উত্তর : প্রথমতঃ এ ধরনের দেশে অর্থ উপার্জনের জন্য যাওয়া কোন মুসলিমের জন্য জায়েয নয়, যেখানে ইবাদত করা নিষেধ বা অসম্ভব। দ্বিতীয়তঃ এমন বাধ্যগত অবস্থায় যোহর ছালাত আদায় করে নিবে। কারণ যে সকল মুসলিম জুমু‘আর আযান শুনবে তাদের উপর দায়িত্ব হল জুমু‘আয় হাযির হওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমু‘আর দিনে যখন ছালাতের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে দ্রুত কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ’ (সূরা আল-জুমু‘আহ : ৯)। ইবনু আব্বাস ও ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) হতে বর্ণিত, তারা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, লোকেরা অবশ্যই যেন জামা‘আত পরিত্যাগ না করে। অন্যথা আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে সীলমোহর মেরে দিবেন, অতঃপর তারা বিস্মৃতদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে (ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬৫)। উক্ত আয়াত ও হাদীছের আলোকে বলা যায় যে, যারা আযান শুনবে তাদের মধ্যকার প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও সুস্থদের উপর আযানের জবাব দেয়া বা জুমু‘আর ছালাত আদায় করা ফরয। তবে আযান শুনতে না পেলে তাদের উপর আবশ্যক না। শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘যারা আযান শুনে তাদের উপর আবশ্যক। আর যারা শুনে না, শহর থেকে বহুদূরে এবং জামা‘আতে আসা অসম্ভব এমন লোকদের উপর আবশ্যক না। কোন কোম্পানির মালিকও যদি জুমু‘আর জন্য ছুটি না দেয় এবং আযানও শুনতে না পাই, তাহলে তাদের উপর জুমু‘আহ আবশ্যক না। তবে মালিককে উচিত তাদের জুমু‘আর জন্য সুযোগ দেয়া। তাতে উভয়ের কল্যাণ হবে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১৬তম খণ্ড, পৃ. ৪৯)।
প্রশ্নকারী : আছগার, ওমান।