উত্তর : খাবারের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো হালাল ও মুবাহ (আল মাবসূত্ব, ২৪/৬৮; রওযাতু ত্বালিবীন, ৩/২৭১; আল-ইনসাফ, ১০/২৬৬)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ‘তিনিই যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে, তা থেকে তোমরা আহার কর’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৬৮)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,
كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَأْكُلُوْنَ أَشْيَاءَ وَيَتْرُكُوْنَ أَشْيَاءَ تَقَذُّرًا، فَبَعَثَ اللهُ تَعَالَى نَبِيَّهُ ﷺ وَأَنْزَلَ كِتَابَهُ، وَأَحَلَّ حَلَالَهُ، وَحَرَّمَ حَرَامَهُ، فَمَا أَحَلَّ فَهُوَ حَلَالٌ، وَمَا حَرَّمَ فَهُوَ حَرَامٌ، وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ عَفْوٌ وَتَلَا (قُلۡ لَّاۤ اَجِدُ فِیۡ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیَّ مُحَرَّمًا) إِلَى آخِرِ الْآيَةِ
‘জাহিলী যুগের লোকেরা কিছু জিনিস খেতো এবং ঘৃণাবশত কিছু জিনিস পরিহার করতো। এ অবস্থায় আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ)-কে প্রেরণ করলেন এবং তাঁর কিতাব অবতীর্ণ করলেন এবং তাতে কিছু জিনিস হালাল করলেন ও কিছু জিনিস হারাম করলেন। তিনি যা হালাল করেছেন তা হালাল এবং যা হারাম করেছেন তা হারাম, আর যেগুলো সম্পর্কে নীরব থেকেছেন তাতে ছাড় দেয়া হয়েছে। অতঃপর ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তিলাওয়াত করেন, قُلۡ لَّاۤ اَجِدُ فِیۡ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیَّ مُحَرَّمًا ‘আপনি বলুন, আমার নিকট যে অহী এসেছে তাতে এমন কোন জিনিস পাইনি যা আহার করা কারো জন্য হারাম’ আয়াতের শেষ পর্যন্ত’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৮০০, সনদ ছহীহ)।
সুতরাং যে খাবারে মানব দেহে কিছু ক্ষতি রয়েছে বিধায় সেটা হারাম এমটি বলা বা বুঝা ঠিক নয়। তবে একই খাবার কারোর জন্য ক্ষতিকর আবার কারোর জন্য সেটা ক্ষতিকর নয় আবার সেটা শারঈ দৃষ্টিতে হারামও নয়, যদিও ডাক্তারদের মতানুসারে সেটা খাওয়ানো ক্ষতিকর বলে বিবেচিত। এ জন্য হারামের দলীল না পাওয়া পর্যন্ত সেটাকে হারাম বলা যাবে না।
প্রশ্নকারী : লুতফাতুল ইসলাম নোবেল, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা।