উত্তর : উপরিউক্তি স্থানসমূহে জামা‘আতবদ্ধ ভাবে হাত তুলে দু‘আ করার প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এটা বিদ‘আতী প্রথা। উক্ত ক্ষেত্র সমূহে নিম্নের দু‘আ পড়ে বৈঠক শেষ করতে হবে এটাই রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাত।
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبَ إِلَيْكَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আংতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলায়কা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি মহা পবিত্র। আপনার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার দিকেই ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি’।
রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘মজলিস থেকে উঠার আগেই যে ব্যক্তি উক্ত দু‘আ পড়বে, মজলিস চলাকালীন সংঘটিত তার সমস্ত পাপ মাফ করে দেয়া হবে’ (তিরমিযী, হা/৩৪৩৩; মিশকাত, হা/২৪৩৩ ও ২৪৫০, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য, হাদীছে দু‘আটির নামই দেয়া হয়েছে ‘কাফফারাতুল মাজলিস’ অর্থাৎ মজলিসের পাপের ক্ষমাকারী’ (নাসাঈ, হা/১৩৪৪; মিশকাত, হা/২৪৫০, সনদ ছহীহ)।
অতএব রাসূল (ﷺ)-এর উম্মত হিসাবে তাঁর সুন্নাতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উক্ত দু‘আ পড়ে মজলিস শেষ করা জরুরী।