সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:৫২ অপরাহ্ন
উত্তর : তাওহীদ তিন প্রকার। যথা : (ক) তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ : সৃষ্টি, রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক হিসাবে বিশ্বাস করার নাম তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন স্রষ্টা আছে কী? যে তোমাদেরকে আকাশ ও যমীন হতে জীবিকা প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই’ (সূরা আল-ফাতির : ৩)।

(খ) তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ : এককভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করার নাম তাওহীদে উলূহিয়্যাহ। মানুষ যেভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করে এবং নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করে, অনুরূপ অন্য কাউকে ইবাদতের জন্য গ্রহণ না করা। তাওহীদে উলূহিয়্যাতের ভিতরেই ছিল আরবের মুশরিকদের গোমরাহী। এ তাওহীদে উলূহিয়াকে কেন্দ্র করেই তাদের সাথে জিহাদ করে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তাদের জান-মাল, ঘরবাড়ী ও জমি-জায়গা হরণ হালাল মনে করেছিলেন। তাদের নারী-শিশুদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করেছিলেন। এ প্রকার তাওহীদ দিয়েই আল্লাহ তা‘আলা রাসূলগণকে প্রেরণ করেছিলেন এবং সমস্ত আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন। মানুষ যাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও জন্য ইবাদতের কোন অংশই পেশ না করে, সদাসর্বদা রাসূলগণ তাদের উম্মতদেরকে এ আদেশই দিতেন।

(গ) তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাত : তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাতের অর্থ হলো, আল্লাহ নিজেকে যে সমস্ত নামে নামকরণ করেছেন এবং তাঁর কিতাবে নিজেকে যে সমস্ত গুণে গুণাম্বিত করেছেন সে সমস্ত নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহকে একক ও অদ্বিতীয় হিসাবে মেনে নেয়া। আল্লাহ নিজের জন্য যা সাব্যস্ত করেছেন, তাতে কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, তার ধরণ বর্ণনা এবং কোন রূপ উদাহরণ পেশ করা ব্যতীত আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করার মাধ্যমেই এ তাওহীদ বাস্তবায়ন হতে পারে। সুতরাং আল্লাহ নিজেকে যে নামে পরিচয় দিয়েছেন বা নিজেকে যে গুণাবলীতে গুণান্বিত করেছেন, তাঁর ওপর ঈমান আনয়ন করা আবশ্যক।


প্রশ্নকারী : মুশফিক, খুলনা।





প্রশ্ন (১৮) : গালি নির্দেশ করে এমন কথাকে রসিকতা করে বলা; সিরিয়াসলি নয়। এ ব্যক্তিও কি কুফুরী করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : অনৈসলামিক উপন্যাসের বই বিক্রি করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : যে সমস্ত ব্যক্তি নারী-পুরুষের সাদৃশ্য পোশাক পরিধান করে তাদের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : পিতার পূর্বে সন্তান মারা গেলে ঐ সন্তানের সম্পদে পিতা অংশ পাবে কি? পিতার সম্পদে ঐ মৃত ব্যক্তির ছেলেরা অর্থাৎ নাতিরা কি অংশ পাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : বাবার অনুমতি ব্যতীত ছেলে ও মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করে। বিবাহের অনুষ্ঠানে মেয়ের বড় বোন ও বাগিনা উপস্থিত ছিল। এমনকি বিবাহের পর তারা পালিয়েও যায়নি বরং নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে উভয়ের পিতা-মাতার সম্মতি ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে মেয়ের বাড়ি থেকে মেয়েকে অনুষ্ঠান করে আনা হয় এবং পরের দিন ওয়ালীমা করা হয়। প্রশ্ন হল- তাদের এই বিবাহ কি বৈধ হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : জন্ম সনদে বয়স কমিয়ে দেয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : কোন ব্যক্তি যদি আরোগ্য লাভের আশায় নিজে কুরআন তেলাওয়াত করে বা কুরআন খতম করে পানিতে ফুঁ দিয়ে তা খায়, তাহলে জায়েয হবে কি? মৃত ব্যক্তির জন্য কি কুরআন খতম করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : ছাদাক্বাহ অর্থ কী? তা কত প্রকার এবং ছাদাক্বাহ পাওয়ার হক্বদার কে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : স্ত্রীকে ছালাত আদায় করার জন্য বললে সে ছালাত আদায় করে না। তাতে কি আমার পাপ হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ফার্মেসীতে যারা ওষুধ বিক্রয় করে তাদেরকে কোম্পানির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। যেমন কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ ১০,০০০ হাজার টাকার অর্ডার দিলে/বিক্রয় করলে কোম্পানি থেকে নগদ ২০০০ টাকা অথবা বিভিন্ন আসবাবপত্র উপহার দেয়। আবার অনেক ফার্মেসীর মালিক টাকা বা আসবাবপত্র না নিয়ে সেই সমপরিমাণ ওষুধ নিয়ে নেয়। এগুলো নেয়া জায়েয হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : পরীক্ষার হলে অন্য সহপাঠী পরীক্ষার্থী যদি প্রশ্নের উত্তর ইচ্ছা করে বলে দেয় অথবা হলে শিক্ষকরা উত্তর বলে সাহায্য করে দেন তাহলে প্রতারণ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : প্রত্যেক ফরয ছালাতের পর সূরা আল-ইখলাছ তিনবার করে পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ