উত্তর : এ ধরনের ব্যক্তিকে পাটনার হিসাবে নেয়া বৈধ হবে না। কারণ আল্লাহ পবিত্র বস্তুকে হালাল করেছেন এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেছেন (সূরা আল-আ‘রাফ ১৫৭)। তাই একজন মুসলিমের উচিত হল, বিশ্বস্ত ও ন্যায়পরায়ণ মুসলিমকে তার ব্যবসার পাটনার হিসাবে নির্বাচন করা। যদিও হারাম উপার্জনকারী কয়েক ধরনের। এক. যার সমস্ত সম্পদই হারাম কিংবা হালাল-হারাম মিশ্রিত; কিন্তু হালাল-হারাম আলাদা করা সম্ভব। ব্যবসার মূলধন যদি সরাসরি হারাম সম্পদ হয়, তাহলে তাকে ব্যবসায় অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না। কেননা এ কাজের মাধ্যমে একটি হারাম কাজকে সমর্থন করা হয়। শীরাযী (রাহিমাহুল্লাহ) তার ‘আল-মুহাযযাব’ গ্রন্থে বলেন, ‘যার সমস্ত সম্পদই হারাম তার সাথে ব্যবসা করা যাবে না’। দুই. যার সম্পদ হালাল-হারাম মিশ্রিত; কিন্তু মূলধন হালাল সম্পদের অন্তর্ভুক্ত, তাকে অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করা যাবে। তিন. যার সম্পদ হালাল-হারাম মিশ্রিত এবং হালাল-হারাম আলাদা করা যায় না, তাকে অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করা বৈধ রয়েছে। কিন্ত এ ধরনের ব্যক্তি থেকে বিরত থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ। বিশেষত হারাম সম্পদের হার যখন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সর্বোপরি এ ধরনের ব্যক্তিকে হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকার নছীহত করতে হবে (ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং-২৭৯১৭, ৬৫৩৫৫)।
প্রশ্নকারী : জাহিদ, ঠাকুরগাঁও।