উত্তর : তাদের বেতনের টাকা হালাল হবে না। নিঃসন্দেহে এটি এক প্রকারের প্রতারণা। চাকরী, পরীক্ষা, স্কলারশিপ, লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয় বা অন্য যে কোন বিষয়ে ধোঁকা দেয়া হারাম। যে কোন পরীক্ষায় নকল করা বা চিট করা হারাম। এটা দেশের লক্ষ লক্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীর সাথে বিরাট প্রতারণা। যেহেতু রাষ্ট্রীয় আইনে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা এবং ঘুষ দেয়া ও নেয়া উভয়ই নিষিদ্ধ, তাই এ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي ‘যে ব্যক্তি ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১-১০২; আবূ দাঊদ, হা/৩৪৫২; ইবনু মাজাহ, হা/২২২৪)। ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেন যে, كَرِهُوا الْغِشَّ وَقَالُوا الْغِشُّ حَرَامٌ ‘আলেমদের মতানুযায়ী প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি খুবই জঘন্য অপরাধ এবং তাঁরা বলেছেন, প্রতারণা করা হারাম’ (তিরমিযী, হা/১৩১৫)। সুতরাং যারা পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে তারা আইনের চোখে অপরাধী এবং ধর্মের দৃষ্টিতে মহাপাপী। আর যারা এমন কাজকে প্রশ্রয় দেয় তারাও মস্ত বড় অপরাধী। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
الغش محرم في الاختبارات، كما أنه محرم في المعاملات، فليس لأحد أن يغش في الاختبارات في أي مادة، وإذا رضي الأستاذ بذلك فهو شريكه في الإثم والخيانة "... انتهى
‘পরীক্ষায় নকল করা বা ধোঁকা দেয়া হারাম, যেরকম তা হারাম ব্যবসা-বাণিজ্যে, পরীক্ষায় কারোর জন্য কোন বিষয়ে নকল করা বা টুকলি করা বৈধ নয়। যখন কোন শিক্ষক তাতে সহযোগিতা করে, তখন সেও গুনাহ এবং খিয়ানতে অংশীদার হয়ে যায়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৬/৩৯৭ পৃ.)। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, الغش في الامتحانات محرم ، بل من كبائر الذنوب ‘পরীক্ষায় চিট করা বা নকল করা হারাম, বরং এটা কাবীরা গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত’ (ফাতাওয়া নূর আলাদ-র্দাব, ২/২৪ পৃ.)। অনুরূপভাবে রিশওয়াহ বা ঘুষ দেয়া ও নেয়া উভয়ই হারাম। আব্দুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারী উভয়কেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লা‘নত বা অভিসম্পাত করেছেন (আবূ দাঊদ, হা/৩৫৮০; তিরমিযী, হা/১৩৩৭)।
প্রশ্নকারী : কাজী, ঢাকা।