উত্তর : এরূপ ধারণা পোষণ করা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর শানে চরম বেয়াদবি ও জঘন্য অপবাদ। ‘ইসলাম ওয়েব’- এর আলেমগণ বলেন, ‘বিদ্বানগণ এ বিষয়ে একমত যে, সকল নবীই নিষ্পাপ ছিলেন। বিশেষ করে শেষনবী মুহাম্মাদ (ﷺ) জন্মের পর থেকেই নবী গুণে গুণান্বিত ছিলেন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বেও তিনি যাবতীয় কুফরী কার্যক্রম থেকে মুক্ত ছিলেন (সীরাতু ইবনে হিশাম, ১/১২৮ পৃ.)।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরাইশদের নিয়ম অনুযায়ী হজ্জের সময় কখনো তাদের সাথে মুযদালিফায় অবস্থান করেননি। বরং অন্যদের সাথে আরাফার ময়দানে অবস্থান করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/১৬৬৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১২২০)। তিনি কখনো মূর্তি স্পর্শ করেননি। তাঁর আযাদকৃত গোলাম যায়েদ ইবনু হারিছাহ কসম করে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনোই মূর্তি স্পর্শ করেননি। অবশেষে আল্লাহ তাঁকে অহী প্রেরণের মাধ্যমে সম্মানিত করেন (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৪৬৬৮; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৪৯৫৬, ৩/২১৬ পৃ., সনদ ছহীহ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনোই মূর্তির উদ্দেশ্যে উৎসর্গীত পশুর গোশত কিংবা যার উপরে আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি, এমন কোন গোশত ভক্ষণ করেননি (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৯৯, ফাৎহুল বারী)।
প্রশ্নকারী : শামসুদ্দীন, কানসাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।