উত্তর : ধর্মসম্বন্ধীয় অথবা পার্থিব প্রয়োজনে ইংরেজী বা অন্য কোন বিদেশী ভাষা শেখা বা শিখানো দোষণীয় নয়। প্রকৃতপক্ষে ইংরেজী ভাষা শেখা মুবাহ্ বা অনুমোদিত, আর তা যদি হয় দাওয়াত ও তাবলীগের উদ্দেশ্যে, সেক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষা শেখা বা শিখানো অপরিহার্য। কিন্তু প্রয়োজন ব্যতীত শেখা বা শিখানো অপসন্দনীয় (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১২/১৩৩ পৃ.; ইসলাম ওয়া সাওয়াল জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২০১১০; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং ৬-৯৯১৯)। যায়িদ ইবনু ছাবিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে ইয়াহুদীদের লেখা (ভাষা) শিখার আদেশ দিলেন। আমি তদনুযায়ী ইয়াহুদীদের লেখা শিখলাম। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! ইয়াহুদীরা আমার পক্ষ থেকে সঠিক লিখবে বলে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। বর্ণনাকারী বলেন, পনেরো দিন যেতে না যেতেই আমি তাদের লেখা আয়ত্ত করে ফেললাম। তিনি চিঠি পত্র লেখানোর ইচ্ছা করলে আমি লিখে দিতাম এবং তাঁর নিকট চিঠিপত্র এলে আমি তা তাঁকে পড়ে শুনাতাম (আবূ দাঊদ, হা/৩৬৪৫; ছহীহ বুখারী, হা/৭১৯৫)। এমন প্রত্যেক জিনিস যা মানুষের জন্য উপকারী ও কল্যাণকর তা শেখা বা শিখানো নিশ্চিতরূপে বৈধ। যতক্ষণ না তা কোন দলীল দ্বারা হারাম প্রমাণিত হয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তিনি পৃথিবীর সব কিছুই তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৯)। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ ‘যা তোমার জন্য কল্যাণকর তা অর্জনে তুমি আগ্রহী হও’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৬৪)।
প্রশ্নকারী : মুস্তাফিযুর রহমান, কলকাতা।