শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন

খাদীজা বিনতু খুওয়াইলিদ (রাযিয়াল্লাহু আনহা)

-ছাদীক মাহমূদ*


খাদীজা বিনতু খুওয়াইলিদ। বংশ-মর্যাদা, সহায়-সম্পদ, বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন মক্কার শ্রেষ্ঠ ধনী ও সম্ভ্রান্ত মহিলা। তিনি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারিণী (পবিত্রা) হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন উত্তম চরিত্রের এক অনুপমা মহিলা এবং নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রথমা সহধর্মিণী। ইসলাম ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর অবদান অনস্বীকার্য। সেবা ও সাহচর্য, অকুণ্ঠ সহমর্মিতা, অহীর আগমনী বার্তার শিহরণে ভীত-চকিত রাসূলকে অনন্য সাধারণ প্রেরণা, উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে, অতুলনীয় প্রেম, ভালবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে ইসলামের জন্য ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনে তিনি ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে এক জীবন্ত নে‘মত।

নাম, জন্ম ও বংশ পরিচয়

নাম খাদীজা। কুনিয়াত ‘উম্মু হিন্দ’[১] এবং লকব ত্বাহিরা।[২] পিতা খুওয়াইলিদ, মাতা ফাতিমা বিনতু যায়িদাহ।[৩] খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর জন্ম তারিখ পাওয়া যায় না। তবে তাঁর ভাতিজা হাকীম ইবনু হিযাম থেকে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘আমার ফুফুর বয়স যখন ১৫ বছর, তখন তার উপর ছালাত হারাম হয় অর্থাৎ তিনি ঋতুবতী হন। কিন্তু সেই সময় ঐভাবেই কথা বলতেন, যেভাবে একজন মুসলিম কথা বলে। আর এটা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্মের পূর্বে’।[৪] তিনি আরো বলেন, ‘খাদীজা আমার চেয়ে ২ বছরের ছোট। তিনি হস্তি বছরের ১৫ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন এবং আমি হস্তি বছরের ১৩ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করি।[৫] মুহাম্মাদ ইবনু ওমর বলেন, إِنَّ خَدِيجَةَ وُلِدَتْ قَبْلَ الْفِيلِ بِخَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً ‘খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হস্তি বছরের ১৫ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন’।[৬]

তিনি মক্কার কুরাইশ বংশের বনু আসাদ শাখার মেয়ে। পিতৃবংশের ঊর্ধ্বপুরুষ ‘কুছাঈ’-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বংশের সাথে তাঁর বংশ মিলিত হয়েছে।[৭] কুছাঈ খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর ৪র্থ ঊর্ধ্বতন পুরুষ[৮] এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এরও ৫ম ঊর্ধ্বতন পুরুষ ছিলেন।[৯] তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর মধ্যে বংশগত নিকটতম সম্পর্কও ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফুফু ছাফিয়্যা (যুবাইর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মা) ছিলেন খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর ছোট ভাই আওয়ামের স্ত্রী।[১০] রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নবুঅত লাভ করেন, তখন খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাক্বা ইবনু নাওফিলের কাছে নিয়ে গিয়ে বলেন, يَا ابْنَ عَمِّ اِسْمَعْ مِنَ ابْنِ أَخِيْكَ ‘হে আমার চাচার ছেলে, আপনি আপনার ভাতিজার কথা শুনুন’।[১১] সম্ভবত বংশগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই তিনি একথা বলেছিলেন। খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর পূর্ণ বংশধারা হল- ‘খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদ ইবনে আব্দুল উযযা ইবনে কুছাঈ ইবনে কিলাব ইবনে মালেক ইবনে নাযর ইবনে কিনানাহ’।[১২]

মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর ব্যবসা পরিচালনা

১২ বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিতৃব্য আবূ ত্বালিবের সাথে সর্বপ্রথম ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া সফর করেছিলেন।[১৩] তিনি যখন প্রায় পঁচিশ বছরের যুবক তখন চাচা আবূ তালিবের সাথে বা একাকী কয়েকটি বাণিজ্য সফরে গিয়ে ব্যবসা সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেন। ব্যবসায়ে তাঁর সততা ও আমানতদারীর কথাও মক্কার মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। কুরাইশ বংশে অনেকে ছিলেন, যারা নির্দিষ্ট লভ্যাংশের বিনিময়ে ব্যবসায়ে পুঁজি বিনিয়োগ করতেন। কিন্তু নিজেরা সরাসরি ব্যবসায়িক সফরে যেতেন না। এজন্য তারা সর্বদা বিশ্বস্ত ও আমানতদার লোক তালাশ করতেন। খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ছিলেন এরকমই একজন সম্ভ্রান্ত সম্পদশালী ও বিদুষী ব্যবসায়ী মহিলা।[১৪] ব্যবসায়ে অংশীদারিত্ব এবং প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তিনি ব্যবসায়ীগণের নিকট অর্থলগ্নী করতেন। পুরো কুরাইশ গোত্রই জীবন জীবিকার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত থাকতেন। খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) যখন মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতা, আমনতদারী, উত্তম চরিত্র, সদাচার এবং আমানত হেফাযতের নিশ্চয়তা সম্পর্কে অবগত হলেন তখন তিনি মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক প্রস্তাব পেশ করলেন যে, তিনি তাঁর অর্থ নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে তাঁর দাস মাইসিরের সাথে শাম দেশে গমন করতে পারেন। তিনি স্বীকৃতিও প্রদান করেন যে, অন্যান্য ব্যবসায়ীগণকে যে হারে লভ্যাংশ বা মুনাফা প্রদান করা হয়, তাঁকে তার চেয়ে অধিকমাত্রায় মুনাফা প্রদান করা হবে। মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ প্রস্তাব গ্রহণ করলেন এবং তাঁর বিশ্বস্ত দাস মাইসিরকে তাঁর সাথে প্রেরণ করলেন। খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর পণ্য-সামগ্রী নিয়ে তাঁর বিশ্বস্ত দাস মাইসিরকে সঙ্গে করে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চললেন শামে।[১৫] শাম দেশে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওতের যে নিদর্শন দেখা গিয়েছিল এবং পাদ্রী যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, মাইসির বিস্তারিত ঘটনা তার মনিব খাদীজা (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ব্যক্ত করলেন।[১৬]

মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বিবাহ

ব্যবসায়ে অভাবিত সাফল্যে খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) দারুণ খুশী হন। অন্যদিকে মাইসিসেরর কাছে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিষ্টভাষিতা, সত্যবাদিতা, আমানতদারী এবং উন্নত চিন্তা-চেতনার কথা শুনে খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পড়েন এবং তাঁকে স্বামী হিসাবে পাওয়ার একটা গোপন বাসনা ক্রমেই তাঁর মনে দানা বাঁধতে থাকে। ইতিপূর্বে পরপর দু’জন স্বামী মৃত্যুবরণ করায় মক্কার সেরা নেতৃবৃন্দ তাঁর নিকটে বিয়ের পয়গাম পাঠান। কিন্তু তিনি কোনটাই গ্রহণ করেননি। মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সার্বিক অবস্থাই মুগ্ধ হয়ে তিনি নিজেই বান্ধবী ‘নাফীসা বিনতে মুনাব্বিহের’ (ইবনু হিশামের বর্ণনায় মাইসিরের মাধ্যমে) মাধ্যমে নিজের বিয়ের পয়গাম পাঠালেন মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এ প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করে বিষয়টি চাচা আবূ ত্বালিবের (কোন কোন বর্ণনায় হামযার কথা এসেছে) সাথে আলোচনা করেন। আবূ ত্বালিব এ ব্যাপারে খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর পিতৃব্যের সঙ্গে আলোচনার পর বিয়ের প্রস্তাব পেশ করেন। উভয় পক্ষের মুরব্বীদের সম্মতিক্রমে শাম থেকে ফিরে আসার মাত্র দু’মাসের মাথায় আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত দু’টি প্রাণ বিশ্বমানবের অনুকরণ ও অনুসরণযোগ্য পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যান এবং সমাজনেতাদের উপস্থিতিতে ধুমধামের সাথে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ অনুষ্ঠানে বনু হাশিম ও মুযারের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের বিবাহের মোহরানা স্বরূপ ২০টি উট প্রদান করেন।[১৭]

উল্লেখ্য যে, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল অহী অবতরণ অর্থাৎ নবুওত লাভের ১৫ বছর আগে।[১৮] ঐ সময় খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর বয়স কত ছিল তা নিয়ে মতভেদ আছে। যেমন ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,كَانَتْ خَدِيْجَةُ يَوْمَ تَزَوَّجَهَا رَسُوْلُ اللهِ ابْنَةَ ثَمَانٍ وَعِشْرِيْنَ سَنَةً ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে বিবাহ করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ২৮ বছর’।[১৯] মুহাম্মাদ ইবনু ওমর বলেন, كَانَتْ يَوْمَ تَزَوَّجَهَا رَسُوْلُ اللهِ بِنْتَ أَرْبَعِيْنَ سَنَةً ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে বিবাহ করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৪০ বছর’।[২০] ইমাম বায়হাক্বী হাকীম থেকে একটি বর্ণনা নকল করে বলেন, বিবাহের সময় খাদীজা এর বয়স ছিল ৩৫ বছর। আবার কেউ কেউ বলেন, ২৫ বছর।[২১] তবে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বয়স নিয়ে কোন মতভেদ নেই। তাঁর বয়স ছিল ২৫ বছর।[২২] খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে প্রায় ২৪ (বা তার একটু বেশি) বছর সংসার করেন।[২৩]

খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর সন্তান

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সন্তানদের মধ্যে ইবরাহীম[২৪] ব্যতীত অন্যান্য সকলেই ছিলেন খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর গর্ভজাত সন্তান।[২৫] দুই পুত্র ক্বাসিম[২৬] ও আব্দুল্লাহ।[২৭] ক্বাসিম ছিলেন নবী দম্পতির প্রথম সন্তান। তাই নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপনাম ‘আবুল ক্বাসিম’। আর আব্দুল্লাহর উপাধি ছিল ‘ত্বাহির’ ও ‘ত্বায়্যিব’।[২৮] চার কন্যা যয়নাব, রুক্বাইয়া, উম্মে কুলছূম ও ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহুন্না) ।[২৯] নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সকল পুত্র সন্তানই বাল্যাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আর ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ব্যতীত সকলেই রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন। ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর ৬ মাস পরে মৃত্যুবরণ করেন।[৩০]

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

* পি-এইচ. ডি গবেষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যসূত্র :
[১]. খয়রুদ্দীন আয-যারকালী, আল-আ‘লাম (দারুল আ‘লাম, ৫ম সংস্করণ, ২০০২ হি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৩০২; ইবনু হাজার আল-‘আসক্বালানী, আল-ইছাবাতু ফী তাময়ীযিছ ছাহাবা (বৈরূত : দারুল জীল, ১৪১২ হি.), ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪১৭ ও ৫০৫।
[২]. শামসুদ্দীন আয-যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা (বৈরূত : মুওয়াস্সাসাতুর রিসালাহ, ৩য় সংস্করণ, ১৪০৫ হি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ১১১; আবুল হাসান ‘আলী ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল আছীর, উসদুল গাবাহ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৭।
[৩]. ইবনু হিশাম, সীরাত ইবনু হিশাম, (বৈরূত : দারুল জীল, ১৪১১ হি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৮; ইবনু কাছীর, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ (বৈরূত : দারুল মা‘রিফা, ১৪১১ হি.), ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬২; মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, পৃ. ৮৭।
[৪]. মুহাম্মাদ ইবনু সা‘দ, আত-ত্ববাক্বাতুল কুবরা (বৈরূত : দারু ছাদির, ১৯৬৮ খ্রি.), ৮ম খণ্ড, পৃ. ১৫।
[৫]. আত-ত্ববাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খণ্ড, পৃ. ১৭।
[৬]. আত-ত্ববাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খণ্ড, পৃ. ১৬।
[৭]. শামসুদ্দীন আয-যাহাবী, তা’রীখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফাইয়াতুল মাশাহির ওয়াল আ‘লাম (বৈরূত : দারুল কিতাবিল ‘আরাবী, ১৪০৭ হি.), ১ম খণ্ড, পৃ. ৬৩।
[৮]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৯।
[৯]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৭১।
[১০]. আল-ইছাবাতু ফী তামীযিছ ছাহাবা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৫৩।
[১১]. ছহীহ বুখারী, হা/৩।
[১২]. আত-ত্ববাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খণ্ড, পৃ. ১৫।
[১৩]. তিরমিযী, হা/৩৬২০, সনদ ছহীহ।
[১৪]. সীরাত ইবনু হিশাম, , ২য় খণ্ড, পৃ. ৬।
[১৫]. সীরাত ইবনু হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬; আল-ইছাবাতু ফী তাময়ীযিছ ছাহাবা, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৩; ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২৪০; সফিউর রহমান মুবারকপুরী, আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৫।
[১৬]. আল-ইছাবাতু ফী তামীযিছ ছাহাবা, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৫০৬; সীরাত ইবনু হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬।
[১৭]. সীরাত ইবনু হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭, ৯; আস-সীরাতুন নবূবিয়্যাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬৩; আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৬।
[১৮]. উসদুল গাবাহ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৭; আল-ইছাবাতু ফী তামীযিছ ছাহাবা, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৬০০।
[১৯]. আত-ত্ববাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খণ্ড, পৃ. ১৬; সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১১১।
[২০]. আত-ত্ববাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খণ্ড, পৃ. ১৬; আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৬।
[২১]. ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ (দারু ইহ্ইয়াউস তুরাছিল ‘আরাবী, ১৪০৮ হি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৬০।
[২২]. সীরাত ইবনু হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫।
[২৩]. উসদুল গাবাহ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৭।
[২৪]. পুত্র ইবরাহীম ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সর্বশেষ সন্তান। তিনি ছিলেন মিসরীয় দাসী মারিয়া ক্বিবতীয়ার গর্ভজাত। যিনি মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং দুধ ছাড়ার আগেই মাত্র ১৮ মাস বয়সে ১০ম হিজরীর ২৯শে শাওয়াল মোতাবেক ৬৩২ খৃষ্টাব্দের ২৭ অথবা ৩০শে জানুয়ারী সূর্য গ্রহণের দিন সোমবার মদীনায় ইন্তেকাল করেন।- ছহীহ বুখারী, হা/১০৬০; ছহীহ মুসলিম, হা/৯০৬; মিশকাত, হা/১৪৮৫।
[২৫]. আল-ইছাবাতু ফী তামীযিছ ছাহাবা, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৭৬; ৩য় খণ্ড, পৃ. ৫৪৯।
[২৬]. আল-ইছাবাতু ফী তামীযিছ ছাহাবা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৫১৫।
[২৭]. আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৬।
[২৮]. আল-ইছাবাতু ফী তামীযিছ ছাহাবা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৫৪৯; আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৬।
[২৯]. আল-ইছাবাতু ফী তামীযিছ ছাহাবা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৭৫, ৪৭৩; ৭ম খণ্ড, পৃ. ৬৪৮; আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৬।
[৩০]. আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৪৬।




ফেসবুক পেজ