সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:২১ অপরাহ্ন
উত্তর : নিজ ভাষায় দু‘আ করা যাবে না। কারণ কেউ এটাকে হারাম বলেছেন, কেউ অপসন্দ করেছেন, আবার কেউ অপারগ ও অসমর্থদের জন্য জায়েয বলেছেন (আল-মাউসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ, ১১/১৭২ পৃ.)। শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘ছালাতের বাইরে ইংরেজি ভাষা অথবা অন্য যে কোন ভাষায় দু‘আ করা জায়েয। কিন্তু ছালাতের মধ্যে জমহূর আলেমের মতানুযায়ী আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় দু‘আ করা জায়েয নয়। বিশেষ করে যারা আরবী দু‘আ জানে তাদের জন্য আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় দু‘আ করা জায়েয নয়’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১৫৮৮, ২৬২২৫৪, ২০৯৫৩)।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মানুষের উচিত কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহতে বর্ণিত দু‘আর মাধ্যমে দু‘আ করা। কেননা এর গুরুত্ব, মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্যের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই এবং এটিই সরল পথ। আলিমগণ এবং ইমামগণ শরী‘আতসম্মত দু‘আর কথা উল্লেখ করেছেন এবং তাঁরা নতুন উদ্ভাবিত বিদ‘আতী দু‘আ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সুতরাং এরই অনুসরণ করা উচিত (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ, ১/৩৪৬ ও ৩৪৮ পৃ.)। দ্বিতীয় খলীফা ওমর ফারূক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন,

لَا تَعَلَّمُوْا رَطَانَةَ الْأَعَاجِمِ وَلَا تَدْخُلُوْا عَلَى الْمُشْرِكِيْنَ فِيْ كَنَائِسِهِمْ يَوْمَ عِيْدِهِمْ فَإِنَّ السَّخْطَةَ تَنْزِلُ عَلَيْهِمْ

‘তোমরা অনারবদের দুর্বোধ্য ও বিদেশী ভাষা শিখবে না এবং মুশরিকদের অনুষ্ঠানের দিনে তাদের গির্জা ঘরে প্রবেশ করবে না। কেননা সেই সময় তাদের উপর গযব নেমে আসে’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক, হা/১৬০৯, ১/৪১১ পৃ.; মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, হা/২৬২৮১; বাইহাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১৮৮৬১; মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ, ২৫/৩২৫)।

শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘বিতরের ছালাতে কুনূত পাঠ করা অপরিহার্য নয়, বরং তা সুন্নাত। সেই জন্য যদি কেউ দু‘আয়ে কুনূত নাও পড়ে তবুও তার ছালাত শুদ্ধ হবে’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ২/১৫৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯০৬১)। অতএব বিতরের কুনূতে মাতৃভাষায় দু‘আ করা থেকে বিরত থাকায় সর্বাধিক নিরাপদ হবে। কারণ (১) যেহেতু দু‘আয়ে কুনূত ছাড়াও ছালাত শুদ্ধ হবে এবং (২) বাংলায় দু‘আ করার ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্যও আছে।


প্রশ্নকারী : গোলাম রাব্বী, বরিশাল।





প্রশ্ন (২) : জনৈক আলেম বলেন, রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর যে ব্যক্তি নিম্নের দু‘আটি পাঠ করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। যদি সে দু‘আ করে, তবে তার দু‘আ কবুল হবে। আর সে যদি উঠে ওযয় করে ছালাত আদায় করে, তাহলে তার ছালাত কবুল হবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ঈদের ছালাতের আগে ইমাম ছাহেব মুছল্লীদেরকে ঈদের ছালাতের নিয়ত বলে দেন। এরূপ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : কোন মুসলিম কি আহলে কিতাবকে কোন পুরস্কার কিংবা কুরবানীর গোশত হাদিয়া স্বরূপ দিতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : প্রথম স্ত্রী ইন্তিকালের পর তার গহনা দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর মোহর আদায় করা কিংবা হাদিয়া দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ইহরাম অবস্থায় নারীরা কিভাবে পর্দা করবে? নারীরা মুখে নিক্বাব পরতে পারবে না- এরকম কোন শর্ত আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : মুসলিম বিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক অমুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : কারো নাম কি মাছুমা বিলকীস কিংবা শুধু মাছুমা রাখা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে, ‘আদম (আলাইহিস সালাম) হিন্দুস্তান থেকে পায়ে হেঁটে ১০০০ বার হজ্জ করেছেন’। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : সঠিক সময় না জানার কারণে কেউ যদি সাহরির সময় শেষ হওয়ার পর পানাহার করে, তাহলে তার ছিয়াম সঠিক হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : বিভিন্ন দল ও গ্রুপের মধ্যে যে মতভেদ বিদ্যমান, তাতে একজন মুসলিমের ভূমিকা কেমন হবে?
প্রশ্ন (২১) : জনৈক আলেম বলেন, কুরবানী দিতে অক্ষম ব্যক্তিগণ কুরবানীর খালেছ নিয়তে যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর নখ ও চুল না কাটলে সে আল্লাহর নিকটে তা পূর্ণাঙ্গ কুরবানী হিসাবে গৃহীত হবে। তিনি দলীল হিসাবে মিশকাত হা/১৪৭৯ পেশ করেছেন। সেই সাথে এটাও বলেছেন যে, শু‘আইব আরনাঊত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) অত্র হাদীছটিকে হাসান বলেছেন। তবে শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) অত্র হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। এখন আমরা দুই শায়খের মধ্যে কার তাহক্বীক্বকে প্রাধান্য দিব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : আমি আগে হানাফী মাযহাবের অনুসারী ছিলাম। কয়েক বছর থেকে আহলেহাদীছের মাসলাক অনুসরণ করে থাকি আলহামদুলিল্লাহ। আগে থেকেই আমার বাসায় অনেক বিদ‘আতী কিতাব আছে। যেমন বেহেস্তি জেওর, নেয়ামুল কোরআন, ফাজায়েলে আমল ইত্যাদি ইত্যাদি রয়েছে। এখন এগুলো পুড়িয়ে ফেলা বা নষ্ট করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ