বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
উত্তর : খাবারের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো হালাল ও মুবাহ (আল মাবসূত্ব, ২৪/৬৮; রওযাতু ত্বালিবীন, ৩/২৭১; আল-ইনসাফ, ১০/২৬৬)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ‘তিনিই যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে, তা থেকে তোমরা আহার কর’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৬৮)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,

كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَأْكُلُوْنَ أَشْيَاءَ وَيَتْرُكُوْنَ أَشْيَاءَ تَقَذُّرًا، فَبَعَثَ اللهُ تَعَالَى نَبِيَّهُ ﷺ وَأَنْزَلَ كِتَابَهُ، وَأَحَلَّ حَلَالَهُ، وَحَرَّمَ حَرَامَهُ، فَمَا أَحَلَّ فَهُوَ حَلَالٌ، وَمَا حَرَّمَ فَهُوَ حَرَامٌ، وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ عَفْوٌ وَتَلَا (قُلۡ لَّاۤ  اَجِدُ فِیۡ مَاۤ   اُوۡحِیَ  اِلَیَّ  مُحَرَّمًا) إِلَى آخِرِ الْآيَةِ

‘জাহিলী যুগের লোকেরা কিছু জিনিস খেতো এবং ঘৃণাবশত কিছু জিনিস পরিহার করতো। এ অবস্থায় আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ)-কে প্রেরণ করলেন এবং তাঁর কিতাব অবতীর্ণ করলেন এবং তাতে কিছু জিনিস হালাল করলেন ও কিছু জিনিস হারাম করলেন। তিনি যা হালাল করেছেন তা হালাল এবং যা হারাম করেছেন তা হারাম, আর যেগুলো সম্পর্কে নীরব থেকেছেন তাতে ছাড় দেয়া হয়েছে। অতঃপর ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তিলাওয়াত করেন, قُلۡ لَّاۤ  اَجِدُ فِیۡ مَاۤ   اُوۡحِیَ  اِلَیَّ  مُحَرَّمًا ‘আপনি বলুন, আমার নিকট যে অহী এসেছে তাতে এমন কোন জিনিস পাইনি যা আহার করা কারো জন্য হারাম’ আয়াতের শেষ পর্যন্ত’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৮০০, সনদ ছহীহ)।

সুতরাং যে খাবারে মানব দেহে কিছু ক্ষতি রয়েছে বিধায় সেটা হারাম এমটি বলা বা বুঝা ঠিক নয়। তবে একই খাবার কারোর জন্য ক্ষতিকর আবার কারোর জন্য সেটা ক্ষতিকর নয় আবার সেটা শারঈ দৃষ্টিতে হারামও নয়, যদিও ডাক্তারদের মতানুসারে সেটা খাওয়ানো ক্ষতিকর বলে বিবেচিত। এ জন্য হারামের দলীল না পাওয়া পর্যন্ত সেটাকে হারাম বলা যাবে না।


প্রশ্নকারী : লুতফাতুল ইসলাম নোবেল, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা।





প্রশ্ন (৯) : রাগের মাথায় ত্বালাক্ব দিলে কি ত্বালাক্ব পতিত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : অনেক সময় মানুষের গায়ে পা লাগলে অনেকেই সালাম করে এবং চুমু খায়। এটা শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৪) : বিনা ওযূতে আযান দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : নারীদেরকে পড়িয়ে প্রাপ্ত বেতনের অর্থ হালাল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : সাধারণ মানুষ কিভাবে আওয়াল ওয়াক্ত নির্ধারণ করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি বিড়ি-সিগারেট, গুল, জর্দা পান করবে তার চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল হবে না। তিনি দলীল হিসাবে ইবনু মাজাহর ৩৩৭৭ নং হাদীছ পেশ করেছেন। উপরিউক্ত নেশাদার দ্রবগুলোর প্রেক্ষিতে উক্ত দলীল পেশ করা যুক্তিযুক্ত হয়েছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : সরকারি জায়গার মধ্যে যদি মসজিদ নির্মাণ করা হয় তাহলে সেখানে জুম‘আর ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে কাজের লোকের মত আচরণ করে, উঠতে বসতে বিশ্রী গালি-গালাজ করে, রাস্তা-ঘাট অপমান ও অবহেলা করে। এমতাবস্থায় উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য স্ত্রী কি তার পিতা-মাতাকে জানাতে পারে? জানালে কি অন্যায় হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মাদরাসায় যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি? মাদরাসার ভবন নির্মাণ বা জমি কেনার কাজে ব্যবহার করলে বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ই‘তিকাফে কোন্ তারিখে বসবে, আর কখন বের হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ‘কতক ক্বারীকে কুরআন লা‘নত করে’। এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : পৃথিবীতে যেখানে যারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা জীবন পরিচালিত করে তারাই আহলেহাদীছ। প্রশ্ন হল- ‘আহলেহাদীছ’ নাম না দিয়ে ‘আহলুস সুন্নাত’ নাম দেয়া যাবে কি? কারণ হাদীছের মধ্যে জাল-যঈফ আছে কিন্তু নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহর মধ্যে জাল-যঈফ নেই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ