আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর মদীনায় হিজরত
-মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম*
(শেষ কিস্তি)
হিজরতে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মদীনায় হিজরতের ব্যাপারে আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। কেননা তারা সকলেই ছিলেন আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হিজরতের উত্তম সহযোগী। যেমন,
(ক) আব্দুল্লাহ ইবনু আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর ভূমিকা
নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর গুহায় অবস্থানের দিনগুলোতে আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর ছেলে আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কুরাইশ শত্রুদের গতিবিধি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতেন। হাদীছে এসেছে, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,
عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِىْ بَكْرٍ وَهْوَ غُلَامٌ شَابٌّ ثَقِفٌ لَقِنٌ فَيُدْلِجُ مِنْ عِنْدِهِمَا بِسَحَرٍ فَيُصْبِحُ مَعَ قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ كَبَائِتٍ فَلَا يَسْمَعُ أَمْرًا يُكْتَادَانِ بِهِ إِلَّا وَعَاهُ حَتَّى يَأْتِيَهُمَا بِخَبَرِ ذَلِكَ حِينَ يَخْتَلِطُ الظَّلَامُ
‘আব্দুল্লাহ ইবনু আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁদের পাশেই রাত্রি যাপন করতেন। তিনি ছিলেন একজন তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন তরুণ। তিনি শেষ রাত্রে ওখান হতে বেরিয়ে মক্কায় রাত্রি যাপনকারী কুরাইশদের সঙ্গে মিলিত হতেন এবং তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হত তা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন ও স্মরণ রাখতেন। যখন আঁধার ঘনিয়ে আসত, তখন তিনি সংবাদ নিয়ে তাঁদের উভয়ের কাছে যেতেন’।[১] উক্ত কাজে আব্দুল্লাহ ইবনু আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -কেও চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হত। কেননা তিনি ছিলেন আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর সন্তান। তার পেছনে কুরাইশদের গুপ্তচর লেগে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সবার অলক্ষ্যেই তিনি তার দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করছিলেন।
(খ) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ও আসমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) -এর দ্বৈত ভূমিকা
তারা উভয়ে তাদের পিতার কাছ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা অনুযায়ী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) এ ব্যাপারে বলেন, فَجَهَّزْنَاهُمَا أَحَثَّ الْجَهَازِ وَصَنَعْنَا لَهُمَا سُفْرَةً فِىْ جِرَابٍ فَقَطَعَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِىْ بَكْرٍ قِطْعَةً مَنْ نِطَاقِهَا فَرَبَطَتْ بِهِ عَلَى فَمِ الْجِرَابِ فَبِذَلِكَ سُمِّيَتْ ذَاتَ النِّطَاقِ ‘আমরা তাদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা অতি শীঘ্র সম্পন্ন করলাম এবং একটি থলের মধ্যে তাদে খাদ্যসামগ্রী গুছিয়ে দিলাম। আমার বোন আসমা তার কোমরবন্ধের কিছু অংশ কেটে থলের মুখ বেঁধে দিলেন। এ কারণেই তাকে ‘দু-কোমরবন্ধ-ওয়ালী’ বলা হত’।[২]
(গ) আসমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) -এর একক ভূমিকা
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মদীনায় হিজরতের ঘটনায় আসমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) -এর ভূমিকা অতুলনীয়। কেননা তিনিই খাবার-পানীয় নিয়ে শত ঝুঁকির মধ্যেও শারীরিক কষ্ট স্বীকার করে গুহায় পৌঁছে দিয়ে আসতেন। তিনি নিজে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হিজরাতের জন্য বেরিয়ে যাওয়ার পর এক দল কুরাইশি আমাদের বাসায় এল, যাদের মধ্যে আবু জাহল বিন হিশামও ছিল। তারা জিজ্ঞেস করে, ‘তোমার বাবা কোথায়’? আমি বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি জানি না আমার পিতা কোথায় আছেন’। এ কথা শুনে দুরাত্মা আবু জাহল আমাকে এত জোরে এক চড় মারল যে, আমার কানের দুল খুলে ছিটকে পড়ল। এরপর তারা চলে গেল’।[৩] অতঃপর তার পিতামহ আবু কুহাফা এসে তাকে বললেন, মনে হচ্ছে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সহায়সম্পদ যা কিছু ছিল তার সাথে নিয়ে গিয়ে তোমাদেরকে বিপদে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। আবু কুহাফা ছিলেন অন্ধ। তার হাতটি নিয়ে আসমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) কিছু জিনিসপত্রের উপর রেখে বললেন, না; এই যে দেখুন কিছুই নেননি। আবু কুহাফা বললেন, আচ্ছা, সে যদি তোমাদের জন্য সব কিছু রেখে যায়, তাহলে তো ভালই’। পরবর্তীকালে এ ঘটনা স্মরণ করে আসমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলতেন, আল্লাহর কসম, আমাদের পিতা আমাদের জন্য কোনো কিছুই রেখে যেতে পারেননি। একজন বৃদ্ধকে খুশি রাখতেই কেবল আমি এরকম করেছিলাম’।[৪]
সুধী পাঠক! এভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে মিথ্যে না বলে তিনি তার পিতার অপারগতা যেমন গোপন করলেন, তেমনি একজন বৃদ্ধের মনও রক্ষা করলেন। কেননা, তার পিতা তার জন্য সত্যিই কোন সম্পদ রেখে যেতে পারেননি। তবে রেখে গিয়েছিলেন এক অমূল্য সম্পদ- আল্লাহর উপর ঈমান; এমন পর্বতসম দৃঢ় ঈমান যা কিছুতেই একবিন্দুও টলবে না। আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার পরিবারকে এমন মহান লক্ষ্যে অভিনিবেশ করে গড়ে তুলেছিলেন যে, তারা তুচ্ছ দুনিয়াবি কোন বিষয়ের প্রতি ভ্রƒক্ষেপই করতেন না। তিনি এমন এক পরিবার গড়ে তুলেছিলেন যার অনুরূপ দৃষ্টান্ত ইতিহাসের পাতায় পাওয়া দুর্লভ।
(ঘ) ‘আমির ইবনু ফুহাইরাহ-এর ভূমিকা
আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর বাড়ীতে ‘আমির ইবনু ফুহাইরাহ নামের একজন দাস ছিল। যাকে তিনি ইসলামের প্রতি আহ্বান জানান। ব্যাপারটা এমন নয় যে, সে তার দাস বলে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার সামনে যেনতেনভাবে ইসলামের কথা বলেছেন। কেননা ইসলামের জন্য কারও মন প্রভাব-প্রতিপত্তি দিয়ে জয় করা যায় না। তাই তিনি নিজে ইসলামের মূর্ত বাহক হয়ে আলো ছড়িয়েছেন ভদ্র ও মার্জিত আচরণের দ্বারা পরিবার-পরিজন ও কাজের মানুষের মন জয় করেছেন। আর এ কারণে আবু বাকরের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আচরণে মুগ্ধ হয়েই তার দাস ‘আমির তাঁকে ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ভালবেসেছেন। আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ‘আমিরের উপর যথেষ্ট আস্থাশীল ছিলেন। তাই তাকে দু’টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। প্রথমটি হল, অন্যদের মনে কোন প্রকার সন্দেহের উদ্রেক না করে সাওর পর্বতে ভেড়ার পাল নিয়ে গিয়ে তাদের দু’জনের জন্য খাদ্য-পানীয় দুধ সরবারহ করা। আর দ্বিতীয়টি হল, খুব সকালে ভেড়ার পাল চড়িয়ে আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর সাওর পর্বতে আসা-যাওয়ার পদচিহ্ন মুছে দেয়া। হাদীছে এসেছে,
وَيَرْعَى عَلَيْهِمَا عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ مَوْلَى أَبِىْ بَكْرٍ مِنْحَةً مِنْ غَنَمٍ فَيُرِيحُهَا عَلَيْهِمَا حِيْنَ يَذْهَبُ سَاعَةٌ مِنَ الْعِشَاءِ فَيَبِيتَانِ فِىْ رِسْلٍ وَهْوَ لَبَنُ مِنْحَتِهِمَا وَرَضِيْفِهِمَا حَتَّى يَنْعِقَ بِهَا عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ بِغَلَسٍ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِىْ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ تِلْكَ اللَّيَالِى الثَّلَاثِ وَاسْتَأْجَرَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُوْ بَكْرٍ رَجُلًا مِنْ بَنِى الدِّيلِ وَهْوَ مِنْ بَنِىْ عَبْدِ بْنِ عَدِىٍّ هَادِيًا خِرِّيْتًا. وَالْخِرِّيتُ الْمَاهِرُ بِالْهِدَايَةِ قَدْ غَمَسَ حِلْفًا فِىْ آلِ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ السَّهْمِىِّ وَهْوَ عَلَى دِيْنِ كُفَّارِ قُرَيْشٍ فَأَمِنَاهُ فَدَفَعَا إِلَيْهِ رَاحِلَتَيْهِمَا وَوَاعَدَاهُ غَارَ ثَوْرٍ بَعْدَ ثَلَاثِ لَيَالٍ بِرَاحِلَتَيْهِمَا صُبْحَ ثَلَاثٍ وَانْطَلَقَ مَعَهُمَا عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ وَالدَّلِيلُ فَأَخَذَ بِهِمْ طَرِيْقَ السَّوَاحِلِ
‘আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) -এর গোলাম ‘আমির ইবনু ফুহাইরাহ তাঁদের কাছেই দুধালো বকরীর পাল চরিয়ে বেড়াত। রাতের কিছু সময় চলে যাওয়ার পর সে বকরীর পাল নিয়ে তাঁদের নিকটে যেত এবং তাঁরা দু’জন দুধ পান করে আরামে রাত্রিযাপন করতেন। তাঁরা বকরীর দুধ দোহন করে সাথে সাথেই পান করতেন। তারপর শেষ রাতে আমির ইবনু ফুহাইরাহ বকরীগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে যেত। এ তিন রাতের প্রতি রাতে সে এমনই করল। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বনী আবদ ইবনু আদী গোত্রের এক ব্যক্তিকে মজুরির বিনিময়ে ‘খিররীত’ (পথ প্রদর্শক) নিযুক্ত করেছিলেন। দক্ষ পথপ্রদর্শককে ‘খিররীত’ বলা হয়। আদী গোত্রের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল। সে ছিল কাফির কুরাইশের ধর্মাবলম্বী। তাঁরা উভয়ে তাকে বিশ্বস্ত মনে করে তাঁদের উট দু’টি তার হাতে দিয়ে দিলেন এবং তৃতীয় রাত্রের পরে সকালে উট দু’টি সাওর গুহার নিকট নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করলেন। আর সে যথাসময়ে তা পৌঁছিয়ে দিল। আর আমির ইবনু ফুহাইরাহ ও পথপ্রদর্শক তাঁদের উভয়ের সঙ্গে চলল। প্রদর্শক তাঁদের নিয়ে উপকূলের পথ ধরে চলতে লাগল’।[৫]
পরিশেষে বলা যায় যে, আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মদীনায় হিজরতের ঘটনায় আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ও তাঁর পরিবারের সকল সদদ্যের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া আরো স্পষ্ট হয় যে, হিজরতের জন্য নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সর্বপ্রকার নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ এবং সূক্ষাœ কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। তাদের পরিকল্পনায় কোন ত্রুটি না রাখার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে তারা চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের কৌশলী পরিকল্পনা ও দক্ষ বাস্তবায়ন এটা শিক্ষা দেয় যে, একজন মুসলিমের যেকোন ভালো উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ইসলাম সমর্থিত সকল প্রকার কৌশল অবলম্বন করা উচিত। অবশ্য এর মানে এই নয় যে, তিনি সবসময় সফল হবেন। কেননা আল্লাহর ইচ্ছাতেই সফলতা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই একজন মুসলিম বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং একই সাথে একমাত্র আল্লাহর উপর আস্থা রেখে লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাবেন। আর এ দু’টির কোন একটিতেও যদি তিনি ব্যর্থ হন, তবে তার সমগ্র কাজটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরতের জন্য দুনিয়াবী সকল প্রকার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন; একইসাথে আল্লাহ তা‘আলার উপর অবিচল আস্থা রেখে বারংবার সফলতার জন্য প্রার্থনা করেছেন। ফলে মুশরিকরা তাদেরকে গুহায় দেখতে পেল না, সুরাকাহ বিন মালিক তাকে ধরতে গিয়ে ব্যর্থ হল এবং আরও নানা উপায়ে আল্লাহ তাঁকে সাহায্য ও নিরাপত্তা দান করেছিলেন। তিনি উপায় অবলম্বন করেছিলেন, তবে সেসবের উপর নির্ভর করেননি; নির্ভর করেছিলেন একমাত্র মহান আল্লাহর উপর।
শিক্ষণীয় বিষয়
(ক). পরিবারের সকলের মাঝে তাওহীদের দাওয়াত দেয়া।
(খ). ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবারের সকল সদস্যকে নিযুক্ত করা এবং যেকোন ত্যাগ স্বীকারের দৃঢ় মানসিকতা তৈরি করা।
(গ). সমাজ সংস্কারের জন্য দুনিয়াবী সকল বৈধ কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং তা বাস্তবায়ন করা।
(ঘ). সর্বোপরি আল্লাহর উপর দৃঢ় ও অবিচল আস্থা রাখা।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
* কামিল, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৯০৫।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৯০৫।
[৩]. ড. আব্দুর রহমান র্বির, হিজরাহ নাবাইয়্যাহ মুবারাকাহ (মিশর : দারু কালিমাহ মানছূরাহ, ১৯৯৭ খ্রি.), পৃ. ১২৬।
[৪]. ইবনু হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ (দারু ইহইয়াইত তুরাসিল আরাবী, ২য় সংস্করণ ১৯৮৬ খ্রি.), ২য় খ-, পৃ. ১০২।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৯০৫।