মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
উত্তর : তাওহীদ তিন প্রকার। যথা : (ক) তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ : সৃষ্টি, রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক হিসাবে বিশ্বাস করার নাম তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন স্রষ্টা আছে কী? যে তোমাদেরকে আকাশ ও যমীন হতে জীবিকা প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই’ (সূরা আল-ফাতির : ৩)।

(খ) তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ : এককভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করার নাম তাওহীদে উলূহিয়্যাহ। মানুষ যেভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করে এবং নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করে, অনুরূপ অন্য কাউকে ইবাদতের জন্য গ্রহণ না করা। তাওহীদে উলূহিয়্যাতের ভিতরেই ছিল আরবের মুশরিকদের গোমরাহী। এ তাওহীদে উলূহিয়াকে কেন্দ্র করেই তাদের সাথে জিহাদ করে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তাদের জান-মাল, ঘরবাড়ী ও জমি-জায়গা হরণ হালাল মনে করেছিলেন। তাদের নারী-শিশুদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করেছিলেন। এ প্রকার তাওহীদ দিয়েই আল্লাহ তা‘আলা রাসূলগণকে প্রেরণ করেছিলেন এবং সমস্ত আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন। মানুষ যাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও জন্য ইবাদতের কোন অংশই পেশ না করে, সদাসর্বদা রাসূলগণ তাদের উম্মতদেরকে এ আদেশই দিতেন।

(গ) তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাত : তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাতের অর্থ হলো, আল্লাহ নিজেকে যে সমস্ত নামে নামকরণ করেছেন এবং তাঁর কিতাবে নিজেকে যে সমস্ত গুণে গুণাম্বিত করেছেন সে সমস্ত নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহকে একক ও অদ্বিতীয় হিসাবে মেনে নেয়া। আল্লাহ নিজের জন্য যা সাব্যস্ত করেছেন, তাতে কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, তার ধরণ বর্ণনা এবং কোন রূপ উদাহরণ পেশ করা ব্যতীত আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করার মাধ্যমেই এ তাওহীদ বাস্তবায়ন হতে পারে। সুতরাং আল্লাহ নিজেকে যে নামে পরিচয় দিয়েছেন বা নিজেকে যে গুণাবলীতে গুণান্বিত করেছেন, তাঁর ওপর ঈমান আনয়ন করা আবশ্যক।


প্রশ্নকারী : মুশফিক, খুলনা।





প্রশ্ন (৪) : যে মেয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অন্য ছেলেদের সম্পর্ক করে কথা বলে। তাকে বিয়ে করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জিন এবং মানুষের ইবাদতের পার্থক্য কী? জিন জাতির উপরও কি ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদতগুলো মানুষের মতই ফরয? তাদের ইবাদতের ধরণ কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : সূদি ব্যাংকে সকল প্রকার চাকুরী কি নিষিদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : পাশাপাশি দু’টি মাসজিদ আছে। একটি জুমু‘আহ মসজিদ অপরটি ওয়াক্তিয়া। জুমু‘আহ মসজিদের আযানেই উভয় মসজিদে পৃথক পৃথক ইক্বামতে জামা‘আত অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্ন হল- জুমু‘আহ মসজিদের আযানে পাঞ্জেগানা মসজিদে আযানবিহীন শুধু পৃথক ইক্বামতে জামা‘আতের সাথে পাঁচ ওয়াক্তের ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : ছহীহ হাদীছের দৃষ্টিতে ঈদের তাকবীর কয়টি? ৬ তাকবীরে ছালাত আদায়কারী ব্যক্তির পেছনে ১২ তাকবীরে ছালাত আদায়কারী ব্যক্তি ছালাত পড়তে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : পিতা-মাতার কর্মের কারণে সন্তান পঙ্গু অবস্থায় জন্ম নেয়। এমন বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭)  : জনৈক ব্যক্তি বলেছেন, যারা চার মাযহাব কিংবা চার তরীক্বা মানবে না তারা কাফের। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : জনৈক ব্যক্তি কুরআন ও ছহীহ হাদীছের কথা বলেন। কিন্তু সে তার পিতা-মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি পিতার গায়ে হাত তুলে। এমন ব্যক্তির নিকট থেকে জ্ঞান নেয়া যাবে কি?  - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : ব্যাংকারকে বা ব্যাংকারের মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কি? যারা ব্যাংকে চাকুরী করে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : কুনূতে নাযেলা পড়ার সময় আমীন আমীন বলা যাবে কি? কুনূতে নাযেলার সাথে কুরআন বা হাদীছের অন্যান্য দু‘আ পড়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এক রাক‘আত বিতর পড়া সঠিক নয়। আর ছালাত কখনো এক রাক‘আত হয় না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : যিলহজ্জ মাসে কয়দিন তাকবীর পাঠ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ