আবু বাকার (রা.)-এর হাবশায় হিজরতের ঘটনা
-মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম*
ভূমিকা
ইসলামের জন্য সকল প্রকার আত্মত্যাগ ছিল আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যেকোন সংকটময় মুহূর্তে তিনি ছিলেন তাঁর একমাত্র সহযোগী। ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৫ম নববী বর্ষের মাঝামাঝিতে কুরাইশ কর্তৃক বনু হাশিম গোত্রকে একঘরে করে রাখা হয় এবং মুসলিমদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে তাঁরা মক্কার সামাজিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসলিমদেরকে পার্শ্ববর্তী খ্রিষ্টান রাষ্ট্র হাবশা তথা আবিসিনিয়ায় হিজরতের অনুমতি প্রদান করেন। এ অবস্থায় উক্ত বর্ষের রজব মাসে ওছমান ইবনু মাযঊন (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর নেতৃত্বে ১২ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। এমনকি আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)ও এই হিজরতের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। কুরাইশদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এবং ইচ্ছামত আল্লাহর ইবাদত না করতে পারার কারণে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)ও হাবশায় হিজরতের সিদ্ধান নেই। এমনকি তিনি এ উদ্দেশ্যে রওয়ানাও দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিমধ্যে গোত্রীয় প্রধান ইবনু দাগিনার সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হলে তিনি তাঁকে ফেরত নিয়ে আসেন।
আবিসিনিয়ায় হিজরতের ঘটনা
কুরাইশ কর্তৃক মুসলিমদের উপর অত্যাচারের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, খোদ কুরাইশ মুসলিমদের প্রতিও অত্যাচারের খড়গ নেমে এসেছিল! আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর গোত্র বানু তাইম থেকে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল তবু তাঁকেও কম কষ্ট দেয়া হয়নি। বরং কুরাইশরা একবার তো তাঁকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল! অন্যদিকে বনু হাশিমকে মক্কার সমাজ থেকে বহিষ্কৃত করা হয়। তাদের সাথে সকল ধরনের লেনদেন বন্ধ করে দেয়, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করে ফেলে এবং যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাই একদিন বাধ্য হয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে তিনি এক নতুন পরিবেশে গিয়ে বাস করার মনস্থির করলেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) নিজ পিতা আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর এই হিজরতের প্রস্তুতির ব্যাপারে পুঙ্খানুপঙ্খুরূপে বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন,
‘আমি আমার মাতা-পিতাকে কখনো ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন পালন করতে দেখিনি এবং এমন কোন দিন কাটেনি যেদিন সকালে কিংবা সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাড়িতে আসেননি। যখন মুসলিমগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেন, তখন আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হিজরত করে আবিসিনিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলেন। অতঃপর যখন বারকুল গিমাদ নামক স্থানে পৌঁছান, তখন ইবনু দাগিনার সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সে ছিল তার গোত্রের নেতা। সে বলল, ‘হে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)! কোথায় যাচ্ছেন’? আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, أَخْرَجَنِىْ قَوْمِىْ فَأُرِيْدُ أَنْ أَسِيْحَ فِى الْأَرْضِ وَأَعْبُدَ رَبِّىْ ‘আমার স্ব-জাতি আমাকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি মনে করছি, পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াব এবং আমার প্রতিপালকের ইবাদত করব’। তখন ইবনু দাগিনা বলল,
فَإِنَّ مِثْلَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ لَا يَخْرُجُ وَلَا يُخْرَجُ إِنَّكَ تَكْسِبُ الْمَعْدُوْمَ وَتَصِلُ الرَّحِمَ وَتَحْمِلُ الْكَلَّ وَتَقْرِىُ الضَّيْفَ وَتُعِيْنُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ فَأَنَا لَكَ جَارٌ ارْجِعْ وَاعْبُدْ رَبَّكَ بِبَلَدِكَ
‘হে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)! আপনার মত ব্যক্তি বের হতে পারে না এবং বের করাও হতে পারে না। আপনি তো নিঃস্বদের জন্য উপার্জন করে দেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন, অক্ষমদের বোঝা নিজে বহন করেন, মেহমানের মেহমানদারী করে থাকেন এবং সত্য পথের পথিকদের বিপদ-আপদে সাহায্য করেন। সুতরাং আমি আপনাকে আশ্রয় দিচ্ছি, আপনাকে যাবতীয় সহযোগিতার ওয়াদা করছি। আপনি ফিরে যান এবং নিজ শহরে আপনার রবের ইবাদত করুন’।
অতঃপর আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ফিরে এলেন। তাঁর সঙ্গে ইবনু দাগিনাও এল। বিকালে ইবনু দাগিনা কুরাইশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে গেল এবং তাদেরকে বলল, ‘আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মত লোক দেশ হতে বের হতে পারে না এবং তাকে বের করে দেয়া যায় না। আপনারা কি এমন ব্যক্তিকে বের করবেন, যে নিঃস্বদের জন্য উপার্জন করেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন, অক্ষমের বোঝা নিজে বহন করেন, মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কারণে বিপদ এলে সাহায্য করেন’! ইবনু দাগিনার আশ্রয়দান কুরাইশরা মেনে নিল এবং তারা ইবনু দাগিনাকে বলল,
مُرْ أَبَا بَكْرٍ فَلْيَعْبُدْ رَبَّهُ فِىْ دَارِهِ فَلْيُصَلِّ فِيْهَا وَلْيَقْرَأْ مَا شَاءَ وَلَا يُؤْذِيْنَا بِذَلِكَ وَلَا يَسْتَعْلِنْ بِهِ فَإِنَّا نَخْشَى أَنْ يَفْتِنَ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا
‘তুমি আবু বকরকে বলে দাও, তিনি যেন তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরে করেন। ছালাত সেখানেই আদায় করেন, ইচ্ছা মাফিক কুরআন তিলাওয়াত করবেন। কিন্তু এর দ্বারা আমাদের যেন কষ্ট না দেন। আর এসব ব্যাপার যেন প্রকাশ্যে না করেন। কেননা আমরা আমাদের মেয়েদের ও ছেলেদের ফিতনায় পড়ে যাওয়ার ভয় করি’।
ইবনু দাগিনা এসব কথা আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বলে দিলেন। এরপর আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কিছুকাল নিজের ঘরে তাঁর রবের ইবাদত করতে লাগলেন। ছালাত প্রকাশ্যে আদায় করতেন না এবং ঘরেই কুরআন তিলওয়াত করতেন। এরপর আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মনে খেয়াল জাগল। ফলে তিনি তাঁর ঘরের পার্শ্বেই একটি মসজিদ তৈরি করে নিলেন। সেখানে তিনি ছালাত আদায় করতে শুরু করলেন ও কুরআন পড়তে লাগলেন। এ কারণে মুশরিক মহিলারা ও যুবকরা তাঁর কাছে এসে ভীড় জমাতে শুরু করল। তারা বিস্ময়বোধ করত এবং তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকত। আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন একজন ক্রন্দনকারী ব্যক্তি, তিনি যখন কুরআন পড়তেন, তখন তাঁর অশ্রু আঁটকে রাখতে পারতেন না। এ ব্যাপারটি মুশরিকদের নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের ভীত করে তুলল এবং তারা ইবনু দাগিনাকে ডেকে পাঠালো। সে এল। তারা তাকে বলল,
إِنَّا كُنَّا أَجَرْنَا أَبَا بَكْرٍ بِجِوَارِكَ عَلَى أَنْ يَعْبُدَ رَبَّهُ فِىْ دَارِهِ فَقَدْ جَاوَزَ ذَلِكَ فَابْتَنَى مَسْجِدًا بِفِنَاءِ دَارِهِ فَأَعْلَنَ بِالصَّلَاةِ وَالْقِرَاءَةِ فِيْهِ وَإِنَّا قَدْ خَشِيْنَا أَنْ يَفْتِنَ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا فَانْهَهُ فَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَقْتَصِرَ عَلَى أَنْ يَعْبُدَ رَبَّهُ فِىْ دَارِهِ فَعَلَ وَإِنْ أَبَى إِلَّا أَنْ يُعْلِنَ بِذَلِكَ فَسَلْهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْكَ ذِمَّتَكَ فَإِنَّا قَدْ كَرِهْنَا أَنْ نُخْفِرَكَ وَلَسْنَا مُقِرِّينَ لِأَبِىْ بَكْرٍ الْاِسْتِعْلَانَ
‘তোমার আশ্রয় প্রদানের কারণে আমরাও আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে আশ্রয় দিয়েছিলাম এই শর্তে যে, তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরে করবেন কিন্তু সে শর্ত তিনি ভঙ্গ করেছেন এবং নিজ গৃহের পাশে একটি মসজিদ তৈরি করেছেন এবং প্রকাশ্যে ছালাত ও তিলাওয়াত শুরু করেছেন। আমাদের ভয় হচ্ছে, আমাদের মহিলা ও সন্তানরা ফিতনায় পড়ে যাবে। কাজেই তুমি তাঁকে নিষেধ করে দাও। তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর গৃহের ভিতর সীমাবদ্ধ রাখতে চাইলে, তিনি তা করতে পারেন। আর যদি তিনি তা অমান্য করে প্রকাশ্যে তা করতে চান, তবে তাঁকে তোমার আশ্রয় প্রদান ও দায় দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে বল। আমরা তোমার আশ্রয়দানের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা করা অত্যন্ত অপসন্দ করি। আবার আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কেও এভাবে প্রকাশ্যে ইবাদত করার জন্য ছেড়ে দিতে পারি না’।
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, ইবনু দাগিনা এসে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে বলল, ‘আপনি অবশ্যই জানেন যে, কী শর্তে আমি আপনার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হয়েছিলাম। আপনি হয়ত তাতে সীমিত থাকবেন অন্যথা আমার জিম্মাদারী আমাকে ফিরত দিবেন। আমি এ কথা মোটেই পসন্দ করি না যে, আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ এবং আমার আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতি আমার বিশ্বাসঘাতকতার অপবাদ আরববাসীর নিকট প্রকাশিত হোক’। আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে বললেন, فَإِنِّىْ أَرُدُّ إِلَيْكَ جِوَارَكَ وَأَرْضَى بِجِوَارِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ‘আমি তোমার আশ্রয় তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। আমি আমার আল্লাহর আশ্রয়ের উপর সন্তুষ্ট আছি’।[১] এরপর আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ইবনু দাগিনার প্রদত্ত নিরাপত্তা থেকে বেরিয়ে সরাসরি কা‘বার চত্বরে চলে গেলেন। সেখানে এক মূর্খ কুরাইশ তার উপর কতগুলো ধুলো-ময়লা ঢেলে দিল। তখন আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ওয়ালীদ ইবনু মুগীরা কিংবা ‘আছ ইবনু ওয়ায়েলকে দেখতে পেয়ে বললেন, ‘এ মূর্খ আমার সাথে কী আচরণ করছে আপনি দেখতে পাচ্ছেন না? সে বলল, ‘এটা তো তুমি নিজেই নিজের উপর ডেকে এনেছো’। এসময় আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তিনবার বলেন, ‘আমার প্রভু! আপনি কতই না ধৈর্যশীল’।[২]
উল্লেখ্য, এ সময় নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কায় ছিলেন। তিনি মুসলিমদের বললেন, আমাকে তোমাদের হিজরতের স্থান (স্বপ্নে) দেখান হয়েছে। সে স্থানে খেজুর বাগান রয়েছে এবং তা দু’টি পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এরপর যারা হিজরত করতে চাইলেন, তাঁরা মদীনার দিকে হিজরত করলেন। আর যারা হিজরত করে আবিসিনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন, তাদেরও অধিকাংশ সেখান হতে ফিরে মদীনায় চলে আসলেন। আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)ও মদীনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, ‘তুমি অপেক্ষা কর। আশা করছি আমাকেও অনুমতি দেয়া হবে’। আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, ‘আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান! আপনিও কি হিজরতের আশা করছেন’? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গ পাওয়ার জন্য নিজেকে হিজরত হতে বিরত রাখলেন এবং তাঁর নিকট যে দু’টি উট ছিল এ দু’টি চার মাস পর্যন্ত বাবলা গাছের পাতা খাওয়াতে থাকেন’।[৩]
শিক্ষণীয় বিষয়
আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) দুনিয়াবী কোন কারণে হাবশায় হিজরত করতে চাননি কেবল একান্তভাবে মহান আল্লাহর ইবাদতের জন্য হিজরতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন।
যারা কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়তে চান এবং একাগ্রচিত্তে ছালাত আদায় করতে চান, নিঃসন্দেহে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর জীবন তাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।
নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত কাফির, মুশরিক, ইহুদী-খ্রিষ্টানদেরকে সন্ত্রস্ত করে।
সকল অবস্থায় আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করা।
উপসংহার
আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন উঁচু বংশীয়। তিনি কুরআন তেলাওয়াত করতেন এবং এর প্রতিটি শিক্ষাকে জীবনে বাস্তবায়ন করতেন। কুরআনের সাথে তার অনন্য বন্ধন দাওয়াতী কর্মকা-ে অতুলনীয় মাত্রা যোগ করেছিল। ইসলামের পক্ষে থেকে ইবনু দাগিানার আশ্রয় মুক্ত হয়ে তিনি নিজেকে আল্লাহর আশ্রয়ে সপে দিয়েছিলেন। অতএব আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মত সকলকে কুরআন ও ইসলামের সকল বিধানের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করা অপরিহার্য।
* কামিল, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৯০৫ ‘আনছারগণের মর্যাদা’ অধ্যায়-৬৩, ‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর ছাহাবীদের মদীনায় হিজরত’ অনুচ্ছেদ-৪৫।
[২]. আবুল ফিদা ইসমাঈল ইবনু কাছীর আদ-দিমাস্কী, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ (দারু ইহইয়াইত তুরাছিল ‘আরাবী, ১ম সংস্করণ, ১৪০৮ হি.), ৩য় খণ্ড, পৃ. ১১৯।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৯০৫।