সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে সমকামিতার গতি-প্রকৃতি : ভয়াবহতা, শাস্তি ও পরিত্রাণের উপায় অনুসন্ধান

-ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ*


বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে সমকামিতা নামক প্রকৃতবিরুদ্ধ ও নিকৃষ্ট কাজটির প্রার্দুভাব বাড়ছে। এর প্রচার-প্রসারে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে হাবুডুবু খাওয়া কিছু পথভ্রষ্ট মানুষ বিভিন্ন ভাবে কাজ করছে। এরা বিভিন্ন এনজিও এর ছত্রছায়ায় যুবকদেরকে এই অন্যায় কর্মে লিপ্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইতোমধ্যে বহু যুবক-যুবতী তাদের খপ্পরে পড়ে শুধু তাদের দ্বীনদারী ও‌ চরিত্রকে ভূলুণ্ঠিত করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং পুরো জীবনটাকেই এক গন্তব্যহীন অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। সে কারণে আমার-আপনার সন্তানসহ আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে এ বিষয়ে সচতেনতা খুবই যরূরী। বাংলাদেশে কি সমকামিতা বৈধতা পাওয়ার পথে? বর্তমানে বাংলাদেশে  সেকশন-৩৭৭ অনুসারে সমকামিতা নিষিদ্ধ ও দ-নীয় অপরাধ। এই আইনে বলা হয়েছে-

‘কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোন পুরুষ, নারী বা পশু প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম করে, তবে তাকে দুই বছর কারাদ- দেয়া হবে, অথবা বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্টকালের কারাদ- প্রদান করা হবে; যা দশ বছর পযন্ত বর্ধিত হতে পারে, এবং এর সাথে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে’।

৩৭৭ ধারার ব্যাখ্যায় পায়ুুসঙ্গমজনিত যে কোন যৌথ যৌন কার্যকলাপকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে, পরস্পর সম্মতিক্রমে বিপরীতকামী মুখকাম ও পায়ুুমৈথুনও উক্ত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। বাংলাদেশের বিয়ের আইনে একজন পুরুষ একজন নারীর সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে, সমলৈঙ্গিক বিয়ের  কোনো স্বীকৃতি বাংলাদেশের আইনে নেই। কিন্তু গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন Justice Makers Bangladesh বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা[১] বাতিল করে সমকামিতাকে নিরপরাধিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট এর চিফ জাস্টিস এবং মাননীয় মন্ত্রী-আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর কাছে পিটিশন করেছে।[২] এখন পর্যন্ত (২১ জুন ২০২৩ , বিকাল ৪:০০ টা) এই পিটিশনে ৫০০ জনের মধ্যে ২২৮ জন স্বাক্ষর করেছে।

Justice Makers Bangladesh ও এর প্রতিষ্ঠাতা শাহানুর ইসলাম এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে সমকামিতাকে লিগ্যাল করাতে ও LGBT Agenda নিয়ে কাজ করে আসছে। এছাড়া শাহানুর ইসলাম Bangladesh Institute for Human Rights (BIHR)-এর Executive director.  যা প্রকাশ্যে LGBT (lesbian, gay, bisexual, transgender)-এর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে। এই সংগঠনটি গত ২২ জুন ২০২৩ “Critical Analysis of Violence against LGBTQI+ People in Bangladesh: Monitoring Online News Media in 2022” শিরোনামে একটি রিসার্চ  পেপার প্রকাশ করার কথা।[৩] Report Out International ও the University of Sunderland  কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত “SaferToBeMe'' Symposium-এ এটি পাবলিশ করা হয়। সিম্পোজিয়ামটিতে সমকামীদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করা হবে মর্মে জানা যায়। উল্লেখ্য শাহানুর ইসলামই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে ডাচ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের সমকামীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়ে কথা বলেছে। সে USAID এর Prosecution Manager এবং international member of Amnesty International. GQvovI, Frontline Defenders. এছাড়াও, Frontline Defenders এ তার প্রোফাইল আছে, যা মানবাধিকার কর্মীদের একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম।[৪] Frontline Defenders ‘ও সমকামিদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার। শাহানুর ইসলাম এর রিচ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক উপরের লেভেল পর্যন্ত। শাহানুর ইসলাম এর সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রমের দিকে নজর দিলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, সে কাদের ব্যাকআপে বাংলাদেশে LGBT Agendaনিয়ে কাজ করছে।

১৭ মার্চ ২০২৩,  ফ্রান্স প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কর্তৃক প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে বিশ্বজুড়ে চৌদ্দ জন মানবাধিকার কর্মীর জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনে শাহানুর ইসলাম অংশগ্রহণ করে। সেখানে সে বাংলাদেশে জাতিগত, ধর্মীয় ও যৌন সংখ্যালঘুদের (সমকামী) বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, সমকামিতার অপরাধীকরণ বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে তার সংগঠনকে আর্থিক, নৈতিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং তার এজেন্ডার প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থায়ন এবং তার দলের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়ার দাবি জানায়। ১১ মে, ২০২৩, বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আইনজীবীদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। ইউরোপ মহাদেশের ৪৬টি রাষ্ট্রের ১০ লক্ষ আইনজীবীর প্রতিনিধিত্বকারী কাউন্সিল অব বারস এন্ড ল’ সোসাইটিস অব ইউরোপ (সিসিবিই) এর মানবাধিকার কমিটি ব্রাসেলসের হোটেল রেনেসাঁসে উক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান বক্তা ছিল শাহানুর ইসলাম। সে তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি যৌন সংখ্যালঘুদের (সমকামী) কথাও উল্লেখ করে। সিসিবিই ‘র মানবাধিকার কমিটির সভাপতি স্টিফেন ভন রাউমার উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে পোলান্ডের জিডান্স বার এসোসিয়েশেনের সভাপতি ম্যাগডালেনা উইটকাওস্কা, সিসিবিই মানবাধিকার কমিটির লিগ্যাল এডভাইজার নাথান রুজবুক, লন্ডনের এসেক্স কোর্ট চেম্বারের ব্যারিস্টার হুগ মার্সার কিউসি, দি ল সোসাইটি অফ ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস, আন্তর্জাতিক পলিসি সহকারী পেট্রা স্টোজনিক ও ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী মানবাধিকারকর্মী কমরেড মঈনুদ্দীন খান উপস্থিত ছিলেন।

৫ জুন ২০২৩ শাহানুর ইসলাম Dunja Mijatovic-এর সাথে ফ্রান্সের স্ট্রার্সবার্গে দীর্ঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। Dunja Mijatovic হলেন Commissioner for Human Rights of the Council of Europe ৯ জুন ২০২৩, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনের সদর দপ্তর উইলসন প্যালেসে তিন ঘণ্টাব্যাপী মানবাধিকার বিষয়ক সংলাপে সে অংশগ্রহণ করেছে।[৫] সংলাপটিতে জাতিসংঘ ও ফ্রান্সের বড় বড় মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাম্বেসেডর সহ আরও বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার কর্মীরা অংশগ্রহণ করে। সেখানে শাহানুর ইসলাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করে। আশা করি এগুলোই যথেষ্ট হবে শাহানুর ইসলাম এর গুরু কারা তা বুঝতে। আর সে এসব জায়গায় যে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাতেও কোন সন্দেহ নেই।

এবার, সেকশন-৩৭৭ এর আলোচনায় ফিরে আসা যাক। নেপাল ২০০৭ সালে এই আইনটি বাতিল করে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে বাতিল করে এবং ভুটান ২০২১ সালে বাতিল করে। শ্রীলংকার এই আইনটি বাতিলের একটি বিল শ্রীলংকার পার্লামেন্টে বিচারাধীন রয়েছে এবং সম্প্রতি এটি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। নেপাল এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য মামলাগুলোর শুনানি করেছে, নেপালের আদালত সরকারকে এটিকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য একটি আইন পাস করার আহ্বান জানিয়েছে। সেকশন ৩৭৭ বাতিলের পর ভারত ও নেপাল সরাসরি সমকামী বিয়ে বৈধ করার পর্যায়ে চলে গেছে। বাংলাদেশে যদি সেকশন ৩৭৭ বাতিল করা হয়, তাহলে LGBT Movement এর পরবর্তী পদক্ষেপও এটাই হবে। এর পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে লিঙ্গরূপান্তরের বৈধতা দেয়া, জেন্ডার থিওরি প্রতিষ্ঠা, বাচ্চাদের স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রাইড মান্থ সেলিব্রেট করা, কেন সমকামিতা-পায়ুকামিতা ভালো সেটা বুঝানো, মনে মনে নিজেকে যা মনে করব আমি তাইই, আমার বায়োলজিক্যাল সেক্স যাই হোক আমি যদি নিজেকে নারী মনে করি তাহলে আমি নারীই এবং আমাকে নারী বলে স্বীকার করতে আপনি বাধ্য; আর এগুলো বিকৃত মানসিকতা ও  নিকৃষ্ট যৌনতার প্রচার-প্রসার ছাড়া কিছুই না। আর এইগুলা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নে অনেক আগে থেকেই আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, USAID, জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো, UNDP, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সমকামীদের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। পানির মত ডলার ঢালা হচ্ছে এই এজেন্ডার পেছনে। বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে পুরো পৃথিবীব্যাপী LGBT-কে ছড়িয়ে দিতে, প্রতিষ্ঠিত করতে এবং বৈধ করতে।

গত বছরের শেষের দিকে USAID বাংলাদেশকে ৩৫ Million Dollar দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন কাজের জন্য, যার মধ্যে একটা ছিল LGBT community-কে সাপোর্ট করা।[৬] ইউরোপের এম্বেসিগুলো বাংলাদেশের মাটিতে LGBT Flag উত্তোলন করছে এবং প্রাইড মান্থ সেলিব্রেট করছে। বাংলাদেশে জাতিসংঘ (United Nations – UN) এর অঙ্গসংগঠন UNDP কুখ্যাত জন মানি এর শয়তানী জেন্ডার থিওরি প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। তাদের Gender and Diversit নামে ২০১৮ সালে প্রকাশিত হেন্ডবুক এবং Gender Equality Strategy ২০২৩-২০২৬ এই দু’টা দেখলেই তাদের আসল এজেন্ডা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যায়।[৭] আমাদের পাঠ্যবইয়ে ইতিমধ্যে ঢুকে গিয়েছে LGBT এর বয়ান। Justice Makers Bangladesh এর মত আরও অনেকগুলো সংস্থা বাংলাদেশেই সমকামিতার প্রসার ও প্রতিষ্ঠার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। প্রথম আলো, ডেইলিস্টার, বিবিসি, আরটিভি এর মত মিডিয়াগুলো বারবার জন্মগত হিজড়াদেরকে Transgender (লিঙ্গরূপান্তরকারী) নামে প্রচার করতেছে। যেই সকল হিজড়া LGBT এজেন্ডার সাথে একমত ও সাপোর্টার তাদেরকে দেশের বিভিন্ন বড় বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং প্রমোট করা হচ্ছে, আইকন হিসাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে (ঢাবিতে এমফিল-এ চান্স পাওয়া সঞ্জীবনী সুধা এর উদাহরণ)। দেশের বাইরে থাকা অনেক এক্টিভিস্টরা সমকামিতাকে সমর্থন ও প্রমোট করছে (যুলকারনাইন সামি এর উদাহরণ)।

সুধী পাঠক! উপরিউক্তি পরিস্থিতিতে সবকিছুর পর এখন আমরা খাঁদের কিনার দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশে সেকশন ৩৭৭ বাতিল হয়ে গেলে LGBT এর এই ঝড়কে আর থামানো যাবে না। তড়িৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়বে পুরো দেশজুড়ে। তাই বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, বক্তা, দাঈ, ইমাম, খত্বীব, অনলাইন এক্টিভিস্ট, ইসলামিক দল ও সংগঠন, লেখক, অভিভাবক ও সর্বস্তরের সাধারণ মুসলিমদেরকে সোচ্চার হতে হবে এখনই। Justice Makers Bangladesh এবং শাহানুর ইসলামকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। সমকামিতা নিষিদ্ধ রাখার দাবীর পাশাপাশি বাংলাদেশে অনলাইন-অফলাইনে সমকামিতার প্রচারের বিরুদ্ধেও আইন প্রণয়ন করার দাবী তুলতে হবে, LGBT Agenda এর ব্যাপারে অভিভাবক ও তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। মোটকথা, LGBT এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে এখনই কোমর বেধে মাঠে নেমে পড়তে হবে। যা যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে। মনে রাখবেন, এটা একটা মানবিক যুদ্ধ। মানব সভ্যতা ও মুসলিম উম্মাহকে বাঁচাতে শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমি জানি না, এই এজেন্ডার মত এত বড় আঘাত মানব সভ্যতার উপর পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনো এসেছে কিনা। LGBT AGENDA এর এই নীল-নকশা ইবলীস নিজেই তৈরি করেছে এবং মানুষদের মধ্য থেকে তার একান্ত অনুগত শয়তানদেরকে এটি ছড়িয়ে দিতে ও প্রতিষ্ঠা করতে কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে। ভারতে সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়ার বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে ভারত জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাহলে মুসলিমদের কাছে আর কী অজুহাত রয়ে গেল?! আমাদের পবিত্র দ্বীন আমাদের কাছে কি এই অপবিত্র এজেন্ডার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দাবি করে না?

ইসলামে সমকামতিা (homosexuality) তথা পুরুষের সাথে পুরুষ অথবা নারীর সাথে নারীর যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কাবীরা গুনাহ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটি যিনার থেকেও নিকৃষ্ট। কেননা তা প্রকৃতি বিরুদ্ধ যৌনাচার এবং মানবতা বিধ্বংসী আচরণ। মানবজাতির পরিবার গঠনের স্বাভাবিক নিয়ম হল, একজন পুরুষ একজন নারীকে বৈধভাবে বিয়ে করার পর তারা দাম্পত্য জীবন গঠন করবে। অতঃপর স্বামী-স্ত্রী মধুর মিলনে স্ত্রী গর্ভধারণ করবে ও সন্তান জন্ম দিবে। অতঃপর বাবা-মা সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিবেন। এইতো হল একটি সুন্দর মানবজীবন গঠন প্রক্রিয়া। এভাবে মানব সন্তানের বংশ বিস্তার ঘটবে এবং ফুলে-ফলে সুশোভিত হবে এই সুন্দর বসুন্ধরা। কিন্তু সমকামিতা হল, প্রকৃতি বিরুদ্ধ ও ধ্বংসাত্মক কাজ, বিকৃত যৌনচার এবং মানবজাতির বংশ বিস্তারের ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধক।

কেন মানুষ সমকামী হয়? বিজ্ঞানীরা সমকামিতার প্রকৃত কারণ জানেন না কিন্তু তারা ধারণা করেন যে, জন্মগত, হরমোনগত এবং পরিবশেগত কারণসমূহের এক জটিল আন্তক্রিয়ারর ফলে এটি ঘটে থাকে। (উইকিপিডিয়া) তবে কিছু মানুষ স্বাভাবকি যৌন চাহিদা তথা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি স্বাভাবকি যৌন আর্কষণ থাকার পরও বিকৃত মানসিকতার কারণে ইচ্ছাকৃত ভাবে সমকামিতায় লিপ্ত হয়।

ইসলাম সমকামিতার পথ বন্ধ করেছে যেভাবে

ইসলাম সমকামিতার পথ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তাহল,

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلَا الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلَا يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِيْ ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَلَا تُفْضِي الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِيْ ثَوْبٍ وَاحِدٍ

আবূ সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একজন পুরুষ অপর পুরুষের গুপ্তাঙ্গের প্রতি লক্ষ্য করবে না। একজন নারী অপর নারীর গুপ্তাঙ্গের প্রতি লক্ষ্য করবে না। একজন পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এক কাপড়ের নিচে শয়ন করবে না। একজন নারীও অপর নারীর সাথে এক কাপড়ের নিচে শয়ন করবে না।[৮] অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا تُبَاشِرُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ فَتَنْعَتُهَا لِزَوْجِهَا كَأَنَّهُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا

ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এক নারী অপর নারীর অঙ্গের সাথে অঙ্গ স্পর্শ করবে না। কারণ সে তার স্বামীকে ঐ নারীর অঙ্গের বিবরণ দিবে তখন তার স্বামী ঐ নারীকে অন্তরের চোখে লক্ষ্য করবে।[৯]

ইসলামের দৃষ্টিতে সমকামিতার ভয়াবহতা

নিঃসন্দেেহ সমকাম ধ্বংসাত্মক ও অভিশপ্ত পাপর্কম, আল্লাহর শাস্তির কারণ ও মানবতা বিধ্বংসী অপরাধ। নি¤েœ কুরআন-সুন্নাহ ও প্রচলতি আইনের আলোকে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হল।

১. সমকাম আল্লাহর আযাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। লূত্ব (আলাইহিস সালাম)-এর সম্প্রদায়ের লোকজন সমকামিতায় লিপ্ত হলে মহাশক্তিধর আল্লাহ তাদেরকে কিভাবে ধ্বংস করেছেন তা ফুটে উঠেছে নি¤েœর আয়াতে। মহান আল্লাহ বলেন,فَلَمَّا جَآءَ اَمۡرُنَا جَعَلۡنَا عَالِیَہَا سَافِلَہَا وَ اَمۡطَرۡنَا عَلَیۡہَا حِجَارَۃً  مِّنۡ سِجِّیۡلٍ ۬ۙ مَّنۡضُوۡدٍ ‘অতঃপর যখন আমাদের হুকুম এসে পৌঁছল, এরপর যখন আমাদেরর সিদ্ধান্ত কার্যকর হল, তখন আমি জনপদের উপরিভাগ নিচে এবং নি¤œভাগ উপরে উঠালাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর-পাথর বর্ষণ করলাম’ (সূরা হূদ : ৮২)। ইতিহাসে এই ভয়াবহ ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে আজও বিদ্যমান রয়েছে জর্ডানে অবস্থিত ‘ডেড সি’ (ঞযব উবধফ ঝবধ) বা মৃত সাগর।

২. সমকামিতা একটি অভিশপ্ত কর্ম। হাদীছে এসেছে, ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লূত্ব সম্প্রদায়ের কাজে (সমকামে) লিপ্ত হবে তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত’।[১০]

৩. তাছাড়া সমকামিতাকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীগণ প্রাণঘাতী এইডস সহ নানা জটিল ও কঠিন রোগের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

ইসলামি আইনে সমকামিতার শাস্তি

ইসলামের ফৌজদারি দ-বিধি অনুযায়ী সমকামিতার শাস্তি হল, মৃত্যুদ-। হাদীছে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدْتُمُوْهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوْطٍ فَاقْتُلُوْا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُوْلَ بِهِ

ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যে ব্যক্তিকে লূত্ব (আলাইহিস সালাম)-এর কওমের ন্যায় সমকামী কাজ করতে দেখবে, তখন তাদের উভয়কে (যে সঙ্গম করে এবং যার সাথে সঙ্গম করা হয়) হত্যা কর।[১১]  শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

أن حكمه القتل الذي عليه أصحاب الرسول ﷺ وقد أجمعوا جميعًا على قتل اللوطي مطلقًا سواء كان بكرًا أو ثيبًا، بعض الفقهاء قالوا: إنه كالزاني يرجم المحصن ويجلد البكر مائة جلدة ويغرب عامًا، ولكنه قول ضعيف

‘সমকামিতার শাস্তি হল হত্যা। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ছাহাবীদের সম্মিলিত অভিমত রয়েছে। তারা সকলইে একমত যে, সমকামীকে হত্যা করা হবে চাই সে বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত হোক। কতিপয় ফক্বীহ বলেন যে, সমকামিতার ক্ষেত্রে যিনার মতই বিবাহিত হলে, তার শাস্তি পাথর মেরে হত্যা আর অবিবাহিত হলে এক একশ’ চাবুক ও একবছর দেশান্তর (জেলে আটকে রাখা বা নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়া)। কিন্তু এটি র্দুবল কথা’।[১২]

অবশ্য যদি কারও সাথে জোরপূর্বক সমকামিতা করা হয় বা যার সাথে এই অন্যায় করা হয়েছে সে যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু বা পাগল হয় তাহলে তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে না।

প্রচলিত আইনে সমকামিতার শাস্তি

অধিকাংশ সমাজে এবং সরকার ব্যবস্থায় সমকামী আচরণকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ বাংলাদশে (দশ বছরের থেকে শুরু করে আমরণ সশ্রম কারাদণ্ড) সহ দক্ষিণ এশিয়াার ৬ টি দেশের সংবিধানে ৩৭৭ ধারা এবং ১৯টি দেশে সমর্পযায়ের ধারা এবং সম্পূরক ধারা মোতাবেক সমকামিতা ও পশুকামিতা প্রকৃতি বিরোধী যৌনাচার হিসাবে শাস্তিযোগ্য ও দ-নীয় ফৌজদারি অপরাধ। বাংলাদেশে দ-বিধির ৩৭৭ ধারা মোতাবকে পায়ুুমৈথুন শাস্তি যোগ্য ফৌজদারি অপরাধ, যার শাস্তি দশ বছর থেকে শুরু করে আজীবন কারাদ- এবং সাথে জরিমানাও হতে পারে।

কেউ যদি জন্মগতভাবে সমলিঙ্গের দিকে আর্কষণ অনুভব করে তাহলে তার কী করণীয়? সৃষ্টিগত ভাবে কারো মধ্যে সমলিঙ্গের দিকে আর্কষণ থাকলে তাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ তাকে এমনটি করেছেন তার প্রতি পরীক্ষা হিসাবে। যেমন অনেক প্রতিবন্ধী মানবিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কারও চোখ নেই, কারও কথা বলার ক্ষমতা নেই, কেউ বা কানে শুনে না ইত্যাদি। ঠিক তেমনি সে ব্যক্তিও নারীর প্রতি স্বাভাবিক যৌন আর্কষণ বোধ থেকে বঞ্চিত। যাহোক, কোন ব্যক্তি যদি ব্যক্তি সমলিঙ্গের প্রতি যৌন আর্কষণ অনুভব করে তাহলে এ থেকে বাঁচার জন্য তার জন্য নিম্নে ৮টি করণীয় তুলে ধরা হল :

১. সে আল্লাহর ভয় ও জাহান্নামরে শান্তির কথা চিন্তা করে  ধৈর্যধারণ করবে এবং এ জঘন্য গুনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবে। কোনভাবেই সমলিঙ্গের সাথে যৌন সর্ম্পক স্থাপন করবে না। যদি সে ধৈর্যধারণ করতে পারে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে আখিরাতে মহা পুরস্কারে ভূষিত করবেন। মহান আল্লাহ বলনে,

اُولٰٓئِکَ یُجۡزَوۡنَ الۡغُرۡفَۃَ  بِمَا صَبَرُوۡا وَ یُلَقَّوۡنَ فِیۡہَا تَحِیَّۃً  وَّ  سَلٰمًا . خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ حَسُنَتۡ مُسۡتَقَرًّا وَّ مُقَامًا

‘তাদেরকে তাদের ধৈর্যের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে  সেখানে দেয়া হবে সম্ভাষণ ও সালাম। সেখানে তারা চিরকাল বসবাস করবে। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসাবে তা কত উত্তম’ (সূরা আল-ফুরক্বান : ৭৫ ও ৭৬)!

২. সর্বদা আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত রাখবে। মনে রাখা দরকার যে, আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্বিয়ামতের মাঠে আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে। তখন আমরা যত অন্যায় ও পাপকর্ম করেছি সব কিছুই প্রকাশিত হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,یَّوۡمَ  تَشۡہَدُ عَلَیۡہِمۡ اَلۡسِنَتُہُمۡ وَ اَیۡدِیۡہِمۡ  وَ  اَرۡجُلُہُمۡ  بِمَا  کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ‘যে দিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করত’ (সূরা আন-নূর : ২৪)।

৩. যদি বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মোটেই আর্কষণবোধ না থাকার কারণে বিয়ে করা সম্ভব না হয় অথচ প্রচ- যৌন বাসনা অনুভব করে তাহলে করণীয় হল, ছিয়াম রাখা। কেননা ছিয়ামের মাধ্যমে যৌন বাসনা নিয়ন্ত্রিত থাকে।[১৩]

৪. কখনো একাকী নিভৃতে না থাকা। কেননা একাকীত্ব যৌন চিন্তা জাগ্রত করে। বরং যে কোন দ্বীন বা দুনিয়ার উপকারী কাজে সময়কে কাজে লাগাতে চষ্টো করতে হবে। যেমন : নেক আমল করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, কুরআনের তাফসীর পড়া, কুরআন মুখস্থ করা, যিক্র করা, ছালাত পড়া, ইসলামী বই পড়া, ভালো আলেমদের লেকচার শোনা, শিক্ষণীয় ও উপকারী কোন কোর্স করা, জনকল্যাণমূলক কাজ আঞ্জাম দেয়া, শখের কাজ করা (যদি তা হারাম না হয়) ইত্যাদি।

৫. পাপিষ্ঠ ও খারাপ লোকদের সংশ্রব থেকে দূরে থাকা। কারণ মানুষ সঙ্গ দোষে অন্যায় ও অশ্লীল পথে পা বাড়ায়।

৬. যৌন উদ্দীপক মুভি, মিউজিক ভিডিও, গান, টিভি শো ইত্যাদি না দেখা এবং অশ্লীল গল্প-উপন্যাস না পড়া।

৭. যৌন বাসনাকে উদ্দীপ্ত করে এমন খাওয়া-দাওয়াও সীমিত করা দরকার। কেননা এসব খাদ্যের প্রভাবে শরীরে যৌন চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

৮. তারপরও মনে খারাপ চিন্তা জাগ্রত হলে তৎক্ষণাৎ শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা তথা ‘আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজীম’ পাঠ করা কর্তব্য।

৯. সর্বোপরি মহান আল্লাহর নিকট নিজর সমস্যা থেকে মুক্তি চেয়ে দু‘আ করা।

আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতিকে সকল প্রকার পাপাচার ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেেক রক্ষা করুন-আমীন!

* সহকারী অধ্যাপক (বিসিএস সাধারণ শিক্ষা), সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা।

তথ্যসূত্র :
[১]. wikipedia.
[২]. সমকামিতা নিরপরাধিকরণ চেয়ে পিটিশন
[৩]. wikipedia.-এর রিসার্চ পেপার প্রকাশ সংক্রান্ত- https:/ww/w. facebook.com/BIHR.BD/.
[৪]. Frontline Defenders এ শাহানুর ইসলাম এর প্রোফাইল https:/ww/w.frontlinedefenders.org/.../shahanur-islam.
[৫]. শাহানুর ইসলামের ৪ সম্মেলন  ক. ১৭ মার্চ, ২০২৩, https:// twitter.com/Justice.../status/1637457342202617857; খ. ১১ মে, ২০২৩, https://twitter.com/ Justice.../status/ 1657382006416654336...  ৫ জুন, ২০২৩, https:// twitter. com/Justice.../status/ 1665792817606676484... ঘ. ৯ জুন, ২০২৩, https:// twitter.com/Justice.../status/ 1668236344429035524...
[৬]. USAID এর ৩৫ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা- https:// globalbangla. tv/.../usaid-awarding-35-million-to.../
[৭]. UNDP Publication: ক। Geder and Diversity: https:/ww/w.undp.org/.../handbook-gender-and-diversity. খ। Gender Equality Strategy 2023-2026: https:/ww/w.undp.org/.../publica.../gender-equality strategy.
[৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৩৮; মিশকাত, হা/৩১০০।
[৯]. ছহীহ বুখারী, হা/৫২৪০; মিশকাত, হা/৩০৯৯।
[১০]. মুসতাদরাক হাকিম, হা/৮০৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮২৭, সনদ ছহীহ।
[১১]. তিরমিযী, হা/১৪৫৬; ইবনু মাজাহ, হা/২৫৭৪, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/৩৫৭৫।
[১২]. শায়খের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকে সংগৃহীত। দ্র. ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনু বায, ২২শ খ-, পৃ. ৪১০।
[১৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০৬৫।




প্রসঙ্গসমূহ »: পাপ নীতি-নৈতিকতা
আধুনিক যুগে দাওয়াতী কাজের পদ্ধতি (৩য় কিস্তি) - মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী
ফাযায়েলে কুরআন - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
পরবর্তীদের তুলনায় সালাফদের ইলমী শ্রেষ্ঠত্ব (৫ম কিস্তি) - অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান
কুরবানীর মাসায়েল - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ছালাতের সঠিক সময় ও বিভ্রান্তি নিরসন (৫ম কিস্তি) - মাইনুল ইসলাম মঈন
ইসলামী সংগঠন ও তরুণ-যুবক-ছাত্র - ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন
মাহে রামাযানে শিশু-কিশোর প্রতিপালন - আব্দুর রশীদ
সুন্নাতের আলো বিদ‘আতের অন্ধকার (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আযীযুর রহমান
তাক্বওয়া অর্জনে ছিয়াম - প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
আধুনিক যুগে দাওয়াতী কাজের পদ্ধতি (শেষ কিস্তি) - মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী
ঈদুল ফিতরে করণীয় ও বর্জনীয় - আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ

ফেসবুক পেজ