বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

মৌসুমী ফলসমূহের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

-আল-ইখলাছ ডেস্ক*




মহান আল্লাহ মানুষ ও পশুর খাদ্য হিসাবে নানা প্রকার বাগান, গুল্মলতা, শস্যক্ষেত্র এবং উদ্ভিদ সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে বিভিন্ন প্রকারের খাদ্যবস্তÍ ও ফল উৎপন্ন করেন। আর ঐ সমস্ত ফল আহার করার নির্দেশও প্রদান করেছেন যখন তাতে ফল ধরে (সূরা আল-আন‘আম : ১৪১)। মহান আল্লাহ বলেন, 

فَلۡیَنۡظُرِ الۡاِنۡسَانُ  اِلٰی  طَعَامِہٖۤ . اَنَّا صَبَبۡنَا  الۡمَآءَ صَبًّا . ثُمَّ شَقَقۡنَا الۡاَرۡضَ شَقًّا . فَاَنۡۢبَتۡنَا فِیۡہَا حَبًّا . وَّ عِنَبًا وَّ  قَضۡبًا . وَّ  زَیۡتُوۡنًا وَّ نَخۡلًا . وَّ  حَدَآئِقَ غُلۡبًا . وَّ  فَاکِہَۃً  وَّ اَبًّا . مَّتَاعًا  لَّکُمۡ  وَ لِاَنۡعَامِکُمۡ.

‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক। আমিই প্রচুর পানি বর্ষণ করি, অতঃপর আমি ভূমিকে অদ্ভুদভাবে বিদীর্ণ করি, এবং ওতে আমি উৎপন্ন করি শস্য; আঙ্গুর, শাক-শবজি, যায়তুন, খেজুর, বহু নিবিড়-ঘন বাগান, ফল এবং গবাদির খাদ্য (ঘাস), তোমাদের এবং তোমাদের পশুগুলোর ভোগের সামগ্রী হিসাবে’ (সূরা ‘আবাসা : ২৪-৩২)। ভোগের সামগ্রী অর্থাৎ দুনিয়াবী জীবনে জীবিকা হিসাবে।

মহান আল্লাহ বান্দা তথা আদম সন্তানের জন্য যা জীবিকা করে দিয়েছেন তাতে বান্দার দেহের জন্য বহু পুষ্টি ও উপকারিতা আছে। প্রতিটি শস্য ও ফলে যে পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে, তা যদি বান্দা অবগত হয়, তাহলে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবে না। রবের অনুগ্রহ ও নে‘মতের অংশ হিসাবে কিছু মৌসুমী ফলসমূহের পুষ্টিগুণ ও উপকারীতা তুলে ধরা হল।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এর বিরাটাকায় আকৃতি, রসালো কোষ ও চমৎকার স্বাদ-গন্ধের জন্য ফলটি খুবই জনপ্রিয়। ফলটিতে রয়েছে চমৎকার স্বাদ ও সুগন্ধের পাশাপাশি মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানাবিধ পুষ্টিগুণ। কাঁঠালে বিদ্যমান নানা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ স্বাস্থ্যের নানারকম উপকার সাধন করে। কাঁঠালে রয়েছে আইসোফ্ল্যাভেনস, অ্যান্টিঅক্রিডেন্ট ও ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টসের আধিক্য যা মানব শরীরে ক্যান্সার রোধ ও প্রতিরোধে ব্যাপক সহায়তা করে।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পুষ্টিমান হিসাবে মোট কার্বোহাইড্রেট ২৪ গ্রাম, বায়াটারি ফাইবার ২ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ভিটামিন-এ ২১৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৬.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০৩ মিলিগ্রাম এবং ক্যালরি পাওয়া যায় ৯৪ মিলিগ্রাম। খনিজ পদার্থ- ১.১ গ্রাম কিলোক্যালরী ৪৮, আমিষ-১.৮ গ্রাম, শর্করা ৯.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২০ মি. গ্রাম, লৌহ-০.৫ মি. গ্রাম, ভিটামিন-বি ১-.১১ মি. গ্রাম, ভিটামিন-বি২- ১৫ মি. গ্রাম, ভিটামিন-সি-২১ মি. গ্রাম, ক্যারেটিন-৪৭০০ মাইক্রোগ্রাম, অশ-০.২ গ্রাম, চর্বি-০.১ গ্রাম, জলীয় অংশ-৮৮ গ্রাম।

কাঁঠালের উপকারিতা

কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে, কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারি। যেমন,

১. কাঁঠালে থাকা ভিটামিন-সি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে  দেহকে রক্ষা করে ২. রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে। ৩. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৪. দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ৫. ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। ৬. হজমের সমস্যা দূর করে ৭. আলসার প্রতিরোধ করে ৮.  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ৯. রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। ১০. উচ্চ রক্তচাপ কমায়। ১১. হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ১২. অ্যাজমা প্রতিরোধ করে। ১৩. গর্ভস্থ শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে হয় এবং মায়ের দুধের পরিমাণও বৃদ্ধি করে।

আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আমকে বলা হয় ফলের রাজা। কেবল স্বাদে মিষ্টি বা ত্বককে ভালো রাখাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টিগুণ যা শরীরকে ভালো রাখে। সারা বিশ্বে প্রায় এক হাজার প্রজাতির আম রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে হিমালয়ের আশপাশের সমতলভূমিতে এ ফলটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। আমের রয়েছে বহু উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ। যেমন,  

১. আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায়। ২. ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ৩. ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। ৪. জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। ৫. পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর ফিট রাখে। ৬. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে। ৭. (কাঁচা আম) ওজন কমাতে সাহায্য করে ও দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ৮. লিভারের সমস্যা দূর করে। ৯. দেহে নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। ১০. অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ হিসাবে কাজ করে। ১১. সন্তানসম্ভবা নারী এবং মেনোপোজ হওয়া নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। ১২. (কাঁচা আম) কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের কষাভাব দূর করে। ১৩. আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী । ১৪. (কাঁচা আম) দাঁতের ক্ষয় এবং রক্তপাত রোধ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১৫. আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে।

লিচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আমাদের দেশে গ্রীষ্মের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রসালো ফলের আগমনও ঘটে। আর বাজারে সব থেকে দেশি ফলের সমাহার। তবে বাজারে খুব অল্প সময়ের জন্য আসে রসালো টসটসে লিচু। যা মিষ্টি ও পুষ্টিকর হবার পাশাপাশি গ্রীষ্মের কঠোর তাপ থেকে রেহাই পাবার জন্য মানব শরীরের তাপমাত্রায় শীতল প্রভাব বৃদ্ধি করে। আমাদের সবাইকে এই ফলটিকে আকৃষ্ট করে স্বাদের জন্য। পুষ্টিগুণের দিক থেকে এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি। ক্যালসিয়াম দরকার হয় হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখতে। হিসাব করে দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম লিচুতে থাকে শর্করা ১৩.৬ গ্রাম, ক্যালরি ৬১, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম,  লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন ‘সি’ ৩১ মিলিগ্রাম। ১০০ গ্রাম লিচু বলতে মাঝারি আকারের প্রায় ১০টি লিচুকে  বোঝায়। মার্কিন ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বলছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ কিলোক্যালরি শক্তি ও ১৬ গ্রাম শর্করা রয়েছে। চর্বি একেবারেই নেই। আরও আছে ৭১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১৭০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফলেট এবং সামান্য পরিমাণ (১মিলিগ্রাম) সোডিয়াম। এছাড়াও এতে রয়েছে বহু উপকারিতা। যেমন,

১. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারি। ২. দেহের শক্তি বাড়ায়। ৩. ভিটামিন ‘সি’-এর পরিমাণ কমলালেবুর তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। ৪. আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড রয়েছে। ৫. বিটা ক্যারোটিনসহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে। ৬. হজমে সহায়তা করে। ৭. হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। ৮. ত্বক ও চুলের পুষ্টি জোগায়। ৯. রাতকানা কর্নিয়ার অসুখ, চোখ ওঠা, চোখের কোনা ফুলে লাল হয়ে যাওয়া দূর করে। ১০. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।  ১১. মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করে। হার্ট সুরা করে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ১২. ক্যান্সার থেকে মানবদেহকে সুরক্ষা দেয়। ক্যান্সার তৈরিকারী কোষ ধ্বংস করে এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

গ্রীষ্মের অন্যতম একটি আরামদায়ক ফল হচ্ছে কাঁচা তাল অর্থাৎ তালের শাঁস। এশিয়ার দেশেগুলোতে গরমে কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসাবে পরিচিত। তালের শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতই। কেবল  খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।

তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ

মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি, ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, ফ্যাট .১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটস ১০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

তালের শাঁসের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. তালের শাঁস প্রাকৃতিকভাবে দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন। ২. গরমে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে। ৩. খাবারে রুচি বাড়িয়ে দিতেও সহায়ক। ৪. তালে থাকা ভিটামিন-এ দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। ৫. তালে থাকা উপকারী উপাদান আপনার ত্বকের যতœ নিতে সক্ষম। ৬. কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ৭. কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূরীকরণে দারুণ ভূমিকা রাখে। ৮. তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাঁড় গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখে। ৯. তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ১০. তালে থাকা ভিটামিন-সি ও বি কমপ্লেক্স আপনার পানি পানের তৃপ্তি বাড়িয়ে দেয়। ১১. তাল বমিভাব আর বিস্বাদ দূর করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

জাম এশিয়ার একটি পরিচিত মৌসুমি ফল। জাম গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এটি জুন, জুলাই বা আগস্ট মাসেও পাওয়া যায়। জাম একটি সুস্বাদু গ্রীষ্মমন্ডলীয় পুষ্পের মত ফল যা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ এবং এতে অনেক ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর অনন্য রঙ (বেগুনি কালো) এবং স্বাদ  বেশিরভাগ মিষ্টি ও সামান্য টক। অন্যান্য ফলগুলোর তুলনায় এটি স্বাস্থ্যকর এবং এতে আছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এটিতে ক্যালোরি খুব কম যা খুবই স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মধ্যে একটি। এই ফলের বীজ, পাতা এবং ছালের ঔষধি মূল্য রয়েছে এবং এটি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাগুলোতে ব্যবহার করা হয় এবং এর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।  গ্রীষ্মকালীন অন্যান্য ফলগুলোর মতো জাম এতোটা জনপ্রিয় নয় কিন্তু এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান যা  দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ  থেকে দেহকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের উচিত সহজলভ্য ও সুস্বাদু এই ফলটিকে অবহেলা না করে আমাদের খাদ্য তালিকায় আজই যোগ করা।

জাম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. রক্তে ​​শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ২. হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। ৩. ইনফেকশন দূর করে। ৪. জন্ডিস ও অ্যানিমিয়া নিরাময় করে। ৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৬. দেহে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। ৭. ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো। ৮. হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। (সংকলিত)।  




প্রসঙ্গসমূহ »: ইসলাম ও বিজ্ঞান

ফেসবুক পেজ