সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন
উত্তর : ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক বলতে বুঝায়, মা ও বাবার দিক থেকে রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দেরকে। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক বলতে বুঝায়, মা ও বাবার দিক থেকে রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দেরকে। তারা হলেন- মা, নানী, নানীর মা, দাদী, দাদীর মা এবং তাদের ঊর্ধ্বতন নারীগণ। দাদা, দাদার পিতা, নানা, নানার পিতা এবং তাদের ঊর্ধ্বতন পুরুষগণ। ছেলে, মেয়ে, তাদের সন্তান-সন্ততি এবং তাদের অধস্তন ব্যক্তিবর্গ। ভাই, বোন, তাদের সন্তান-সন্ততি এবং তাদের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিবর্গ। চাচা, ফুফু, মামা, খালা এবং তাদের সন্তানগণ’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৯৫)। এদের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম কারণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اُولُوا الۡاَرۡحَامِ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلٰی بِبَعۡضٍ‘বস্তুত যারা রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় (আল্লাহর বিধান মতে) তারা পরস্পর বেশি হকদার’ (সূরা আল-আনফাল : ৭৫)। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেছেন, لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৮৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৫৬)।  এছাড়াও এ মর্মে বহু হাদীছ রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়গণ অপরের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় হিসাবে পরিগণিত না হলেও উভয়ে উভয়ের নিকটাত্মীয়দেরকে সাহায্য-সহেযাগিতা করা এবং তাদের সাথে সদাচরণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘স্ত্রীর রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়গণ স্বামীর রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় নয়। তবে তারা তার স্ত্রীর সন্তান-সন্ততির রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৯৫)।


প্রশ্নকারী : আখতারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা।





প্রশ্ন (৯) : ইসলামের দৃষ্টিতে বজ্রপাতের ব্যাখ্যা কী এবং এ সময় আমাদের করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : একই আমল একাধিক নিয়তে করা যাবে কি? যেমন আইয়ামে বীযের ছিয়ামের তারিখে মাঝেমধ্যে সোম বা বৃহস্পতিবার পড়ে, এছাড়াও অন্যান্য অনেক আমল রয়েছে, যা আমল দেখতে একই কিন্তু তার ফযীলাত ভিন্ন ভিন্ন। তাহলে  সেই আমল একাধিক ফযীলত লাভের নিয়তে করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : একদিন মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে তার নাতি হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি বড় না আপনি বড়? তখন নবী (ﷺ) বললেন যে, ‘তিনি বড়’। তখন হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল, ‘না, আমি বড়’। তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে? তিনি বললেন, ‘আপনার পিতার নাম কী?’ নবী (ﷺ) বললেন, আব্দুল্লাহ। হোসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল, ‘আমার বাবা আলী, যাকে আল্লাহর সিংহ বলা হয়েছে’। ...পরিশেষে নবী (ﷺ) বলেন, ‘হোসাইন তুমিই বড়’। উক্ত ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : হিন্দুরা যেখানে হাঁটাচলা করে সেখানে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : দুনিয়াতে বেইমান, প্রতারক, পাপী, মিথ্যাবাদী লোকেরাই কেন সবচেয়ে বেশি সুখে থাকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জনৈক মুফতি বলেন, যে নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। অন্যথা কুরবানী করা লাগবে না। এর অর্থ হল, তার কাছে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা তার সমপরিমাণ জমানো টাকা থাকা লাগবে। এই ফৎওয়া অনুযায়ী অনেকেই তো কুরবানী করা থেকে বঞ্চিত হবে। উক্ত ফৎওয়া কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় দাড়ি প্রস্থ এবং দৈর্ঘ্য হতে ছেঁটে নিতেন (তিরমিযী, হা/২৭৬২)। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : কেউ তাওবা করে দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে। সে যদি অতীতে কাউকে পাপ কাজে সহযোগিতা করে, তাহলে এখনো কি সেই পাপের সমান ভাগীদার হবে? যাকে পাপ কাজে সহযোগিতা করেছে, সে তাকেও ফিরে আসতে বলেছে। কিন্তু সে ফিরে আসতে চাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : ওড়না ছাড়া মেয়ে শিশু ছালাত আদায় করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ভাড়া দেয়া হয়েছে এমন বাড়ীর যাকাত দেয়ার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : অন্যান্য ধর্মের পূজা, মন্দির বা গির্জা দেখার জন্য যাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কুরআনের আয়াত ও বিভিন্ন হাদীছ মানসূখ হওয়ার কারণ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ