উত্তর : শরী‘আতের বিধান হচ্ছে আক্বীদা দিয়ে দাওয়াতী কাজ শুরু করা। যেভাবে আমাদের নবী (ﷺ) সহ অন্য সকল নবী-রাসূলও শুরু করেছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, মু‘আয ইবনু জাবাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে ইয়ামানের (শাসক নিয়োগ করে) পাঠানোর সময় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তাঁকে বলেছিলেন, তুমি অচিরেই আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ। কাজেই তাদের কাছে যখন পৌঁছবে তখন তাদেরকে এ কথার দিকে দাওয়াত দিবে, ‘তারা যেন সাক্ষ্য দিয়ে বলে যে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। যদি তারা তোমার এ কথা মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। যদি তারা এ কথাও মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর ছাদাক্বা (যাকাত) ফরয করেছেন, যা তাদের ধনীদের নিকট হতে গ্রহণ করা হবে এবং অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়া হবে। তোমার এ কথা যদি তারা মেনে নেয়, তবে (কেবল) তাদের উত্তম মাল গ্রহণ হতে বিরত থাকবে এবং মযলুমের বদ-দু‘আকে ভয় করবে। কেননা, তার (বদ-দু‘আ) এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৯৬, ৪৩৪৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯)।
দাওয়াতের টার্গেটকৃত শ্রেণী যদি কাফির হয়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিটি প্রযোজ্য। আর দাওয়াতের টার্গেটকৃত শ্রেণী যদি মুসলিম হয়, তাহলে দ্বীনের যে বিষয়গুলো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো তারা জানে না অথবা যে বিষয়গুলোতে তারা অবহেলা করে সে বিষয়গুলো তাদেরকে জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বের বিবেচনা থেকে ক্রমধারা অবলম্বন করতে হবে এবং সঠিক স্থানে ও উপযুক্ত সময়ে তাদের দাওয়াত দিতে হবে (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়িমাহ, ১২/২৩৮ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০২৬১, ১৭০৩)।
প্রশ্নকারী : ইমতিয়াজ, গোপালগঞ্জ।