বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ন
উত্তর : খাবারের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো হালাল ও মুবাহ (আল মাবসূত্ব, ২৪/৬৮; রওযাতু ত্বালিবীন, ৩/২৭১; আল-ইনসাফ, ১০/২৬৬)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ‘তিনিই যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে, তা থেকে তোমরা আহার কর’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৬৮)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,

كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَأْكُلُوْنَ أَشْيَاءَ وَيَتْرُكُوْنَ أَشْيَاءَ تَقَذُّرًا، فَبَعَثَ اللهُ تَعَالَى نَبِيَّهُ ﷺ وَأَنْزَلَ كِتَابَهُ، وَأَحَلَّ حَلَالَهُ، وَحَرَّمَ حَرَامَهُ، فَمَا أَحَلَّ فَهُوَ حَلَالٌ، وَمَا حَرَّمَ فَهُوَ حَرَامٌ، وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ عَفْوٌ وَتَلَا (قُلۡ لَّاۤ  اَجِدُ فِیۡ مَاۤ   اُوۡحِیَ  اِلَیَّ  مُحَرَّمًا) إِلَى آخِرِ الْآيَةِ

‘জাহিলী যুগের লোকেরা কিছু জিনিস খেতো এবং ঘৃণাবশত কিছু জিনিস পরিহার করতো। এ অবস্থায় আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ)-কে প্রেরণ করলেন এবং তাঁর কিতাব অবতীর্ণ করলেন এবং তাতে কিছু জিনিস হালাল করলেন ও কিছু জিনিস হারাম করলেন। তিনি যা হালাল করেছেন তা হালাল এবং যা হারাম করেছেন তা হারাম, আর যেগুলো সম্পর্কে নীরব থেকেছেন তাতে ছাড় দেয়া হয়েছে। অতঃপর ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তিলাওয়াত করেন, قُلۡ لَّاۤ  اَجِدُ فِیۡ مَاۤ   اُوۡحِیَ  اِلَیَّ  مُحَرَّمًا ‘আপনি বলুন, আমার নিকট যে অহী এসেছে তাতে এমন কোন জিনিস পাইনি যা আহার করা কারো জন্য হারাম’ আয়াতের শেষ পর্যন্ত’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৮০০, সনদ ছহীহ)।

সুতরাং যে খাবারে মানব দেহে কিছু ক্ষতি রয়েছে বিধায় সেটা হারাম এমটি বলা বা বুঝা ঠিক নয়। তবে একই খাবার কারোর জন্য ক্ষতিকর আবার কারোর জন্য সেটা ক্ষতিকর নয় আবার সেটা শারঈ দৃষ্টিতে হারামও নয়, যদিও ডাক্তারদের মতানুসারে সেটা খাওয়ানো ক্ষতিকর বলে বিবেচিত। এ জন্য হারামের দলীল না পাওয়া পর্যন্ত সেটাকে হারাম বলা যাবে না।


প্রশ্নকারী : লুতফাতুল ইসলাম নোবেল, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা।





প্রশ্ন (২০) : মুহাম্মাদ (ﷺ) দিনের কোন্ কোন্ সময় ঘুমাতেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বার নিয়ত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : যমযম কূপের পানিতে অন্য পানি মিশিয়ে পান করলে যমযমের ফযীলত পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : ‘ওশর’ শব্দের অর্থ কী? কৃষিপণ্যের যাকাতের নিছাব ও পরিমাণ কত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : মানুষ বা পশু-পাখির কার্টুন ব্যবহার করে কোন শিক্ষা প্রদান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : জানাযার ছালাতে ছানা পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : টেলিভিশন দেখা ও তা বিক্রি করে অর্থ গ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : যে ব্যক্তি জুম‘আর দিনে সূরা কাহ্ফ পাঠ করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে, যদিও তার মাঝে দাজ্জাল এসে যায়। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : আমি একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী। মাসে ৮-১০ দিন আমাকে টানা ২৪ ঘন্টা অফিস করতে হয়। এই দীর্ঘ সময়ে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অফিসের অনেক হক্ব নষ্ট হয় যেমন অলসতা, গাফেলতি, ঘুম, ছলচাতুরী ও নেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে (যা চেষ্টা করলেও শতভাগ রক্ষা করা প্রায়ই অসম্ভব)। এমতাবস্থায় উপার্জনে হারামের সংশয় নিরসনে- এই হক্ব নষ্টের কোন কাফ্ফারা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যমযমের পানি পানের সময় নিম্নের দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বশেষ যে খাবার খেয়েছেন, তার মধ্যে পেঁয়াজ ছিল অন্যতম। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : ব্যভিচার বৃদ্ধি পেলে দরিদ্রতা আসে। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ