বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
উত্তর : সাধারণভাবে ইহুদী, খ্রিস্টান অথবা অন্যান্য অমুসলিমের সঙ্গে লেনদেন বা ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয। নবী (ﷺ) ও ছাহাবীগণ মদীনার ইহুদীদের সঙ্গে আদান-প্রদান ও লেনদেন করেছেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী (ﷺ) জনৈক ইহুদীর কাছ হতে নির্দিষ্ট মেয়াদে খাদ্য শস্য খরিদ করেন এবং নিজের বর্ম তার কাছে বন্ধক রাখেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৫০৯, ২০৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, নবী (ﷺ)-এর মৃত্যুর সময় তাঁর বর্মটি ত্রিশ ছা‘ যবের বিনিময়ে এক ইহুদীর নিকট বন্ধক ছিল (ছহীহ বুখারী, হা/২৯১৬)। ইবনু দাক্বীক্ব আল-‘ঈদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘অমুসলিম, কাফির ও মুশরিকদের সঙ্গে লেনদেন করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে এটিই দলীল’ (ইহকামুল আহকাম, ২/১৪৫ পৃ.)। আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘আমি ইহুদী বাগান মালিকের কূপ থেকে এক একটি উত্তম খেজুর প্রদানের শর্তে এক বালতি করে পানি উত্তোলন করেছি’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৪৪৭; সনদ হাসান, আত-তা‘লীক্বাতুর রাযীয়্যাহ, ২/৪৪২ পৃ.)। বিষয়টি আরো স্পষ্টীকরণার্থে ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘মুশরিক ও শত্রু রাষ্ট্রের অধিবাসীদের সাথে ক্রয়-বিক্রয়’ নামে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করেন (অধ্যায় নং-৩৪, অনুচ্ছেদ নং-৯৯)। অতঃপর নিম্নোক্ত হাদীছটি বর্ণনা করেন। আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বাকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘আমরা নবী (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। সে সময়ে এলোমেলো লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এক মুশরিক ব্যক্তি তার বকরী হাঁকিয়ে উপস্থিত হলো। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, ‘এটা কি বিক্রির জন্য, না-কি দান হিসাবে’, অথবা তিনি বললেন, ‘না হিবাহ্ হিসাবে’? সে বলল, বিক্রির জন্য। তখন তিনি তার নিকট হতে একটি বকরী কিনে নিলেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/২২১৬, ২৬১৮, ৫৩৮২)।


প্রশ্নকারী : তানভীর, সিরাজগঞ্জ।





প্রশ্ন (৫) : এক মেয়ে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে এমন একজন ছেলেকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার মা চায় না, বরং তার জন্য এই দু‘আ করেন যে, সে যেন মারা যায়। ইদানিং মেয়েটি অসুস্থ। এটা কি বদদু‘আর ফল? এক্ষেত্রে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : জুমু‘আ মসজিদে মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না থাকার কারণে মূল মসজিদ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ওয়াক্তিয়া মসজিদে শুধু মহিলাদের জন্য জুমু‘আর ব্যবস্থা করা যাবে কি? যেখানে একজন পুরুষ খুৎবা দিবে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : মৃতের জন্য কুলখানি, চল্লিশা, মীলাদ ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ‘জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে হলেও তোমরা যাও’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : ঈদের রাতে ইবাদত করার কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : দলবদ্ধ মুনাজাত করার পক্ষে জনৈক আলেম নিম্নের হাদীছটি পেশ করে থাকেন- কিছু লোক একত্রিত হয়ে তার মধ্যে কেউ কেউ দু‘আ করলে আর কেউ কেউ আমীন আমীন বললে, আল্লাহ তাদের দু‘আ কবুল করেন। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : অনেক আগের তৈরি করা মসজিদ। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি সেই মসজিদের ক্বিবলা ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে সেই মসজিদে ছালাত আদায় করলে ছালাত আদায় হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : কাবীরা গুনাহ করলে কি ছিয়াম নষ্ট হয়ে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : ঘুমানোর পূর্বে করণীয় ও তার ফযীলত কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : আহলে কিতাবদের যব্হ করা খাবার খাওয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : দু‘আ কুনূত পড়ার সময় হাত তুলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক বক্তা বলেন, ইসলাম ধর্মে এমন একটি নফল ছালাত আছে যা সফর মাসের শেষ বুধবার পূর্বাহ্নের প্রথম প্রহরে এক সালামে চার রাক‘আত আদায় করা খুবই ফযীলতপূর্ণ। পদ্ধতি হল, প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার সঙ্গে ১৭ বার সূরা কাওছার, ৫০ বার সূরাহ ইখলাছ এবং একবার করে সূরা নাস ও ফালাক্ব পাঠ করে। সালাম ফিরানোর পর সূরা ইউসুফের ২১ নং আয়াতের শেষাংশ ৩৬০ বার পাঠ করবে। শেষে সূরা আস-সাফফাতের ১৮০-১৮২ নং আয়াত পাঠ করে শেষ করবে। অতঃপর ফক্বীর মিসকীনদের মাঝে কিছু রুটি ছাদাক্বাহ করবে। এর মাধ্যমে বুধবার নাযিল হওয়া সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি লাভ করবে। কারণ প্রত্যেক বছর এই দিন ২০ হাজার ৩০০ শত বালা-মুছীবত নাযিল হয়। প্রশ্ন হল, উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ