বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন
উত্তর : কোম্পানি বা দোকানের আর্থিক লেনদেনের হিসাব-নিকাশ সূদভিত্তিক হলে এবং নিষিদ্ধ বীমা কোম্পানি বা সূদী ব্যাংকের সঙ্গে লোনের কিস্তি দেয়া ও হিসাব রাখার দায়িত্ব পালন করলে আপনি সরাসরি হারাম কাজের সঙ্গে জড়িত। আপনার জন্য এ ধরনের কাজ বৈধ নয়। জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) সূদখোর, সূদদাতা, তার সাক্ষীদাতা ও তার লেখককে অভিসাম্পত করেছেন এবং বলেছেন, ‘ওরা সবাই সমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৭-১৫৯৮; আবূ দাঊদ, হা/৩৩৩৩)।

এখানে সূদের হিসাব রক্ষককেও শামিল করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, সেও সমপাপী। কোম্পানি বা দোকানের হারাম চুক্তিতে সাহায্য-সহযোগিতা করাও একটি অপরাধ। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা নেককাজ ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ: ২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যাতে ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন’ (তাফসীর ইবনু কাছীর, ২/১২; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূদের হিসাব-নিকাশ করে বলতে, যে ব্যক্তি কাগজপত্র লিখে, যে ব্যক্তি সংশোধন করে, যে ব্যক্তি হিসাবের খাতায় আদান-প্রদান জমা করে, যে ব্যক্তি শতাংশ নির্ধারণ করে, যে ব্যক্তি সূদের টাকা সংগ্রহ করে অথবা যে ব্যক্তি সংগ্রহকারীর কাছে জমা করে, এরা সকলেই শামিল’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১৫/৫ পৃ.)।

সুতরাং আপনার উপর অপরিহার্য হল- সূদের সঙ্গে জড়িত সমস্ত রকমের কাজ এই মুহূর্তেই বর্জন করা। তবে আপনি চাইলে কোম্পানীকে বলে এমন কোন কাজ নিতে পারেন, যার সঙ্গে সূদের কোন সম্পর্ক নেই এবং যেটা সূদের কাজে সাহায্য-সহযোগিতাও করা হবে না। যদি তারা আপনার আবেদন গ্রহণ না করে, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ঐ কাজে বহাল থাকা জায়েয হবে না। আপনি অন্য কোম্পানিতে হালাল কাজ অনুসন্ধান করুন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যে কেউ আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রুযী দান করবেন’(সূরা আত-ত্বালাক্ব: ২,৪; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৯/৭৭ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৭৫৪৯২)। 


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শাহীন, চরফ্যাশন, ভোলা।





প্রশ্ন (১৪) : কেউ যদি মাযারে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী ও টাকা-পয়সা দান করে, তাহলে শিরক হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪): আমার বড় ভাই আমাদের পারিবারিক খরচের জন্য আমাকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছে এই টাকার যাকাত দিতে হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছুটে যাওয়া বিতর ছালাত সূর্য উঠার পর বা দিনের বেলায় পড়লে কিভাবে পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : অনেক মসজিদ বা বাসা-বাড়িতে এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৪ কূল বেঁধে রাখা হয়। এর কোন ফযীলত আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : নবী (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহ্‌র জন্য যবহ করে তার ওপর লা‘নত হোক’ এ কথার উদ্দেশ্য কী? কোন মেহমানের জন্য যবহ করা কি গায়রুল্লাহ‌র জন্য যব্হ-এর মধ্যে পড়বে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুম‘আর দিন আমার উপর ৪০ বার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ৪০ বছরের পাপ ক্ষমা করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে তার পক্ষ থেকে তা গ্রহণযোগ্য হবে এবং তার ৮০ বছরের পাপ আল্লাহ মাফ করে দিবেন (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, পৃ. ৯০)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (০৯) : কোন নারী একসময় ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল। এমন নারীকে বিয়ে করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ধান, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, আলু ইত্যাদি মওজুদ করে রাখার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : স্বামী থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী যদি অন্যজনের সাথে মেলা-মেশা করে, তাহলে ইসলামী শরী‘আতে তার বিধান কী হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন আল্লাহ তা‘আলা যমীন সৃষ্টি করলেন তখন তা দুলতে লাগল। অতঃপর পাহাড়গুলো সৃষ্টি করে সেগুলো পৃথিবীর উপর স্থীর করেন। অতঃপর পৃথিবী স্থীর হয়ে গেল। ফেরেশতাগণ পাহাড়ের এ শক্তি দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পাহাড় অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ; আর সেটা লোহা। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, হে প্রভু! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগুন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আগুন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; পানি। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পানি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; বাতাস। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আদম সন্তান। যে তার ডান হাতে দান করে আর দানকে বাম হাত হতে গোপন রাখে। এ ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক ব্যক্তি একটি ঘরে বসবাস শুরু করার পর থেকেই  বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্ত হয়েছে আরো বড় বড় কয়েকটি মুছীবতে। এখন সে এই ঘরে বসবাস করাকে অমঙ্গল মনে করে। এই ধারণা করা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : ছালাতে সিজদায় বাংলাতে দু‘আ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ