এক চলমান প্রতিষ্ঠান: শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)
- হাসিবুর রহমান বুখারী*
(৪র্থ কিস্তি)
‘শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর পঠনপাঠনের পদ্ধতি’-এর
বাকী অংশ
তাঁর সম্পর্কে শাইখ আব্দুল্লাহ আত্ব-ত্বায়ীর বলেন, ‘একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইবনু উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) ইবনু সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে কয়েকবার বলেন যে, ‘আমাদের শাইখ আল্লামা ইবনু সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ) আমাদেরকে পঠনপাঠন, আবৃত্তি ও শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতেন, মাসআলা-মাসায়েল সূক্ষ্মভাবে বুঝার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং অনুশীলন করাতেন আলোচনা সভা ও বিতর্ক সভার নিয়মনীতি সম্পর্কে। এর জন্য কখনো কখনো আমাদের মধ্যে বিতর্ক সভার আয়োজন করতেন। একজন শিক্ষার্থী কোনা একজন আহলে ইলমের মন্তব্য উপস্থাপন করতেন, অন্য একজন শিক্ষার্থী অন্য একজন আহলে ইলমের মন্তব্য উপস্থাপন করতেন, অতঃপর সমস্ত শিক্ষার্থীরা পক্ষে অথবা বিপক্ষে দলীল, ব্যাখ্যা ও মতামত পেশ করতেন এবং শাইখের সভাপতিত্বে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য মতের নিকট পৌঁছানোর চেষ্টা করতেন। এর মাধ্যমে আমি খুবই উপকৃত হয়েছিলাম (পূর্বোক্ত, পৃ. ১৪)।
ইবনু উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-এর কোন একজন ছাত্র শায়খ ইবনু সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর পঠনপাঠনের পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখবে, আমি যে পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করি, শ্রেণীকক্ষে আমি যে অবস্থায় থাকি, মূলত সেটিই শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর শিক্ষাদানের পদ্ধতি ছিল (শারীতু ইবনি উছাইমীন)। তিনি শাইখের পঠনপাঠনের পদ্ধতি সম্পর্কে আরো বলেন যে, ‘শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ) পঠনপাঠনের যে অনন্য পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষাদান করতেন, সমকালে তার দ্বিতীয় ছিল না। তিনি প্রত্যেকটা গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা করতেন। একটি বিষয়ের সঙ্গে আরেকটি বিষয়ের সম্পর্ক স্থাপন করতেন, ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীরা একই বিষয়ের মধ্যে অনেক কিছু শিখে যেতেন। কখনো কখনো তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে ধাঁধা, হেঁয়ালি বা প্রহেলিকা ছুঁড়ে দিতেন, এতে ছাত্রদের মেধা খুবই প্রখর, ধারালো এবং শক্তিশালী হত। কখনো কখনো তিনি শিক্ষার্থীদের স্বহস্তে লিখিত কিছু প্রশ্ন দিতেন এবং তার যথাযোগ্য উত্তর লিখে জমা করার জন্য দু-তিন দিন সময় দিতেন। এই পদ্ধতি ছাত্রদের জন্য খুবই কার্যকারী ছিল। তাঁর দারসে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হত। যারা খুবই পরিশ্রমী, তৎপর, কর্মণ্য, উদ্যমী ও প্রাণবন্তত ছিল, তারা বিভিন্ন গ্রন্থ অধ্যয়ন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা করতে ব্যস্ত থাকতেন। কোন বিতর্কিত মাসআলা-মাসায়েলের ক্ষেত্রে তিনি ছাত্রদের দু’টি দলে বিভক্ত করতেন। উদাহরণস্বরূপ যদি বিতর্কিত মাসআলার একটি মত শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর হত এবং আরেকটি মত হাম্বালী মাযহাবের অন্য কোন প্রসিদ্ধ আলিমের হত। তাহলে তিনি একদলকে বলতেন, ‘নিজের মাযহাবকে বিজয়ী করো, যথাসাধ্য দলীল এবং পরিতৃপ্তকর ব্যাখ্যা উপস্থাপন কর’। অপর দলকে বলতেন, ‘শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বিজয়ী করো এবং তার মতকে শক্তিশালী করবে এমন দলীল এবং পরিতৃপ্তকর ব্যাখ্যা উপস্থাপন করো। এটি ছাত্রদের জন্য খুবই উপযোগী পদক্ষেপ ছিল। প্রত্যেক ছাত্র নিজস্ব মেধা ও বুদ্ধিমত্তা অনুযায়ী লিখতেন। বিষয়টি এমন ছিল যে, যেন বাস্তবেই দু’জন শাইখ আপোসে মুনাযারাহ করছেন।[১]
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর আচরণ
তিনি কথা-বার্তায়, কাজে-কর্মে এবং আচার-আচরণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঠিক ঐরূপ ছিলেন, যেমন আচরণ একজন পিতা বা অভিভাবক তার সন্তানদের সঙ্গে করে থাকেন। অধিকাংশ সময় তিনি দারসে হৃদয়স্পর্শী ও আবেগপূর্ণ কথাবার্তা বলতে বলতে ভাবুক হয়ে যেতেন, আবার কখনো কখনো হাসতেন। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গেও অত্যন্ত বিনয়ী ও নম্র আচরণ করতেন। আজকের তুলনায় মানুষ সেই সময়ে অত্যধিক দারিদ্রতা ও অর্থকষ্টে জর্জরিত ছিল। যাদের বড় পরিবার কিংবা যারা অর্থকষ্টে জর্জরিত ছিল, তিনি তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতেন, দরজার সামনে এসে কড়া নাড়তেন এবং কাছে যা থাকত সব দিয়ে দিতেন। অধিকাংশ সময় তিনি তাদের পরিচয় জানতেন না।[২] শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর গ্রন্থসমূহ থেকেও এ কথা প্রকাশিত হয় যে, পঠনপাঠন বা শিক্ষাদানের পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত, একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি ইত্যাদি। যেমন তিনি বলেন, ‘আলোচনা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সময় এমন একটি কল্যাণকর ও উপকারী পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত, যার মাধ্যমে শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণ, শেখা ও শিখানো সম্ভব হবে। শিক্ষক যখন কোন বিষয় শুরু করবেন, তখন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা করবেন এবং বিষয়টি শিক্ষার্থীদের বোধগম্যে পৌঁছানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করবেন, তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা, প্রকাশরীতি, অভিব্যক্তি, বাচনভঙ্গি, উদাহরণ, চিত্রায়ন ও লেখনীর মাধ্যমে। অনুরূপভাবে পুনরাবৃত্তি, পরীক্ষা, আপোসে আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ, মুখস্থকরণ, পুনরায় পাঠ, পুনরায় নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে সংরক্ষণ রাখার প্রচেষ্টা করা। শিক্ষা হল- বৃক্ষের রোপিত চারার ন্যায় এবং বারংবার মুখস্থকরণ, পুনরাবৃত্তি, পরীক্ষা, আপোসে আলাপ-আলোচনা এগুলো হল তার ‘সিঞ্চন’ ও পরিচর্যা এবং তাকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখার জন্য আগাছামুক্ত করা অপরিহার্য, ঠিক একই রকমভাবে শিক্ষার প্রচার- প্রসারের জন্য সমস্ত রকমের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।[৩]
শাইখ ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) এই উপদেশ ও পরামর্শ দ্বারা সীমাহীন উপকৃত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর পরামর্শগুলোকে সংরক্ষণ করেছিলেন এবং সেগুলো তাঁর শিক্ষকতার জীবনে ছাত্রদের এবং বন্ধুদের পড়ানোর সময় কাজে লাগিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উনাইযাহ শহরের পাঠশালায় পড়াশোনা করতাম। অতঃপর আমরা আমাদের শায়খ আল্লামা আব্দুর রহমান ইবনু সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর কাছে অধ্যয়ন শুরু করি। আমি এবং আমার হারানো বন্ধু মোটামুটি দশ বছর পর্যন্ত তাঁর সান্নিধ্যে ছিলাম। এই সময়কালে আমরা শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর কাছে অনেক শারঈ ঊলূম এবং আরবী পড়েছি। আমি এবং আমার বন্ধু বেশ কয়েকটি মুতুন বা মূলপাঠ মুখস্থ করেছিলাম। যেমন হাদীছ শাস্ত্রে- বুলূগুল মারাম ও ঊমদাতুল আহকাম, ফিক্বাহ্ শাস্ত্রে ‘মুখতাছারুল মুক্বনী’, ভাষা শাস্ত্রে আলফিয়্যাহ ইবনু মালিক, ক্বাত্বরুন নাদাহ। শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর ক্লাস না থাকলে আমরা অবসর সময়ে মুতুন মুখস্থ করতাম এবং আপোসে আলাপ-আলোচনা করতাম, বিশেষ করে আছরের সময় এবং রাতের প্রথমাংশে। আমরা সকলেই কুরআনুল কারীম হিফয সম্পূর্ণ করেছিলাম এবং আপোসের মধ্যে ধরাধরি করতাম। সে এক পক্ষ পাঠ করত এবং আমি এক পক্ষ পাঠ করতাম। এভাবেই আমরা দশ বছর অতিবাহিত করি। অতঃপর আমি ত্বায়িফ শহরে দারুততাওহীদের সঙ্গে মিলিত হয়, আর সে চলে যায় রিয়াযে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।[৪] এই জন্য শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) ছাত্রদের হিফয বা মুখস্থকরণে খুবই উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি বলতেন, ‘আমরা জীবনে অনেক কিছুই পড়েছি, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ওটুকুই অবশিষ্ট আছে, যেটুকু আমরা হিফয করেছিলাম’।[৫]
শাইখ ক্বাযী (রাহিমাহুল্লাহ) ইবনু সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি সারাজীবন হাদীছের ও ফিক্বহের গ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করেছেন, বিশেষ করে দু’জন শাইখের গ্রন্থসমূহ, তাঁরা হলেন: ‘ইবনে তাইমিয়্যাহ ও ইবনুল ক্বাইয়্যিম’। এ গ্রন্থগুলোই তাঁর জন্য সকাল ও সন্ধ্যার খাবার ছিল কিংবা সকালের দোহনকৃত দুধ ও সন্ধ্যার দোহনকৃত দুধ ছিল।[৬] যদি কেউ দেখতে চায় যে, শাইখ সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘ইবনু তাইমিয়্যাহ ও ইবনুল ক্বাইয়্যিম’ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর গ্রন্থসমূহ থেকে কী পরিমাণ প্রভাবিত ও উপকৃত হয়েছেন, তাহলে তাকে তাঁর অনন্য ও অসাধারণ গ্রন্থ ‘ত্বারীক্বুল উস্বুল ইলাল ইলমিল মা‘মূল’ দেখতে হবে। যেখানে তিনি ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মোটামুটি ৩৯টি গ্রন্থ থেকে ৮২৭টি উছূল বা ক্বায়িদাহ একত্রিত করেছেন। অনুরূপভাবে ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মোটামুটি ২০টি গ্রন্থ থেকে ১৮৯টি উছূল বা ক্বায়িদাহ একত্রিত করেছেন।
শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-এর শিখণ পদ্ধতি ও মানহাজের মধ্যেও একই বৈশিষ্ট্য পরিস্ফুটিত হয়েছে। তিনিও এই দু’জন শাইখের ব্যক্তিত্ব ও গ্রন্থসমূহ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। এমনকি কোন বিষয়ের উপর সুস্পষ্ট দলীল পাওয়া না গেলে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মতামতকে তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে ব্যবহার করা হত। যেমনটি আহলে ইলমের অনেকেই করেছেন (শারীত্বু ইবনে উছাইমীন)।
ইবনে সা‘দীর দাওয়াত ও তাবলীগের পদ্ধতি
ইবনু উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর শিক্ষক সম্পর্কে বলেন, আমার যতটা মনে পড়ে, তিনি উপসাগরীয় দেশগুলো, ভারতবর্ষ এবং অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি করতেন, যদিও প্রযুক্তি বিদ্যা ও সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সেই সময়ে এতটা ছিল না, যতটা বর্তমানে পরিলক্ষিত হচ্ছে’ (উলামাউনা, পৃ. ৮)। শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-এর জীবনে এর প্রভাব স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি নিজ হস্তে পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে প্রশ্ন সমূহ আসত, তিনি তার যথাযোগ্য উত্তর দিতেন। ইবনু উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমাদের শাইখ আল্লামা আব্দুর রহমান ইবনু সা‘দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর জীবন ছিল, জ্ঞান, বিজ্ঞান ও বহুমুখী কর্মসূচিতে পরিপূর্ণ জীবন। তিনি ইলমে তাফসীর, উলূমে তাফসীর, ফিক্বাহ্ ও উছূলে ফিক্বহের বিজ্ঞ পণ্ডিত ও পারদর্শী ছিলেন। তিনি বিচার-ফায়সালা, শরী‘আতের গোপন রহস্য ও অন্যান্য বিষয়ে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) ও তাঁর ছাত্র ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মাধ্যমে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন’।[৭]
ইবনু সা‘দীর গ্রন্থসমূহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, সেটি ‘তাইসীরুল কারীমির রহমান’ হোক কিংবা অন্য কোন গ্রন্থ, তিনি হুকুম, আহকাম বা বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। ইসরাইলী রিওয়ায়াত পরিহার করেছেন। ঠিক অতটুকুই বর্ণনা করেছেন, যতটুকু দলীলের আলোকে প্রমাণিত।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
* মুর্শিদাবাদ, ভারত।
[১]. আদ-দুররুছ ছামীন ফী তারজামাতি ফাক্বীহিল উম্মাহ আল্লামা ইবনু উছাইমীন, পৃ. ৩৬-৩৭।
[২]. বারনামিজ ইযা‘আতুল কুরআনিল কারীম বির-রিয়ায।
[৩]. ফাতাওয়া আস-সা‘দিয়্যাহ, পৃ. ৬৫২।
[৪]. আদ-দাওয়াহ, সংখ্যা নং-৭৭৬।
[৫]. শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদের ভাষণ: ‘আল্লামা ইবনে উছাইমীন সম্পর্কে ১০০টি উপকারী কথা’ শিরোনামে।
[৬]. রাওযাতুন নাযিরীন, ১/২২১ পৃ.; ফিক্বহু ইবনে সা‘দী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৯৩।
[৭]. আদ-দাওয়াহ, সংখ্যা নং-১৭৭৬।
প্রসঙ্গসমূহ »:
মনীষী চরিত