সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন

সুন্নাতের আলো বিদ‘আতের অন্ধকার

-মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
-অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন*


(৪র্থ কিস্তি)

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

দ্বীনের মধ্যে বিদ‘আতের তিরস্কার বা নিন্দা

বিদ‘আতের তিরস্কার সম্পর্কে কুরআন ও সুন্নাহ অনেক বর্ণনা এসেছে। ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ বিদ‘আত থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্নভাবে সতর্কতা প্রদর্শন করেছেন। সংক্ষিপ্তভাবে তা আলোচনা করা হল :

প্রথমতঃ আল-কুরআনুল কারীম থেকে

১- আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

ہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ مِنۡہُ اٰیٰتٌ مُّحۡکَمٰتٌ ہُنَّ اُمُّ  الۡکِتٰبِ وَ اُخَرُ مُتَشٰبِہٰتٌ ؕ فَاَمَّا الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ زَیۡغٌ فَیَتَّبِعُوۡنَ مَا تَشَابَہَ مِنۡہُ ابۡتِغَآءَ الۡفِتۡنَۃِ وَ ابۡتِغَآءَ تَاۡوِیۡلِہٖ ۚ؃ وَ مَا یَعۡلَمُ  تَاۡوِیۡلَہٗۤ  اِلَّا اللّٰہُ

‘তিনিই আপনার উপর এমন কিতাব নাযিল করেছেন, যার কতিপয় আয়াত মৌলিক সুস্পষ্ট অর্থবোধক, এগুলো হল কিতাবের মূল আর অন্যগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়; কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ সৃষ্টির উদ্দেশে এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলত এর মর্ম আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না’ (সূরা আলে ইমরান : ৭)। ইমাম শাত্বেবী (রাহিমাহুল্লাহ) এর সমর্থনে কিছু আছার (ছাহাবীদের উক্তি) দলীল হিসাবে পেশ করেছেন। যাদ্বারা বুঝা যায় যে, উক্ত আয়াতটি আল-কুরআনের বক্তব্য নিয়ে যারা বিতর্ক করে অর্থাৎ খারেজী ও তাদের সমগোত্রীয়দের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে।[১]

২- আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ  اَنَّ  ہٰذَا صِرَاطِیۡ مُسۡتَقِیۡمًا فَاتَّبِعُوۡہُ ۚ وَ لَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ  فَتَفَرَّقَ  بِکُمۡ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ ؕ ذٰلِکُمۡ  وَصّٰکُمۡ بِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ  

‘এটা আমার (দেখানো) সহজ-সরল পথ। অতএব একমাত্র এ পথেরই তোমরা অনুসরণ কর, কখনো ভিন্ন বহুপথ অবলম্বন কর না, কেননা (ভিন্ন পথ অবলম্বন করলে) তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে এ পথে চলার আদেশ দিচ্ছেন (এ পথে চললে) আশা করা যায় তোমরা (আল্লাহকে) ভয় করবে’ (সূরা আল-অন‘আম : ১৫৩)। সুতরাং ছিরাতে মুস্তাকীম হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত সহজ সরল ও সঠিক পথ। যে পথের দিকে উক্ত আয়াতে আহ্বান করা হয়েছে। এটাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাত অর্থাৎ জীবনাদর্শ। আর السُّبُلَ বা বিভিন্ন রাস্তা (দ্বীনের মধ্যে) মতানৈক্য ও বিদ‘আত সৃষ্টি করার পথ যা সঠিক পথ থেকে সরে গিয়েছে’।[২] উপরিউক্ত আয়াতে সকল প্রকারের বিদ‘আত সৃষ্টিকারীদের পথ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে’।[৩]

৩- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ عَلَی اللّٰہِ  قَصۡدُ السَّبِیۡلِ وَ مِنۡہَا جَآئِرٌ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ لَہَدٰىکُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ  ‘আল্লাহরই দায়িত্বে রয়েছে সকল পথপ্রদর্শন। পথগুলোর মধ্যে বাঁকা পথও রয়েছে। তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে অবশ্যই তোমাদের সকলকেই সঠিক পথ প্রদর্শন করতেন’ (সূরা আন-নাহ্ল : ৯)। উক্ত আয়াতের قَصۡدُ السَّبِیۡلِ হচ্ছে সত্যের পথ, এর বাইরের সকল পথ সত্য হতে বিচ্যুত এবং তা বিদ‘আত ও ভ্রান্ত দ্বারা পরিপূর্ণ’।[৪]

৪- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنَّ الَّذِیۡنَ فَرَّقُوۡا دِیۡنَہُمۡ  وَ کَانُوۡا  شِیَعًا لَّسۡتَ مِنۡہُمۡ فِیۡ شَیۡءٍ ؕ اِنَّمَاۤ  اَمۡرُہُمۡ  اِلَی اللّٰہِ ثُمَّ یُنَبِّئُہُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَفۡعَلُوۡنَ ‘যারা নিজেদের (পূর্নাঙ্গ) দ্বীনকে খ-ে খ-ে বিভক্ত করে নিয়েছে আর (আপন আপন অংশ নিয়ে) দলে দলে ভাগ হয়ে গেছে তাদের কোন কাজের সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপারে পুরোপুরি আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৫৯)। তারাই হচ্ছে, এ উম্মতের প্রবৃত্তির অনুসারী, পথভ্রষ্ট এবং বিদ‘আত সৃষ্টিকারী’।[৫]

৫- আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

 وَ لَا تَکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ-مِنَ الَّذِیۡنَ فَرَّقُوۡا دِیۡنَہُمۡ  وَ کَانُوۡا شِیَعًا ؕ کُلُّ  حِزۡبٍۭ بِمَا لَدَیۡہِمۡ فَرِحُوۡنَ

‘আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। যারা নিজেদের দ্বীনকে বিভক্ত করে ফেলেছে এবং বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেছে। প্রত্যেক দল নিজেদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে উল্লেসিত’ (সূরা আর-রূম : ৩১-৩২)।

৬- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِہٖۤ  اَنۡ تُصِیۡبَہُمۡ فِتۡنَۃٌ  اَوۡ یُصِیۡبَہُمۡ عَذَابٌ  اَلِیۡمٌ ‘কাজেই যারা তাঁর আদেশের বিরূদ্ধচারণ করে তারা সতর্ক হোক যে, তাদের উপর পরীক্ষা নেমে আসবে কিংবা তাদের উপর নেমে আসবে ভয়াবহ শাস্তি’ (সূরা আন-নূর : ৬৩)।  

৭- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلۡ ہُوَ  الۡقَادِرُ عَلٰۤی  اَنۡ یَّبۡعَثَ عَلَیۡکُمۡ عَذَابًا مِّنۡ فَوۡقِکُمۡ اَوۡ مِنۡ تَحۡتِ اَرۡجُلِکُمۡ اَوۡ یَلۡبِسَکُمۡ شِیَعًا ‘(হে নবী!) আপনি বলুন, তিনি তোমাদের উপর থেকে অথবা পদতল থেকে ‘শাস্তি পাঠাতে (সক্ষম) অথবা তোমাদেরকে দলে দলে বিভক্ত করতে যথেষ্ট ক্ষমতাবান’ (সূরা আন‘আম :/৬৫)।

৮- আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَّ لَا  یَزَالُوۡنَ  مُخۡتَلِفِیۡنَ- اِلَّا مَنۡ رَّحِمَ رَبُّکَ

‘কিন্তু তারা মতভেদ করতেই থাকবে। তবে তোমার প্রতিপালক যাদের প্রতি দয়া করেন তারা (মতভেদ করবে) না’ (সূরা হূদ : ১১৮-১১৯)। আল্লাহ তা‘আলাই অধিক অবগত’।[৬]

দ্বিতীয়তঃ সুন্নাহ নববী থেকে

বিদ‘আতের নিন্দা, তিরস্কার ও তাত্থেকে সাবধানতা প্রদর্শন করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অসংখ্য হাদীছ বর্ণনা করেছেন। নি¤েœ কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করা হল :

১- আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, مَنْ أَحْدَثَ فِىْ أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু সৃষ্টি করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’।[৭] ছহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় রয়েছে, مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ ‘যে ব্যক্তি আমাদের পক্ষ থেকে স্বীকৃত নয় এমন কোন আমল করল, তা প্রত্যাখ্যাত’।[৮]

২- জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় (জুমু‘আর) খুৎবায় বলতেন,

أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَخَيْرُ الْهُدَى هُدَى مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

‘অতঃপর নিশ্চয় সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম পথ হচ্ছে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পথ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল দ্বীনে নতুন জিনিস সৃষ্টি করা এবং সব নতুন সৃষ্টিই গোমরাহী ’।[৯]

৩- নাসাঈর অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় (জুমু‘আর) খুৎবায় বলতেন, তিনি আল্লাহ তা‘আলার যথাযোগ্য প্রশংসা এবং গুণ বর্ণনা করতেন। অতঃপর বলতেন,

مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْهُ فَلَا هَادِىَ لَهُ إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ وَشَرَّ الْأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلَّ ضَلَالَةٍ فِى النَّارِ

‘আল্লাহ যাকে হেদায়াত দান করেন তাকে ভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আর তিনি যাকে ভ্রষ্ট করেন তাকে কোন হেদায়াতদাতা নেই। নিশ্চয় সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম পথ হচ্ছে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পথ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল দ্বীনের মধ্যে নতুন জিনিস সৃষ্টি করা এবং সব নতুন সৃষ্টিই বিদ‘আত আর সকল বিদ‘আতের পরিণতি জাহান্নাম’।[১০]

৪- আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,

مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُوْرِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُوْرِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا

‘যে ব্যক্তি কোন লোককে সৎ কাজের দিকে আহ্বান করবে, তার জন্যও সে পরিমাণ ছওয়াব রয়েছে যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে, অথচ তাদের ছওয়াবের কোন অংশ একটুও কমবে না। অনুরূপ যে ব্যক্তি কাউকে গোমরাহীর দিকে আহ্বান করে তারও সেপরিমাণ গুনাহ হবে, যতটুকু গুনাহ তার অনুসারীদের জন্য হবে। অথচ এটি অনুসারীদের গুনাহ থেকে একটুও কমবে না’।[১১]

৫- জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ আল-বাজালী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

مَنْ سَنَّ فِى الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا وَلَا يَنْقُصُ مِنْ أُجُوْرِهِمْ شَىْءٌ وَمَنْ سَنَّ فِى الْإِسْلَامِ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كُتِبَ عَلَيْهِ مِثْلُ وِزْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا وَلَا يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَىْءٌ

‘যে ব্যক্তি ইসলামে কোন ভাল কাজ চালু করল সে এ চালু করার ছওয়াব তো পাবেই, তার পরের লোকেরা যারা এ ভাল কাজের উপর আমল করবে তাদেরও সমপরিমাণ ছওয়াব পাবে। অথচ এদের ছওয়াবের কিছু কমবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতির প্রচলন করল, তার জন্য তো এ কাজের গুনাহ রয়েছে। এর পর যারা এ মন্দ রীতির উপর আমল করবে তাদের জন্য গুনাহও তার ভাগে আসবে, অথচ এতে আমলকারীর গুনাহ কম করবে না’।[১২]

৬- ইরবায ইবনু সারিয়াহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের উদ্দেশে এমন মর্মস্পর্শী উপদেশ দিলেন, যাতে আাদের চোখ গড়িয়ে পানি বইতে লাগল। অন্তরে ভয় সৃষ্টি হল মনে হচ্ছিল উপদেশ দানকারীর যেন জীবনের এটাই শেষ উপদেশ। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! এ যেন কারো বিদায়ী উপদেশ। অতএব আপনি আমাদেরকে কিছু উপদেশ দেন? তিনি বলেন,

أُوْصِيْكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِىْ فَسَيَرَى اخْتِلًافًا كَثِيْرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّيْنَ الرَّاشِدِيْنَ تَمَسَّكُوْا بِهَا وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ  

‘আমি তোমাদের আল্লাহভীতির, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমীর) একজন হাবশী গোলাম হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত (আদর্শ) এবং আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাগণের সুন্নাত (আদর্শ) অনুসরণ করবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে থাকবে। সাবধান! (দ্বীনে) প্রত্যেক নবাবিষ্কৃত বিষয় সম্পর্কে! কারণ প্রত্যেক নবাবিষ্কার হল বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আত হল ভ্রষ্টতা’।[১৩]

৭- হুযায়ফাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত। আর আমি অনিষ্ট বা ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম- এ ভয়ে যেন আমি তাতে লিপ্ত না হই। হুযায়ফাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমরা এক সময় মূর্খতা ও অন্যায়ের মধ্যে নিমজ্জিত ছিলাম। অতঃপর আল্লাহ আমাদেরকে এই কল্যাণ অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম দান করেন। তবে কি এ কল্যাণের পর পুনরায় অকল্যাণ আসবে? তিনি (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, আসবে। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, সেই অকল্যাণের পর কি আবার কল্যাণ আসবে? তিনি (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, আসবে। তবে তা হবে ধোঁয়াযুক্ত বা ঘোলাটে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ধোঁয়াযুক্ত ইসলাম বলতে কেমন ইসলামকে বুঝায়? তিনি (ﷺ) বললেন, লোকেরা আমার সুন্নাত ছেড়ে অন্য সুন্নাত গ্রহণ করবে এবং আমার আদর্শ ছেড়ে মানুষকে অন্য আদর্শে পরিচালিত করবে। তখন তুমি তাদের মাঝে ভাল কাজও দেখতে পাবে মন্দ কাজও দেখতে পাবে। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, সেই কল্যাণের পরও কি অকল্যাণ আসবে? তিনি (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। জাহান্নামের দরজার দিকে আহ্বানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের আহ্বানে সাড়া দিবে তারা তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে ছাড়বে। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)! আমাদেরকে তাদের পরিচয় দিন। তিনি (ﷺ) বললেন, তারা আমাদের মতই মানুষ হবে এবং আমাদের মতই আমাদের ভাষায় কথা বলবে। আমি বললাম, আমি যদি ঐ পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন হই তাহলে আমাকে কী করার নির্দেশ দিচ্ছেন? তিনি (ﷺ) বললেন, তখন তুমি মুসলিমদের জামা‘আত ও মুসলিমদের নেতাকে আঁকড়ে ধরবে। আমি বললাম, সে সময় যদি কোন মুসলিম জামা‘আত ও কোন মুসলিম নেতা না থাকে, তখন আমাকে কী করতে হবে?  তিনি (ﷺ) বললেন, তখন তুমি সে সমস্ত বিচ্ছিন্ন দলগুলোকে পরিত্যাগ করবে যদিও তোমাকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গাছের শিকড়ের পাশে আশ্রয় নিতে হয়। আর তোমার মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবে। এতে যে কোন দুঃখ-কষ্টও ত্যাগ স্বীকারে তোমাকে প্রস্তুত থাকতে হবে’।[১৪] ইমান নববী (রাহিমাহুল্লাহ) এ হাদীছের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন,

(وَيَهْتَدُوْنَ بِغَيْرِ هَدْيِي) الْهَدْيُ الْهَيْئَةُ وَالسِّيْرَةُ وَالطَّرِيْقَةُ قَوْلُهُ ﷺ (دُعَاةٌ عَلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمِ مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوْهُ فِيْهَا) قَالَ الْعُلَمَاءُ هَؤُلَاءِ مَنْ كَانَ مِنَ الْأُمَرَاءِ يَدْعُوْ إِلَى بِدْعَةٍ أَوْ ضَلَالٍ آخَرَ كَالْخَوَارِجِ والقزامطة وَأَصْحَابِ الْمِحْنَةِ

‘(হাদী) শব্দের অর্থ হল ত্বরীকা ও আদর্শ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী, জাহান্নামের দরজার দিকে আহ্বানকারীদের উদ্ভব হবে। যারা তাদের আহ্বানে সাড়া দিবে তারা তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে ছাড়বে। আর জাহান্নামের দিকে আহ্বানকারীর দল প্রসঙ্গে ওলামায়ে কেরাম বলেন, তারা হল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ যারা মানুষকে বিদ‘আতের দিকে আহ্বান করে। যথা-খারেজী, কারামতী ও বস্তুবাদী দল’।[১৫]

৮- যায়েদ ইবনু আরকাম (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর হাদীছ- অতঃপর নবী করীম (ﷺ) বললেন, ‘সাবধান! হে লোক সকল! আমি একজন মানুষ, অতি সত্বরই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতা আসবে, আর আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দিব, আমি তোমাদের নিকট দু’টি (শক্ত) বস্তু রেখে যাচ্ছি। তার একটি হল আল্লাহ্র কিতাব (অপরটি আমার সুন্নাত), যাতে রয়েছে হেদায়াত ও নূর। [এটা আল্লাহ্র সুদৃঢ় রশি (রজ্জু)। যারাই এ কিতাব মেনে চলবে তারাই হেদায়াত পাবে। আর যারা তা ছেড়ে দিবে তারা পথভ্রষ্ট হবে] তোমরা আল্লাহ্র কিতাব সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর’।[১৬]

৯- আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘শেষ যুগে কিছু সংখ্যক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের নিকট এমন সব হাদীছ বর্ণনা করবে যা কখনো তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষরা শুনেনি। সুতরাং তাদের থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরকে তোমাদের নিকট থেকে দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং তোমাদেরকে ফিৎনায় ফেলতে না পারে’।[১৭]

তৃতীয়তঃ ছাহাবায়ে কেরামের অভিমত

১- ইবনু সা‘দ (রাহিমাহুল্লাহ) তিনি তার সনদে আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, أَيُّهَا النَّاسِ إِنَّمَا أَنَا مُتَّبِعٌ وَلَسْتُ بِمُبْتَدِعٍ فَإِنَّ أَحْسَنْتُ فَأَعْيُنُوْنِيْ وَإِنْ زَغَتُّ فَقُوْمُوْنِيْ ‘হে উপস্থিত জনতা! নিশ্চয় আমি সুন্নাতের অনুসারী বিদ‘আতপন্থী নই। যদি আমি ভালো কাজ করি তাহলে আমাকে সাহায্য করবে, আর যদি ভুল করি তাহলে সংশোধন করে দিবে’।[১৮]

২- ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,

إِيَّاكُمْ وَأَصْحَابَ الرَّأْىِ فَإِنَّهُمْ أَعْدَاءُ السُّنَنِ أَعْيَتْهُمُ الْأَحَادِيْثُ أَنْ يَحْفَظُوْهَا فَقَالُوْا بِالرَّأْىِ فَضَلُّوْا وَأَضَلُّوْا

‘তোমরা প্রবৃত্তির অনুসারীদের, যুক্তিবাদীদের থেকে দূরে থাক। কেননা তারা সুন্নাতের দুশমন এবং হাদীছ অনুযায়ী আমলে অক্ষম। তারা মনগড়া অর্থাৎ নতুন প্রবর্তন করা মতামত বা রায় দিয়ে নিজেরা গোমরাহ হয় অন্যকেও গোমরাহ করে’।[১৯]

৩- আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, اِتَّبِعُوْا وَلَا تَبْتَدَعُوْا فَقَدْ كَفَّيْتُمْ كُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةِ ‘তোমরা সুন্নাতের অনুসরণ করবে, বিদ‘আতের অনুসরণ করবে না। এটা তোমাদের জন্য যথেষ্ট। কেননা প্রত্যেক বিদ‘আত ভ্রষ্টতা’।[২০]

চতুর্থতঃ তাবেঈ ও তাবে তাবেঈগণের অভিমত

১- ওমর ইবনু আব্দুল আযীয (রাহিমাহুল্লাহ) এক ব্যক্তির নিকট পত্র লিখেছিলেন, তিনি তাতে বলেছিলেন,

أُوْصِيْكَ بِتَقْوَى اللهِ وَالْاِقْتِصَادِ فِىْ أَمْرِهِ وَاتِّبَاعِ سُنَّةِ نَبِيِّهِ ﷺ وَتَرْكِ مَا أَحْدَثَ الْمُحْدِثُوْنَ بَعْدَ مَا جَرَتْ بِهِ سُنَّتُهُ

‘আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্র ভয়, তাঁর হুকুমের ব্যাপারে মধ্যপন্থা অবলম্বন, তাঁর নবীর সুন্নাতের অনুসরণ করা এবং কোন ব্যাপারে সুন্নাত প্রমাণিত হওয়ার পর তা ছেড়ে বিদ‘আত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিচ্ছি’।[২১]

২- হাসান বসরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, لَا يَصِحُّ الْقَوْلَ إِلَّا بِعَمَلٍ وَلَا يَصِحُّ قَوْلٍ وَعَمَلٍ إِلَّا بِنِيَّةٍ وَلَا يِصِحُّ قَوْلٍ وَعَمَلٍ وَنِيَّةٍ إِلَّا بِالسُّنَّةِ  ‘আমল ব্যতীত কোন কথা শুদ্ধ হবে না, নিয়ত ব্যতীত কোন কথা বা আমল শুদ্ধ হবে না এবং সুন্নাতের অনুসরণ ব্যতীত কোন নিয়ত, আমল ও কথা শুদ্ধ হবে না’।[২২]

৩- ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, حكمي في أصحاب الكلام أن يضربوا بالجريد ويجلسوا على الجمال ويطاف بهم في العشائر والقبائل وينادى عليهم هذا جزاء من ترك الكتاب والسنة وأخذ في الكلام  ‘(কুরআন-হাদীছ বিরোধী) বিতর্ককারীদের (তারকীক) ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্ত হল খেজুরের ডাল দ্বারা তাদের প্রহার করা হবে, উটের উপর আরোহণ করানো হবে ও প্রত্যেকটি গোত্রের মধ্যে প্রদক্ষিণ করার কালে একথা বলতে হবে যে, যারা কুরআন ও সুন্নাহ বর্জন করে তর্কশাস্ত্র গ্রহণ করে, এটা তাদেরই প্রতিদান’।[২৩]

৪- ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, من ابتدع في الإسلام بدعة يراها حسنة زعم أن محمداً صلى الله عليه وسلم خان الرسالة لأن الله يقول : اليوم أكملت لكم دينكم فما لم يكن يومئذ دينًا فلا يكون اليوم دينًا. ‘যে ইসলামে উত্তম মনে করে কোন বিদ‘আত প্রচলন করল, সে যেন এ ধারণা পোষণ করল যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রিসালাতের দায়িত্বে খেয়ানত করেছেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৩)। অতএব এ যুগান্তকারী ঘোষণাকালে যে আমল দ্বীন হিসাবে স্বীকৃত ছিল না, তা আজও দ্বীন হতে পারে না’।[২৪]

৫- ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

اصول السنة عندنا التمسك بما كان عليه أصحاب رسول الله صلى الله عليه و سلم والاقتداء بهم وترك البدع وكل بدعة فهي ضلالة وترك الخصومات والجلوس مع أصحاب الأهواء وترك المراء والجدال والخصومات في الدين

‘সুন্নাতের মূলনীতি হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ছাহাবীগণ যা করেছেন তা গ্রহণ করা, তাদের অনুসরণ করা ও বিদ‘আত পরিত্যাগ করা। কেননা সকল বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা। তাই ঝগড়া-বিবাদ পরিহার করা, প্রবৃত্তির অনুসারীদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা, লৌকিকতা পরিহার করা এবং দ্বীনের ব্যাপারে বিতর্কে না জড়ানো উচিত’।[২৫]

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

* নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।

[১]. ইমাম শাত্বেবী, আল-ই‘তিছাম, ১ম খ-, পৃ. ৭০-৭৬।
[২]. ইমাম শাত্বেবী, আল-ই‘তিছাম, ১ম খ-, পৃ. ৭৬।
[৩]. প্রাগুক্ত।
[৪]. প্রাগুক্ত।
[৫]. ইমাম শাত্বেবী, আল-ই‘তিছাম, ১ম খ-, পৃ. ১৭৯।
[৬]. ইমাম শাত্বেবী, আল-ই‘তিছাম, ১ম খ-, পৃ. ৭০-৯১।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬৭।
[৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮।
[৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬৭।
[১০]. নাসাঈ, হা/১৫৭৮, সনদ ছহীহ।
[১১]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৭৪।
[১২]. ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৭।
[১৩]. আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭; তিরমিযী, হা/২৬৭৬; ইবনু মাজাহ, হা/৪২। 
[১৪]. ছহীহ বুখারী, হা/৭০৮৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৭।
[১৫]. শারহু ছহীহ মুসলিম, ১২শ খ-, পৃ. ৪৭৯ (২৩৭)।
[১৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৪০৮।
[১৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/৬, ৭; ইবনু ওযা-হ, ফী মাযা’ ফিল বিদ‘ঈ, পৃ. ৬৭, হা/৬৫। 
[১৮]. আত-ত্বাবাকাতুল কুবরা, ৩য় খ-, পৃ. ১৩৬।
[১৯]. আল-লালকায়ী, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ, ১ম খ-, পৃ. ১৩৯; আ/২০১।
[২০]. ইবনু ওযায়াহ, ফী মাযা’ ফিল বিদ‘ঈ, পৃ. ৪৩, হা/১৪, ১২; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, ৯ম খ-, পৃ. ১৫৪, হা/৮৭৭০।
[২১]. আবূ দাঊদ, হা/৪৬১২।
[২২]. লালকায়ী, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ, পৃ. ৫৭, হা/১৮।
[২৩]. আবূ নু‘আইম, আল-হিলইয়াতুল আওলিয়া, ৯ম খ-, পৃ. ১১৬।
[২৪]. ইমাম শাত্বেবী, আল-ই‘তিছাম, ১ম খ-, পৃ. ৬৫।
[২৫]. আল-লালকায়ী, শারহু উসূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ, ১/১৭৬পৃঃ।




আশূরায়ে মুহাররম - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ইসলামী জামা‘আতের মূল স্তম্ভ (৮ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (২২তম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ছয়টি মূলনীতির ব্যাখ্যা - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
সূদ-ঘুষ ও অবৈধ ব্যবসা (৯ম কিস্তি) - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
ছালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩ উপায় (৫ম কিস্তি) - আব্দুল হাকীম বিন আব্দুল হাফীজ
বিদ‘আত পরিচিতি (১৩তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
ইবাদতের দাবী - হাসিবুর রহমান বুখারী
জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ইসলাম শিক্ষার আবশ্যকতা - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
মাযহাবী গোঁড়ামি ও তার কুপ্রভাব (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : রিদওয়ান ওবাইদ
পরবর্তীদের তুলনায় সালাফদের ইলমী শ্রেষ্ঠত্ব (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান
প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অবস্থান (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির

ফেসবুক পেজ