শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
উমরাহ ও হজ্জের সঠিক পদ্ধতি
-ড. মুযাফফর বিন মুহসিন

হাজ্জীগণ সাধারণত হজ্জে তামাত্তু‘ করেন। হজ্জের সফরে বের হলেও তামাত্তু‘ হজ্জ করার কারণে আগে উমরার ইহরাম বাঁধতে হয়। তাই উমরার উদ্দেশ্যে সফরের দু‘আ পড়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাবে। সুবিধামত জায়গায় ইহরামের কাপড় পরে নিবে- বিমান বন্দরে বা হজ্জ ক্যাম্পে অথবা নিকটস্থ বাড়ী বা হোটেল থেকে বের হলে ইহরামের কাপড় পরে বেরিয়ে যাবে। অতঃপর মীক্বাত পর্যন্ত পৌঁছলে বা বিমানের মধ্যে মীক্বাতে পৌঁছার ঘোষণা দিলে لَبَّيْكَ عُمْرَةً (লাব্বায়কা ওমরাতান) ‘হে আল্লাহ! আমি ওমরার জন্য হাযির’[১] বলে ওমরার ইহরাম বাঁধবে বা নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ শুরু করবে।[২] তালবিয়া হল-

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ.

উচ্চারণ: লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নি‘মাতা লাকা ওয়াল-মুলক, লা শারীকা লাক। অর্থ: ‘আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোন শরীক নেই, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। নিশ্চয় সমস্ত প্রশংসা, নে‘মত এবং সাম্রাজ্য আপনারই। আপনার কোন শরীক নেই’।[৩] তালবিয়ার সাথে সাথে অন্যান্য দু‘আ, যিকির, তাসবীহ, তাহলীলও করা যাবে।[৪] উল্লেখ্য যে, ইহরাম বাঁধার সময় কোন ছালাত নেই। দুই রাক‘আত ছালাত পড়ার যে নিয়ম চালু আছে, শরী‘আতে তার কোন ভিত্তি নেই। তবে কোন ছালাতের সময় হলে ছালাতের পর ইহরাম বাঁধবে।[৫]

উল্লেখ্য, পুরুষরা উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে।[৬] তবে মহিলারা নিম্নস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে।[৭] ওমরা পালনকারী ত্বওয়াফ শুরু করার সময় তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করবে।[৮]

ইহরামের পর নিষিদ্ধ কাজ: ইহরামের পরে নিষিদ্ধ কাজগুলো হল- স্ত্রী সহবাস করা[৯], মাথা এবং শরীরের কোন অংশ কেটে ফেলা[১০], সুগন্ধি ব্যবহার করা[১১], স্থলভাগের প্রাণী শিকার করা ও যবেহ করা[১২], ইচ্ছাকৃতভাবে পুরুষের মাথা ঢাকা[১৩], বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া[১৪], যৌন কামনার সাথে স্ত্রীকে চুম্বন করা, স্পর্শ করা কিংবা জড়িয়ে ধরা।[১৫] উল্লেখ্য যে, শুধু স্ত্রী সহবাসের কারণে হজ্জ বিনষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু অন্যগুলোর কারণে হজ্জ নষ্ট হয় না। বরং ফিদইয়া ওয়াজিব হয়।[১৬]

ত্বাওয়াফ ও সাঈ: ত্বাওয়াফ অর্থ কা‘বা ঘর প্রদক্ষিণ করা। এর পদ্ধতি হল, ত্বাওয়াফের শুরুতে গায়ের চাদর ডান বগলের নীচ দিয়ে বাম কাঁধের উপরে উঠিয়ে দিয়ে ডান কাঁধ খালি রাখবে। সাত চক্করেই এই অবস্থায় থাকবে।[১৭] শুধু প্রথম ত্বাওয়াফেই ইযত্বেবা করতে হবে। এছাড়া ইহরামের বাকী সব অবস্থায় চাদর উভয় কাঁধে থাকবে। অতঃপর কা‘বা ঘরকে বাম পাশে রেখে হাজারে আসওয়াদ বরাবর কোণ থেকে (সবুজ বাতি বরারব) ‘আল্লাহু আকবার’[১৮] অথবা ‘বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লাহু আকবার’ বলে ত্বাওয়াফ শুরু করবে। প্রত্যেক চক্করেই এভাবে বলবে।[১৯] ভীড় না থাকলে হাজারে আসওয়াদে চুম্বন করবে।[২০] সম্ভব না হলে হাত কিংবা হাতের লাঠি দ্বারা স্পর্শ করবে এবং হাতে বা লাঠিতে চুম্বন করবে।[২১] তাও সম্ভব না হলে কেবল হাত দ্বারা ইশারা করবে, কিন্তু হাতে চুম্বন করবে না।[২২]

হাজারে আসওয়াদ যে কোণে রয়েছে, তার আগের কোণ হল রুকনে ইয়ামানী। এটা স্পর্শ করা অত্যন্ত ফযীলতপূণ। এই কোণে কেবল স্পর্শ করবে।[২৩] হাতে চুম্বন করবে না। স্পর্শ করতে না পারলে ইশারাও করা যাবে না। এখানে নির্দিষ্ট কোন দু‘আও পড়া যাবে না। তবে রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদের মাঝে রাসূল (ﷺ) নিম্নের দু‘আ পাঠ করতেন : رَبَّنَا آتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِى الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি দুনিয়াতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন’।[২৪]

ত্বাওয়াফের সময় নিজের জন্য, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনের জন্য দু‘আ করবে। আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইবে। মৃত্যু ও আখেরাতকে স্মরণ করবে। ত্বাওয়াফ অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াতও করা যাবে। কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত দু‘আগুলো পড়বে।[২৫] তবে ভিত্তিহীন বা যঈফ ও জাল দু‘আ পড়বে না। অনেকে বই দেখে দু‘আ পাঠ করে আর বাকীরা তার সাথে পড়ে। এটা উচিত নয়।

ত্বাওয়াফ শেষ করে মাক্বামে ইবরাহীমের পিছনে গিয়ে দুই রাক‘আ ছালাত আদায় করবে।[২৬] প্রথম রাক‘আতে সূরা কাফেরূন এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা ইখলাছ পড়বে।[২৭] সম্ভব না হলে হারামের যেকোন স্থানে ছালাত পড়ে নিবে।[২৮] অতঃপর যমযমের পানি পান করবে এবং মাথায় কিছু দিবে।[২৯] সেখান থেকে ছাফা পাহাড়ের দিকে যাবে এবং ছাফা হতে মারওয়া সাতবার সাঈ করবে। সাঈ সম্পাদনকারী ছাফা এবং মারওয়ার উপরে ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে হাত তুলে আল্লাহ্‌র একত্ব ও বড়ত্ব বর্ণনা করে বলবে,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كَلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ

‘এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই, যার কোন শরীক নেই। তাঁরই সকল রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। তিনি তাঁর অঙ্গীকার পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে বিজয়ী করেছেন এবং তিনি একাই শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করেছেন’। এভাবে যত ইচ্ছা দু‘আ করবে। এটা তিনবার করবে।[৩০]

া হজ্জের সঠিক পদ্ধতি

১- ইহরাম: বাংলাদেশের হাজীগণ সাধারণত ওমরার ইহরাম বেঁধেই মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাই ওমরার আলোচনায় তার পদ্ধতি দেখে নিন। মক্কায় হাজীগণ যেখানে অবস্থান করবেন, সেখান থেকেই ৮ই যিলহজ্জ ওযূ, গোসল ও সুগন্ধি মেখে لَبَّيْكَ حَجًّا (লাব্বায়কা হাজ্জান) ‘হে আল্লাহ! আমি হজ্জের জন্য হাযির’[৩১] বলে হজ্জের ইহরাম বেঁধে বা নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ করতে করতে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা করবেন। তালবিয়া হল-

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ.

উচ্চারণ: লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান-নি‘মাতা লাকা ওয়াল-মুলক, লা শারীকা লাক। অর্থ: ‘আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোন শরীক নেই, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি। নিশ্চয় সমস্ত প্রশংসা, নে‘মত এবং সাম্রাজ্য আপনারই। আপনার কোন শরীক নেই’।[৩২] তালবিয়ার সাথে সাথে অন্যান্য দু‘আ, যিকির, তাসবীহ, তাহলীলও করা যাবে।[৩৩]  ইহরাম বাঁধার সময় কোন ছালাত নেই। দুই রাক‘আত ছালাত পড়ার যে নিয়ম চালু আছে, শরী‘আতে তার কোন ভিত্তি নেই। তবে কোন ছালাতের সময় হলে ছালাতের পর ইহরাম বাঁধবে।[৩৪] 

উল্লেখ্য, পুরুষরা উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে।[৩৫] তবে মহিলারা নিম্নস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে।[৩৬] হজ্জ পালনকারী ১০ তারিখে জামরাতুল আক্বাবায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করবে।[৩৭]

আরো উল্লেখ্য যে, হোটেলে অবস্থানকারী হাজীগণ হজ্জের ইহরাম বাঁধার জন্য মসজিদে হারামে যাওয়া যাবে না এবং আগেই  ত্বওয়াফে ইফাযা কিংবা বিদায়ী ত্বওয়াফও করবে না। অনুরূপভাবে হজ্জের সাঈও আগে করে নিবে না। বর্তমানে অনেক হাজীই এগুলো করছে। অথচ এমনটি করার কোন দলীল নেই। রাসূল (ﷺ) এবং ছাহাবায়ে কেরাম এমনটি করেননি। বরং মিনা, আরাফা, মুজদালিফার কাজ সেরে প্রথম দিন কঙ্কর নিক্ষেপের পর কুরবানী করে ত্বওয়াফে ইফাযা করবে এবং সাঈ করবে।

২- মিনার কর্মসূচী: মিনায় পৌঁছে যোহর, আছর, মাগরিব, এশা ও ফজর ছালাত স্ব স্ব ওয়াক্তে আদায় করবে এবং যোহর, আছর ও ইশার ছালাত দুই দুই রাক‘আত করে পড়ে ক্বছর করবে।[৩৮] জমা করবে না। কারণ রাসূল (ﷺ) মিনায় ছালাত জমা করছেন মর্মে দলীল পাওয়া যায় না।[৩৯] ছালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নাতগুলো আদায় করবে না।[৪০] তবে বিতর, তাহাজ্জুদ ও ফজরের সুন্নাত আদায় করবে।[৪১] উল্লেখ্য যে, এই সুন্নাতকে বাংলাদেশী হাজীদের অধিকাংশই অমান্য করেন এবং সুন্নাতসহ পুরো ছালাত আদায় করেন। তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

৩- আরাফার কর্মসূচী: ৯ তারিখে সূর্য উঠার পর মিনা থেকে আরাফার উদ্দেশ্যে বের হবে।[৪২] আরাফার দিকে যাওয়ার সময় তালবিয়া পড়বে এবং ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে যাবে।[৪৩] সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে সূর্য ডুবে যাওয়া পর্যন্ত আরাফায় অবস্থানের মূল সময়।[৪৪] এখানে যোহরের সময়ে এক আযানে দুই ইক্বামতে যোহর ও আছর ছালাত জমা করবে ও ক্বছর করবে। অর্থাৎ আযানের পর ইক্বামত দিয়ে যোহর দুই রাক‘আত পড়ে সালাম ফিরাবে। অতঃপর ইক্বামত দিয়ে আছর দুই রাক‘আত পড়বে।[৪৫] আরাফায় অবস্থান কালীন আর কোন ছালাত নেই। শুধু যিকির আযাকার, তাসবীহ, তাহলীল করবে এবং হাত তুলে আল্লাহ্র কাছে কাকুতি-মিনতি করে দীর্ঘক্ষণ দু‘আ করবে।[৪৬] জান্নাত চাইবে এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ চাইবে। বেশী বেশী নিম্নের দু‘আ পাঠ করবে-

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কু্ল্িল শাইয়িন ক্বদীর। অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। যাবতীয় সাম্রাজ্য তাঁরই এবং তাঁর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান’।[৪৭] এই বাক্য বলার কারণ হল, আল্লাহ তা‘আলা এখানেই আদম সন্তানের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন।[৪৮]

৪- মুযদালিফা: সূর্য ডুবে যাওয়ার পর আরাফার মাঠ ত্যাগ করে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা করবে। আরাফা ত্যাগ করতে অনেক রাত হয়ে গেলেও মাগরিব ও ইশা আরাফার ময়দানে আদায় করবে না। রাত যতই হোক মুযদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও ইশার ছালাত জমা ও ক্বছর করবে।[৪৯] অর্থাৎ তিন রাক‘আত মাগরিব এবং দুই রাক‘আত ইশা পড়বে। আর কোন ছালাত আদায় করবে না।[৫০] অতঃপর ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম থেকে উঠে ফজরের ছালাত আদায় করবে। অতঃপর সকাল পরিষ্কার হওয়া পর্যন্ত ক্বিবলার দিকে মুখ করে দু‘আ করবে বা তাসবীহ-তাহলীল ও যিকির-আযকারে মশগুল থাকবে।[৫১] অতঃপর সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বেই মুজদালিফা ত্যাগ করবে।[৫২] মহান আল্লাহ বলেন,

فَاِذَاۤ اَفَضۡتُمۡ مِّنۡ عَرَفٰتٍ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ عِنۡدَ الۡمَشۡعَرِ الۡحَرَامِ ۪ وَ اذۡکُرُوۡہُ  کَمَا ہَدٰىکُمۡ ۚ وَ اِنۡ  کُنۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلِہٖ  لَمِنَ الضَّآلِّیۡنَ.

‘অতঃপর যখন ত্বওয়াফের জন্য আরাফাত থেকে ফিরে এসো, তখন মাশ‘আরে হারামের নিকটে আল্লাহ্‌র যিক্‌র করো। আর তাঁর যিক্‌র কর তেমনি করে, যেমন তোমাদেরকে তিনি পথপ্রদর্শন করেছেন। যদিও ইতিপূর্বে তোমরা ছিলে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত’ (আল-বাক্বারাহ: ১৯৮)।

উল্লেখ্য যে, এখানে ‘মাশ‘আরে হারাম’ বলতে মুযদালিফাকে বুঝানো হয়েছে। কেননা এটি হারাম এলাকার মধ্যে অবস্থিত। আর আরাফা হচ্ছে ‘মাশ‘আরে হালাল’। কেননা এটি হারাম এলাকার বাইরে অবস্থিত।

৫- কঙ্কর নিক্ষেপ: মুযদালিফা থেকে ফিরে ১০ তারিখে কুরবানীর দিন সূর্য উঠার পর শুধু বড় জামারাতে ৭টি কঙ্কর নিক্ষেপ করবে।[৫৩] প্রত্যেক বারই ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে।[৫৪] এই কঙ্কর মুযদালিফা থেকে ফিরার পথে যেকোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারে।[৫৫] অসুস্থতা ও অক্ষমতার কারণে যেতে না পারলে অন্যের মাধ্যমেও পাথর মারার কাজ শেষ করা যাবে। উল্লেখ্য যে, অনেকে জুতা, সেন্ডেল বা অন্য কিছুও নিক্ষেপ করে থাকে। এটা ঠিক নয়। তবে অসুস্থ পুরুষ বা মহিলা, নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা সূর্য উদয়ের পূর্বেই কঙ্কর নিক্ষেপ করে মক্কায় রাত্রি যাপন করতে পারে।[৫৬] উল্লেখ্য, ১০ তারিখে জামরাতুল আক্বাবায় বা শেষ জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করবে।[৫৭]

৬- কুরবানী করা ও মাথা মুণ্ডন করা: প্রথম দিন কঙ্কর নিক্ষেপের পর কুরবানী করে মাথা মণ্ডন করবে। কুরবানী করার আগেও মাথা মণ্ডন করা যায়।[৫৮] পুরুষেরা মাথা মুণ্ডন করবে। এটাই উত্তম। তবে মাথার চুল ছাটতেও পারে।[৫৯] মহিলারা চুলের আগা থেকে একটু ছেটে ফেলবে।[৬০]

৭- ত্বওয়াফে ইফাযা ও সাঈ: কুরবানী করার পর ত্বাওয়াফে ইফাযা ও সাঈ করবে। ত্বাওয়াফ ও সাঈর পদ্ধতি ওমরার আলোচনায় দ্র.। রাসূল (ﷺ) ১০ তারিখে কুরবানী করার পর ত্বাওয়াফে ইফাযা ও সাঈ করে মক্কায় যোহরের ছালাত আদায় করেছেন। অতঃপর মিনায় গিয়ে রাত্রি যাপন করেছেন।[৬১] ত্বাওয়াফে ইফাযাকে ত্বাওয়াফে যিয়ারাও বলা হয়।

৮- আবার মিনায় গমন: ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ মিনায় রাত্রি যাপন করবে। তবে দুই রাত্রি যাপনের পরও মিনা ত্যাগ করতে পারে।[৬২] মিনায় রাত্রি যাপন করা ওয়াজিব। যদি কেউ রাত্রিতে অবস্থান না করে, তবে তাকে ফিদইয়া দিতে হবে।[৬৩] এই তিনদিন সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তিন জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করবে। সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে নিক্ষেপ করা যাবে না।[৬৪] প্রথম জামারায় কঙ্কর মারার পর পার্শ্বে সরে গিয়ে ক্বিবলা মুখী হয়ে দীর্ঘ সময় যাবৎ হাত তুলে দু‘আ করবে। অনুরূপ দ্বিতীয় জামারায় পাথর মারার পর পার্শ্বে সরে গিয়ে ক্বিবলা মুখী হয়ে দীর্ঘ সময় যাবৎ হাত তুলে দু‘আ করবে। শেষ বা বড় জামারায় কঙ্কর মারার পর বের হয়ে চলে আসবে, বিলম্ব করবে না। প্রত্যেক জামারায় ৭টি করে কঙ্কর মারবে এবং প্রত্যেক বারই ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে।[৬৫] মহান আল্লাহ বলেন,

وَ اذۡکُرُوا اللّٰہَ فِیۡۤ  اَیَّامٍ  مَّعۡدُوۡدٰتٍ ؕ فَمَنۡ تَعَجَّلَ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ۚ وَ مَنۡ تَاَخَّرَ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ  ۙ لِمَنِ اتَّقٰی.

‘আর তোমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে আল্লাহ্‌র যিক্‌র কর। অতঃপর যে ব্যক্তি প্রথম দুই দিনে তাড়াহুড়া করে চলে যাবে, তার জন্য কোন পাপ নেই। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তাড়াহুড়া না করে থেকে যাবে, তাঁর উপর কোন পাপ নেই। অবশ্য যারা ভয় করে’ (আল-বাক্বারাহ: ২০৩)।

তবে রাসূল (ﷺ) তাশরীক্বের তিন রাতই মিনায় যাপন করেন এবং ১৩ তারিখে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তিন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর মিনা ত্যাগ করেছেন। উল্লেখ্য, অসুস্থ পুরুষ বা মহিলা, নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাশরীক্বের রাত্রিগুলো মক্কায় থকাতে পারে।[৬৬] 

৯- বিদায়ী ত্বাওয়াফ : হজ্জ ও ওমরার কাজ শেষ করে যখন বিদায় নিবে তখন সর্বশেষ ত্বাওয়াফ করবে। এটা হজ্জের ওয়াজিব।[৬৭]



[১]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২৩২ ও ১২৫১।

[২]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫১।

[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৪৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২৮১১।

[৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫১।

[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫১; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮৪; মিশকাত, হা/২৫৫১।

[৬]. নাসাঈ, হা/২৭৫৩।

[৭]. তিরমিযী, হা/৯২৭।

[৮]. বায়হাক্বী, ৫/১০৪।

[৯]. সূরা বাক্বারাহ ১৯৭; বায়হাক্বী-সুনানুল কুবরা, হা/৯৫৬৩; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল, ৪/২৩৪ পৃঃ।

[১০]. সূরা বাক্বারাহ ১৯৬; তাফসীরে সা‘আদী, পৃ. ৯০।

[১১]. ছহীহ বুখারী, হ/১২৬৬ ও ১৮৫০; ছহীহ মুসলিম, হা/১২০৬।

[১২]. সূরা মায়েদা ৯৫-৯৬; ছহীহ বুখারী, হা/১৮২৫ ও ২৫৭৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৯৩; মিশকাত, হা/২৬৯৬; ছহীহ বুখারী, হা/১৮২৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৯৬; মিশকাত, হা/২৬৯৭।

[১৩]. বুখারী হ/১২৬৬ ও ১৮৫০; মুসলিম হা/১২০৬ ও ১২৯৮; মুসনাদে আহমাদ হা/২৭৩০০; মিশকাত হা/২৬৮৭।

[১৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৪০৯; নাসাঈ, হা/৩২৭৫-৭৬; মিশকাত, হা/৫৬৮১।

[১৫]. সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৯৭।

[১৬]. সূরা বাক্বারাহ: ১৯৬; ছহীহ বুখারী, হা/৬৭০৮।

[১৭]. আবূ দাঊদ, হা/১৮৮৪, সনদ ছহীহ; তিরমিযী, হা/৮৫৯, সনদ ছহীহ।

[১৮]. ছহীহ বুখারী হা/১৬১৩।

[১৯]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/৯৫১৭; সুনানুছ ছাগীর, হা/১২৭৭; সনদ ছহীহ, মানাসিকুল হাজ্জ, পৃ. ১৯।

[২০]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬১১; মিশকাত, হা/২৫৬৭।             

[২১]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২৭৫; মিশকাত, হা/২৫৭১।

[২২]. ছহীহ বুখার,ী হা/১৬১২; মিশকাত, হা/২৫৭০।

[২৩]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬০৯।

[২৪]. আবুদাঊদ, হা/১৮৯২; মিশকাত, হা/২৫৮১, সনদ হাসান।

[২৫]. তিরমিযী, হা/৯৬০, সনদ ছহীহ; মিশকাত, হা/২৫৭৬।

[২৬]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬২৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১২৩৪।

[২৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮।

[২৮]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬২৬।

[২৯]. আহমাদ, হা/১৫২৮০, সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল, হা/১০১৭।

[৩০]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; আবুদাঊদ, হা/১৮৭২; মিশকাত, হা/২৫৭৫, সনদ ছহীহ।

[৩১]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২৩২ ও ১২৫১।

[৩২]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৪৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮৪।

[৩৩]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫১।

[৩৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫১; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮৪; মিশকাত, হা/২৫৫১।

[৩৫]. নাসাঈ, হা/২৭৫৩।

[৩৬]. তিরমিযী, হা/ ৯২৭।

[৩৭]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৮৫।

[৩৮]. ছহীহ বুখারী, হা/১০৮২, ১০৮৩, ১০৮৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৯৪; মিশকাত, হা/১৩৪৭।

[৩৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; ফাতাওয়া উছায়মীন, ২৪/২৯৩ ও ৪১৭ পৃ.।

[৪০]. ছহীহ মুসলিম, হা/৬৮৯, ১/২৪২ পৃ., (ইফাবা হা/১৪৪৯), ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১;  মিশকাত, হা/১৩৩৮।

[৪১]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৩, ১/২৩৮ ও ২৩৯ পৃ., ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫৬; বুখারী হা/১১৫৯, ১/১৫৫ পৃ., ‘তাহাজ্জুদ ছালাত’ অধ্যায়; ছহীহ বুখারী, হা/১০০০, ১/১৩৬ পৃ.; মিশকাত, হা/১৩৪০, পৃ. ১১৮। 

[৪২]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮।

[৪৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২৮৪; ছহীহ বুখারী, হা/৯৭০।

[৪৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; মিশকাত, হা/২৫৫৫।

[৪৫]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৬২; মিশকাত, হা/২৬১৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; মিশকাত, হা/২৫৫৫; মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/৪৪২০; মানাসিকুল হাজ্জ, পৃ. ২৮; মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/১৫০৮; সানাঈ, হা/৩০১০; নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, হা/৪০০৫; বায়হাক্বী, ছুগরা, হা/৩০৫।

[৪৬]. ছহীহ নাসাঈ, হা/৩০১১, ২/৩৬ পৃ, সনদ ছহীহ; ছহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮২৪; আহমাদ, হা/২১৮৭০।

[৪৭]. তিরমিযী, হা/৩৫৮৫; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫০৩।

[৪৮]. আহমাদ, হা/২৪৫৫; মিশকাত হা/১২১; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৬২৩।

[৪৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; মিশকাত, হা/২৫৫৫।

[৫০]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৭৩; মিশকাত, হা/২৬০৭।

[৫১]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; মিশকাত, হা/২৫৫৫।

[৫২]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮; মিশকাত, হা/২৫৫৫।

[৫৩]. তিরমিযী, হা/৮৯৩ ও ৯০০; আবূ দাঊদ, হা/১৯৮১ ও ১৯৪০; মিশকাত, হা/২৬১৩; ছহীহ বুখারী, হা/১৬৮৬।

[৫৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১৭৫৩, ১৭৪১, ১৭৫২, ১/২৩৬ পৃ.।

[৫৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২৮২; মিশকাত, হা/২৬১০।

[৫৬]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৩১৭৭।

[৫৭]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৮৫।

[৫৮]. ছহীহ বুখারী, হা/১৭৩৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩০৬; মিশকাত, হা/২৬৫৫।

[৫৯]. ছহীহ বুখারী, হা/১৭২৭, ১৭২৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩০৩, ১৩০৪; মিশকাত, হা/২৬৪৮, ২৬৪৯।

[৬০]. আবূ দাঊদ, হা/১৯৮৪; মিশকাত, হা/২৬৫৪।

[৬১]. আবূ দাঊদ, হা/১৯৭৩; মিশকাত, হা/২৬৭৬, সনদ ছহীহ।

[৬২]. নাসাঈ, হা/৩০৪৪; মিশকাত, হা/২৭১৪, সনদ ছহীহ।

[৬৩]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৩১৭৭।

[৬৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২৯৯; ছহীহ বুখারী, হা/১৭৪৬; মিশকাত, হা/২৬২০।

[৬৫]. ছহীহ বুখারী, হা/১৭৫৩, ১৭৪১, ১৭৫২, ১/২৩৬ পৃ.।

[৬৬]. ছহীহ বুখারী, হা/১৬৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৩১৭৭।

[৬৭]. ছহীহ বুখারী, হা/১৭৫৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩২৮; মিশকাত, হা/২৬৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩২৭; ছহীহ বুখারী, হা/১৭৩৩।




প্রসঙ্গসমূহ »: হজ্জ ও ওমরাহ
তওবার গুরুত্ব ও ফযীলত - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
সুন্নাতের রূপরেখা - মাইনুল ইসলাম মঈন
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (২৪তম কিস্তি)   - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা (৪র্থ কিস্তি) - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
তাওহীদ প্রতিষ্ঠার উপায় - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
দলাদলির কুপ্রভাব : উত্তরণের উপায় (শেষ কিস্তি) - শায়খ মতিউর রহমান মাদানী
রামাযানে দান-ছাদাক্বাহ - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (১১তম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
আল-কুরআনের ব্যাপারে অমুসলিমদের মিথ্যা অভিযোগ ও তার খণ্ডন - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ১১ রাক‘আতের নির্দেশ দিয়েছিলেন (শেষ কিস্তি) - ব্রাদার রাহুল হোসেন (রুহুল আমিন)
কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা (২য় কিস্তি) - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
ইমাম মাহদী, দাজ্জাল ও ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর আগমন সংশয় নিরসন (১৫তম কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী

ফেসবুক পেজ