উত্তর : মেধা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কুরআন ও ছহীহ হাদীসে সরাসরি নির্দিষ্ট কোন পদ্ধতি বর্ণনা নেই; তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতিদ্বয় অনুসরণ করা যেতে পারে। প্রথমতঃ ইলম সম্পর্কিত দু‘আগুলো নিয়মিত আমল করা। যেমন (১) رَّبِّ زِدۡنِیۡ عِلۡمًا ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন’ (ত্বো-হা: ১১৪)। (২) سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ‘(হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন (সেগুলো ছাড়া) নিশ্চয় আপনি প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ৩২)। দ্বিতীয়তঃ পাপ থেকে দূরে থাকা: প্রতিনিয়ত পাপাচারের একটি প্রভাব হচ্ছে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসঙ্গে থাকতে পারে না। কোনো মানুষ যখন পাপ কাজ করে, এটা তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান অর্জনের মত কল্যাণকর আমল থেকে সে ছিটকে পড়ে। তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে দূরে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করা। কেননা ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি আমার উস্তাদ ওয়াকী‘-এর নিকট আমার মুখস্থ শক্তির দুর্বলতার অভিযোগ পেশ করলে তিনি আমাকে বর্ণনা করে বলেন যে, পাপ ছেড়ে দাও। আর তিনি আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, ইলম হল নূর। আল্লাহ তা‘আলা এই নূর বা জ্যোতিকে কোন অপরাধীকে প্রদান করেন না’ (আস-সীরাহ আন-নাবাবিয়্যাহ ওয়াদ দাওয়াতি ফিল আহদিল মাক্কী, পৃ. ৫৮৮)।
প্রশ্নকারী : গোলাম রাব্বী, বরিশাল।