উত্তর : ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক বলতে বুঝায়, মা ও বাবার দিক থেকে রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দেরকে। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক বলতে বুঝায়, মা ও বাবার দিক থেকে রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দেরকে। তারা হলেন- মা, নানী, নানীর মা, দাদী, দাদীর মা এবং তাদের ঊর্ধ্বতন নারীগণ। দাদা, দাদার পিতা, নানা, নানার পিতা এবং তাদের ঊর্ধ্বতন পুরুষগণ। ছেলে, মেয়ে, তাদের সন্তান-সন্ততি এবং তাদের অধস্তন ব্যক্তিবর্গ। ভাই, বোন, তাদের সন্তান-সন্ততি এবং তাদের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিবর্গ। চাচা, ফুফু, মামা, খালা এবং তাদের সন্তানগণ’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৯৫)। এদের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম কারণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اُولُوا الۡاَرۡحَامِ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلٰی بِبَعۡضٍ‘বস্তুত যারা রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় (আল্লাহর বিধান মতে) তারা পরস্পর বেশি হকদার’ (সূরা আল-আনফাল : ৭৫)। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেছেন, لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৮৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৫৬)। এছাড়াও এ মর্মে বহু হাদীছ রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়গণ অপরের রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় হিসাবে পরিগণিত না হলেও উভয়ে উভয়ের নিকটাত্মীয়দেরকে সাহায্য-সহেযাগিতা করা এবং তাদের সাথে সদাচরণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘স্ত্রীর রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়গণ স্বামীর রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় নয়। তবে তারা তার স্ত্রীর সন্তান-সন্ততির রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৯৫)।
প্রশ্নকারী : আখতারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা।