শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর : অন্তরের রিয়া থেকে বাঁচার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তন্মধ্যে কতিপয় উপায় হল- ১. রিয়ার পরিচয়, প্রকার ও তার পরিণতি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা। ২. আল্লাহকে ভালোভাবে চেনা। ৩. অন্তর থেকে হুববে জাহ বা সম্মান- প্রীতি দূর করা। ৪. সর্বদা মৃত্যুকে স্মরণে রাখা। ৫. একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদত করা। ৬. সৎ লোক ও আলেম-ওলামার সংস্পর্শে থাকা, ইসলামী কিতাবাদি পড়া, প্রয়োজনে তাঁদের পরামর্শ নেয়া। ৭. মানুষের প্রশংসায় বেশি আনন্দিত না হওয়া। ৮. ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় রিয়া সহ যেকোন শিরক থেকে বাঁচার গুরুত্বপূর্ণ দু‘আটি পাঠ করা। আবূ মূসা (রাযিয়াল্লাহ আনহু) বলেন, ‘একদিন আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ভাষণে বললেন ‘হে লোকসকল! শিরককে ভয় কর। কারণ এটি পিঁপড়ার চুপিসারে চলার চেয়েও গুপ্ত’। যাদেরকে আল্লাহ চেয়েছিলেন তারা জিজ্ঞেস করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা কিভাবে এ থেকে বেঁচে থাকব যদি তা পিঁপড়ার চলার চেয়েও গুপ্ত হয়?’ তিনি বললেন, اَللهمّ إِنِّىْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সাথে জেনে যে শিরক করি, তা থেকে নিশ্চয় আমি আপনার কাছে পরিত্রাণ চাচ্ছি। আর যা জানি না তা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি’। তিনবার করে পাঠ করতে হবে (আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১৬ ‘দু‘আর ফযীলত’ অনুচ্ছেদ, সনদ ছহীহ)।

প্রশ্নকারী : মাহমুদ হাসান, চারঘাট, রাজশাহী।




প্রশ্ন (১১) : জনৈক ছাহাবী রাসূল (ﷺ)-এর নিকট এসে বিনীতভাবে বললেন, দুনিয়া আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ তিনি দারিদ্র্যের কথা বলেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘তুমি কি সেই তাসবীহ মুখস্থ করনি, যা ফেরেশতাদের তাসবীহ এবং এর বরকতে রিযিক প্রদান করা হয়? এই দুনিয়ার চাহিদা তোমার কাছে প্রচুর পরিমাণে আসবে। প্রতিদিন ভোরবেলা তথা সুবহে ছাদিকের পর এই তাসবীহটি প্রতিদিন ১০০ বার পড়ুন। তাসবীহটি হল- ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি, সুবহা-নালল্ল-হিল আযীম ওয়াবিহামদিহি এবং আস্তাগফিরুল্লাহ’। অতঃপর সাতদিন পর, সেই একই ছাহাবী আবার এলেন এবং বিনীতভাবে বললেন, হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ)! দুনিয়া (সম্পদ) আমার কাছে এত বেশি পরিমাণে আসছে যে আমি জানি না কিভাবে বহন করতে হবে বা কোথায় রাখব। আমি একেবারে বিস্মিত যে, এটা দিয়ে কী করা যায়’ (লিসানুল মীযান, ৪/৩০৪ পৃ., হা/৫১০০)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : সুস্থ সক্ষম পিতা-মাতার জন্য বদলি ওমরাহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : যে ঘরে কুরআন আছে, সে ঘরে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে কাপড় পরিবর্তন করা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : ব্যবহৃত অলংকারের যাকাত দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মসজিদের ইমাম যদি বিশ্বাস করে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নূর থেকে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সৃষ্টি করেছেন, তাহলে সেই ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ঋণগ্রহীতা ও ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি মুক্তির জন্য কী করতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ফরয ছালাতের পর পঠিত যিকির-আযকারের সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করার সময় কি শুরুতে ‘আঊযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ পড়তে হবে, না-কি অন্যান্য যিকিরের সাথে সরাসরি আয়াতুল কুরসি পড়ে নিলেই হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ভ্রু প্লাক (pluck) করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : কিছু বাড়ি আছে যেখানে কল এবং গৃহস্থালির বাসনপত্র সোনার তরল দিয়ে প্রলেপ দেয়া আছে, সেগুলো নেয়া এবং ব্যবহার করা কি হারাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : বিয়ের সময় মোহরানা আদায় করেননি। পরবর্তীতে স্ত্রীও স্বামীর কাছে মোহরানা চাইনি। এমন অবস্থায় স্বামী মারা গেলে কি মোহরানা আদায় করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : সাতদিনের মধ্যে বাচ্চা মারা গেলে ‘আক্বীক্বা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : কুফরী কালাম বা যাদু টোনার পরিণাম কেমন হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ