উত্তর : তিনিই ইমাম মাহদী। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের একটি দল সত্য দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে বাতিলের বিরুদ্ধে লড়তে থাকবে এবং অবশেষে ঈসা (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করবেন। তৎকালীন মুসলিমদের আমীর বলবেন, ‘আসুন ছালাতে আমাদের ইমামাতি করুন! তিনি বলবেন, না! বরং আপনাদের ইমাম আপনাদের মধ্য হতেই নিযুক্ত হবেন। এ হল আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত এ উম্মতের সম্মান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৬; আহমাদ, হা/১৫১২৭)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, فيقول أميرهم المهدي ‘তখন তাদের আমীর ইমাম মাহদী বলবেন’। এই হাদীছ সম্পর্কে ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীছের সনদ ভাল (আল-মানারুল মুনীফ, পৃ. ১৪৭-১৪৮)। নবী (ﷺ) আরো বলেন যে, كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا نَزَلَ فِيْكُمُ ابْنُ مَرْيَمَ فَأَمَّكُمْ مِنْكُمْ ‘সেদিন তোমাদের অবস্থা কেমন হবে, যেদিন তোমাদের মধ্যে ঈসা ইবনু মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করবেন এবং তোমাদেরই মধ্যে হতে একজন তোমাদের ইমাম হবেন’। অর্থাৎ ঈসা (আলাইহিস সালাম) তোমাদের সাথে জামা‘আতে শরীক হয়ে তোমাদের ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করবেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৪৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৫)।
ছহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, ‘...যখন মুসলিম বাহিনী দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এবং সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হতে শুরু করা মাত্রই তৎক্ষণাৎ ছালাতের উদ্দেশ্যে মুয়াযযিন কর্তৃক ইক্বামাত দেয়া হবে এবং এ মুহূর্তে ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) আকাশ থেকে দামিশক্বের জুমু‘আহ মসজিদের মিনারায় অবতরণ করবেন এবং মুসলিমদের ইমামতি করে ছালাত আদায় করাবেন। আল্লাহর শত্রু দাজ্জাল তাঁকে দেখা মাত্রই এমনভাবে বিগলিত হয়ে যাবে, যেমনভাব লবণ পানিতে মিশে যায়। যদি ঈসা (আলাইহিস সালাম) তাকে এমনিই ছেড়ে দেন, তবে সে নিজে নিজেই বিগলিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। অবশ্য আল্লাহ তা‘আলা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর হাতে তাকে হত্যা করাবেন এবং রক্তমাখা সে বর্শাটি তিনি লোকেদের সকলকেই দেখাবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৯৭; ছহীহুল জামি‘, হা/৭৪৩৩; আল-মুসতাদরাক লিল হাকিম, হা/৮৪৮৬; মিশকাত, হা/৫৪২১)।
প্রশ্নকারী : জাকির হোসেন, চাঁদপুর।