উত্তর : বেকারত্ব দূর হওয়ার ক্ষেত্রে কতিপয় আমল সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ১. তাক্বওয়া : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য মুক্তির পথ তৈরী করে দেন। আর তিনি তাকে এমন জায়গা থেকে রিযিক্ব দেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না’ (সূরা আত-ত্বলাক্ব : ১-২)। ২. তাওয়াক্কুল : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট’ (সূরা আত-ত্বলাক্ব : ২)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘তোমরা যদি যথাযথভাবে আল্লাহর উপর ভরসা করতে তাহলে পাখিদের যেভাবে রিযিক্ব দেয়া হয় তিনি তোমাদের সেভাবেই রিযিক্ব দিতেন। পাখিরা সকালবেলা খালি পেটে বের হয় আর সন্ধায় ভরা পেটে নীড়ে ফিরে আসে (তিরমিযী, হা/২৩৪৪)। ৩. ইস্তিগফার : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তো অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য আকাশ হতে প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে’ (সূরা নূহ : ১০-১২)।
রিযিক্বে বরকত হওয়ার কিছু আমল রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ১. পাপ থেকে দূরে থাকা ও আল্লাহকে ভয় করা : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমরা অবশ্যই আসমান-যমীন থেকে বরকতসমূহ তাদের উপর খুলে দিতাম; কিন্তু তারা অস্বীকার করল। অতঃপর তাদের কৃতকর্মের কারণে আমরা তাদের পাকড়াও করলাম’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ৯৬)। ২. হালাল উৎস থেকে রিযিক্ব গ্রহণ করা : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘নিশ্চয় এই পার্থিব জীবন শ্যামল ও সুমিষ্ট। তবে যে ব্যক্তি তা ন্যায়ভাবে গ্রহণ করবে আল্লাহ তাতে বরকত দিবেন (তাবরানী, আল-মু‘জামুল কাবীর, ২৪তম খ-, পৃ. ৫৭৯)। ৩. সকাল সকাল কর্ম শুরু করা : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে দু‘আ করতেন যে, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতের ভোর বেলায় বরকত ও প্রাচুর্যতা দান করুন (তিরমিযী, হা/১২১২)। ৪. ব্যবসা-বাণিজ্যে সত্যবাদী হওয়া : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যদি তারা (ক্রেতা-বিক্রেতা) সত্য বলে ও (পণ্যের) যথাযথ অবস্থা বর্ণনা করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে (তিরমিযী, হা/২০৮২)। সর্বোপরি অধিক শুকরিয়া আদায় ও দু‘আর মাধ্যমে রিযিক্বে বরকত লাভ করা যায়।
প্রশ্নকারী : শাহাদাত, ময়মনসিংহ।