শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
উত্তর : কোম্পানি বা দোকানের আর্থিক লেনদেনের হিসাব-নিকাশ সূদভিত্তিক হলে এবং নিষিদ্ধ বীমা কোম্পানি বা সূদী ব্যাংকের সঙ্গে লোনের কিস্তি দেয়া ও হিসাব রাখার দায়িত্ব পালন করলে আপনি সরাসরি হারাম কাজের সঙ্গে জড়িত। আপনার জন্য এ ধরনের কাজ বৈধ নয়। জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) সূদখোর, সূদদাতা, তার সাক্ষীদাতা ও তার লেখককে অভিসাম্পত করেছেন এবং বলেছেন, ‘ওরা সবাই সমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৭-১৫৯৮; আবূ দাঊদ, হা/৩৩৩৩)।

এখানে সূদের হিসাব রক্ষককেও শামিল করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, সেও সমপাপী। কোম্পানি বা দোকানের হারাম চুক্তিতে সাহায্য-সহযোগিতা করাও একটি অপরাধ। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা নেককাজ ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ: ২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যাতে ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন’ (তাফসীর ইবনু কাছীর, ২/১২; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূদের হিসাব-নিকাশ করে বলতে, যে ব্যক্তি কাগজপত্র লিখে, যে ব্যক্তি সংশোধন করে, যে ব্যক্তি হিসাবের খাতায় আদান-প্রদান জমা করে, যে ব্যক্তি শতাংশ নির্ধারণ করে, যে ব্যক্তি সূদের টাকা সংগ্রহ করে অথবা যে ব্যক্তি সংগ্রহকারীর কাছে জমা করে, এরা সকলেই শামিল’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১৫/৫ পৃ.)।

সুতরাং আপনার উপর অপরিহার্য হল- সূদের সঙ্গে জড়িত সমস্ত রকমের কাজ এই মুহূর্তেই বর্জন করা। তবে আপনি চাইলে কোম্পানীকে বলে এমন কোন কাজ নিতে পারেন, যার সঙ্গে সূদের কোন সম্পর্ক নেই এবং যেটা সূদের কাজে সাহায্য-সহযোগিতাও করা হবে না। যদি তারা আপনার আবেদন গ্রহণ না করে, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য ঐ কাজে বহাল থাকা জায়েয হবে না। আপনি অন্য কোম্পানিতে হালাল কাজ অনুসন্ধান করুন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যে কেউ আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রুযী দান করবেন’(সূরা আত-ত্বালাক্ব: ২,৪; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৯/৭৭ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৭৫৪৯২)। 


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শাহীন, চরফ্যাশন, ভোলা।





প্রশ্ন (৪) : কোন নারী কতদিন দুধ পান করালে দুগ্ধমাতা হিসাবে গণ্য হবে? কোন নারী যদি তার বুকের দুধ কাউকে পান করান তাহলে কি সেই নারীর মেয়ের সাথে দুধপানকারীর ছেলের বিবাহ হারাম হয়ে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : কুরবানীর পশুর গলায় লাল ফিতা বেঁধে দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : তারাবীহ-এর জামা‘আতে বিতরের ছালাতে ইমামের সশব্দে দু‘আ কূনূত পাঠ করা এবং মুক্তাদীগণের আমীন বলার কি কোন প্রমাণ আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : ‘যে বিয়েতে খরচ যত কম, সে বিয়েতে বরকত তত বেশি’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : কোঁকা কোলা কিংবা এমন পণ্য যা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত দেশের তৈরি, অথচ তা সরকার বয়কট করতে বলে না, তা কী ব্যক্তিগতভাবে কিংবা সামাজিকভাবে বর্জন করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯): এক মহিলা কোন মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্যান্য মহিলার সাথে গিয়ে হজ্জ করে ফেলেছে। তার সেই হজ্জ কী বিশুদ্ধ হয়েছে? না-কি পুনরায় হজ্জ আদায় করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : জনৈক খত্বীব বলেছেন, আব্দুল কাদের জিলানীর কারণে বাগদাদ শহরের সব কবরের আযাব মাফ হয়ে গেছে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : ‘যে ব্যক্তি সূরা আলে ইমরান পাঠ করে সে লোক সম্পদশালী এবং সে স্ত্রীলোক সুসজ্জিতা’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/২৫১৬), মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ইসলামের দৃষ্টিতে বজ্রপাতের ব্যাখ্যা কী এবং এ সময় আমাদের করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : অন্যের খরচে হজ্জ আদায় করলে সেই হজ্জটি কি ইসলামের ফরয হজ্জ হিসাবে আদায় হবে? অথচ তিনি তার হজ্জের জন্য নিজের সম্পদ থেকে কিছুই ব্যয় করেননি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : মসজিদে প্রবেশের সময় এবং বের হওয়ার সময় উচ্চৈঃস্বরে সালাম দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : গরীব-মিসকীন ছাড়া কুরআনে উল্লেখিত আট শ্রেণীর অন্যদের মাঝে কি ফিতরা বণ্টন করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ