বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

ঐতিহাসিক চক্রান্তের শিকার বিখ্যাত সংস্কারক

শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব  (রাহিমাহুল্লাহ)!!

-হাসিবুর রহমান বুখারী*


(৩য় কিস্তি)

জাহেলী যুগে যেসকল বিদ‘আত প্রচলিত ছিল তন্মধ্যে কতিপয় উল্লেখ করা হল। যেমন,

(ক) তারা হাজ্জের সময়কালে ‘মুযদালিফায়’ অবস্থান করত, যা ছিল হারাম এলাকার অভ্যন্তরে। কুরাইশরা দাবী করত যে, তাঁরা হচ্ছে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর বংশধর এবং তারাই হচ্ছে হারাম শরীফের সংরক্ষক ও অভিভাবক এবং মাক্কার প্রকৃত অধিবাসী। কোন ব্যক্তিই তাঁদের সমকক্ষ নয় এবং কারো প্রাপ্যই তাদের প্রাপ্যের সমতুল্য নয়। এ সব কারণে তাঁরা নিজেরাই নিজেদেরকে ‘হুমস’ বা বীর ও শক্তিশালী আখ্যায়িত করত। কাজেই, তারা এটা মনে করত যে, হারাম সীমানার বাইরে অগ্রসর হওয়া তাদের জন্য উচিত নয়। তাই হাজ্জের মৌসুমে তাঁরা আরাফার ময়দানে যেত না এবং সেখান থেকে তারা ত্বাওয়াফে ইফাযাও করত না। যা ছিল হাজ্জের রুকনসমূহের অন্যতম। তারা মুযদালিফায় অবস্থান করত এবং সেখান থেকেই ত্বাওয়াফে ইফাযাহ করে নিত। তাদের সেই বিদ‘আত সংশোধনের সেজন্যই আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দেন, ثُمَّ  اَفِیۡضُوۡا مِنۡ حَیۡثُ اَفَاضَ النَّاسُ ‘অতঃপর তোমরা ঐ স্থান থেকে ফিরে এস ত্বাওয়াফের জন্য, যেখান থেকে লোকেরা ফিরে আসে (অর্থাৎ আরাফার ময়দান থেকে)’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৯৯; ছহীহ বুখারী, হা/১৬৬৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৯-২০)।

(খ) তারা নিজেরা ধর্মীয় বিধান রচনা করেছিল যে, বহিরাগত হাজীগণ মক্কায় এসে প্রথম ত্বাওয়াফের সময় তাদের পরিবেশিত ধর্মীয় পোশাক পরিধান করবে। সম্ভবতঃ এটা তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থদুষ্ট বিদ‘আত ছিল। যদি কেউ (আর্থিক কারণে বা অন্য কারণে) তা সংগ্রহে ব্যর্থ হয়, তবে পুরুষেরা সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে এবং মহিলারা সব কাপড় খুলে রেখে কেবল ছোট্ট একটা কাপড় পরে ত্বাওয়াফ করবে। এতে তাদের দেহ একপ্রকার নগ্নই থাকত। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘পুরুষেরা দিনের বেলায় ও মহিলারা রাত্রী বেলায় ত্বাওয়াফ করত। তাদের এ অন্যায় প্রথা বন্ধ করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করেন, یٰبَنِیۡۤ  اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ ‘হে আদম সন্তান! প্রতি ছালাতের সময় তোমরা সুন্দর পোশাক পরিধান কর’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ৩১; ইবনু কাছীর উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্র.)।

তাদের কাছ থেকে ‘ছিয়াবুল হুমস্’ নামক পোশাক কিনতে বাধ্য করার জন্য তারা এ বিধানও প্রবর্তিত করেছিল যে, যদি বহিরাগত কেউ উত্তম পোশাক পরিধান করে এসে ত্বাওয়াফ করে, তাহলে ত্বাওয়াফ শেষে তাদের ঐ পোশাক খুলে রেখে যেতে হবে। যার দ্বারা কেউ উপকৃত হত না’।[১]

(গ) তাদের আরেকটা বিদ‘আতী রীতি ছিল এই যে, তারা ইহরাম পরিহিত অবস্থায় স্ব স্ব বাড়ীর সম্মুখ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। কিন্তু বাকী আরবরা সকলে স্ব স্ব বাড়ীর পিছন দিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করবে। ঘরে প্রবেশ করার জন্য তারা ঘরের পিছন দিকে একটা বড় ছিদ্র করে সেই ছিদ্র পথে আসা-যাওয়া করত। অবোধ এবং আহাম্মকের মতই এ কাজকে তারা পুণ্যময় কাজ বলে মনে করত। এভাবে তারা তাদের ধার্মিকতার গৌরব সারা আরবের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ لَیۡسَ الۡبِرُّ بِاَنۡ تَاۡتُوا الۡبُیُوۡتَ مِنۡ ظُہُوۡرِہَا وَ لٰکِنَّ الۡبِرَّ مَنِ اتَّقٰیۚ وَ اۡتُوا الۡبُیُوۡتَ مِنۡ اَبۡوَابِہَا

‘পিছনের দরজা দিয়ে গৃহে প্রবেশ করার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। বরং কল্যাণ রয়েছে তার জন্য যে আল্লাহকে ভয় করে। অতএব তোমরা গৃহে প্রবেশ কর সম্মুখ দরজা দিয়ে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৯)।[২]  

(ঘ) তাঁরা বলত যে, কুরাইশদের জন্য ইহরামের অবস্থায় পণীর এবং ঘী তৈরি করা ঠিক নয় এবং এটাও ঠিক নয় যে, লোম নির্মিত গৃহে (অর্থাৎ কম্বলের শিবিরে) প্রবেশ করবে। এটাও ঠিক নয় যে, ছায়ায় অবস্থানের প্রয়োজন হলে চামড়ার তৈরি শিবির ব্যতীত অন্য কোন কিছুর ছায়ায় আশ্রয় নেবে।[৩]

(ঙ) তাদের আরও একটি বিদ‘আতের দিক ছিল যে, তারা বলত যে, হারামের বাহির থেকে আগত হজ্জ ওমরাহকারীগণ হারামের বাহির হতে খাদ্যদ্রব্য কিংবা অনুরূপ কোন কিছু নিয়ে আসলে তা তাদের জন্য খাওয়া ঠিক নয়।[৪]

এ ছাড়াও আরবীয় উপদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াহুদীবাদ, খ্রীষ্টবাদ, প্রাচীনতম পারসীক যাজকতাবাদ এবং সাবাঈধর্ম স্থান দখল করেছিল। আবার আরবের কতক স্থানে কিছু সংখ্যক নাস্তিক্য মতবাদের অনুসারীদেরও দেখা যেত।[৫] আরবদের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অবস্থাও মুশরিকদের মতই ছিল। কারণ তাদের অন্তঃকরণ একই ছিল, বিশ্বাসসমূহে পরস্পর সাদৃশ্য ছিল এবং রীতিনীতিতে সঙ্গতি ছিল।

উপরিউক্ত আলোচনায় তৎকালীন আরবের, বিশেষ করে মক্কাবাসীদের মধ্যে প্রচলিত শিরক, বিদ‘আত, কুসংস্কার ও মূর্খতার একটা ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। যা তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর তাওহীদী দ্বীনে হানীফের মধ্যে ধর্মের নামে চালু করেছিল। আর এটাই ছিল বড় জাহিলিয়্যাত এবং এজন্যই এ যুগটিকে ‘জাহিলী যুগ’ বলা হয়েছে।

উপরোল্লেখিত আলোচনা সূত্রে আমাদের মানসিক দৃষ্টিপটে দ্বীনের যে চিত্রটি চিত্রিত হল সেটাই ছিল সাধারণ আরববাসীদের দ্বীনের স্বরূপ। মূর্তিপূজা, শিরক, বিদ‘আত, কল্পনা, কুসংস্কার, অশ্লীলতা ইত্যাদির আবরণে চাপা পড়ে গিয়েছিল ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) প্রবর্তিত সত্য ও সনাতন ইসলাম। অতঃপর ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর প্রায় সুদীর্ঘ ৫০০ বছর পর যখন মূর্তিপূজা, ক্ববর পূজা, পাথর পূজা, বৃক্ষ পূজা ও ব্যক্তি পূজাকেই ইবাদত মনে করা হত, তাওহীদ রূপান্তরিত হয়েছিল শিরকে, তাওহীদের স্বচ্ছ ধারণা চাপা পড়ে গিয়েছিল বহুত্ববাদের তোলে, সুন্নাতের গ্লাস পরিপূর্ণ হয়েছিল বিদ‘আতে। যখন মানুষ অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, যিনা, ব্যভিচার, অত্যাচার, অবিচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, মারামারি, কাটাকাটি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি সহ সমস্ত অপকর্মে লিপ্ত ছিল। ঠিক তখনই পৌত্তলিকতার ঘনঘটা ও জমাট অন্ধকারের বক্ষ বিদারণ করে আবির্ভূত হয়েছিলেন  হেদায়াতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)। যখন ইসলাম নামক সূর্য নবায়িত আলোর বন্যায় উদ্ভাসিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করল, তখন প্রচলিত সকল বিশ্বাস এবং মতবাদের অনুসারীগণ একদম হতচকিত ও হতভম্ব হয়ে পড়ল। সর্বশেষ আসমানী কিতাব মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের সুললিত শাশ্বত বাণী এবং মহানবী (ﷺ)-এর উদাত্ত কণ্ঠের তাওহীদী ঘোষণা সকল ভ্রান্ত বিশ্বাসের ভিত্তিমূলকে করে তুলল প্রকম্পিত। যে সকল মুশরিকরা শিরক ও পৌত্তলিকতার পাপপঙ্কে নিমজ্জিত থেকেও দাবী করত যে, তাঁরা দ্বীনে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর উপর প্রতিষ্ঠিত, তাঁদের বিশ্বাসের ভিত্তিমূলে চরম আঘাত হানল। ফলস্বরূপ তারাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চরম বিরোধী হয়ে উঠেছিল। তাঁর দাওয়াত ও তাবলীগের উত্তাল তরঙ্গকে প্রতিরোধ করার জন্য নানাবিধ চক্রান্ত করেছিল। যা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।

ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) প্রবর্তিত সত্য ধর্মের অনুসারী বলে দাবী করলেও প্রকৃতপক্ষে দ্বীনে ইবরাহীমের কোন বৈশিষ্ট্যই তাদের চিন্তা চেতনা ও ধ্যান-ধারণার মধ্যে ছিল না। তারা নানা প্রকার অশ্লীলতা ও পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। আল্লাহর বাণীর আলোকে নবী করীম (ﷺ) যখন আল্লাহর একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলামের শাশ্বতরূপ এবং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) প্রবর্তিত দ্বীনের সঙ্গে এর বিভিন্ন সম্পর্কের প্রসঙ্গটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তখন তাঁদের দ্বীন সম্পর্কিত দাবীর অসারতা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয়ে উঠল। শত বিরোধিতা ও বাধাবিপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিরক ও বিদ‘আতের মূলোৎপাটন করে তাওহীদ ও রিসালাত প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জাহিলিয়্যাত ও অন্ধকারের বেড়াজাল থেকে মানুষকে মুক্ত করে উজ্জ্বল আলোর দিশা দিয়েছিলেন। মূর্তিপূজা, ক্ববর পূজা, পাথর পূজা, বৃক্ষ পূজা ও ব্যক্তি পূজাসহ বহুত্ববাদের সমস্ত জড় উৎখাত করে তাওহীদকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগ থেকে দ্বিতীয় খলীফা ওমর ফারুক (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর যুগ পর্যন্ত ইসলামের প্রচার ও প্রসার ছিল আকাশচুম্বী। তাওহীদ ও রিসালাত ছিল শিরক ও বিদ‘আত থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। ছাহাবীদের যুগ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। অতঃপর তাবিঈদের যুগ এবং তাবি-তাবিঈদের যুগ অতিবাহিত হতে না হতেই দ্বীন ইসলামের মধ্যে আবারো একটু একটু করে ভেজাল প্রবেশ করতে শুরু করে। মানুষ আবারো ধর্মের নামে অধর্ম পালনে মেতে উঠে।  অটোমান বা ওছমানীয় সা¤্রাজ্যের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের সর্বাধিক পবিত্র নগরী খোদ মক্কা-মদীনাতেও গড়ে উঠে একাধিক ক্ববর, মাযার ও স্মৃতি সৌধ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাহিলিয়্যাতের যে সমস্ত পাপাচার, দূরাচার, অধর্মচারী, অনৈসলামী ও শরী‘আত বিরোধী কার্যকলাপ থেকে ইসলামকে পবিত্র করেছিলেন। মানুষ আবার সেই সমস্ত পাপাচারে জড়িত হয়ে ইসলামকে কলুষিত করে ফেলেছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেখান থেকে শুরু করেছিলেন, মানুষ ইসলাম ধর্মকে পুনরায় সেখানেই পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মনোনীত দ্বীন ইসলামকে কখনোই ইয়াতীম ও অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেননি। অহী ও নবুওয়াতের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে গেলেও তিনি প্রত্যেক শতাব্দীতে একজন করে সংস্কারক পাঠিয়ে থাকেন। যেমন আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী  করীম (ﷺ) বলেছেন,

إِنَّ اللهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِيْنَهَا.‏

‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এই উম্মতের জন্য প্রতি একশ’ বছরের শিরোভাগে এমন একজনের আর্বিভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মতের দ্বীনকে তার জন্য সংস্কার করবেন’।[৬]

নিঃসন্দেহে এই ধারা অনুযায়ী ১২০০ হিজরী শতক মোতাবেক খ্রিষ্টীয় ১৭০০ শতকের যুগ সংস্কারক ছিলেন শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ)। যখন সঊদী আরবের মুসলিমরা জাহিলী যুগের ন্যায় পুনরায় শিরকের গভীর গহীনে হাবুডুবু খাচ্ছিল। বিদ‘আত ও কুসংস্কারের কালো মেঘে ঢাকা পড়েছিল সুন্নাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আকাশ। ঠিক তখনই শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দেখানো পদ্ধতিতে আরবের বুক থেকে শিরক ও বিদ‘আতকে উৎখাত করে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর বিধান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন। কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর অনুসারীদের নিয়ে গড়ে তোলেন এক মহা বিপ্লব। ইনশাআল্লাহ এখন আমরা ধারাবাহিকভাবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব, সেগুলো হল- তৎকালীন আরবের ধর্মীয় অবস্থা, শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ)-এর জীবনী, দলীলের আলোকে তাঁর আন্দোলন ও সংস্কারের প্রামাণিকতা, তুর্কি বনাম সঊদী আরব, ছূফীবাদ বনাম ওয়াহহাবী, আহলেহাদীছ বনাম ওয়াহহাবী, ইংরেজ শাসনামল বনাম ওয়াহহাবী আন্দোলন, তাঁর বিরুদ্ধে ইংরেজ ও তুর্কিদের চক্রান্তের কারণ, তিনি ইসলাম বিরোধী ছিলেন না-কি হিতাকাক্সক্ষী? অটোমান বা ওছমানীয় সা¤্রাজ্যের মূল ভিত্তি ধর্মীয় ছিল, না-কি রাজনৈতিক?

(ইনশাআল্লাহ চলবে)


* মুর্শিদাবাদ, ভারত।

[১]. সীরাতু ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০২-২০৩; ছহীহ বুখারী,  ১ম খণ্ড, পৃ. ২২৬।
[২]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮০৩; কুরতুবী, ইবনু কাছীর, তাফসীর বাক্বারাহ ১৮৯ আয়াত দ্র.।
[৩]. সীরাতু ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০২।
[৪]. সীরাতু ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০২।
[৫]. কালবে জাজীরাতুল আরব, পৃ. ২৪১, ২৫১; সীরাতু ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০-২২, ২৭, ৩১, ৩৫-৩৬; তারিখে আরযুল কুরআন, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৯৩-২০৮।
[৬]. আবূ দাঊদ, হা/৪২৯১; ছহীহুল জামি, হা/১৮৭৪; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৫৯৯।




আহলে কুরআনদের বিভ্রান্তি ও তা নিরসনের উপায় - হাসিবুর রহমান বুখারী
ঐতিহাসিক চক্রান্তের শিকার বিখ্যাত সংস্কারক শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ) (২য় কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী
ঐতিহাসিক চক্রান্তের শিকার বিখ্যাত সংস্কারক শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ)!! (৩য় কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী
ঐতিহাসিক চক্রান্তের শিকার বিখ্যাত সংস্কারক শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ)!! - হাসিবুর রহমান বুখারী
আহলে কুরআনদের বিভ্রান্তি ও তা নিরসরেন উপায় (শেষ কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী
টেস্ট টিউব বেবি : একটি পর্যালোচনা - হাসিবুর রহমান বুখারী

ফেসবুক পেজ