রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন
তারুণ্যের উপর সন্ত্রাসবাদের  হিংস্র ছোবল : প্রতিকারের উপায়
-মুহাম্মাদ বযলুর রহমান* 

(২য় কিস্তি)

দিশেহারা যুবক (شَبَابٌ مُتَحَيَّرٌ بَيْنَ بَيْنَ)

দিশেহারা তরুণ বা যুবকের পরিচয় দিতে গিয়ে মুহাম্মাদ বিন ছালিহ আল-ঊছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ)  (১৩৪৭-১৪২১ হি.) বলেন,

.شباب حائر متردد بين مفترق الطرق عرف الحق واطمأن به وعاش في مجتمع محافظ إلا أنه انفتحت عليه أبواب الشر من كل جانب

‘দিশেহারা যুবক হল- যে নানা পথ ও মতের মাঝে উদ্ভ্রান্ত-দিশেহারা হয়ে থাকে, অথচ সে হক্বকে চিনেছে ও তাতে প্রশান্তি লাভ করেছে এবং একটি রক্ষণশীল সমাজে লালিত-পালিত হয়েছে। তবে সকল দিক থেকে অনিষ্টতার দরজাসমূহ তার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়’।[১]

দিশেহারা যুবকের বৈশিষ্ট্য

সমাজের নানামুখী বিভেদ, বাতিলের উপর্যুপরী আক্রমণ, আক্বীদা ও আমলের বিকৃতি, নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কর্মতৎপরতা, চিন্তাধারার বৈপরীত্ব, শিরক-বিদ‘আতের হিংস্রতা প্রভৃতি অবলোকনে এ শ্রেণীর যুবক কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে যায় এবং নিজ গন্তব্য নির্ণয় করতে দিশেহারা হয়ে পড়ে। কোন্টা সত্য আর কোন্টা মিথ্যা যাচাই করতে সে দিশেহারা হয়ে যায়। সে গোলকধাঁধায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। একবার এটা গ্রহণ করে থাকে তো পরে আবার অন্যটা গ্রহণ করে থাকে। এভাবেই সে তার জীবন অতিবাহিত করে।

সুধী পাঠক! উপরিউক্ত তিন শ্রেণীর যুবকের মধ্যে দিশেহারা যুবকের পরিমাণ সমাজে সবচেয়ে বেশী। সে জন্মগতভাবে ইসলামের সাথে পরিচিত হলেও ব্যাপকভাবে দুনিয়াবী শিক্ষা লাভের কারণে ইসলামের মূল আহ্বানকে সে কর্ণপাত করেনি। ফলে সে ইসলাম ও তার শিক্ষার দ্বিমুখী নীতি-আদর্শের নিকট থমকে দাঁড়ায়। অতএব সমগ্র জীবনাচরণে ইসলামী সভ্যতা সংস্কৃতির বীজ রোপণের মাধ্যমে এবং ছালাফে ছালেহীনদের নিকট থেকে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের শিক্ষা লাভের কোন বিকল্প নেই।

ইসলামে তরুণ ও যুবসমাজ

তরুণ সময়কালটি মানব জীবনের সোনালী সময়। ইসলামেও তরুণ সময়কে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন যৌবন কালের হিসাব গ্রহণ করবেন। হাদীছে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

.لَا تَزُوْلُ قَدَمَا ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ عَنْ عُمْرِهِ فِيْمَا أَفْنَاهُ وَعَنْ شَبَابِهِ فِيْمَا أَبْلَاهُ وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيْمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيْمَا عَلِمَ

‘ক্বিয়ামতের দিন আদম সন্তানের পদদ্বয় এতটুকু নড়বে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিকট থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া না হবে। (১) তার বয়স সম্পর্কে, সে তা কী কাজে ব্যয় করেছে? (২) তার যৌবনকাল সম্পর্কে, সে তা কোন্ কাজে ক্ষয় করেছে? (৩) তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, সে তা কোথা হতে অর্জন করেছে? (৪) আর সেই ধন-সম্পদ কোন্কাজে ব্যয় করেছে? এবং (৫) যে জ্ঞান অর্জন করেছিল সে অনুযায়ী আমল করেছে কি-না?’।[২]

ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা যে সাতশ্রেণীর মানুষকে তাঁর আরশের নীচে ছায়া প্রদান করবেন, যার ছায়া ব্যতীত সেদিন কোন ছায়া থাকবে না; তাদের মধ্যে আল্লাহর ইবাদতে জীবন অতিবাহিতকারী যুবকও রয়েছে।[৩]  এছাড়া প্রবৃত্তিপূজা এবং হক্ব পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া থেকে মুক্তা থাকা যুবককে আল্লাহ তা‘আলা ভালবাসেন।[৪]  জান্নাতের যুবকদের সরদার হবেন আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুই যুবক নাতি হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)।[৫]  জান্নাতীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَشِبُّوا فَلَا تَهْرَمُوْا أَبَدًا  ‘তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না’।[৬]

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আমানতপূর্ণ দায়িত্ব হল কুরআন গ্রন্থকারে সংকলন করা। অথচ এটিও যুবক ছাহাবী যায়েদ বিন ছাবিত (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর উপর অর্পিত হয়। হাদীছে এসেছে, আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,

.إِنَّكَ رَجُلٌ شَابٌّ عَاقِلٌ وَلَا نَتَّهِمُكَ كُنْتَ تَكْتُبُ الْوَحْىَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَتَبَّعِ الْقُرْآنَ فَاجْمَعْه

‘তুমি যুবক ও জ্ঞানী ব্যক্তি। আমরা তোমার প্রতি কোনরূপ খারাপ ধারণা রাখি না। কেননা তুমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে অহী লিখতে। সুতরাং তুমি কুরআনের আয়াত সংগ্রহ করে একত্রিত কর’।[৭]  মুমূর্ষ যুবককে সান্ত্বনা দিয়ে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

دَخَلَ عَلَى شَابٍّ وَهُوَ فِى الْمَوْتِ فَقَالَ كَيْفَ تَجِدُكَ قَالَ وَاللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّىْ أَرْجُو اللهَ وَإِنِّىْ أَخَافُ ذُنُوْبِىْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَجْتَمِعَانِ فِىْ قَلْبِ عَبْدٍ فِىْ مِثْلِ هَذَا الْمَوْطِنِ إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ مَا يَرْجُوْ وَآمَنَهُ مِمَّا يَخَافُ

‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এক মুমূর্ষ যুবকের নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, তোমার কেমন লাগছে? যুবকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি আল্লাহ্র কাছে রহমত প্রত্যাশা করছি এবং আমার পাপের ব্যাপারে ভয় করছি। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই দু’টি জিনিস (আশা ও শংকা) যে বান্দার অন্তরেই একত্রিত হয়, সে যা আশা করে, আল্লাহ তাকে তা দান করবেন এবং সে যা আশংকা করে তা থেকে নিরাপদ রাখবেন’।[৮]

অন্ধকার, বর্বর ও জাহেলী সমাজের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দাওয়াতে যারা ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন, তাদের অধিকাংশই ছিলেন তরুণ। তারা তাঁর সাথে সর্বদা ছায়ার ন্যায় অবস্থান করতেন। তারা তাঁর আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে অনুসরণ করে চলতেন। ‘দাওরুশ শাবাব’ গ্রন্থকারের মতে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যখন অহী অবতীর্ণ হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল ৪০ বছর।[৯]  এটি তারুণ্যের পূর্ণতার বয়স। আবু বকর (রা.) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ৩ বছরের ছোট ছিলেন। ওমর (রা.) যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৭ বছর। ওছমান (রা.) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর থেকে ছোট ছিলেন। আলী (রা.) উল্লেখিত সকলের থেকে ছোট ছিলেন। এমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ, সাঈদ ইবনু যায়িদ, আব্দুর রহমান ইবনু আওফ, বেলাল ইবনু রাবাহ ও মুছ‘আব বিন উমাইর (রা.) তরুণ ছাহাবীর অন্তর্ক্তুক্ত ছিলেন। এ দশজন ছাড়াও তৎকালীন প্রায় এক শতেরও অধিক তরুণ ছাহাবী ছিলেন।[১০]  তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ইসলামের দিকে আহ্বান করেন, তখন তরুণদের একটি বিরাট অংশ তাঁর দাওয়াতে সাড়া দেন। প্রকৃতপক্ষে যারা প্রথম মুসলিম হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন ৫০ বছরের, কয়েকজন ছিলেন ৩৫ বছরের ওপরে, আর অধিকাংশই ছিলেন ৩০ বছরের নীচে।[১১]  ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তরুণরা ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়স্কদের চেয়ে অধিক অগ্রবর্তী’।[১২]

ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে পরিবার ও সমাজের পক্ষ থেকে হুমকি উপেক্ষা করে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ডাকে প্রথম সাড়াদানকারীদের অন্যতম ছিলেন আলী (রা.)। কাফির-মুশরিকদের আড়ালে, তাঁর গোপনে ছালাত আদায়কালীনও তিনি তাঁর সাথী ছিলেন।[১৩]  মক্কায় কাফির কুরাইশদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ত্বায়েফবাসীর নিকট দ্বীন প্রচারের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় যায়েদ ইবনু হারেছাকে সাথে নিয়ে ত্বায়েফে গমন করেন।[১৪]  হজ্জের মৌসুমে তিনি আলী (রা.) ও আবু বকর (রা.)-কে সাথে নিয়ে বিভিন্ন তাঁবুতে তাঁবুতে দাওয়াত দিয়েছিলেন। এমনকি সেদিন যারা তাঁর দাওয়াত কবুল করেছিলেন এবং তাদের সাথে ইসলামের প্রথম দাঈ হিসাবে যাকে পাঠিয়েছিলেন, তারা সকলেই তরুণ ছিলেন। ইসলামের প্রথম দাঈ তরুণ মুছ‘আব বিন ঊমায়ের (রা.)-এর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হয়।[১৫]  সর্বোচ্চ হাদীছ বর্ণনাকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তরুণ ছাহাবী আবু হুরায়রা (রা.), আনাস বিন মালেক (রা.), আয়েশা (রা.) সহ আরও অনেকে।[১৬]  সামুরা ইবন জুনদুব (রা.) বলেন, ‘রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যামানায় আমি বালক ছিলাম এবং তখনই আমি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা মুখস্থ করতাম’।[১৭]  বদর প্রান্তরে তরুণ ছাহাবী মু‘আয ও মা‘আয ইসলামের দুশমন আবু জাহালকে হত্যার ব্যাপারে দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করেন।[১৮]  আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রা.) বলেন, ‘আমরা তরুণ অবস্থায় রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। তখন আমাদের কোন পরিবার ছিল না, আমরা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে খোজা হতে চাইলে তিনি আমাদের নিষেধ করেন।[১৯]  রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যারা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন এবং যারা তাঁর সঙ্গে থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের অধিকাংশ তরুণ ছিলেন।[২০]  এমনকি প্রকৃত ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে তাঁরা নিজেদের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।[২১]

সন্ত্রাসের পরিচয় :

‘সন্ত্রাস’ শব্দের অর্থ হল ভয়, ভীতি, শঙ্কা।[২২]  আর ‘সন্ত্রাস’ হল, আতঙ্কগ্রস্ত করা, অতিশয় ত্রাস বা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা।[২৩]  কোন উদ্দেশ্যে মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা, অতিশয় শঙ্কা বা ভীতি। আর সন্ত্রাসবাদ হল রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য হত্যা অত্যাচার ইত্যাদি কার্য অনুষ্ঠান-নীতি।[২৪]  ইংরেজীতে ‘সন্ত্রাস’ শব্দের প্রতিশব্দ হল, Terror Oxford Advanced Learner’s Dictionary-তে বলা হয়েছে- Violent action or the threat of violent action that is intended to cause fear, usually for political purposes. ‘সাধারণত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হিংস্র কাজ বা  হিংস্র কাজের মাধ্যমে ভীতিপ্রদর্শন। যা দ্বারা আতঙ্ক বা ভীতি প্রদর্শনই মূল উদ্দেশ্য’।[২৫]

যেকোন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অত্যাচার, হত্যা প্রভৃতি হিংসাত্মক ও ত্রাসজনক পথ বেছে নেয়া। রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য সংঘবদ্ধভাবে ভয় দেখিয়ে বশ বানানোর নীতি অবলম্বন করাকেই সন্ত্রাস বলে।[২৬]

The New Encyclopaedia Britannica- তে বলাহয়েছে, Terrorism, the systematic use of violence to create a general climate of fear in a population and thereby to bring about a particular political objective. ‘একটি বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জনগণের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করার সংগঠিত পন্থাই হচ্ছে ‘সন্ত্রাসবাদ’।[২৭]

মার্কিন সরকারের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (FBI)-এফ. বি. আই-এর মতে ‘সন্ত্রাস’ হল-

Terrorism is the unlawful use of force or violence against person or property to intimidate or coerce a government. The civilian population or any segment there of in furtherance of political of social objectives. অর্থাৎ ‘সামাজিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে কোন সরকার, বেসরকারী জনগণ বা অন্য যেকোন অংশকে ভীতি প্রদর্শন বা দমনের জন্য ব্যক্তিবর্গ বা সম্পদের উপর অবৈধ শক্তি প্রয়োগ বা সহিংস ব্যবহারকে ‘সন্ত্রাস’ বলা হয়’।[২৮]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

* পি-এইচ.ডি. গবেষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

[১] মিন মুশকিলাতিশ শাবাব, পৃ. ১৬।

 [২] তিরমিযী, হা/২৪১৬; মিশকাত, হা/৫১৯৭; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৯৪৬; ছহীহুল জামে‘, হা/৭২৯৯।

 [৩] ছহীহ বুখারী, হা/১৪২৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৩১; মিশকাত, হা/৭০১।

 [৪] মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪০৯; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৮৪৩

 [৫] তিরমিযী, হা/৩৭৮১; ইবনু মাজাহ, হা/১১৮; মিশকাত, হা/৬১৬২: সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৭৯৬; ছহীহুল জামে‘, হা/৩১৮০।

 [৬] ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৩৭; তিরমিযী, হা/৩২৪৬; মিশকাত, হা/৫৬২৩।

[৭] ছহীহ বুখারী, হা/৪৬৭৯।

[৮] তিরমিযী, হা/৯৮৩; ইবনু মাজাহ, হা/৪২৬১, সনদ হাসান।

 [৯] ড. মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আদ-দাবীশ, শাবাবাতুশ ছাহাবা (রিয়ায : দারুস সালাম, ২য় সংস্করণ, ১৪১৭ হি.), পৃ. ৭৪-৮১।

 [১০] দাওরুশ শাবাব,  পৃ. ৬ ।

 [১১] ইবরাহীম, Prophet Muhammad and his Universal message (আঙ্কারা, প্রকাশনা বিহীন, সংস্করণ. ২০০১ খ্রি.), পৃ. ৩০৪ – ৩০৫। বিস্তারিত :বিন site: young sahaba in the prophets circle – last prophet. info..

 [১২] আবু আব্দুল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল আশ-শায়বানী, মুসনাদে আহমাদ (কায়রো : মুওয়াস্সাসাতুর রিসালাহ, তাবি), ৫ম খণ্ড, পৃ. ১২।

 [১৩] আবুল কাসিম আব্দুর রহমান বিন আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আস-সুহাইলী, তাহক্বীক্ব : ওমর আব্দুস সালাম আস-সালামী, আর-রাওযুল আনফু ফী শারহি সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ লি ইবনি হিশাম (বৈরূত : ইহইয়াইত তুরাছিল ‘আরাবী, ১ম সংস্করণ, ১৪২১ হি./২০০০ খ্রি.), পৃ. ২৮৮।
[১৪] মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহাব ইবনু সুলায়মান আত-তামীমী আন-নাজদী, মুখতাছার সীরাতির রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সঊদী আরব : ওয়াযারাতুশ শুয়ূনিল ইসলামিয়াহ ওয়াল আওকাফ ওয়াদ দাওয়াহ ওয়াল ইরশাদ, ১ম সংস্করণ, ১৪১৮ হি.), পৃ. ১১৫।
[১৫] ‘আলা উদ্দীন আলী ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম আল-বাগদাদী, তাফসীরুল খাযিন (বৈরূত : দারুল ফিকর, ১৩৩৯ হি./১৯৭৯ খ্রি.), ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৩৯; ছফিউর রহমান মুবারকপুরী, আর-রাহীকুল মাখতূম (বৈরূত : দারুল মাওয়ায়িদ, ১৪১৬ হি./ ১৯৯৬ খ্রি.),পৃ. ১৫০-১৫১।
[১৬] মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম, হাদীছ সংকলনের ইতিহাস (ঢাকা : খায়রুন প্রকাশনী, তাবি.), পৃ. ১৯৭।
[১৭] আহমাদ ইবনু আলী ইবনু হাজার আবুল ফযল আল-আসক্বালানী, আল-ইছাবাহ ফী তাময়িযিছ ছাহাবা (বৈরূত : দারুল জীল, ১৪১২ হি.), ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৭৮।
[১৮] ছহীহ বুখারী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৬৫।
[১৯] মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৭৭৮৮।
[২০] মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৯০৪।
[২১] ছহীহুল বুখারী, হা/৩১৪১।
[২২] বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান (ঢাকা : বাংলা একাডেমী, ১ম প্রকাশ, ১৯৯২), পৃ. ২৬৬।
[২৩] সংসদ বাঙ্গালা অভিধান (কলিকাতা : সাহিত্য সংসদ, ২২তম মুদ্রণ, ১৯৯৮), পৃ. ৬৬১।
[২৪] বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, পৃ. ১১১৩।
[২৫] Oxford Advanced Learner’s Dictionary, p. 1618.
[২৬] সংসদ বাঙ্গালা অভিধান, পৃ. ৬৬১; বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান, পৃ. ৫৪১।
[২৭] The New Encyclopaedia Britannica (USA: 2002), Vol. 11, P. 650.
[২৮] ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, জিহাদ ও জঙ্গীবাদ : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, পৃ. ৩৮।




প্রসঙ্গসমূহ »: যুবসমাজ দাওয়াত
তাক্বওয়াই মুক্তির সোপান - আব্দুর রশীদ
পরবর্তীদের তুলনায় সালাফদের ইলমের শ্রেষ্ঠত্ব (২য় কিস্তি) - অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান
ভ্রান্ত ফের্কাসমূহের ঈমান বনাম আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ঈমান : একটি পর্যালোচনা (শেষ কিস্তি) - ড. আব্দুল্লাহিল কাফী বিন লুৎফর রহমান মাদানী
বিদ‘আত পরিচিতি (৫ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
বিদ‘আত পরিচিতি (২৭তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
ইসলামী ভ্রাতৃত্বের গুরুত্ব ও মূল্যায়ন - ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন
সুন্নাতের রূপরেখা - মাইনুল ইসলাম মঈন
হজ্জের শিক্ষা ও হজ্জ পরবর্তী করণীয় - ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
বিদ‘আত পরিচিতি (২য় কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
দু‘আ ও যিকর : আল্লাহর অনুগ্রহ ও প্রশান্তি লাভের মাধ্যম - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ছালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩ উপায় (৭ম কিস্তি) - আব্দুল হাকীম বিন আব্দুল হাফীজ
পরবর্তীদের তুলনায় সালাফদের ইলমী শ্রেষ্ঠত্ব (৩য় কিস্তি) - অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান

ফেসবুক পেজ