সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

মুহাম্মাদ ﷺ -এর গুণাবলী ও মর্যাদা

আবূ মাহী*


(২য় কিস্তি)

(এপ্রিল-২০২১ সংখ্যার পর)...


মানবিক পূর্ণত্ব ও আচার-আচরণের আভিজাত্য

মুহাম্মাদ ﷺ ছিলেন সর্বপ্রকার মানবিক গুণে গুণান্বিত এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর মধ্যে দয়ার্দ্রচিত্ততা, সংবেদনশীলতা, সহনশীলতা, পরহিতব্রততা, ক্ষমাশীলতা, ধৈর্যশীলতা, বাকপটুতা ও বাগ্মীতা ইত্যাদি যাবতীয় মানবিক গুণাবলী পূর্ণমাত্রায় বিকাশ ঘটেছিল। মানবজাতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বহুবিধ গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিগণের মধ্যেও কোন না কোন দোষক্রটি পরিলক্ষিত হত। কিন্তু মুহাম্মাদ ﷺ ছিলেন সকল রকম মানবিক গুণে গুণান্বিত এমন ব্যক্তিত্ব যে ক্ষেত্রে কস্মিনকালেও কোন ব্যাপারে সামান্যতম ক্রটি বিচ্যুতিও পরিলক্ষিত হয়নি। কেননা তাঁকে প্রদান করা হয়েছিল তীক্ষ্ম বুদ্ধি, যাবতীয় জ্ঞানের পরিপূর্ণতা এবং উদ্দেশ্য সাধনে সাফল্য লাভের নিশ্চয়তা। তিনি দীর্ঘ সময় যাবৎ নীরবতা অবলম্বনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ধ্যান ও অনুসন্ধান কাজে রত থাকতে এবং যে কোন বিষয়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে ন্যায় ও সত্যের উদঘাটন করতে সক্ষম হতেন।

তিনি তাঁর সুতীক্ষ্ম বুদ্ধি বিবেচনা এবং নির্ভুল নিরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার দ্বারা মানব সমাজের প্রকৃত অবস্থা, দল বা গোত্রসমূহের গতিবিধি ও মন-মানসিকতা, মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়গুলো অনুধাবনের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হতেন। তিনি ছিলেন চিন্তা-চেতনার যথার্থতা, পারদর্শিতা এবং ন্যায়পরায়ণতার এক জ্বলন্ত প্রতীক। এগুলো গুণাবলী শুধু তাঁর নবুওত জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং মানবিক পূর্ণত্ব ও আচার-আচরণের আভিজাত্যের চরম উৎকর্ষ সাধন হয়েছিল তাঁর অস্তিত্বের সবটুকু জুড়ে। তাঁর কাজকর্ম ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়, চরিত্র ছিল সর্বোত্তম এবং মহানুভবতা ছিল সর্বযুগের সকলের জন্য অনুসরণ ও অনুকরণযোগ্য। তিনি ছিলেন সর্বাধিক শিষ্টাচারী, নম্র-ভদ্র, সদালাপী ও সদাচারী। তিনি ছিলেন সবচেয়ে দয়ার্দ্রচিত্ত, দূরদর্শী ও সত্যবাদী। মিথ্যা কখনো তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাঁর সত্যবাদিতার জন্য তিনি এতই প্রসিদ্ধ এবং প্রশংসনীয় ছিলেন যে আবরবাসীগণ তাঁকে ‘আল-আমীন’ বা বিশ্বাসী বলে জানত এবং আহ্বান জানাত।[১] তাঁর মানবিক পূর্ণত্ব ও আচার-আচরণের আভিজাত্যের কিছু দৃষ্টান্ত নিম্নে পেশ করা হল।

বিবাদ মীমাংসা

নবুওতের পূর্বে রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন পঁয়ত্রিশ বছরে পদার্পণ করেন তখন কুরাইশগণ কা‘বা গৃহের পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রত্যেক গোত্র যাতে নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে তজ্জন্য কোন্ গোত্র কোন্ অংশ নির্মাণ করবে পূর্ব থেকেই তা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে প্রত্যেক গোত্রই ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রস্তর সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। তারা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। নির্মাণ কাজ যখন ‘হাজারে আসওয়াদ’ স্থান পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছল তখন বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সমস্যা তৈরি হল। সকল গোত্রই ‘হাজারে আসওয়াদ’ স্থাপন করার মহা গৌরব অর্জন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিল এবং সকলেই তাদের দাবীতে অনড়। আর তখনই এ ব্যাপারে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি শুরু হল এবং সেটা চার-পাঁচ দিন চলল। সকল গোত্রই তাদের জেদের উপর অবিচল থাকল। ক্রমান্বয়ে তাদের জেদ রূপান্তরিত হল রেষারেষিতে। সকল গোত্রের মধ্যেই চলছে সাজ সাজ রব। হারামে শুরু হল অস্ত্রের মহড়া। নরমপন্থীগণ সকলেই আতঙ্কিত কখন যে যুদ্ধ বেধে যায়।

এমন বিভীষিকাময় এক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বর্ষীয়ান নেতা আবূ উমাইয়া মাখযূমী এ সমস্যা সমাধানের একটি পথ ও পন্থা বের করলেন। তিনি সকলকে লক্ষ্য করে প্রস্তাব করলেন যে, আগামী কাল সকালে  যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবেন তাঁর উপরেই এ বিবাদ মীমাংসার দায়িত্ব অর্পণ করা হোক। সকলেই এ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করলেন। আল্লাহর কী অপার মহিমা! দেখা গেল সকল আরববাসীর প্রিয়পাত্র ও শ্রদ্ধেয় আল-আমীনই (মুহাম্মাদ) সর্বপ্রথম মসজিদুল হারামে প্রবেশ করেছেন। মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রবেশ করা দেখে সকলেই চিৎকার করে বলে উঠল, هَذَا الْاَمِيْنُ رَضِيْنَا هَذَا مُحَمَّدٌ ‘এই যে আল-আমীন, আমরা সকলেই (তাঁর উপর) সন্তুষ্ট, এ যে মুহাম্মাদ ﷺ’। অতঃপর তিনি ঘটনা শুনে একটা চাদর নিলেন এবং সেটা বিছিয়ে নিজ হাতে ‘হাজারে আসওয়াদ’ উঠিয়ে চাদরের মাঝখানে রেখে দিলেন। অতঃপর সকল গোত্রের নেতাদের বললেন, ‘আপনারা সকলেই চাদরের চারপাশ ধরুন, অতঃপর নিয়ে চলুন। সবাই মিলে চাদরকে যখন কা‘বার নিকটে ‘হাজারে আসওয়াদ’ রাখার স্থানে পৌঁছাল তখন তিনি স্বীয় মোবারক হাতে পাথরটি উঠিয়ে যথাস্থানে রেখে দিলেন’।[২] এ মীমাংসা সকলেই হৃষ্টচিত্তে মেনে নিলেন। তিনি অত্যন্ত সুন্দর, সহজ, সুশৃঙ্খল ও সঙ্গত পন্থায় জ্বলন্ত একটি বিবাদের মীমাংসা করলেন।

দয়ার্দ্রচিত্ত ও পরহিতব্রত

তিনি ছিলেন দয়ার্দ্রচিত্ত, পরহিতব্রত। আত্মীয়-স্বজনদের সাথে তিনি সর্বদা সদাচরণ করতেন। দুস্থ-অসহায়দের দায়িত্ব বহন করতেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট যখন অহী অবতরণ হয়েছিল এবং জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিয়েছিল তখন তাঁর খুব কষ্ট হয়েছিল। অতঃপর অহী নিয়ে তিনি ﷺ প্রত্যাবর্তন করলেন। তাঁর হৃদয় তখন কাঁপছিল। তিনি খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর নিকট এসে বললেন,زَمِّلُوْنِىْ زَمِّلُوْنِىْ ‘আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত কর, আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত কর’। তিনি তাঁকে চাদর দ্বারা আবৃত করলেন। এমনকি তাঁর শঙ্কা দূর হল। তখন তিনি খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর নিকট ঘটনাবৃত্তান্ত জানিয়ে তাঁকে বললেন, لَقَدْ خَشِيْتُ عَلَى نَفْسِىْ ‘আমি নিজেকে নিয়ে শঙ্কাবোধ করছি’। খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন,  

كَلَّا وَاللهِ مَا يُخْزِيْكَ اللهُ أَبَدًا إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ وَتَحْمِلُ الْكَلَّ وَتَكْسِبُ الْمَعْدُوْمَ وَتَقْرِى الضَّيْفَ وَتُعِيْنُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ

‘আল্লাহর কসম! কখনই নয়। আল্লাহ আপনাকে কখনও লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায় দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক্ব পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন’।[৩]

বাকপটুতা ও বাগ্মীতা

মুহাম্মাদ ﷺ বাকপটুতা ও বাগ্মীতার জন্য অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁকে অল্প কথায় ব্যাপক অর্থ ব্যক্ত করার যোগ্যতা দেয়া হয়েছিল। তিনি ছিলেন অসাধারণ এক বাকপটু ব্যক্তিত্ব। প্রয়োজন মত সঠিক কথা, বক্তব্য, শব্দ চয়ন ও সংযোজনের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন বাক্য বিন্যাসের ক্ষমতা ছিল তাঁর অসাধারণ। তৎকালীন আরবে প্রচলিত সর্বপ্রকার ভাষারীতি অনুধাবন এবং যে কোন প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে তার যথাযথ প্রয়োগের এক দুর্লভ ক্ষমতা তাঁকে প্রদান করা হয়েছিল। আরবের যে কোন গোত্রের ভাষা অনুধাবন এবং অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে তা ব্যবহার করতে তিনি সক্ষম ছিলেন। একদিকে প্রত্যন্ত মরু অঞ্চলের বেদুঈনদের সঙ্গে যেমন তিনি অত্যন্ত সঙ্গত পন্থায় ভাব বিনিময় করতে এবং বক্তব্য পেশ করতে সক্ষম হতেন, অন্যদিকে বংশীয় ও মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সাথে অত্যন্ত উন্নত ও মার্জিত ভাষায় কথোপকথন ও বক্তব্য পেশ করতে সক্ষম হতেন। তাঁর এ বাকপটুতা ও বাগ্মীতার জন্য ছিল অহীর মাধ্যমে আসমানী সমর্থন ও সাহায্য। যেমনটা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, أُعْطِيْتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ ‘আমাকে অল্প কথায় ব্যাপক অর্থ ব্যক্ত করার যোগ্যতা দেয়া হয়েছে’।[৪] অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন,بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ  ‘আমি ‘জাওয়ামিঊল কালিম’[৫] অর্থাৎ ব্যাপক অর্থবহ সংক্ষিপ্ত কথা সহ প্রেরিত হয়েছি’।[৬] তাছাড়া তিনি ধীরে ধীরে কথা বলতেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ لَمْ يَكُنْ يَسْرُدُ الْحَدِيْثَ كَسَرْدِكُمْ كَانَ يُحَدِّثُ حَدِيْثًا لَوْ عَدَّهُ الْعَادُّ لَأَحْصَاهُ

‘রাসূলুল্লাহ ﷺ অনর্গল কথাবার্তা বলতেন না; যেরূপ তোমরা অনর্গল বল। বরং তিনি যখন কথাবার্তা বলতেন, তখন ধীরে ধীরে থেমে থেমে কথা বলতেন। এমনকি যদি কোন ব্যক্তি তা গণনা করতে চাইত, তাহলে অবশ্যই তা গণনা করতে পারত’।[৭]  

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

*পি-এইচ. ডি গবেষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

[১]. মুসতাদরাক হাকিম, হা/১৬৮৩; আবূ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব আল-ফাকিহী, আখবারু মাক্কাতা ফী ক্বদীমিদ দাহ্র ওয়া হাদীছিহি (বৈরূত : দারু খিযির, ২য় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.), ৪র্থ খণ্ড পৃ. ৪৫; দালাইলুন নবুওত, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬২; মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব, ছিরাত ইবনু ইসহাক্ব, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৮; ইবনুল আছীর, উসদুল গাবা, ১ম খণ্ড, পৃ. ১০।
[২]. ইবনু হিশাম, আস-সীরাত আন-নবুবিয়্যাহ, তাহক্বীক্ব : আব্দুর রঊফ সা‘দ (বৈরূত : দারুল জীল, ১৪১১ হি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ১৯; মুসতাদরাক হাকিম, হা/১৬৮৩; আবুল ফিদা ইসমাঈল ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, (বৈরূত : দারুত ত্বায়্যেবাহ, ২য় সংস্করণ, ১৪২০ হি.), ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৩৮; আখবারু মাক্কাতা ফী ক্বদীমিদ দাহ্র ওয়া হাদীছিহি, ৪র্থ খণ্ড পৃ. ৪৫; দালাইলুন নবুওত, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬২; ছিরাত ইবনু ইসহাক্ব, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৮; উসদুল গাবা, ১ম খণ্ড, পৃ. ১০; আবুল ফিদা ইসমাঈল ইবনু কাছীর, আস-সিরাহ আন-নবুবিয়্যাহ, তাহক্বীক্ব : মুছত্বফা আব্দুল ওয়াহিদ বৈরূত : দারুল মা‘রেফাহ, ১৩৯৬ হি.), ১ম খণ্ড, পৃ. ২৮০; আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৭।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৩, ৪৯৫৩, ‘অহীর সূচনা’ অধ্যায়, ‘আল্লাহর রাসূল -এর প্রতি কিভাবে অহী শুরু হয়েছিল’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০০১; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৪৮৪৩; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৩৩; মিশকাত, হা/৫৮৪১।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/৫২৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩২৬; তিরমিযী, হা/১৫৫৩; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/২৩১৩; মিশকাত, হা/৫৭৪৮।
[৫]. ‘জাওয়ামিঊল কালিম’ : ইমাম যুহরী (রাহিমাহুল্লাহ) এর ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি এমন সংক্ষিপ্ত কথা বলতেন যা শব্দ বা উচ্চারণের দিক থেকে হত অল্প কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক। ইমাম যুহরী (রাহিমাহুল্লাহ) ব্যতীত অন্যজন জোর দিয়ে বলেন যে, এটা থেকে উদ্দেশ্য হল ‘আল-কুরআন’ তার নিদর্শন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কথা। কেননা আল-কুরআন তো শব্দের সংক্ষিপ্ততা ও অর্থের ব্যাপকতার ব্যাপারে শেষ সীমা। দ্রষ্টব্য : ইবনু হাজার আসক্বালানী, ফাৎহুল বারী (বৈরূত : দারুল মা‘রেফাহ, ১৩৭৯ হি.) ১৩তম খণ্ড, পৃ. ২৪৭; হারাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর দ্বারা দু’টি উদ্দেশ্য। ১. কুরআন : আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে সহজ ও হালকা শব্দ দ্বারা ব্যাপক অর্থ জমা করেছেন। ২. রাসূলুল্লাহ -এর কথা : তিনি অল্প শব্দ দ্বারা ব্যাপক অর্থ প্রকাশ করতেন। দ্র. ইমাম নববী, আল-মিনহাজ শারহু ছহীহ মুসলিম (বৈরূত : দারু ইহইয়াইত তুরাছ আল-‘আরাবী, ২য় সংস্করণ, ১৩৯২ হি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮০, হা/৮১২।
[৬]. ছহীহ বুখারী, হা/৭২৭৩, ; ছহীহ মুসলিম, হা/৫২৩।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৫৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৯৩; মিশকাত, হা/৫৮১৫।




প্রসঙ্গসমূহ »: নবী-রাসূল

ফেসবুক পেজ