বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা

-মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
-অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন *


(৪র্থ কিস্তি) 

অষ্টমতঃ আল-কুরআন এবং সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা ফিৎনার ভ্রষ্টতা বা বিভ্রান্তি থেকে মুক্তির এক অনন্য উপায়

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অছিয়ত এটাকে আরো স্পষ্ট করে। যা তিনি আরাফার মাঠে গাদীরে খুম নামক স্থানে এবং মৃত্যু শয্যায় উপণীত হয়ে আল্লাহর কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরার ব্যাপারে করেছিলেন। আর অনেকগুলো ছহীহ হাদীছ এসেছে, যেগুলো এ কথারই প্রমাণ বহন করে যে, নবী করীম (ﷺ) যে পথের উপর ছিলেন, যে ব্যক্তি তাঁকে অর্থাৎ সে পথকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরবে সে ব্যক্তি মুক্তি পাবে। আর এ ব্যাপারে ইরবায ইবনু সারিয়াহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর হাদীছ উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন,

صَلَّى بِنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيْغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُوْنُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوْبُ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَأَنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا فَقَالَ أُوصِيْكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِى فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيْرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّيْنَ الرَّاشِدِيْنَ تَمَسَّكُوْا بِهَا وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

‘একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ছালাত আদায় করলেন, অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে আমাদের উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী ভাষণ দিলেন, এর ফলে চক্ষুগুলো দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল এবং অন্তরগুলো বিগলিত হল। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! এ যেন কারো বিদায়ী ভাষণ! অতএব আপনি আমাদেরকে কী নির্দেশ দেন? তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে (আমীর) একজন হাবশী গোলাম হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা আমার সুন্নাত এবং আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাগণের সুন্নাত অনুসরণ করবে, তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরবে। সাবধান! তোমরা (দ্বীনের মধে) নব উদ্ভাবিত (বিদ‘আত) কাজ থেকে বিরত থাকবে। কারণ প্রত্যেক নব উদ্ভাবিক কাজই বিদ‘আত, আর প্রত্যেক বিদ‘আতই গোমরাহী’।[১]

উক্ত হাদীছটি (আমীরের) কথা শ্রবণ এবং আনুগত্যের গুরুত্বকে শক্তিশালী করে। যা হুদায়বিয়ার সন্ধিকালে নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে থাকা ছাহাবীদের জন্য অর্জন হয়েছিল। যখন ওমরাহ থেকে তাদেরকে বাঁধা দেয়াটা তাদের উপর কঠিন বিপদরূপে আপতিত হয়েছিল। তারা বাহ্যিকভাবে মুসলিমদের উপর লাঞ্ছনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তবুও তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আনুগত্য করেছিলেন, ফলে আল্লাহ তা‘আলার ভাষায় সুস্পষ্ট বিজয় সাধিত হয়েছিল। আর এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ নি¤œরূপ :

‘আর যখন লেখা হল, بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ‘পরম করুনাময় দয়ালু আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি)। তখন সুহাইল ইবনু আমর নবী করীম (ﷺ)-কে বলল, অর্থাৎ অশ্রুজল গড়িয়ে পড়ল, بِاِسْمِكَ اَللّٰهُمَّ ‘হে আল্লাহ! আপনার নামে’ লিখুন। তখন নবী করীম (ﷺ) তার কথার উপর একমত হলেন। مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ লিখার উপর সুহাইল একমত হল না। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা মুছে দিয়ে مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ ‘মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ’ লিখার নির্দেশ দিলেন। সুহাইল ইবনু আমর সন্ধিতে এই বছর ওমরাহ করতে নিষেধ করে আগামী বছর তা করতে বলেন। সন্ধিতে আরো শর্ত ছিল মুশরিকদের মধ্য হতে কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে মুসলিমরা তাকে ফেরত দিবে, আর মুসলিমদের মধ্য হতে কোন ব্যক্তি মুশরিক হয়ে গেলে তাকে তারা ফেরত দিবে না। শর্তটি প্রথম বাস্তবায়িত হয়েছিল আবূ জানদাল ইবনু সুহাইল ইবনু আমর-এর উপর।

অনেক বিতর্কের পর নবী করীম (ﷺ) তাকে ফেরত দেন। ঐ দিন এ কারণেই ছাহাবীগণ রাগান্বিত হয়েছিলেন। এমনকি ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) নবী করীম (ﷺ)-কে বললেন, আপনি কি আল্লাহর সত্য নবী নন? নবী করীম (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, আমরা কি সত্যের এবং আমাদের শত্রুরা কি মিথ্যার উপর নয়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, তাহলে দ্বীনের ব্যাপারে কেন আমরা হেয় হব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল; অতএব আমি তাঁর অবাধ্য হতে পারি না, অথচ তিনিই আমার সাহায্যকারী’। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, এ জন্যই তো আমি অনেক সৎ আমল করেছি। সন্ধিপত্র লেখা শেষ হলে নবী করীম (ﷺ) ছাহাবাদেরকে বললেন, ‘কুরবানী কর এবং মাথা মুণ্ডন কর কেউ তা করল না’। তাদের কাউকে উঠতে না দেখে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) উম্মু সালামাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর নিকট এসে লোকদের এই আচরণের কথা বললেন। তখন উম্মু সালামাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন, আপনি কুরবানী করুন এবং মাথা মুণ্ডন করুন। অতঃপর তিনি বের হয়ে কুরবানী এবং মাথা মুণ্ডন করলেন। (তা দেখে) সকল ছাহাবী (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) কুরবানী করলেন এবং মাথা মুণ্ডন করলেন। অবস্থা এমন হল যে, ভীড়ের কারণে একে অপরের উপর পড়তে লাগলেন’।[২]

সুতরাং এই সন্ধির মাধ্যমে অনেক কল্যাণ অর্জিত হয় যার ব্যাপারে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞানী। অতঃপর সূরা ফাতহ অবতীর্ণ হয়। এরপর ষষ্ঠ ও সপ্তম বর্ষে (হিজরীতে) ইসলামে এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটে যা ইতোপূর্বে ইসলামে তার অনুরূপ বা তার চেয়ে অধিক ছিল। অতঃপর অষ্টম বর্ষে (হিজরীতে) মক্কা বিজয়ের পরে লোকেরা দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করে। আর এটা আল্লাহ ও নবী করীম (ﷺ)-এর আনুগত্যের বরকতেই হয়েছে। এ কারণেই সাহল ইবনু হুনাইফ বলেন,

اتَّهِمُوْا رَأْيَكُمْ رَأَيْتُنِيْ يَوْمَ أَبِيْ جَنْدَلٍ وَلَوْ أَسْتَطِيْعُ أَنْ أَرُدَّ أَمْرَ النَّبِيِّ ﷺ لَرَدَدْتُهُ

‘তোমরা নিজ মতামতকে বিশুদ্ধ মনে কর না। আমি নিজেকে আবূ জান্দালের দিন দেখেছি। আমি যদি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর আদেশ রদ করতে পারতাম, তবে তা নিশ্চয় রদ করতাম’।[৩]

আর এটা ছাহাবীদের মর্যাদা ও নবী করীম (ﷺ)-কে তাদের বিচারক হিসাবে গ্রহণ করার উপর প্রমাণ বহণ করে। তাই তাদের জন্য বিজয় এবং সাহায্য অর্জিত হয়েছে। অতএব আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা এবং অনুগ্রহ।

আর একজন মুসলিমের উপর কর্তব্য হচ্ছে, আল-কুরআন ও সুন্নাহকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরা। বিশেষ করে ফিৎনার যুগে। এজন্যই নবী করীম (ﷺ) ফিৎনা থেকে সতর্ক করেছেন। তা থেকে আল্লাহ তা‘আলার নিকট আশ্রয় চেয়েছেন এবং মুসলিমদের জামা‘আতকে আঁকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, تَعَوَّذُوْا بِاللهِ مِنَ الْفِتَنِ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ ‘তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার ফিৎনা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর’।[৪]

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَرَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ يَتَقَارَبُ الزَّمَانُ وَيَنْقُصُ الْعَمَلُ وَيُلْقَى الشُّحُّ وَتَظْهَرُ الْفِتَنُ وَيَكْثُرُ الْهَرْجُ قَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيُّمَ هُوَ؟ قَالَ الْقَتْلُ الْقَتْلُ

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, সময় নিকটতর হতে থাকবে, আর আমল কমে যেতে থাকবে, কৃপণতা ছড়িয়ে দেয়া হবে, ফিৎনার বিকাশ ঘটবে এবং হারজ ব্যাপকতর হবে। ছাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হারজ কী? নবী করীম (ﷺ) বললেন, হত্যা, হত্যা’।[৫] অন্য শব্দে রয়েছে,يَتَقَارَبُ الزَّمَانُ وَيَنْقُصُ الْعِلْمُ ‘সময় নিকটবর্তী হবে এবং বিদ্যা কমে যাবে’।[৬]

নবী করীম (ﷺ) স্পষ্টভাবে কর্ণনা দিয়েছেন যে, প্রতিটি যুগের চেয়ে তার পরবর্তী যুগ আরো নিকৃষ্টতর হবে।

عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ ﷺ قَالَ أَتَيْنَا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَلْقَى مِنْ الْحَجَّاجِ فَقَالَ اصْبِرُوْا فَإِنَّهُ لَا يَأْتِيْ عَلَيْكُمْ زَمَانٌ إِلَّا الَّذِيْ بَعْدَهُ شَرٌّ مِنْهُ حَتَّى تَلْقَوْا رَبَّكُمْ سَمِعْتُهُ مِنْ نَبِيِّكُمْ ﷺ

যুবাইর ইবনু আদী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমরা আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর নিকট গেলাম এবং হাজ্জাজের নিকট থেকে মানুষ যে জ্বালাতন ভোগ করছে সে সম্পর্কে অভিযোগ পেশ করলাম। তিনি বললেন, ধৈর্য ধর। কেননা মহান প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবার পূর্ব পর্যন্ত (অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্বে) তোমাদের উপর এমন কোন যুগ অতীত হবে না, যার পরবর্তী যুগ তার চেয়েও বেশি খারাপ নয়। তিনি বলেন, এ কথাটি আমি তোমাদের নবী (ﷺ) থেকে শুনেছি’।[৭]

এমনকি নবী করীম (ﷺ) বহু সংখ্যক ফিৎনা এসে নিপতিত হওয়ায় ব্যস্ত হওয়ার পূর্বে সৎ আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ বা উৎসাহিত করেছেন। অতঃপর  তিনি বলেছেন,

بَادِرُوْا بِالأَعْمَالِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ يُصْبِحُ الرَّجُلُ مُؤْمِنًا وَيُمْسِى كَافِرًا أَوْ يُمْسِىْ مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا يَبِيْعُ دِيْنَهُ بِعَرَضٍ مِنَ الدُّنْيَا

‘আধার রাতের মত ফিৎনা আসার পূর্বেই তোমরা সৎ আমলের দিকে ধাবিত হও। সে সময় সকালে একজন মুমিন হলে সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে। সন্ধ্যায় মুমিন হলে সকালে কাফের হয়ে যাবে। দুনিয়ার সামান্য সামগ্রীর বিনিময়ে সে তার দ্বীন বিক্রি করে বসবে’।[৮]

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سَتَكُوْنُ فِتَنٌ الْقَاعِدُ فِيْهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيْهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِىْ وَالْمَاشِىْ فِيْهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِىْ مَنْ تَشَرَّفَ لَهَا تَسْتَشْرِفُهُ وَمَنْ وَجَدَ فِيْهَا مَلْجَأً فَلْيَعُذْ بِهِ

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অচিরেই এমন ফিৎনার আত্মপ্রকাশ হবে, যখন উপবিষ্ট ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর দণ্ডায়মান ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি হতে উত্তম থাকবে। আর চলমান ব্যক্তি চলন্ত ব্যক্তি হতে (বিপদমুক্ত) ভাল থাকবে। যে ব্যক্তি সে ফিৎনায় জড়িয়ে পড়বে তাকে সে ফিৎনা ধ্বংস করে দিবে। তখন যদি কোন ব্যক্তি দ্বীন রক্ষার জন্য কোন ঠিকানা বা নিরাপদ আশ্রয় পায়, তবে সেখানে আশ্রয় গ্রহণ করাই উচিত হবে’।[৯]

সুতরাং ভ্রান্তিকর ফিৎনাসমূহ হতে বের হওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে, আল-কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং মুসলিমদের জামা‘আতকে ও তাদের ইমামকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরা।

নবমতঃ আল-কুরআন ও সুন্নাহর বিরোধিতা করা দুনিয়া ও আখেরাতে লাঞ্ছিত, অপমানিত, ঘৃণিত ও অপদস্ত হওয়ার মূল কারণ

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ مَا کَانَ  لِمُؤۡمِنٍ وَّ لَا مُؤۡمِنَۃٍ  اِذَا قَضَی اللّٰہُ  وَ رَسُوۡلُہٗۤ  اَمۡرًا اَنۡ  یَّکُوۡنَ  لَہُمُ الۡخِیَرَۃُ  مِنۡ اَمۡرِہِمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ  فَقَدۡ  ضَلَّ  ضَلٰلًا  مُّبِیۡنًا

‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী উক্ত নির্দেশের ভিন্নতা করার কোন অধিকার রাখে না। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে সে স্পষ্টতই সত্য পথ হতে দূরে সরে পড়ল’ (সূরা আল-আহযাব : ৩৬)। মহান আল্লাহ আরো বলেন,

فَلَا وَ رَبِّکَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ حَتّٰی  یُحَکِّمُوۡکَ فِیۡمَا شَجَرَ  بَیۡنَہُمۡ ثُمَّ  لَا  یَجِدُوۡا فِیۡۤ  اَنۡفُسِہِمۡ حَرَجًا  مِّمَّا قَضَیۡتَ  وَ یُسَلِّمُوۡا  تَسۡلِیۡمًا

‘কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হবে না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের বিবাদ-বিসস্বাদের মীমাংসার ভার আপনার উপর ন্যস্ত না করে, অতঃপর আপনার ফায়ছালার ব্যাপারে তাদের মনে কিছু মাত্র কুণ্ঠাবোধ না থাকে, আর তারা তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করে’ (সূরা আন-নিসা : ৬৫)। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন,

وَ مَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡ ذِکۡرِیۡ فَاِنَّ لَہٗ مَعِیۡشَۃً ضَنۡکًا وَّ نَحۡشُرُہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ  اَعۡمٰی- قَالَ رَبِّ  لِمَ حَشَرۡتَنِیۡۤ  اَعۡمٰی وَ قَدۡ کُنۡتُ  بَصِیۡرًا- قَالَ  کَذٰلِکَ اَتَتۡکَ اٰیٰتُنَا فَنَسِیۡتَہَا ۚ  وَکَذٰلِکَ  الۡیَوۡمَ  تُنۡسٰی

‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ আর তাকে ক্বিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’ সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ করে উঠালে! আমি তো চক্ষুস্মান ছিলাম।’ আল্লাহ বলবেন, ‘এভাবেই তো আমার নিদর্শনসমূহ যখন তোমার কাছে এসেছিল তখন তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে। আজকের দিনে সেভাবেই তোমাকে ভুলে যাওয়া হচ্ছে’ (সূরা ত্বো-হা : ১২৪-১২৬)।

যারা নবী করীম (ﷺ)-এর নির্দেশ অমান্য করে তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,

فَلۡیَحۡذَرِ الَّذِیۡنَ یُخَالِفُوۡنَ عَنۡ اَمۡرِہٖۤ  اَنۡ تُصِیۡبَہُمۡ فِتۡنَۃٌ  اَوۡ یُصِیۡبَہُمۡ عَذَابٌ  اَلِیۡمٌ

‘কাজেই যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, তাদের উপর পরীক্ষা নেমে আসবে কিংবা তাদের উপর নেমে আসবে ভয়াবহ শাস্তি’ (সূরা আন-নূর : ৬৩)।

নবী করীম (ﷺ)-(এর বাণী) হতে প্রমাণিত আছে যে, তিনি বলেন, যে আমার নির্দেশের বিরোধিতা করে তার উপর অপমান এবং লাঞ্ছিত নির্ধারিত হয়েছে। وَمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ‘আর যে ব্যক্তি কোন জাতির অনুকরণ করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে’।[১০] সুনান এবং মুসনাদ গ্রন্থসমূহে এসেছে, যা নবী করীম (ﷺ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيْكَتِهِ يَأْتِيْهِ الْأَمْرُ مِنْ أَمْرِيْ مِمَّا أَمَرْت بِهِ أَوْ نَهَيْت عَنْهُ فَيَقُوْلُ : بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ هَذَا الْقُرْآنُ فَمَا وَجَدْنَا فِيْهِ مِنْ حَلَالٍ حَلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا فِيْهِ مِنْ حَرَامٍ حَرَّمْنَاهُ أَلَا وَإِنِّيْ أُوتِيْتُ الْكِتَابَ وَمِثْلَهُ مَعَهُ أَلَا وَإِنَّهُ مِثْلُ الْقُرْآنِ أَوْ أَعْظَمُ

‘আমি তোমাদের কাউকে যেন তার সোফায় হেলান দিয়ে বসে থাকতে না দেখি এই অবস্থায় যে, সে আমার কোন নির্দেশ যা আমি নির্দেশ দিয়েছি অথবা আমার কোন নিষেধ তার কাছে পৌঁছে, অথচ সে বলবে যে, আমাদের ও তোমাদের মাঝে এই কুরআন রয়েছে। অতএব আমরা তাতে যা হালাল পাব তা আমরা হালাল হিসাবে জানব। আর তাতে যা আমরা হারাম পাব তা হারাম হিসাবে জানব। জেনে রেখ যে, আমি কুরআন ও তার সাথে অনুরূপ (সুন্নাহ তথা হাদীছ) প্রাপ্ত হয়েছি। জেনে রেখ যে, তা কুরআনের ন্যায় বা তার চেয়েও বড়’।[১১]

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ كُلُّ أُمَّتِيْ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَمَنْ يَأْبَى قَالَ مَنْ أَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ أَبَى

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমার সকল উম্মতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করবে। ছাহাবীগণ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) বললেন, কে অস্বীকার করবে? তিনি বললেন, যারা আমার অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে সে-ই অস্বীকার করবে।[১২] শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

فَعَلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ أَنْ لَا يَتَكَلَّمَ فِيْ شَيْءٍ مِنْ الدِّيْنِ إلَّا تَبَعًا لِمَا جَاءَ بِهِ الرَّسُوْلُ وَلَا يَتَقَدَّمُ بَيْنَ يَدَيْهِ؛ بَلْ يَنْظُرُ مَا قَالَ فَيَكُوْنُ قَوْلُهُ تَبَعًا لِقَوْلِهِ وَعَمَلُهُ تَبَعًا لِأَمْرِهِ فَهَكَذَا كَانَ الصَّحَابَةُ وَمَنْ سَلَكَ سَبِيْلَهُمْ مِنْ التَّابِعِيْنَ لَهُمْ بِإِحْسَانِ وَأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْنَ؛ فَلِهَذَا لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنْهُمْ يُعَارِضُ النُّصُوْصَ بِمَعْقُوْلِهِ وَلَا يُؤَسِّسُ دِيْنًا غَيْرَ مَا جَاءَ بِهِ الرَّسُوْلُ وَإِذَا أَرَادَ مَعْرِفَةَ شَيْءٍ مِنْ الدِّيْنِ وَالْكَلَامِ فِيْهِ نَظَرَ فِيْمَا قَالَهُ اللهُ وَالرَّسُوْلُ فَمِنْهُ يَتَعَلَّمُ وَبِهِ يَتَكَلَّمُ وَفِيْهِ يَنْظُرُ وَيَتَفَكَّرُ وَبِهِ يَسْتَدِلُّ فَهَذَا أَصْلُ أَهْلِ السُّنَّةِ

‘সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের উপর আবশ্যক হল, নবী করীম (ﷺ) যা কিছু নিয়ে এসেছেন তাঁর অনুসরণ ব্যতীত দ্বীনের কোন বিষয়ে কোন কথা না বলা এবং যা তাঁর সামনে আসে না সে বিষয়েও কোন কথা না বলা। বরং সে যেন লক্ষ্য করে নবী করীম (ﷺ) কী বলেছেন। অতঃপর তাঁর কথাটি যেন হয় নবী করীম (ﷺ)-এর অনুকূলে। তার আমলটি যেন হয় নবী করীম (ﷺ)-এর নির্দেশ অনুসারে। ছাহাবী, তাবেঈ ও মুসলিমদের ইমামগণ এরূপই ছিলেন। একারণেই তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিজ বুদ্ধি দিয়ে কুরআন ও সুন্নাহর বিরোধিতা করেননি। আর নবী করীম (ﷺ) যা নিয়ে এসেছেন তা ব্যতীত অন্য কোন দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করেননি। তাঁরা যখনই দ্বীনের কোন বিষয়কে জানার ইচ্ছা করেছেন তারা লক্ষৗ করেছেন যে ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) কী বলেছেন। অতঃপর তা থেকেই শিক্ষা অর্জন করেছেন। তা দিয়েই কথা বলেছেন এবং তাঁর মধ্যেই দৃষ্টি রেখেছেন। আর তাঁকেই প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপণ করেছেন। আর এটাই আহলুস সুন্নাহর মূলনীতি’।[১৩]

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

* নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।

তথ্যসূত্র :
[১]. আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭; তিনমিযী, হা/২৬৭৬ ‘সুন্নাহ’ অধ্যায়, সুন্নাতের অনুসরণ আবশ্যক’ অনুচ্ছেদ; হাদীছে উল্লেখিত (ذَرَفَتْ) অর্থ অশ্রু গড়িয়ে পড়ল, (وَجِلَتْ) অর্থ ভীত হয়ে গেল, ঘাবড়ে গেল, (تَعْهَدُ) অর্থ বলা হয়ে থাকে, যখন তাকে নছীহাত করল তখন তার নিকট থেকে অমুক জিনিসের অঙ্গীকার নিল, (وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا) অর্থ আদেশকারীর অনুসরণ কর এবং তাঁর কথা শ্রবণ কর যদিও সে হাবশী হোক না কেন। অতঃপর যা পড়ে গেছে, যা বর্ধিত ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী, (عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ) النَّوَاجِذِ ‘অর্থ ঐ সকল দাঁত, যা কর্তন দাঁতের পরে হয় তথা পড়ে যাওয়া দাঁতের পরে হয়। আর এর দৃষ্টান্ত হল আদেশকে খুব শক্তভাবে আঁকড়ে ধরার প্রতি। (مُحْدَثَاتِ الأُمُورِ) অর্থা যা কুরআন-সুন্নাহ এবং ইজমায় প্রসিদ্ধ নয়’ (দেখুন : ইবনু আছীর, জামিঊল উছূল, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৮০)।
[২]. ছহীহ বুখারী, ২৭৩১-২৭৩২ ‘শর্তাবলী’ অধ্যায়, ‘যুদ্ধের প্রতিপক্ষীয়দের সাথে জিহাদ ও সমঝোতার  ব্যাপারে শর্তরোপ এবং লোকদের সঙ্গে কৃত মৌখিক শর্ত লিপিবদ্ধ করা’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৮৩ ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ‘হুদায়াবিয়ার সন্ধি’ অনুচ্ছেদ।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৩১৮১ ‘জিযইয়াহ কর ও সন্ধি স্থাপন’ অধ্যায়, ‘হাদ্দাছানা ‘আবদান’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৮৫ ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ‘হুদায়াবিয়ার সন্ধি’ অনুচ্ছেদ।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৬৭ ‘জান্নাত, জান্নাতের নে‘মত ও জান্নাতবাসীদের বর্ণনা’ অধ্যায়, ‘মৃত ব্যক্তির নিকট জান্নাত কিংবা জাহান্নামের ঠিকানা উপস্থিত করা হয়, ‘আর ক্ববরের শাস্তি প্রমাণ করা এবং তাত্থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা’ অনুচ্ছেদ।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৭০৬১ ‘ফিৎনা’ অধ্যায়, ‘ফিৎনার ব্যাপ্তি’ অনুচ্ছেদ।
[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৭ ‘ইলম’ অধ্যায়, ‘শেষ যামানায় ইলম উঠে যাওয়া, অজ্ঞতা ও ফিৎনা প্রকাশ পাওয়া’ অনুচ্ছেদ।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৭০৬৮ ‘ফিৎনা’ অধ্যায়, ‘প্রতিটি যুগের চেয়ে তার পরকর্তী যুগ আরও থারাপ হবে’ অনুচ্ছেদ।
[৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮ ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘ফিৎনা প্রকাশের পূবেই সৎ আমলের প্রতি অগ্রসর হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা’ অনুচ্ছেদ।
[৯]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৬০১ ‘মর্যাদা ও গুণাবলী’ অধ্যায়, ‘ইসলামে নবুঅতের নিদর্শনাবলী’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৮৬ ‘ফিৎনা’ অধ্যায়, ‘বৃষ্টি বর্ষণের মত ফিৎনা অবতীর্ণ হওয়া’ অনুচ্ছেদ।
[১০]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৫১১৪-৫১১৫, ৫৬৬৭; আল্লামা আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ শাকের তাঁর তারতীব এবং ব্যাখ্যায় এ হাদীছের সনদ ছহীহ বলেছেন; ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে; আলবানী, মিশকাত, হা/৪৩৪৭, সনদ হাসান ছহীহ।
[১১]. الأ أَرِيكَتِهِ ‘তথা বাসর ঘরের বিছানা। আর এককভাবে أريكة ‘আরীকাহ’ বলা হয় না, যা বলা হয় তা হল, প্রত্যেক ঐ জিনিস যাতে হেলান দিয়ে বসা যায়। রাসূল (ﷺ)-এর বাণী لَا أُلْفِيَنَّ ‘বলা হয়ে থাকে, যখন আমি আকস্মিকভাবে জিনিসটি দেখতে পেলাম তখনই আমি তা পেয়ে গেলাম’- দ্র. : ইবনু আছীর, জামিঊল উছূল, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৮২; আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৪, ৪৬০৫; ইবনু মাজাহ, হা/১২; সনদ ছহীহ; দেখুন : ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১৯তম খণ্ড, পৃ. ৮৫।
[১২]. ছহীহ বুখারী, হা/৭২৮০; যারা আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর ছহীহ হাদীছকে জেনে বুঝে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে পরিত্যাগ করে কারো কপোল-কল্পিত রায়-কিয়াসের অনুসরণ করে তারাই আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর অবাধ্য- অনুবাদক। ।
[১৩]. ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ৬৩।




প্রসঙ্গসমূহ »: শারঈ মূলনীতি
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
সালাফী জামা‘আত বনাম ভ্রান্তদল সমূহ - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ইসলামী জামা‘আতের মূল স্তম্ভ (৮ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন
ফাযায়েলে কুরআন (৪র্থ কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (৯ম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ইখলাছই পরকালের জীবনতরী (৪র্থ কিস্তি) - আব্দুল গাফফার মাদানী
নফল ছালাত - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ইসলামী জামা‘আতের মূল স্তম্ভ (৭ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন
ইসলামী তাবলীগ বনাম ইলিয়াসী তাবলীগ (৪র্থ কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
সচ্চরিত্রই মানব উন্নতির চাবিকাঠি - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
ইবাদতের দাবী - হাসিবুর রহমান বুখারী
হজ্জ ও ওমরার সঠিক পদ্ধতি (২য় কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন

ফেসবুক পেজ