উত্তর : আল্লাহ তা‘আলার নিকট সর্বোত্তম আমল হল আউওয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ ‘আমলটি আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে ছালাত আদায় করা...’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৭, ২৭৮২, ৫৯৭০, ৭৫৩৪)। সুতরাং যখন লোকেরা দেরী করে জামা‘আতে ছালাত আদায় করবে অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে আদায় করবে না, তখন নবী করীম (ﷺ) একাকী ছালাত আদায় করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
যেমন আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা রাসূল (ﷺ) আমার উরুর উপর সজোরে করাঘাত করে বললেন, তোমাকে যদি এমন লোকদের মাঝে থাকতে হয় যারা সময় মত (অর্থাৎ আউওয়াল ওয়াক্তে) ছালাত আদায় করে না, বরং দেরী করে আদায় করে, তাহলে তুমি কী করবে? আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি আমাকে কী আদেশ করছেন? তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তুমি সময় মত (প্রথম ওয়াক্তে) ছালাত আদায় করে নাও এবং নিজের কাজে চলে যাও। অতঃপর সবার সাথে জামা‘আতে যদি ছালাত আদায় করার সুযোগ হয় তাহলে তাদের সাথেও ছালাত আদায় করে নাও। এটি তোমার জন্য নফল হিসাবে গণ্য হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪৮; আবূ দাঊদ, হা/৪৩১; তিরমিযী, হা/১৭৬; নাসাঈ, হা/৭৭৮, ৮৫৯; ইবনে মাজাহ, হা/১২৫৬)। যেহেতু আপনার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১টার সময়, আর আমাদের দেশে যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় ১১:৪৫-১২:০০ টার মধ্যে মধ্যেই। সেক্ষেত্রে যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরপরই একাকী ছালাত আদায় করে অনায়াসে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন। আর আছরের সময় চলে যাওয়ার আশংকা থাকলে যোহরের সাথে আছরকে জমা করে পড়ে নিবে (ছহীহ মুসলিম হা/৭০৫)।
প্রশ্নকারী : আশীকুর রহমান, বাগমারা, রাজশাহী।