বৃহস্পতিবার, ০৬ Jun ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন
উত্তর : উক্ত মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না। কারণ আদর্শ পাত্র-পাত্রীর মাপকাঠি তার দ্বীনদারিতা ও উত্তম চরিত্র। বিবাহের ক্ষেত্রে আল্লাহভীরুতা, ন্যায়পরায়ণতা ও ধার্মিকতাই মূখ্য বিষয়। ধনসম্পদ, বংশ পরিচয়, বংশ মর্যাদা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এগুলো গৌণ বিষয় (লিক্বা আশ-শাহরী, লিক্বা নং-৪৬)। শায়খ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পাপিষ্ঠ ও কাবীরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব পাঠালে, তাওবাহ না করা পর্যন্ত তাকে বর্জন করতে হবে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ২১/৪৮ পৃ.)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘অভিভাবকের উচিত দ্বীনদার ছেলেকে চয়ন করা। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে অধিক আল্লাহভীরু। আল্লাহ সবকিছু জানেন, সব কিছুর খবর রাখেন’ (সূরা আল-হুজুরাত : ১৩)। দ্বীন, আমানাতদারী ও চরিত্রের ব্যাপারে সন্তুষ্ট না হলে তার সঙ্গে বিবাহ দেয়া জায়েয হবে না।

প্রয়োজনে তাহাজ্জুদ ও ইস্তিখারার ছালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৮/২৯৮, ১৮/১৯১, ১৮/৪৬-৪৭, ১৮/১৮৫-১৮৮ পৃ.; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ র্দাব ইবনে বায, ২০/১৫১ ও ২০/৪২৩-৪২৪ পৃ.)। রাসূল (ﷺ) বলেছেন,  ‘তোমরা যে লোকের দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্র দ্বারা সন্তুষ্ট আছ, তোমাদের নিকট যদি সেই ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব দেয়, তবে তার সাথে (তোমাদের পাত্রীর) বিবাহ দিয়ে দাও। অন্যথা পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদ, বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তার মাঝে কিছু থাকলেও কি? (অর্থাৎ সে যদি অভাবগ্রস্থ ও দরিদ্র হয়?) তিনি বললেন, তোমরা যে লোকের দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্র দ্বারা সন্তুষ্ট আছ, তোমাদের নিকট যদি সেই ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব দেয়, তবে তার সাথে (তোমাদের পাত্রীর) বিবাহ দিয়ে দাও। রাবী বলেন, এ কথা তিনি তিনবার বললেন’ (তিরমিযী, হা/১০৮৪-১০৮৫; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১০২২; ইরওয়াউল গালীল, ৬/২৬৭ পৃ.)। অতএব বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষ উভয়কেই দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিতে হবে (সূরা আল-হুজুরাত : ১৩;  বুখারী, হা/৫০৯০)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি, শায়খ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও জমহূর আলেমের মতানুযায়ী শিরককারী, ছালাত ত্যাগকারী, সূদখোর বা অন্য কোন কাবীরা গুনাহে লিপ্ত পুরুষ বা নারীর সঙ্গে তাওবাহের পূর্বে বিবাহ করা নাজায়েয (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ২০/১৪৯-১৫১, ১৫৪-১৫৭, ১৫৯-১৬০, ২০৯-২১১, ৩৮২-৩৮৪; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৮/১২৫-১২৬ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ তাহসীন, সিলেট।





প্রশ্ন (৩৭) : বর্তমানে মোবাইলে বিয়ের প্রচলন দেখা যাচ্ছে।  মোবাইলে বিয়ে জায়েয হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : আহলেহাদীছ কাকে বলে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : অনেককে দেখা যায় বিশেষ করে কসাইয়ের দোকানে নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করলেও ছালাত আদায় করেন না। এদের দ্বারা যব্হকৃত পশুর গোশত খাওয়া যাবে কি? যদিও বিসমিল্লাহ বলে যব্হ করে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : ছিয়াম অবস্থায় দাঁত উঠানো, রক্ত পরীক্ষা করা বা অন্য কোন কারণে শরীর থেকে রক্ত বের হলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : কুশপুত্তলিকা  বানানো যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন মৃতব্যক্তির ছবি সেট করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : সূরা আল-বাক্বারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে ত্বাগূত অস্বীকার করার কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ত্বাগূত অর্থ কি? এবং ত্বাগূতের ফায়ছালা নেয়ার পরিণাম কী হতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : কেউ অন্যের নামে মিথ্যা কথা প্রচার করে থাকলে ক্ষমা নেওয়ার উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ৮ রাক‘আত তারাবীহ পড়লেও ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ২০ রাক‘আত পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ২০ রাক‘আতের উপর ইজমা হয়েছে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১): মক্তবের বেতন কি উশরের টাকা দিয়ে দেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : বিড়ি-সিগারেট নির্মাণ কারখানার সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা অহংকারের লক্ষণ। প্রশ্ন হল- কেউ অহংকার না করে টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ