উত্তর : সাধারণভাবে ইহুদী, খ্রিস্টান অথবা অন্যান্য অমুসলিমের সঙ্গে লেনদেন বা ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয। নবী (ﷺ) ও ছাহাবীগণ মদীনার ইহুদীদের সঙ্গে আদান-প্রদান ও লেনদেন করেছেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী (ﷺ) জনৈক ইহুদীর কাছ হতে নির্দিষ্ট মেয়াদে খাদ্য শস্য খরিদ করেন এবং নিজের বর্ম তার কাছে বন্ধক রাখেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৫০৯, ২০৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, নবী (ﷺ)-এর মৃত্যুর সময় তাঁর বর্মটি ত্রিশ ছা‘ যবের বিনিময়ে এক ইহুদীর নিকট বন্ধক ছিল (ছহীহ বুখারী, হা/২৯১৬)। ইবনু দাক্বীক্ব আল-‘ঈদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘অমুসলিম, কাফির ও মুশরিকদের সঙ্গে লেনদেন করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে এটিই দলীল’ (ইহকামুল আহকাম, ২/১৪৫ পৃ.)। আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘আমি ইহুদী বাগান মালিকের কূপ থেকে এক একটি উত্তম খেজুর প্রদানের শর্তে এক বালতি করে পানি উত্তোলন করেছি’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৪৪৭; সনদ হাসান, আত-তা‘লীক্বাতুর রাযীয়্যাহ, ২/৪৪২ পৃ.)। বিষয়টি আরো স্পষ্টীকরণার্থে ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘মুশরিক ও শত্রু রাষ্ট্রের অধিবাসীদের সাথে ক্রয়-বিক্রয়’ নামে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করেন (অধ্যায় নং-৩৪, অনুচ্ছেদ নং-৯৯)। অতঃপর নিম্নোক্ত হাদীছটি বর্ণনা করেন। আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘আমরা নবী (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। সে সময়ে এলোমেলো লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এক মুশরিক ব্যক্তি তার বকরী হাঁকিয়ে উপস্থিত হলো। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, ‘এটা কি বিক্রির জন্য, না-কি দান হিসাবে’, অথবা তিনি বললেন, ‘না হিবাহ্ হিসাবে’? সে বলল, বিক্রির জন্য। তখন তিনি তার নিকট হতে একটি বকরী কিনে নিলেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/২২১৬, ২৬১৮, ৫৩৮২)।
প্রশ্নকারী : তানভীর, সিরাজগঞ্জ।