিধান করা (কুরআন তেলাওয়াতের অন্যতম শিষ্টাচার)’।[১৬]

দুর্গন্ধমুক্ত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করা সুন্নাহ। এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। যা প্রত্যেক মুসলিমকে পালন করা কর্তব্য। জাবির ইবনু ‘আব্দিল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন,

«مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلًا، فَلْيَعْتَزِلْنَا أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا، وَلْيَقْعُدْ فِىْ بَيْتِهِ»


‘যে ব্যক্তি পেঁয়াজ বা রসুন খায়, সে যেন আমাদের থেকে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে এবং সে যেন তার স্বীয় ঘরে বসে থাকে’।[১৭] ছহীহ মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ﷺ) বলেন, فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الْإِنْسُ ‘নিশ্চয় ফিরেশতারা ঐ সব বস্তু হতে কষ্ট পায়, যে বস্তু হতে মানুষ কষ্ট পায়’।[১৮] রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুর্গন্ধযুক্ত কিছু খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দিতেন। তবে রান্না করে খেলে কোন সমস্যা নেই। ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এ বলে ভাষণ দেন যে,

إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأْكُلُوْنَ شَجَرَتَيْنِ لَا أَرَاهُمَا إِلَّا خَبِيْثَتَيْنِ هَذَا الْبَصَلَ وَالثُّوْمَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ إِذَا وَجَدَ رِيْحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فِى الْمَسْجِدِ أَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْبَقِيْعِ فَمَنْ أَكَلَهُمَا فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا

‘হে মানুষ! তোমরা দু’টি গাছ খাও। তবে আমি এ দু’টিকে খবীস বলেই মনে করি। গাছ দু’টি হল, পেঁয়াজ ও রসুন। আমি রাসূল (ﷺ)-কে দেখেছি, তিনি মসজিদে কোন মানুষ থেকে এ দু’টি গাছের দুর্গন্ধ পেলে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দিতেন। যদি কেউ খায় সে যেন গাছ দু’টিকে সম্পূর্ণ পাক করে নেয়’।[১৯] 

৫- মসজিদে বেচা-কেনা করা হারাম

মসজিদ ‘ইবাদতের জায়গা, ক্রয়-বিক্রয় তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থান নয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের মাঝে ইবাদত সম্পূর্ণরূপে সুন্দরভাবে আদায় করা যায় না। এছাড়া মসজিদ এ জন্য নির্মাণও করা হয় না। এজন্য শরী‘আতে মসজিদে বেচাকেনা করাকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। আবূ হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

إِذَا رَأَيْتُمْ مَنْ يَبِيْعُ أَوْ يَبْتَاعُ فِي الْمَسْجِدِ فَقُوْلُوْا: لَا أَرْبَحَ اللهُ تِجَارَتَكَ، وَإِذَا رَأَيْتُمْ مَنْ يَنْشُدُ ضَالَّةً فِيْهِ فَقُوْلُوْا: لَا رَدَّ اللهُ عَلَيْكَ

‘যখন কাউকে মসজিদে বিক্রি করতে বা খরিদ করতে দেখবে, তখন তাকে বল, আল্লাহ তোমার ব্যবসায় কোন লাভ না দিক। আর যখন দেখবে, কোন ব্যক্তি মসজিদে হারানো বস্তু তালাশ করছে, তখন তুমি বলবে, আল্লাহ যেন তোমার নিকট ফেরত না দেয়’।[২০] 

উপরিউক্ত হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মসজিদের বেচা-কেনা করা হারাম। কাউকে মসজিদে বেচা-কেনা করতে দেখলে তাকে বলা উচিত যে, আল্লাহ তা‘আলা যেন তোমার ব্যবসা-বাণিজ্যে কোন বরকত না দেয়। এ কথা দ্বারা তাদেরকে বদ-দু‘আ করে সতর্ক করা হল। আর কারণ হল- فَإِنَّ الْمَسَاجِدَ لَمْ تُبْنَ لِذَلِكَ ‘মসজিদসমূহ এ জন্য বানানো হয়নি’।[২১]

৬- মসজিদের ভিতরে হদ কায়েম করা যাবে না এবং কাউকে বন্দী রাখা যাবে না

মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যক্তি সংস্কার থেকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের অধিকাংশই মসজিদ কেন্দ্রিক পরিচালিত হত। সমাজ ও রাষ্ট্রের অধিকাংশ কার্যক্রম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদেই সমাধা করতেন। কিন্তু বিশেষভাবে মসজিদের ভিতরে তিনি কখনো কারো হদ কায়েম করেননি। এতদ্ভিন্ন তিনি কাউকে সেখানে বন্দী করতে নিষেধ করেছেন। হাকিম ইবনু হিযাম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنْ يُسْتَقَادَ فِى الْمَسْجِدِ وَأَنْ تُنْشَدَ فِيْهِ الْأَشْعَارُ وَأَنْ تُقَامَ فِيْهِ الْحُدُوْدُ

‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে কাউকে আটকে রাখা, গান গাওয়া ও হদ কায়েম করা হতে নিষেধ করেছেন’।[২২] 

উক্ত হাদীছ উপস্থাপন করে ড. সা‘ঈদ ইবনু ‘আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-কাহতানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, উপরিউক্ত হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মসজিদে হদ কায়েম করা ও আটক করা হারাম। আর যেসব কবিতা মসজিদে বলা জায়েয নেই সেগুলো হল, জাহিলিয়্যাত ও ফাসেকদের কবিতা। কিন্তু যেসব কবিতা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করে তাতে কোন অসুবিধা নেই। শায়খ ইমাম আব্দুল আযীয ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, হাদীছটি যদিও দুর্বল, কিন্তু ছহীহ হাদীছ থেকে তার অর্থের সমর্থন পাওয়া যায়। কারণ, মসজিদে হদ কায়েম করা দ্বারা যখন আসামিকে পেটানো বা হত্যা করা হয়, তখন মসজিদ রক্তাক্ত বা পেশাব, পায়খানা ইত্যাদি দ্বারা নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।[২৩]

(ইনশাআল্লাহ চলবে)


*শিক্ষক, আল-জামি‘আহ আল-ইসলামিয়্যাহ, খড়খড়ি, রাজশাহী।

তথ্যসূত্র :
[১]. বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কিরাম, কিতাবুল ফিক্বহিল মুওয়াসসার ফী যাওউল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ (ঢাকা: নাদওয়াতুল কুরআন লাইব্রেরী, ১ম সংস্করণ, ১৪৩২৩ হি./২০১১ খ্রি.), পৃ. ৭৩।
[২]. ছহীহ বুখারী, পৃ. ৭৪, হাদীছ নং-৩৩৫।
[৩]. ইমাম আবূ ‘আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু আবী বাকর ইবনু আইয়ূব ইবনু ক্বাইয়িম আল-জাওযিয়্যাহ, কিতাবুস সালাত (জেদ্দাহ, সঊদী আরব: দারু ‘আলিমিল ফাওয়াইদ, তাবি), পৃ. ২০৭-২৬১।
[৪]. ইমাম আবূ দাঊদ, আস-সুনান, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৭৮, হাদীছ নং-৪৫৫।
[৫]. ইমাম আবূ দাঊদ, আস-সুনান, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৭৮, হাদীছ নং-৪৫৬।
[৬]. ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫৯, হাদীছ নং-৯৫৬।
[৭]. ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৯১, হাদীছ নং-১৩০০৭; ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৩৬, হাদীছ নং-২৮৫।
[৮]. ছহীহুল বুখারী, পৃ. ৮৭, হাদীছ নং-৪১৫।
[৯]. ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৯০, হাদীছ নং-৫৫৩; সুনানু ইবনি মাজাহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২১৪, হাদীছ নং-৩৬৮৩।
[১০]. আবূ যাকারিয়া মুহিউদ্দীন ইয়াহইয়া ইবনু শারফ আন-নববী, আল-মিনহাজু শারহু সহীহ মুসলিম, ৫ম খণ্ড (বৈরূত : দারু ইহইয়াইত তুরাসিল ‘আরাবী, ২য় সংস্করণ, ১৩৯২ হি.), পৃ. ৪২।
[১১]. ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৭৬, হাদীছ নং-৫৩০।
[১২]. ছহীহুল বুখারী, পৃ. ৯০-৯১, হাদীছ নং-৪৩৫-৪৩৬।
[১৩]. ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৭, হাদীছ নং-১২১৬।
[১৪]. ছহীহুল বুখারী, পৃ. ৮৯, হাদীছ নং-৪৮৭।
[১৫]. আবূ বাকর আহমাদ ইবনুল হুসাইন আল-বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, ১ম খণ্ড (বৈরূত : দারুল কুতুবিল ‘ইলমিয়্যাহ, ১ম সংস্করণ, ১৪১০ হি.), পৃ. ৩৮২, হাদীছ নং-২১১৯।
[১৬]. হাফিয আবূ বকর আহমাদ ইবনুল হুসাইন আল-বায়হাক্বী, আল-জামি‘ঊ লিশু‘আবিল ঈমান, ৩য় অংশ (রিয়াদ: মাকতাবাতুর রুশদ, ১ম সংস্করণ, ১৪২৩ হি./২০০৩ খ্রি.), পৃ. ৩২৮।
[১৭]. ছহীহুল বুখারী, পৃ. ১১৭৮, হাদীছ নং-৭৩৫৯।
[১৮]. ইমাম নাসাঈ, আস-সুনান, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩, হাদীছ নং-৭০৭।
[১৯]. ইমাম মুসলিম, আস-সাহীহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮১, হাদীছ নং-১২৮৬; আবূ মুহাম্মাদ আব্দুল হাক্ক আল-ইশবীলী, আল-আহকামুল শার‘ঈয়্যাহ আল-কুবরা, ২য় খণ্ড (রিয়াদ : মাকতাবাতুর রুশদ, ১৪২২ হি./২০০১ খ্রি.), পৃ. ২৭।
[২০]. আল-মুসতাদরাকু ‘আলাস সহীহাইন, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫, হাদীছ নং-২৩৩৯।
[২১]. ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদু, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪২০, হাদীছ নং-৯৪৩৮।
[২২]. ইমাম আবূ দাঊদ, আস-সুনান, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৭৩, হাদীছ নং-৪৪৯০; আহমাদ ইবনুল হুসাইন ইবনু ‘আলী ইবনু মূসা আবূ বাকর আল-বায়হাক্বী, মা‘রিফাতুস সুনান ওয়াল আসার, ১৪শ খণ্ড, পৃ. ২২৪, হাদীছ নং-১৯৭৩৮।
[২৩]. ড. সা‘ঈদ ইবনু ‘আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-কাহতানী, আল-মাসাজিদ: মাফহূমুন ওয়া ফাযাইলুন ওয়া আহকামুন ওয়া হুকূকুন ও আদাবুন, ফী যাওইল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ (প্রকাশনা স্থান বিহীন : প্রকাশক, সংস্করণ ও তারিখ বিহীন), পৃ. ৬২-৬৩২।




প্রসঙ্গসমূহ »: মসজিদ
মসজিদ: ইসলামী সমাজের প্রাণকেন্দ্র (৮ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (১৯তম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ছয়টি মূলনীতির ব্যাখ্যা (২য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
সুন্নাতের আলো বিদ‘আতের অন্ধকার (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
ইসলামের দৃষ্টিতে রোগর চিকিৎসা - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ছয়টি মূলনীতির ব্যাখ্যা - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
বিদ‘আত পরিচিতি (২৮তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
মসজিদ : ইসলামী সমাজের প্রাণকেন্দ্র - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
হেদায়াত লাভের অনন্য মাস রামাযান - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ইখলাছই পরকালের জীবনতরী (৩য় কিস্তি) - আব্দুল গাফফার মাদানী
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (২৩তম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
আত্মহত্যাকারীর শারঈ বিধান - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর

ফেসবুক পেজ