উত্তর : হালাল ও হারাম শরী‘আতের দু’টি বিধান, যার শিক্ষা আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহতে বিদ্যমান। আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করেছেন তাকে হালাল হিসাবে ও যা হারাম করেছেন তাকে হারাম হিসাবে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা একজন মুমিনের জন্য আবশ্যক। কেননা এই বিশ্বাস বা আক্বীদা জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। যেমন জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল,
أَرَأَيْتَ إِذَا صَلَّيْتُ الْمَكْتُوْبَةَ وَحَرَّمْتُ الْحَرَامَ وَأَحْلَلْتُ الْحَلَالَ أَأَدْخُلُ الْجَنَّةَ فَقَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم نَعَمْ
‘আমি যদি ফরয ছালাত আদায় করি এবং হালালকে হালাল হিসাবে ও হারামকে হারাম হিসাবে মেনে চলি তবে কি আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব? তিনি বললেন, হ্যাঁ’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫)। সুতরাং একজন মুসলিমের উপর নিজের ইচ্ছামত কোন কিছুকে হালাল বা হারাম করার অধিকার নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَا تَصِفُ اَلۡسِنَتُکُمُ الۡکَذِبَ ہٰذَا حَلٰلٌ وَّ ہٰذَا حَرَامٌ لِّتَفۡتَرُوۡا عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَفۡتَرُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ لَا یُفۡلِحُوۡنَ
‘তোমাদের জিহ্বার দ্বারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে তোমরা বল না, এটা হালাল এবং এটা হারাম, যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করবে তারা সফলকাম হবে না’ (সূরা আন-নাহল : ১১৬)।
কেউ যদি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত কোন হারামকে স্পষ্ট হারাম জেনেও হালাল মনে করে, তাহলে সে অবশ্যই ঐ ব্যক্তির মত, যে ব্যক্তি যেনা, সূদ ও মদকে হালাল মনে করে। কেননা এটা কুফরী ও ইসলাম হতে মুরতাদ হয়ে যাওয়া। অনুরূপভাবে কেউ যদি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত কোন হালালকে স্পষ্ট হালাল জেনেও হারাম মনে করে, তাহলে সে অবশ্যই ঐ ব্যক্তির মত, যে ব্যক্তি গোশত অথবা রুটি বা এজাতীয় জিনিসকে হারাম মনে করে। একারণে সে ব্যক্তি আল্লাহর বিধানের বিরোধিতা করল ও দ্বীন ইসলাম হতে মুরতাদ হয়ে গেল (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৬)।
প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, ঢাকা।