মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

সুন্নাতের রূপরেখা

-মাইনুল ইসলাম মঈন*


(৪র্থ কিস্তি)

(৩য় কিস্তির পর)

ঙ). নবীর সিদ্ধান্ত ও অনুশাসন মেনে নেয়া ঈমানের অংশ

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

فَلَا وَ رَبِّکَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ حَتّٰی  یُحَکِّمُوۡکَ فِیۡمَا شَجَرَ  بَیۡنَہُمۡ ثُمَّ  لَا  یَجِدُوۡا فِیۡۤ  اَنۡفُسِہِمۡ حَرَجًا  مِّمَّا قَضَیۡتَ  وَ یُسَلِّمُوۡا  تَسۡلِیۡمًا

‘কিন্তু না, তোমার রবের কসম, তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের সকল বিবাদ-বিসংবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক নির্ধারণ না করে এবং আপনি যে সিদ্ধান্ত দেন, তার ব্যাপারে মনে কোন অসন্তোষ পোষণ না করে ও তারা পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ না করে’ (সূরা আন-নিসা : ৬৫)। এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ সম্পর্কে উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,

أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِيْ يَسْقُوْنَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ فَأَبَى عَلَيْهِ؟ فَاخْتَصَمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلزُّبَيْرِ أَسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ فَغَضِبَ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ؟ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللهِ إِنِّيْ لَأَحْسِبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِيْ ذَلِكَ { فَلَا وَ رَبِّکَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ حَتّٰی  یُحَکِّمُوۡکَ فِیۡمَا شَجَرَ  بَیۡنَہُمۡ }

‘একজন আনছারী হাররার নালার পানি নিয়ে যুবাইর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর সাথে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে ঝগড়া করল, যে পানি দিয়ে তিনি খেজুর বাগান সেচ দিতেন। অতঃপর আনছারী ব্যক্তি বলল, আপনি পানি ছেড়ে দিন যাতে তা প্রবাহিত হতে পারে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করলেন। এটা নিয়ে তারা দু’জন নবী করীম এর সামনেই বিতর্কে লিপ্ত হল। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে যুবাইর! সেচ দিতে থাক। তারপর তা তোমার প্রতিবেশীর জন্য ছেড়ে দাও। এতে আনছারী রাগান্বিত হল এবং বলল, সে আপনার ফুফাতো ভাই তাই! এ কথায় আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, সেচ দাও। পানি ক্ষেতের বাঁধ পর্যন্ত পৌঁছে গেলে বন্ধ করে দাও। যুবাইরকে তিনি তার পুরা হক্ব দিলেন। যুবাইর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আল্লাহর কসম! এ আয়াত এ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয় : ‘কিন্তু না, তোমার রবের কসম, তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার নয়, যতক্ষণ না তারা তাদের সকল বিবাদ-বিসংবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক নির্ধারণ না করে..’ (সূরা আন-নিসা : ৬৫)।[১]

লক্ষণীয় যে, আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতটি ‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রব’-এর নামে শপথ দিয়ে শুরু করেছেন। যা কুরআনে প্রাপ্ত অন্যান্য শপথের চেয়ে বড় মাপের শপথ। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কর্তৃত্ব স¤পূর্ণরূপে মেনে নেয়াটা মুমিনদের জন্য অপরিহার্য। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

إِذَا حَكَّمُوْكَ يُطِيْعُوْنَكَ فِيْ بَوَاطِنِهِمْ فَلَا يَجِدُوْنَ فِيْ أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا حَكَمْتَ بِهِ وَيَنْقَادُوْنَ لَهُ فِي الظَّاهِرِ وَالْبَاطِنِ فَيُسَلِّمُوْنَ لِذَلِكَ تَسْلِيْمًا كُلِّيًّا مِنْ غَيْرِ مُمَانِعَةٍ وَلَا مُدَافِعَةٍ وَلَا مُنَازِعَةٍ

‘তারা যখন আপনার মীমাংসাকে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়ে অন্তরে আপনার প্রতি আনুগত্য পয়দা করে, তখন স্বীয় অন্তরে আপনার ফায়সালার ব্যাপারে যেন কোন প্রকারের সংকীর্ণতা পোষণ না করে। তারা যেন প্রকাশ্যে ও গোপনে তা বাস্তবায়ন করে এবং এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হওয়া ছাড়াই সম্পূর্ণরূপে যেন আত্মসমার্পণ করে’।[২]

চ). আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আহবানে সাড়া দেয়া আবশ্যক

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَجِیۡبُوۡا لِلّٰہِ وَ لِلرَّسُوۡلِ  اِذَا دَعَاکُمۡ  لِمَا یُحۡیِیۡکُمۡ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আহ্বানে সাড়া দাও যখন রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের জীবন সঞ্চালক বস্তুর দিকে আহ্বান করেন’ (সূরা আল-আনফাল : ২৪)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম শাওক্বানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

يَجِبُ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ إِذَا بَلَغَهُ قَوْلُ اللهِ أَوْ قَوْلُ رَسُوْلِهِ فِيْ حُكْمٍ مِنَ الْأَحْكَامِ الشَّرْعِيَّةِ أَنْ يُبَادِرَ إِلَى الْعَمَلِ بِهِ كَائِنًا مَا كَانَ وَيَدَعَ مَا خَالَفَهُ مِنَ الرَّأْيِ وَأَقْوَالِ الرِّجَالِ

‘এ আয়াত এই ব্যাপারটা প্রমাণ করে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে সে যে আদেশই শুনতে পাক না কেন, প্রতিটি মুসলিমের জন্য সেটা মেনে চলাটা অবশ্যকরণীয়- যদিও বা সেই আদেশ তার নিজের আকাঙ্খা, মতামত অথবা জনপ্রিয় প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে যায়’।[৩]

আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ডাকে কিভাবে সাড়া দেবে তা হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন- আবূ সাঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,

(كُنْتُ أُصَلِّيْ فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ أُجِبْهُ حَتّٰى صَلَّيْتُ ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ! إِنِّيْ كُنْتُ أُصَلِّيْ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلِ اللهُ  (اسۡتَجِیۡبُوۡا لِلّٰہِ وَ لِلرَّسُوۡلِ  اِذَا دَعَاکُمۡ

‘আমি মসজিদে ছালাত পড়ছিলাম। এমন সময় নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ডাকলেন, আমি ছালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জবাব দিলাম না। অতঃপর তাঁর নিকট গিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি ছালাত আদায় করছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, ‘তোমরা আল্লাহ ও রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আহ্বানে সাড়া দাও, যখন রাসূল তোমাদেরকে আহ্বান করেন’ (সূরা আল-আনফাল : ২৪)।[৪]

ছ). আল্লাহ এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য হতে বিমুখ হওয়া হারাম

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ  وَ لَا تَوَلَّوۡا عَنۡہُ وَ اَنۡتُمۡ تَسۡمَعُوۡنَ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমরা যখন তাঁর কথা শুনছো তখন তাঁর আনুগত্য হতে মুখ ফিরিয়ে নিও না’ (সূরা আল-আনফাল : ২০)।

ইবনে কাছীর বলেন,وَأَنْتُمْ تَسْمَعُونَ أَيْ بَعْدَ مَا عَلِمْتُمْ مَا دَعَاكُمْ إِلَيْهِ ‘অথাৎ তোমরা যখন জান যে, কোন দিকে তোমাদের আহবান করছেন, তার পরে মুখ ফিরিয়ে নিও না’।[৫]

মোটকথা, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন বিষয়ে কিছু বললে বা নির্দেশ দিলে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া অথবা অবজ্ঞা করা কোন ক্রমেই গ্রহণযাগ্যে নয়।

জ). আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আহ্বান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া মুনাফিক্বের লক্ষণ

কেবল একজন মুনাফিক্ব অথবা ত্রুটিযুক্ত অসুস্থ ঈমানসম্পন্ন ব্যক্তিই আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা উপস্থাপন করেছেন, তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়াটাকে আল্লাহ নিজেই মুনাফিক্বের একটা বৈশিষ্ট্য বলে বর্ণনা করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ  اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ تَعَالَوۡا اِلٰی مَاۤ  اَنۡزَلَ اللّٰہُ وَ اِلَی الرَّسُوۡلِ رَاَیۡتَ الۡمُنٰفِقِیۡنَ یَصُدُّوۡنَ عَنۡکَ  صُدُوۡدًا

‘তাদের যখন বলা হয় আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে এসো তখন আপনি মুনাফিক্বদের আপনার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখবেন’ (সূরা আন-নিসা : ৬১)।

ঝ). আনুগত্য করলে হেদায়াত পাবে, আর মুখ ফিরিয়ে নিলে তার দায়ভার সে নিজে বহন করবে

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ فَاِنۡ  تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا عَلَیۡہِ مَا حُمِّلَ وَ عَلَیۡکُمۡ مَّا حُمِّلۡتُمۡ  وَ اِنۡ تُطِیۡعُوۡہُ تَہۡتَدُوۡا  وَ مَا عَلَی الرَّسُوۡلِ  اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ

‘বলুন! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে তার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য সেই দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী; এবং তোমরা তার আনুগত্য করলে সৎপথ খুজে পাবে, আর রাসূলের কাজ তো কেবল স্পষ্টভাবে বাণী পৌঁছে দেয়া’ (সূরা আন-নূর : ৫৪)।

ঞ). কুরআর-সুন্নাহর অবাধ্যতায় কৃতকর্ম বিনষ্ট হয়

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ  اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ لَا تُبۡطِلُوۡۤا اَعۡمَالَکُمۡ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আর তোমাদের আমল বিনষ্ট করে দিও না’ (সূরা মুহাম্মাদ : ৩৩)।

ইমাম কুরতুবী (মৃ. ৬৭১ হি.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুক্বাতিলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,يقول الله تعالى إذا عصيتم الرسول فقد أبطلتم أعمالكم ‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যদি তোমরা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অমান্য কর, তবে তোমরা তোমাদের আমল বিনষ্ট করে দিলে’।[৬]

উল্লেখ্য যে, পবিত্র কুরআনের নয়টি আয়াতে আল্লাহ পরিস্কারভাবে কেবল তাঁর নিজের প্রতি আনুগত্যের আদেশই দেননি বরং তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্যের আদেশও দিয়েছেন। কুরআনুল কারীমেیٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا  (হে বিশ্বাসীগণ) বলে সম্বোধন করে বোঝানো হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মেনে চলা ও অনুসরণ করার আদেশ কেবল নবীর জীবদ্দশার সময়কাল ও তাঁর ছাহাবীদের মাঝে সীমিত নয়। বরং যে নিজেকে বিশ্বাসী বলে দাবী করে, তাদেরর বেলায়ই এই আদেশ প্রযাজ্যে। যা বর্তমানে অনেকে বলে থাকে যে, তার জন্য নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করাটা যরূরী নয়। কেননা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করাটা কেবল তাঁর জীবদ্দশায় প্রযাজ্যে ছিল। কার্যত সে এমন লোকদের মতই কথা বলছে যারা ঈমানদার নয়। এরা তাদেরই অন্তর্ভূক্ত যাদেরকে আল্লাহ কুরআনে কাফির বলে সম্বোধন করেছেন। ড. লোকমান সালাফী বলেন,

أنه ما جاء أمر بطاعة الله في كتابه الكريم إلا قرن الله تعالی معه الأمر بطاعة رسوله وشركه إما بواو العطف أو بواو العطف مع إعادة الأمر بالطاعة وكذلك ما ورد في القرآن الكريم تحذير أو تخويف من معصية الله إلا عطف الله رسوله عليه في هذا التحذير أو التخويف

‘কুরআনে এমন কোন স্থান নেই যেখানে আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি আনুগত্যের কথা স্পষ্ট উল্লেখ না করে কেবল তাঁর নিজের প্রতি আনুগত্যের আদেশ দিয়েছেন। একইভাবে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অবাধ্যতার ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা ছাড়া আল্লাহ তাঁর নিজের প্রতি অবাধ্যতার ব্যাপারেও সাবধানবাণী উচ্চারণ করেননি’।[৭]

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্যের মাধ্যম ছাড়া সত্যিকার অর্থে আল্লাহর প্রতি কোন আনুগত্য থাকতে পারে না। অর্থাৎ আল্লাহ তাঁর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে অহী দ্বারা যে পথ-নিদের্শনা প্রেরণ করেছেন, তা তার মাধ্যম ছাড়া কোনভাবেই অর্জন করা সম্ভব নয়। মোট কথা কিভাবে আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্য করতে হবে সেটা জানার একমাত্র পথই হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহর অনুসরণ।

অন্যদিকে এমনও অনেক আয়াত দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে আল্লাহ তাঁর নিজের প্রতি আনুগত্যের উল্লেখ না করেই কেবল রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি আনুগত্যের আদেশ দিয়েছেন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করার সব ধরনের বিভ্রান্তির পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ সূরা আন-নূরে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ  وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ‘তোমরা ছালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য কর যাতে তোমরা রহমত লাভ করতে পার’ (সূরা আন-নূর : ৫৬)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُ الۡہُدٰی وَ یَتَّبِعۡ غَیۡرَ  سَبِیۡلِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ نُوَلِّہٖ مَا تَوَلّٰی وَ نُصۡلِہٖ جَہَنَّمَ   وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا

‘কারো কাছে সৎপথ ¯পষ্ট হওয়ার পরেও সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে সে যেদিকে ফিরে যায়, আমরা তাকে সেদিকেই যেতে দেব এবং তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাব। কত মন্দ সে আবাসস্থল’ (সূরা আন-নিসা : ১১৫)।

ড. তাকী উছমানী বলেন,

The reason for so much stress upon the obedience of the Prophet” is that “obedience to Allah” cannot be carried out except through “obedience of the Prophet.” Allah does not address each and every individual to tell him what He requires from him………

‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্যের প্রতি এত বেশী গুরুত্বারোপ করার কারণ হচ্ছে, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য ছাড়া আল্লাহর আনুগত্যের দাবী পূরণ করা সম্ভব নয়। আল্লাহ আলাদা আলাদা করে প্রতিটি ব্যক্তিকে সম্বোধন করে বলে দেন না যে, তার কাছে তিনি কি চান।[৮] তিনি আরো বলেন

The obedience of the Prophet (peace be upon him) represents the obedience of Allah and the reference to the former always includes the latter. That is why the Holy Quran [sic] in some verses deemed it sufficient to refer to the obedience of the Messenger only, for the practical way to obey Allah is only to obey the Prophet. On the contrary, the Holy Quran [sic] did not deem it sufficient to refer to the “obedience of Allah” without referring to the “obedience of the Messenger,” to remove even the remotest excuse for ignoring the “obedience of the Prophet” and to leave no doubt whatsoever in the fact that the “obedience of Allah” is not complete unless the “obedience of the Prophet” is fully observed with all its implications.

‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্যই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং প্রথম ব্যাপারটার ভিতরে সবসময়ই দ্বিতীয় ব্যাপারটা অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর সেজন্যই পবিত্র কুরআন, কিছু কিছু আয়াতে কেবল রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করাকেই যথেষ্ট মনে করেছে, কেননা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের একমাত্র বাস্তব উপায় হচ্ছে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য। অপর পক্ষে পবিত্র কুরআন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্যের উল্লেখ ছাড়া কেবল আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের ব্যাপারটা উল্লেখ করা যথেষ্ট মনে করেনি। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্যকে অবজ্ঞা করার সামান্যতম অজুহাতের সম্ভাবনা বাতিল করতে এবং সকল নিহিতার্থ সমেত রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য ছাড়া যে আসলে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য অসম্পূর্ণ থেকে যায়, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ না রাখতে চেয়ে এমনটা করা হয়েছে’।[৯]

এই আদেশের উপর আল্লাহ যে গুরুত্বারোপ করেছেন, তা তার পুনরাবৃত্তি থেকেই স্পষ্ট। এ ব্যাপারে কোন মুসলিমের মনে কোন প্রকার সন্দেহ থাকার উপায় নেই যে, নবীর আনুগত্য করা এবং তার অনুসরণ করা তার উপর ফরয।

ট). রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করলে আল্লাহর ভালবাসা, সত্যিকার জীবন ও হেদায়াত লাভ করা যায়

সত্যিকার অর্থে যে আল্লাহকে ভালবাসে, সে এমনভাবে জীবন যাপন করবে, যার কারণে আল্লাহ তাকে ভালবাসবেন। আল্লাহর ভালবাসা পেতে হলে, কেবল রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ এবং আনুগত্য করতে হবে। এর ফলে আল্লাহ তাকে ভালবাসবেন এবং তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  قُلۡ  اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰہُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ  وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ  رَّحِیۡمٌ ‘বলুন!, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ  তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ৩১)।

ইমাম শাওকানী বলেন,

وَقَدْ فُسِّرَتِ الْمَحَبَّةُ لِلهِ سُبْحَانَهُ بِإِرَادَةِ طَاعَتِهِ. قَالَ الْأَزْهَرِيُّ: مَحَبَّةُ الْعَبْدِ لِلهِ وَرَسُولِهِ طَاعَتُهُ لَهُمَا وَاتِّبَاعُهُ أَمْرَهُمَا

‘আল্লাহকে ভালবাসা’ এই কথাটার ব্যাখ্যা হচ্ছে, পরিপূর্ণরূপে আল্লাহর আনুগত্য করার আকাক্সক্ষা করা। আল-আজহারী বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভালবাসার অর্থ হল, ‘সে উভয়ের আনুগত্য করবে এবং উভয়ের নির্দেশ মেনে চলবে’।[১০] ইবনে কাছীর বলেন,

هَذِهِ الْآيَةُ الْكَرِيمَةُ حَاكِمَةٌ عَلَى كُلِّ مَنِ ادَّعَى مَحَبَّةَ اللهِ وَلَيْسَ هُوَ عَلَى الطَّرِيقَةِ الْمُحَمَّدِيَّةِ فَإِنَّهُ كَاذِبٌ فِي دَعْوَاهُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ حَتَّى يَتَّبِعَ الشَّرْعَ الْمُحَمَّدِيَّ وَالدِّينَ النَّبَوِيَّ فِي جَمِيعِ أَقْوَالِهِ وأفعاله

‘এ সম্মানিত আয়াতটি মীমাংসা করে দিয়েছে যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসার দাবী করে, কিন্তু তার কথা ও কর্ম যদি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশের অনুরূপ না হয় এবং সে তাঁর সুন্নাতের অনুসারী না হয়, তবে সে তার দাবীতে মিথ্যুক’।[১১]

ঠ). জান্নাত লাভ

আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণে জান্নাত লাভ করা যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ یُدۡخِلۡہُ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا وَ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ  الۡعَظِیۡمُ ‘কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে এবং এটা মহা সাফল্য’ (সূরা আন-নিসা : ১৩)।

ড). উত্তম সঙ্গী গ্রহণের সুযোগ

وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ فَاُولٰٓئِکَ مَعَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ مِّنَ النَّبِیّٖنَ وَ الصِّدِّیۡقِیۡنَ وَ الشُّہَدَآءِ وَ الصّٰلِحِیۡنَ  وَ حَسُنَ اُولٰٓئِکَ رَفِیۡقًا

‘আর যে কেউ আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত হয়, তবে তারা ঐ ব্যক্তিদের সঙ্গী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ ও সৎকর্মশীলগণ এবং এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী’ (সূরা আন-নিসা : ৬৯)।

ঢ). আল্লাহর রহমত লাভ

সত্যিকার বিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট হচ্ছে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুগত। ঐ সকল ব্যক্তিরাই আল্লাহর রহমত লাভের আশা করতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ یَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ  وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ یُطِیۡعُوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ  اُولٰٓئِکَ سَیَرۡحَمُہُمُ اللّٰہُ   اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ  حَکِیۡمٌ

‘আর মুমিন পুরুষরা ও মুমিন নারীরা হচ্ছে পরস্পর একে অন্যের বন্ধু, তারা সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করে, আর ছালাত কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে, আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ মেনে চলে, এসব লোকের প্রতি আল্লাহ অবশ্যই করুণা বর্ষণ করবেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ অতিশয় পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়’ (সূরা আত-তাওবা : ৭১)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, وَ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ‘আর তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা রহমত লাভ করতে পার’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৩২)।

(ইনশাআল্লাহ চলবে)


* এম.ফিল গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়;  শিক্ষক, মহব্বতপুর দারুল উলূম আলিম মাদরাসা, মোহনপুর, রাজশাহী।

তথ্যসূত্র: 
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/২৩৫৯।
[২]. মুখতাছার তাফসীরে ইবনে কাছীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪১০।
[৩]. ফাতহুল ক্বাদীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪২।
[৪]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৭৪।
[৫]. মুখতাসার তাফসীর ইবনে কাছীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৪-৯৫।
[৬]. শামসুদ্দীন কুরতুবী, তাফসীরে কুরতুবী (কায়রো : দারুল কুতুব আল-মিসরীয়্যাহ, ২য় সংস্করণ, ১৩৮৪ হি./১৯৬৪ খ্রি.), ১৬তম খণ্ড, পৃ. ২৫৫।
[৭]. ড. লোকমান সালাফী, মাকানাতুস সুন্নাহ ফিত তাশরীঈল ইসলামী ওয়া দাহযু মাযায়িমিল মুনকিরীন ওয়াল মুলহিদীন (রিয়াদ : দারুদ দাঈ লিল নাশ্র ওয়াত তাওযী, ২য় সংস্করণ, ১৪২০ হি./ ১৯৯৯ খ্রি.) পৃ. ১৮।
[৮]. Justice Muhammad Taqi Usmani, The Authority Of The Sunnah, (Idratul Quran, Karachi, Pakistan)  p. 16.
[৯]. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭।
[১০]. ইমাম শাওকানী, ফাতহুল কাদীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৮২।
[১১]. মুখতাসার তাফসীর ইবনে কাসীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৭৭।





প্রসঙ্গসমূহ »: বিধি-বিধান
হজ্জের শিক্ষা ও হজ্জ পরবর্তী করণীয় - ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
সালাফী মানহাজের মূলনীতিসমূহ (২য় কিস্তি) - আব্দুল গাফফার মাদানী
পরবর্তীদের তুলনায় সালাফদের জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব - অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
জঙ্গিবাদ বনাম ইসলাম - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ইমাম মাহদী, দাজ্জাল ও ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর আগমন সংশয় নিরসন (৯ম কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী
ইসলামী তাবলীগ বনাম ইলিয়াসী তাবলীগ (৩য় কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ছয়টি মূলনীতির ব্যাখ্যা (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
সুন্নাতের আলো বিদ‘আতের অন্ধকার (১০ম কিস্তি) - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
হজ্জ মুসলিম উম্মাহর বিশ্ব সম্মেলন - প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
এমফিল ও পিএইচডি : গবেষণার প্রকৃতি ও পদ্ধতি - ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অবস্থান (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির

ফেসবুক পেজ