উত্তর : এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ লোক বা বিদ‘আতীদের নিকট থেকে দ্বীন গ্রহণ করা উচিত নয়। তাই এমন ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত শুনা থেকে বিরত থাকা ভাল। ইবনু সীরীন বলেন, ‘বিদ‘আতীদের নিকট থেকে কুরআন শ্রবণ কর না। কেননা তারা সেটা পরিবর্তন করে তেলাওয়াত করতে পারে’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১তম খণ্ড, পৃ. ২৮৫)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘তোমরা বিদ‘আতীদের মজলিসে না। কেননা তাদের মজলিসসমূহ হৃদয়কে রোগগ্রস্ত করে’ (ইবনুল বাত্তাহ, আল-ইবানাহ আল-কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩৮)। সালাম ইবনু মুতীঈ বলেন, ‘জনৈক ব্যক্তি আইয়ূব নামক বিদ‘আতীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হে আবু বকর! আমি কি তোমার নিকট একটি কথা জিজ্ঞেস করব? তিনি বললেন, আইয়ূবকে পরিত্যাগ কর এবং অর্ধেক কথাও নয় অর্ধেক কথাও নয় অর্থাৎ তার কোন কথা শ্রবণ কর না (আল-ফিরইয়াবী, আল-কাদর, হা/৩৩৫)। আরো পরিষ্কার করে ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এটা দ্বীনের ইলম। সুতরাং তোমরা দেখ যে, কাদের নিকট থেকে দ্বীন গ্রহণ করছ’ (ইবনু আব্দুল বার্র, আত-তামহীদ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৫)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মদ বিল্লাল, ওয়ারী, ঢাকা।