উত্তর : কুরআন অবমাননাকারীরা নিশ্চিতরূপে কাফির। উম্মাহর ইজমা অনুযায়ী যে ব্যক্তি কুরআনুল কারীমকে অথবা এর কিছু অংশকে, এমনকি কেউ যদি একটি মাত্র আয়াত অথবা অক্ষরকে অস্বীকার করে তবুও সে কাফির। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করেছে, তারাই জাহান্নামবাসী’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ১০, ৮৬)। অন্যত্র বলেন, ‘নিশ্চয় যারা তাদের নিকট কুরআন আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করে, (তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে)। আর এ অবশ্যই এক মহিমাময় গ্রন্থ’ (সূরা আল-ফুছছিলাত : ৪১)। ‘নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অবিশ্বাস করে তাদেরকে আমি অচিরেই আগুনে প্রবিষ্ট করব। যখনই তাদের চর্ম দগ্ধ হবে, তখনই তার স্থলে নতুন চর্ম সৃষ্টি করব, যাতে তারা শাস্তি ভোগ করতে থাকে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা আন-নিসা : ৫৬)। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘কুরআন সম্বন্ধে সন্দেহ করা কুফরী’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৩, সনদ হাসান ছহীহ)।
আবূ উছমান আল-হাদ্দাদ, ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র, ইবনু কুদামাহ আল-মাক্বদিসী, ইমাম নববী, কাযী আয়ায, ইবনু বাত্তাহ, ইমাম ইবনু হায্ম, শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও ইবনু নুযাইম আল-হানাফী (রাহিমাহুমুল্লাহ) বলেন, ‘তাওহীদপন্থীদের ঐকমত্যানুসারে কুরআনুল কারীমের কোন একটি আয়াত অথবা অক্ষরকে অস্বীকার করলেও সে কাফির। সূরা ফাতিহা থেকে শুরু করে সূরা নাস পর্যন্ত পুরো কুরআনুল কারীম আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। সুতরাং এর মধ্যে বিন্দুমাত্র দ্বিধাগ্রস্ত হলে বা কমবেশি করলে সে কাফির (কাযী আয়ায, আশ-শিফা বি তা‘রীফি হুকূক্বিল মুছত্বাফা, ২/১১০১-১১০৫ পৃ.; আত-তামহীদ, ৪/২৭৮-২৭৯ পৃ.; হিকায়াতুল মুনাযারাতি ফিল কুরআন মা বা‘জি আহলিল বিদ‘আহ, পৃ. ৩৩; আল-মাজমূঊ, ২/১৯৩ পৃ.; শারহুন নববী, ৬/৮৮ পৃ.; আল-মুহাল্লা, ১/৩২ পৃ.; আছ-ছারিমুল মাসলূল আলা শাতিমির রাসূল, ৩/১১২১ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।