উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। আব্দুর রহমান ইবনু নাছির আস-সা‘আদী (রাহিমাহুল্লাহ) সূরা ক্বাছাছের তাফসীরে মাদইয়ানের সেই সৎ ব্যক্তির সাথে মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর ঘটনাটি উল্লেখ করার পর বলেছেন যে, ‘তরুণী দু’টির পিতা মাদইয়ানের সেই ব্যক্তিটি শু‘আইব (আলাইহিস সালাম) নন। যা মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে, তার কোন দলীল নেই। সর্বোচ্চ এটা হতে পারে যে, শু‘আইব (আলাইহিস সালাম) মাদইয়ানের অধিবাসী ছিলেন আর এই ঘটনাটি সেই মাদইয়ানেই ঘটেছে। এ ছাড়া দু’টি বিষয়ের মধ্যে আর সম্পর্ক কোথায়? আর মূসা (আলাইহিস সালাম) শু‘আইব (আলাইহিস সালাম)-এর যুগ পেয়েছেন কি-না এটাই তো জানা যায় না, তাহলে শু‘আইব (আলাইহিস সালাম)-কে সশরীরে পাবেন কিভাবে? তবে সেই ব্যক্তিটি যদি শু‘আইব (আলাইহিস সালাম) হতেন, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা তা উল্লেখ করতেন এবং সেই মেয়ে দু’টিও তার নাম বলতেন।
তাছাড়া শু‘আইব (আলাইহিস সালাম)-এর জাতিকে আল্লাহ তা‘আলা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে কেবল তারাই জীবিত ছিলেন, যাঁরা শু‘আইব (আলাইহিস সালাম)-এর উপরে ঈমান এনেছিলেন। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে যে সকল মুমিনদেরকে মুক্তি দিলেন তারা কি তাদের নবীর মেয়ে দু’টিকে পানি পান করাতে বাধা দিবে এবং তাদের পশুগুলোকে নিবারণ করে রাখবে? (এটা কি ভাবা যায়?) অতঃপর অপরিচিত এক যুবক এসে তাদের উপর অনুগ্রহ করবে এবং তাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়ে দিবে’ (তাইসীরুল কারীমির রহমান ফী তাফসীরি কালামিল মান্নান, পৃ. ৬১৪)। ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘শু‘আইব (আলাইহিস সালাম) মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর বহু যুগ আগে ছিলেন’ (তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২২৯)।
প্রশ্নকারী : হাসিবুল ইসলাম, রাজশাহী।