উত্তর : ইসলামী শরী‘আত কোন পেশার কারণে বিয়ে হারাম ঘোষণা করে না, যদি সেই মেয়ে ঈমানদার, চরিত্রবান ও শারঈ দিক থেকে বৈধ হয়। একজন নার্স মেয়েকে বিয়ে করা সম্পূর্ণ হালাল যদি সে ছালাত আদায়কারী, পর্দাশীলা, চরিত্রাবান, হারাম কাজ বা হারাম সম্পর্কের মধ্যে না থাকে, তার চাকরির পরিবেশ শরী‘আতের সীমারেখা লঙ্ঘন না করে। যেমন পরপুরুষের সঙ্গে অহেতুক মিশ্রণ, শারীরিক স্পর্শ ইত্যাদি। হাদীছে এসেছে, নবী (ﷺ) বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়। যথা: তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। সুতরাং তুমি দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৫২৬)।
স্ত্রীকে নার্সের চাকরি করতে দেয়ার বিষয়টি মূলত নির্ভর করবে কর্মস্থলের পরিবেশের উপর। যদি শরী‘আতসম্মত পরিবেশ হয় যেমন: মহিলাদের ওয়ার্ডে, পর্দা রক্ষায় সুযোগ, পরপুরুষ স্পর্শ বা অবৈধ মিশ্রণ ছাড়া, তাহলে নার্সের চাকরি করা জায়েয। কিন্তু যদি শরী‘আতের সীমালঙ্ঘন হয় যেমন: মাহরাম পুরুষের স্পর্শ, মিক্সড ওয়ার্ক প্লেস, রাতে ডিউটির কারণে ফিতনা সৃষ্টি, তাহলে এমন চাকরি করা অনুমোদিত নয়। ইসলাম নারীর বাইরে কাজকে একদম হারাম বলেনি, বরং পর্দা, চরিত্র, সীমারেখা ও ফিতনার ঝুঁকি বিবেচনা করে শর্তযুক্ত করেছে। চিকিৎসা ও সেবাদান এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, তবে সেখানে শারঈ শর্ত মানা যরূরী।
প্রশ্নকারী : এনামুল কবীর, গাবতলি, বগুড়া।