উত্তর : স্ত্রীর জন্য জায়েয নয় স্বামীর কাছে যাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা। বরং ক্ষতির আশঙ্কা অথবা অপরিহার্য কাজে ব্যস্ত না থাকলে স্বামীর আহ্বানে সাড়া দেয়া স্ত্রীর উপর অপরিহার্য। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সঙ্গে একই বিছানায় শোয়ার জন্য ডাকে, আর সে আসতে অস্বীকার করে, তাহলে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতাগণ ঐ মহিলার উপর অভিসম্পাত বা লা‘নত বর্ষণ করতে থাকে (ছহীহ বুখারী, হা/৩২৩৭, ৫১৯৩, ৫১৯৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৭৭)। যদি সে কোন অজুহাত ছাড়াই প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে সে অবাধ্য, পাপী। তার ভরণপোষণ ও পোশাক বাজেয়াপ্ত করা উচিত। স্বামীর দায়িত্ব তাকে উপদেশ দেয়া, আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করা। তাকে বিছানা থেকে আলাদা করে দেয়া। আর প্রয়োজনে সে তাকে মৃদুভাবে প্রহার করবে।
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আর তোমরা যে নারীদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান’ (সূরা আন-নিসা : ৩৪)। উক্ত আয়াতে যেসব স্ত্রীলোক স্বামীদের আনুগত্য করে না কিংবা যারা এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আল্লাহ তা‘আলা সংশোধনের জন্য পুরুষদেরকে যথাক্রমে তিনটি উপায় বলে দিয়েছেন। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন তার স্ত্রীকে চাকর-বাকরদের মত না মারে, পরে সে দিনের শেষে তার সাথে আবার সহবাস করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২০৪)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘স্ত্রীর জন্য স্বামীর অবাধ্য হওয়া এবং নিজেকে তার থেকে বিরত রাখা জায়েয নয়। বরং স্ত্রী যদি তার থেকে বিরত থাকে এবং তার উপর অটল থাকে, তাহলে তাকে মৃদুভাবে প্রহার করতে পারে এবং সে খোরপোষ বা ভাগের যোগ্য নয় (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ৩২/২৭৮-২৭৯ পৃ.)।
‘ইসলাম ওয়েব’-এর আলেমগণ বলেন, আলাউদ্দীন আল-মিরদাবী (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইবনু আবেদীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, শারঈ কোন কারণ ছাড়া ধারাবাহিকভাবে সহবাসে রাজি না হলে ক্ষতি করা ব্যতীত জোরপূর্বক সঙ্গম করা জায়েয (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৩৮২১৩২)।
প্রশ্নকারী : রিযওয়ান, গাজীপুর।