উত্তর : পারবে। ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ছহীহুল বুখারীতে ‘শাসক ব্যতীত অন্য কেউ যদি নিজ পরিবার কিংবা অন্য কাউকে শাসন করে’ মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন (অধ্যায় নং-৮৬, অনুচ্ছেদ নং-৪০)। অতঃপর নিন্মের হাদীছটি বর্ণনা করেছেন যে, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, ‘একবার আবূবকর ছিদ্দীক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় মাথা আমার ঊরুর ওপর রেখে আছেন। তখন তিনি বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও লোকদেরকে আটকে রেখেছ, এদিকে তাদের পানির কোন ব্যবস্থা নেই। তিনি আমাকে তিরস্কার করলেন ও নিজ হাত দ্বারা আমার কোমরে আঘাত করতে লাগলেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, أَقْبَلَ أَبُوْ بَكْرٍ فَلَكَزَنِيْ لَكْزَةً شَدِيْدَةً ‘আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এসে আমাকে জোরে থাপ্পড় লাগালেন। আর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অবস্থানই আমাকে নড়াচড়া হতে বিরত রেখেছিল। তখন আল্লাহ তায়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ করলেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৮৪৪; মুসলিম, হা/৩৬৭)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এই হাদীছ প্রমাণ করে যে, বিবাহের পরেও একজন পিতা তার মেয়েকে শাসন করতে পারে। এক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন নেই’ (ফাৎহুল বারী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৩৩)। হাফিয ইরাক্বী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, একজন পিতা তার সন্তানকে কথার মাধ্যমে, কর্মের মাধ্যমে অথবা প্রহার করেও শাসন করতে পারে। সে প্রাপ্ত বয়স্ক হোক অথবা বিবাহিতা নারী হোক’ (ত্বারহুত তাছরীব ফী শারহিত তাক্বরীব, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৭)।
প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, সিলেট।