বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, مَنۡ  ذَا الَّذِیۡ یُقۡرِضُ اللّٰہَ  قَرۡضًا حَسَنًا فَیُضٰعِفَہٗ  لَہٗ  وَ لَہٗۤ  اَجۡرٌ کَرِیۡمٌ ‘কে আছ যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে? অতঃপর তিনি তার জন্য তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন? আর তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার’ (সূরা আল-হাদীদ: ১১)। উক্ত আয়াতে বর্ণিত ‘কর্যে হাসানাহ’-এর অর্থ  বর্ণনায় ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ও অন্য সালাফগণ বলেন, الْإِنْفَاقُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করা’ (ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ৮/১৪ পৃ.)। আল্লাহর পথে আর্থিক ব্যয় ছাড়াও সময়, শ্রম ও ইলমের ব্যয় এবং অন্যান্য সকল প্রকার ব্যয়ের পুরস্কার সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘কোন্ সে ব্যক্তি যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে, অতঃপর তিনি তার বিনিময়ে তাকে বহুগুণ বেশী দান করবেন? বস্তুতঃ আল্লাহই রূযী সংকুচিত করেন ও প্রশস্ত করেন। আর তাঁরই দিকে তোমরা ফিরে যাবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৪৫)। দুনিয়াতে আল্লাহ বান্দার রূযী কমবেশী করেন এবং আখেরাতে তার আমল ও তার খুলূছিয়াতের তারতম্যের ভিত্তিতে পুরস্কারে তারতম্য করেন। আয়াতটিতে আল্লাহর পথে সকল প্রকার ব্যয় এবং বিশেষ করে জিহাদের জন্য ব্যয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কেননা জিহাদ হল ইসলামের চূড়া (ইবনু মাজাহ, হা/৩৯৭৩; তিরমিযী, হা/২৬১৬; আহমাদ, হা/২২০৬৯)। চূড়াবিহীন গৃহের যে অবস্থা, জিহাদবিহীন দ্বীনের সেই অবস্থা।

ইসলামের প্রথম দিকে নাযিল হওয়া সূরা আল-মুযযাম্মিলে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اَقۡرِضُوا اللّٰہَ  قَرۡضًا حَسَنًا ‘তোমরা ছালাত কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও’ (সূরা আল-মুযযাম্মিল: ২০)। মাদানী জীবনে একই মর্মে সূরা বাক্বারাহ ২৪৫ আয়াত নাযিল হলে কাফের-মুশরিকরা ঠাট্টা করে বলে, আল্লাহ ফকীর। আমরা ধনী। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলে আল্লাহ ফকীর ও আমরা ধনী। তারা যা বলে এবং তারা যে অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করেছিল, সবই আমরা লিখে রাখব এবং তাদেরকে (ক্বিয়ামতের দিন) বলব, দহনজ্বালাকর শাস্তির স্বাদ আস্বাদন কর’ (সূরা আলে ইমরান: ১৮১)। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হয়, তখন আবূ দাহদাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আল্লাহ কি আমাদের নিকট ঋণ চাচ্ছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, আবূ দাহদাহর জন্য জান্নাতে কতই না অধিক খেজুরের ঝুলন্ত কাঁদি রয়েছে!’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৬৫)। বর্ণিত আয়াতে মুমিনকে তার জান-মাল আল্লাহর পথে ব্যয়ের মাধ্যমে তাঁকে উত্তম ঋণ দানের আহ্বান জানানো হয়েছে। যার বিনিময়ে আল্লাহ তাকে মহা পুরস্কারে ভূষিত করবেন।


প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান, বরিশাল।





প্রশ্ন (৪০) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কবর ত্বাওয়াফ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) :  মসজিদের ইমাম তাবীয-কবয দিয়ে ব্যবসা করেন। এছাড়া আরো নোংরা কাজে জড়িত। তার আক্বীদা হচ্ছে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, নিরাকার। প্রশ্ন হল, এমন ব্যক্তির পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : রামাযান মাসে মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ‘দাতা ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী, জান্নাতের নিকটবর্তী, মানুষেরও নিকটবর্তী, জাহান্নাম হতে দূরবর্তী। আর কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ হতে দূরবর্তী, জান্নাত হতে দূরবর্তী, মানুষ হতেও দূরবর্তী, নিকটবর্তী। নিশ্চয় মূর্খ দানশীল কৃপণ জ্ঞানী অপেক্ষা আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয়’- মর্মে বর্ণনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ভুল করে বুকের দুধ খেলে কি দুধমাতা সাব্যস্ত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : আমার নিকটাত্মীয় একজনকে অভিশাপ দিয়ে ফেলেছে। আমি জানি যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে তিনি তার উপযুক্ত না। আমি তাকে অনেক বুঝিয়ে কনভিন্স করেছি। সে অনুতপ্ত। এখন আমি তাকে কী আমল করতে বলব যাতে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কবর কোথায় হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : কুরআন খতমের পর নিম্নের দু‘আ পড়ার কোন ছহীহ দলীল আছে কি? اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي بالقُرْءَانِ وَاجْعَلهُ لِي إِمَاماً وَنُوراً وَهُدًى وَرَحْمَةً اللَّهُمَّ ذَكِّرْنِي مِنْهُ مَانَسِيتُ وَعَلِّمْنِي مِنْهُ مَاجَهِلْتُ وَارْزُقْنِي تِلاَوَتَهُ آنَاءَ اللَّيْلِ وَأَطْرَافَ النَّهَارِ وَاجْعَلْهُ لِي حُجَّةً يَارَبَّ العَالَمِينَ - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ‘যে ব্যক্তি খুশি মনে, নেকীর আশায় কুরবানীর পশু যবেহ করবে, তার জন্য সে পশু জাহান্নামের ঢাল হবে’। উক্ত হাদীছের সনদ সম্পর্কে জানতে চাই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : দেওবন্দী মানহাজের লোকেরা বলে থাকে যে, চার ইমামের প্রত্যেকেই ২০ রাক‘আত তারাবীহ আদায় করেছেন এবং অন্যদেরকে পড়তে বলেছেন। প্রশ্ন হল- তাদের দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২): নিছাব পরিমাণ হওয়ার সময় আমার কাছে সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ টাকা। বছর ফুর্তির সময় সেটা বেড়ে ২ লক্ষ টাকা হয়। তাহলে কোন্ অংকটির উপর যাকাত হিসাব করতে হবে? নিছাব পরিমাণ হওয়া থেকে, না-কি বছর পুর্তি থেকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : হালাল হারামের তোয়াক্কা না করে অনেকেই মসজিদে দান করে এবং সেই দানের টাকা দিয়ে মসজিদ সংস্কার করা হচ্ছে। এমন মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ