রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

সুন্নাতের আলো বিদ‘আতের অন্ধকার

মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন *


(১২তম কিস্তি) 

ষষ্ঠ: কতিপয় নিকৃষ্ট বিদ‘আত

এমন কিছু বিদ‘আত সমাজে প্রচলিত রয়েছে, যা অধিক পরিমাণে চর্চা করা হয়ে থাকে। অথচ সেগুলো অতীব নিকৃষ্ট। তন্মধ্যে নিম্নে কিছু উল্লেখ করা হল:

(১)  জোরে নিয়ত বলা

কোন মুসলিম বলল, নাওয়াইতু ‘আন উছাল্লিয়া, এরূপ, এরূপ, অথবা নাওয়াইতু ‘আন আছূমা হাযাল ইয়াওম ফার্যান আও নাফলান লিল্লাহী তা‘আলা, অথবা বলল, নাওয়াইতু ‘আন আতা ওয়ায্’আ, নাওয়াইতু ‘আন আগতাসিলা ইত্যাদি মুখে বলে নিয়ত করা বিদ‘আত। কেননা রাসূল (ﷺ) হতে এ ধরণের কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

قُلۡ اَتُعَلِّمُوۡنَ اللّٰہَ بِدِیۡنِکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ اللّٰہُ  بِکُلِّ  شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ

‘(হে নবী!) আপনি বলুন, ‘তোমরা কি তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে আল্লাহকে অবগত করতে চাও? আল্লাহ তো জানেন যা আছে আসমানে আর যা আছে যমীনে। আল্লাহ প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সবিশেষ অবগত’ (সূরা আল-হুজুরাত: ১৬)। নিয়তের স্থান হল অন্তর। নিয়ত অন্তরের কাজ, মুখের কাজ নয়। হাফেয ইবনু রজব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, النية هي: قصد القلب ولا يجب التلفظ بما في القلب في شيء من العبادات  ‘নিয়ত হল অন্তরের ইচ্ছা। কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্তরে যা আছে তা মুখে বলা ওয়াজিব নয়’।[১]

(২) ফরয ছালাতের পর সম্মিলিত দু‘আ

জামা‘আতের ছালাত আদায়ের পর প্রত্যেকের জন্যই ব্যক্তিগতভাবে শরী‘আত সম্মত দু‘আ ও তাসবীহ পাঠ করা বৈধ। যেমন রাসূল (ﷺ) ছালাতের পর দু‘আ ও তাসবীহ পাঠ করতেন এবং ছাহাবায়ে কেরামও এরূপ আমল করতেন। তাই জামা‘আতে ছালাত আদায়ের পর সম্মিলিতভাবে দু‘আ (মুনাজাত) রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাত পরিপন্থী।

(৩) মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফেরাত, মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ করার পর কিংবা বিবাহের খুৎবার সময় সূরা ফাতিহা পাঠের জন্য লোকদের বলা। এ সবই বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত। কেননা তা রাসূল (ﷺ) থেকে প্রমাণিত নেই এবং ছাহাবায়ে কেরামও এ ধরনের আমল করেননি। অথচ তারাই রাসূল (ﷺ)-এর আমল সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত ছিলেন। এ থেকে প্রমাণিত হল যে, এ ধরনের আমল নবাবিষ্কৃত ও নিকৃষ্ট বিদ‘আত।

(৪) মৃত ব্যক্তির শোকে মাতম করা

মৃত ব্যক্তির শোকে মাতম করা, চল্লিশা ইত্যাদি খাওয়ানো, হাফেয সাহেবদের এনে কুলখানী করানো এ ধারণায় যে, তা মৃত ব্যক্তির সান্ত¦না যোগাবে এবং মৃত ব্যক্তির উপকারে আসবে। এসকল কর্মকা- বিদ‘আত। যার ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ নাযিল করেননি।

(৫) কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত তাসবীহ-তাহলীলের বাইরে বিভিন্ন ছূফী বা পীরদের নানা ধরনের যিকির, যা মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সুন্নাতের পরিপন্থী। সুন্নাতের সাথে এ বৈপরীত্য শব্দগত হোক, গঠনগত কিংবা সময় সাপেক্ষ হোক, সুন্নাতের পরিপন্থী কোন যিকিরই গ্রহণযোগ্য নয়। রাসূল (ﷺ)-এর বাণী, مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا ،فَهْوَ رَدٌّ ‘যে ব্যক্তি আমাদের পক্ষ থেকে স্বীকৃত নয় এমন কোন আমল করল, তা প্রত্যাখ্যাত’।[২]

(৬) কবরের উপর মাযারের নামে ঘর তৈরি করা, কবরের পাশে মসজিদ নির্মাণ করা, তাতে মৃতদের দাফন করা, বরকত লাভের উদ্দেশ্যে কবর যিয়ারত করা, কবরের পাশে গিয়ে ছালাত আদায় করা, কবরে শায়িত মৃত ব্যক্তি বা অন্য মৃত ব্যক্তির অসীলা দিয়ে আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু‘আ করা ও তাদের কবরের পাশে ছালাত আদায় করা, বরকত লাভের আশায় অথবা কবরের পাশে গিয়ে দু‘আ করা ও মহিলাদের কবর যিয়ারত করা, কবরে আলোকসজ্জা করা এর প্রত্যেকটিই বিদ‘আত এবং ঘৃণিত ও অপসন্দনীয় কাজ’।[৩]

নবম পরিচ্ছেদ

বিদ‘আত আবিষ্কারের তওবা

নিঃসন্দেহে বিদ‘আত সর্বাধিক ভয়াবহ গুনাহ। মানুষ যখন সদা-সর্বদা বিভিন্ন ধরনের পাপের কাজ করতে থাকে ও তার উপর অটল থাকে, তখন এক পর্যায়ে এ পাপ তাকে ধ্বংস করে দেয়। ঐ সকল ধ্বংসকারী পাপের মধ্যে বিদ‘আত হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন। যেমন সুফীয়ান ছাওরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

البدعة أحب إلى إبليس من المعصية المعصية يتاب منها والبدعة لا يتاب منها 

‘সমস্ত পাপের মধ্যে ইবলীসের নিকট সর্বাধিক পসন্দনীয় পাপ হচ্ছে বিদ‘আত। কেননা বান্দা পাপ করলে তওবা করে, কিন্তু বিদ‘আতপন্থী (বিদ‘আতী আমল নেকীর কাজ ভেবে সম্পাদন করে, ফলে) তাত্থেকে তওবা করে না’।[৪] শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, إنَّ الْبِدْعَةَ لَا يُتَابُ مِنْهَا ‘বিদ‘আতের পাপ থেকে তওবা করা হয় না। এর অর্থ হচ্ছে,

أَنَّ الْمُبْتَدِعَ الَّذِيْ يَتَّخِذُ دِيْنًا لَمْ يُشَرِّعْهُ اللهُ وَلَا رَسُوْلُهُ قَدْ زُيِّنَ لَهُ سُوْءُ عَمَلِهِ فَرَآهُ حَسَنًا فَهُوَ لَا يَتُوْبُ مَا دَامَ يَرَاهُ حَسَنًا لِأَنَّ أَوَّلَ التَّوْبَةِ الْعِلْمُ بِأَنَّ فِعْلَهُ سَيِّئٌ لِيَتُوْبَ مِنْهُ . أَوْ بِأَنَّهُ تَرَكَ حَسَنًا مَأْمُوْرًا بِهِ أَمْرَ إيْجَابٍ أَوْ اسْتِحْبَابٍ لِيَتُوْبَ وَيَفْعَلَهُ. فَمَا دَامَ يَرَى فِعْلَهُ حَسَنًا وَهُوَ سَيِّئٌ فِيْ نَفْسِ الْأَمْرِ فَإِنَّهُ لَا يَتُوْبُ

‘বিদ‘আত সৃষ্টিকারী এমন কিছু ধর্মীয় রীতি-নীতি প্রবর্তন করে যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে প্রবর্তিত নয়। শয়তান সেসব বিদ‘আতী আমলগুলো আরো চাকচিক্যময় করে তার সামনে উপস্থাপন করে। তখন সে এগুলোকে সৎকাজ মনে করে। ফলে এথেকে তওবা করার প্রয়োজন মনে করে না। কেননা এ তওবার প্রথম পর্যায় হল, সে কৃত কাজগুলো মন্দ হিসাবে জানবে, যাতে সে তওবা করতে পারে। কিন্তু তার দৃষ্টিতে এ বিদ‘আত কাজটি যেহেতু সৎকাজ হিসাবে পরিগণিত। তাই সে মনে করে, যদি সে এ কাজ ছেড়ে দেয় তাহলে একটা সৎকাজ ছেড়ে দিল। এভাবে সে ঐ বিদ‘আত কাজ ছাড়তেও পারে না এবং তা থেকে তওবা করার সুযোগ হয়ে ওঠে না’।[৫] অতঃপর ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

وَلَكِنَّ التَّوْبَةَ مِنْهُ مُمْكِنَةٌ وَوَاقِعَةٌ بِأَنْ يَهْدِيَهُ اللهُ وَيُرْشِدَهُ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُ الْحَقُّ كَمَا هَدَى سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى مَنْ هَدَى مِنْ الْكُفَّارِ وَالْمُنَافِقِيْنَ وَطَوَائِفَ مِنْ أَهْلِالْبِدَعِ وَالضَّلَالِ

‘হ্যাঁ, তাওবা তখন সম্ভব যখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে সঠিক পথের সন্ধান দান করেন এবং তওবা করার তাওফীক দান করেন। যেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা অনেক কাফির, মুশরিক (পথভ্রষ্ট), মুনাফিক ও বিদ‘আতের অনুসারীদের হেদায়াত দান করেছেন’।[৬] ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) আরো বলেন,

وَمَنْ قَالَ : إنَّهُ لَا يُقْبَلُ تَوْبَةُ مُبْتَدِعٍ مُطْلَقًا فَقَدْ غَلِطَ غَلَطًا مُنْكَرًا 

‘যে ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বিদআতপন্থীদের তওবা কবুল করবেন না সে মারাত্মক ভুল করল’।[৭] ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) ‘বিদ‘আত সৃষ্টিকারীর তওবা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না’ সংক্রান্ত হাদীছটির স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। (আল্লাহই সর্বাধিক প্রশংসিত)। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

إِنَّ اللهَ حَجَبَ التَّوْبَةَ عَنْ صَاحِبِ كُلَّ بِدْعَةٍ

‘নিশ্চয় আল্লাহ বিদ‘আত সৃষ্টিকারীর থেকে তওবাকে অন্তরাল করেছেন’।[৮] ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক এ হাদীছের ব্যাখ্যা ইতিপূর্বে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এর দলীল অন্য দলীলের ব্যাখ্যা করে। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাকে লক্ষ্য করে বলেন, বান্দা যখন পাপের কাজ থেকে বিরত থাকে, কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়, দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয় যে, সে অনুরূপ কর্মে আর লিপ্ত হবে না এবং প্রাপকদের হক যথাযথভাবে আদায় করবে, তাহলে আল্লাহর ওয়াদা হচ্ছে, তওবার পর আল্লাহ তাকেও ক্ষমা করে দিবেন যদিও সে মুশরিক হয়, হত্যাকারী বা ব্যভিচারী হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

اِلَّا مَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یُبَدِّلُ اللّٰہُ سَیِّاٰتِہِمۡ  حَسَنٰتٍ ؕ وَ کَانَ  اللّٰہُ  غَفُوۡرًا  رَّحِیۡمًا

‘তবে তারা নয় যারা তওবা করবে, ঈমান আনবে, আর সৎ কাজ করবে। আল্লাহ এদের পাপগুলোকে পুণ্যে পরিবর্তিত করে দিবেন; আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু’ (সূরা ফুরক্বান : ৭০)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اِنِّیۡ لَغَفَّارٌ لِّمَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا  ثُمَّ  اہۡتَدٰی ‘আর যে তওবা করে, ঈমান আনে, সৎ কাজ করে এবং সৎ পথে অটল থাকে, আমি তার জন্য অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল’ (সূরা ত্বোহা : ৮২)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

قُلۡ یٰعِبَادِیَ  الَّذِیۡنَ  اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ  لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ  ہُوَ  الۡغَفُوۡرُ  الرَّحِیۡمُ



‘(হে নবী!) আপনি বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছে, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু’ (সূরা আয-যুমার ৩৯/৫৩)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ سُوۡٓءًا اَوۡ یَظۡلِمۡ  نَفۡسَہٗ ثُمَّ یَسۡتَغۡفِرِ اللّٰہَ یَجِدِ اللّٰہَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا

‘যে ব্যক্তি অসৎ কাজ করে কিংবা নিজের আত্মার প্রতি যুলুম করে, অতঃপর আল্লাহ হতে ক্ষমা ভিক্ষা করে, সে আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু পাবে’ (সূরা আন-নিসা: ১১০)। এ তওবা ব্যাপক, যা সকল নাস্তিক, কাফের, মুশরিক, বিদ‘আতসৃষ্টিকারী এবং সকল পাপীদের জন্য। যদি সে তওবার শর্তগুলো পূর্ণ করে।[৯] (আল্লাহই অধিক প্রশংসিত)।

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

* নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।

তথ্যসূত্র :
[১]. জামিঊল ঊলূম ওয়াল হিকাম, ১/৯২ পৃ.।
[২]. ছহীহ মুসলিম, ৩/৩৪৪ পৃ., হা/১৭১৮, হাদীছ পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে, পৃ. ৩৩।
[৩]. ড. ছালেহ আল-ফাওযান, কিতাবুত তাওহীদ, পৃ. ৯৪। 
[৪]. আল-বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, ১/২১৬ পৃ., (১/২৭২ পৃ., হা/১৮০৯)।
[৫]. শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১০/৯ পৃ.। 
[৬]. মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১০/৯-১০ পৃ.।
[৭]. মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১১/৬৮৪-৮৫ পৃ।
[৮]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওছাত, ৮/৬২, হা/৪৭১৩; [মাজমাউ আল-বাহরাঈন ফী যাওয়ায়েদ মু‘জামাইন], হায়ছামী মাজমাউ আয-যাওয়ায়েদ গ্রন্থে বলেন, হারুন ইবনু মূসা আল-ফারাবী ব্যতীত এর বর্ণনাকারী বিশ^স্ত, হারুন ইবনু মূসা আল-ফারাবী ব্যতীত, আর তিনি ছিকাহ, ১০/১৮৯ পৃ.; আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) সিলসিলা ছহীহাহ গ্রন্থে ছহীহ সনদে, ৪/১৫৪ পৃ., হা/১৬২০ ও তার অন্যান্য সনদ উল্লেখ করেছেন।
[৯]. তওবার শর্তসমূহ: শায়খ ওছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) তওবার পাঁচটি শর্ত উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হচ্ছে: (১) ইখলাছ, (২) কৃতপাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, (৩) অনতিবিলম্বে পাপ ছেড়ে দেয়া, (৪) ভবিষ্যতে পুনরায় পাপ না করার দৃঢ় সংকল্প করা এবং (৫) তওবা কবুল হওয়ার সময়সীমার মধ্যে তওবা করা। অর্থাৎ তওবা করতে হবে মৃত্যু শুরু হওয়ার পূর্বে এবং পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় শুরু হওয়ার আগে’। দ্র.: শায়খ ওছাইমীন, লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, ৫৩/৭৩ পৃ.। অনুবাদক!!




আল-কুরআনের ব্যাপারে অমুসলিমদের মিথ্যা অভিযোগ ও তার খণ্ডন - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ঈদুল ফিতরে করণীয় ও বর্জনীয় - আব্দুল্লাহ বিন খোরশেদ
তাক্বওয়া অর্জনে ছিয়াম - প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
ছালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩ উপায় (৪র্থ কিস্তি) - আব্দুল হাকীম বিন আব্দুল হাফীজ
বিদ‘আত পরিচিতি (১৯তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
কুরআনী প্রবাদ সংকলন : তাৎপর্য ও শিক্ষা - প্রফেসর ড. লোকমান হোসেন
প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অবস্থান - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (৯ম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ইসলামী উত্তরাধিকার আইন: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ ধারা (২য় কিস্তি) - ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ১১ রাক‘আতের নির্দেশ দিয়েছিলেন (শেষ কিস্তি) - ব্রাদার রাহুল হোসেন (রুহুল আমিন)
বিদ‘আত পরিচিতি (৪র্থ কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
ছালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩ উপায় (৩য় কিস্তি) - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ