উত্তর : সূদী ব্যাংকে চাকুরী এটা একটি বিষয় আর সেই টাকা দিয়ে ইফতার করানো বা উপহার দেয়া আরেকটি বিষয়। প্রথমে সূদী চাকুরী করা যাবে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ اَحَلَّ اللّٰہُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا فَمَنۡ جَآءَہٗ مَوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہٖ فَانۡتَہٰی فَلَہٗ مَا سَلَفَ وَ اَمۡرُہٗۤ اِلَی اللّٰہِ وَ مَنۡ عَادَ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
‘আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সূদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার বিষয় আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সূদ নেয়, তারাই জাহান্নামে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৫)।
যে ব্যক্তি অজ্ঞতাহেতু সূদ নিবে তা তার জন্য হালাল। শর্ত হল- সে এই পাপের জন্য তওবা করবে (তাফসীরে উছায়মীন, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৭৭)। গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতার জন্য সূদী ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম। হারাম চাকুরী অবস্থায় তার যে উপার্জন তাও হারামের মধ্যেই শামিল। কেননা মহান আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া কোন কিছুই গ্রহণ করেন না (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৫)। ইফতারী একটি পবিত্র ইবাদত। তাই তা পবিত্র বস্তু দিয়েই দেয়া উচিত। সুতরাং সূদী ব্যাংক থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে কাউকে ইফতার করানো উচিত নয়। কাউকে ইফতার করানো, মসজিদে দান করা কিংবা কাউকে দান বা উপহার দেয়া সবই এই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্নকারী : আশীকুর রহমান, রাজশাহী।